![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতার বইঃ গণপ্রজাতন্ত্রী নিঃসঙ্গতা, দিব্য প্রকাশ, প্রচ্ছদঃ শিবু কুমার শীল, প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ডিসেপশন
১
আরও একটা ফাঁকা আছে ঐশ্বর্যের অতীতে।একটা সুদীর্ঘ অবকাশ আমাদের বুকের তলায় ফেলে রাখা আছে। আমাদের চোখের কোটর বিস্তীর্ণ অশোকের শিকড়,ভাঙা মসজিদে ঠাসা। একটা চৈতন্য ,পায়ের কড়ে আঙুল বেয়ে মাথায় ;সম্প্রতি পেকে যাওয়া একটা চুল অবধি অপেক্ষা বুজিয়ে যায়। আমার মৃত্যু এখানে নয়। এখানে সমস্তকে টেনে এনে পেয়েছি শুধু সংখ্যা। আরও একটা ফাঁকা আছে,যা নেই,এতটুকু বোধ জুগিয়ে তা-ই আমাকে মুহুর্মুহ ফতুর হতে হয়।
২
পৃথিবীর এইপাশটা পছন্দ লাগে আমার। ক্রিমমাখা বাটারবন,কচকচ রিং চিপস, দুধমালাই, ক্ষির, কুলফি আইসক্রিম, আর ! আর অইযে জীবনের এইপাশটা নরোম,তুলতুলা রুয়ারুয়া দ্বিধা। ওইপাশটা সুদীর্ঘ টানেলের মতো বিরতিহীন অন্ধকার। স্প্লিন্টার,বুট, ক্ষুধা, পুষ্টিহীন শিশু, ইউনিফর্ম,প্রতিশ্রুতি,ডিসেপশন।আর ! আর গোপন পাসওয়ার্ড, আইডি কার্ড,টিকেট উসুল রাত। সামটাইমস লাইফ ইজ অ্যা ফ্লপ সঙ।
শাঁস
আজ যেন কি করার কথা, কোথায় যাওয়া ! কোন সুতবিলাপ আশ্বিনে দরিদ্ররুধির-পুষ্ট শৃঙ্গার লালনে। সবিলাসহাস মাঘের আড়তে, আজ এমনই তবে আলস্য প্রমোদ সভ্যতায় ঝিমিয়ে আছি। ঝুলন্ত টবের সৌখিন বাগান, একুরিয়ামের কচ্ছপ, স্নেহের কুকুর, আজ কাঞ্চিবিহার সুখের সাথে রস মুরলী পালন। আজ যেন কি বাদ পড়ে যাচ্ছে,কি শ্যাম অনুরাগ ! আসবে আসবে বলে দেরি করাচ্ছে ! কে ঊর্মিলা বেলিফুল, একশত কুড়ি বছর ভবিতব্যতার কোমল কুসুম ঝিনুকের ভেতর জমে আছে; আজ অরণ্যের ঝুড়িমুখ খুলে উড়ে আসে এক চাক মৌ-ফড়িঙ আর, যত ইচ্ছা ততো রঙ প্রজাপতি, এক পৃষ্ঠা কাঠপিঁপড়া। কে যেন, আকাশের সাদৃশ্য এনে দেবে বলেছিল আমার ছাদে! আজ অতিবিষা শাঁস অবসরে, এতো দিনে, এতো কি প্রেম সে জানে?
ক্ষয়মাস
যখন ছিলাম আমি অখণ্ড অকূল একা,মৎস্য উদরে জন্ম আমার।জীবনের সব সঙ্গতি, সোনার সুত চোখের পাতায় নিয়ে অব্যাহত অন্ধকারের ভেতর দিয়ে অনুশীলন করে এলাম। নক্ষত্রের ভাবনা হতে অরন্যের দুর্গম্য অবধি আমি অন্ধ ছিলাম । এই যে কিছু অন্য স্বর, তৈজসের ঐক্য,বারবার ভালবাসার স্বল্পতা। অর্থ ঠিক রেখে কে ভালবাসা শেষ করতে পারে ,তার বিপরীত হয়ে যায়। মিছা কাজ ক্ষয়মাস, অশুদ্ধকাল আমি অস্ত্রশিক্ষা নিয়েছি।তখন সর্বসুদ্ধ যৌবনের পুরাভাগে থাকে না কেবল শিষ্টাচার সমগ্র।পদ্মা পার হওয়ার পয়সা নেই,কিন্তু পদ্মা কে নিয়ে লিখেছি অনেক বাক্য। ঢেউ দেখে ভয় পাবে যে তার জন্য নয় নদীবিষয়ক তের হাত তল শিঙ্গুর।যখন আমি আর ঈশ্বর পাশাপাশি সোফায় বসে আলাপ সারি;মাঝখানে ফুলদানি,টিস্যু বাক্স সাজানো ট্রে টেবিল, কেমেরা লাইট কূটনীতি যা গুরুত্বপূর্ণ, দেখেছি মনে রাখে না ঈশ্বর কোন সেজদার স্মৃতি। কতটুকু দুর্ভিক্ষ ভিক্ষা দেবেন মা ! এই অর্থবছর ফসল ভালো হয় নি। ব্রিটনি স্পিয়ার্স মার্কিন পতাকা কেটে বক্ষবন্ধনি বানিয়ে নেচেছে,আমাদের পতাকা তো ছাদের উপর।আমি বলেছি আমাদের সংসদ শান্তিবিরোধী নয়।আমি যখন ছিলাম প্রস্তুতির ভেতর,পরীক্ষা আছে বলে মানুষের ব্যার্থতা আছে।আমি অস্বীকার করেছি এইসব বিভাজনের রেখা।
ভ্যানগগ্ জানে বসন্ত কতদূর
পুনর্বার এই মনীষার বুকে - এই দূর লালগ্রহে – নিজের ভেতরে হেঁটে গিয়ে আয়নায় দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করে আসি। চিকন চাকু বসা বুকের নিচে গাঢ় হয়ে আছে রক্ত রুহিত,পৃথিবীর শেষ কথা কে বলবে? আর এক কারুণ্য রুপের তুঙ্গ মুহূর্তে - ভ্যানগগ্ জানে বসন্ত কতদূর। জলের সিনানে যে কামুক বীর্য ফেলে এসেছে – আজ মৎস্যগর্ভে জন্ম নিয়েছে – আধেক স্বরবিন্দু আধেক স্নেহতাপ্তি ফুল।
এই কি সেই ক্ষয়? ধূমল অনামা – অনিত্য স্বজন পৃথিবীর – কজিতো ,মোনাড , অ্যাবসুল্যুট কিংবা জীবনদেবতা ? সেই কী ঈশ্বর মৃত্যুর কাছাকাছি থাকে । টানের দিকে শুশুকের সন্ধ্যাদ্রুত অনুভূতি নিয়ে সজারুর মতো কাঁটা হয়ে উঠে আসে হৃদয়ে - আকাশের দিকে পাথর ছুড়ে মেরে তার পতনের দিকে চেয়ে থাকে। পুনর্বার এই উন্মুখ কারবারে বাগডাশ আসে বারসিঙ্গার বনে – পাহাড় থেকে নেমে ঢালু অরণ্যের উষরপ্রান্তরে। এই কী গয়াল বিমর্ষ সুন্দর প্রথম ব্র্যাকেটের মতো শিং - মায়াবী প্রাচীরের নিঃশ্বাস নিয়ে , সমুদ্রের ঢেউ বুকে ঢেকে সুরযকান্তা ডুবে যায় আমার পিঠের পেছনে।
দূরে মাঠের ওপার মসজিদের কাঁচতারাখচিত যে গম্বুজ জ্বলজ্বল করতো রোদে – আমি ভাবতাম সেটাই পৃথিবীর সর্বশেষ প্রান্ত। পাহাড়ের সমতল চূড়ায় উঠে নিচে শাদা কুয়াশায় তাকিয়ে ভাবতাম এটাই পৃথিবীর শেষ কোণ আমি এসেছি দৈবভাগ্যে। পুনর্বার এই সুচিত্রার বুকে – এই দূর লালগ্রহে - নিজের ভেতর থেকে হেঁটে এসে জানি এই বহির্ভূমি তার নাম কী আইডিয়া না নীলগাভী !
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
মাজহার সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
মাজহার সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বইয়ের নাম টা সুন্দর ।
কবিতাও খুব ভালো লেগেছে ।