মুসলিম বিশ্বের ঐক্য-মূলে 'শিয়া-সুন্নি' মহা-প্রলয়

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

ইসলাম আজ কয়েকভাগে বিভক্ত কিন্তু প্রকৃত ইসলামে কোন বিভক্তি নেই । ইসলাম কয়েকভাগে বিভক্ত হলেও ইসলামের মূল চেতনা সব মতবাদের মধ্যে প্রায় একই । কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় ওহবী, সালাফি ও হিজবুত তাহরীর নামক কিছু চরমপন্থী সংগঠন নিজেদেরকে একমাত্র খাটি মুসলমান ঘোষনা করে অন্য মাজহাবের মতবাদের মানুষকে তারা কাফের মনে করে । এজন্য তারা হত্যা করাও বৈধ মনে করে ! এই সব চরমপন্থী গ্রুপের কারণে ইসলাম আজ প্রশ্নের সম্মুখিন । এইসব চরমপন্থী গ্রুপরাই প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাস্ট্র ও ইসরায়েলের সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। আর যুক্তরাস্ট্র অত্যন্ত সুকৌশল ও সুচতুরভাবে তাদেরকে ব্যবহার করতেছে।আর হ্যা, তাদের ধূসর ইউএসএ বুঝতে পেরেছে যে ঐ ওহাবী, সালাফি, তাহরীর নামক হাতিয়ার অতি সুনিপুনভাবে কাজে লাগিয়ে উদ্দেশ্য হাসেল সম্ভব। তাই তারা বর্তমানে এ হাতিয়ারের রসদ যোগাড় করছে, যার জন্য তাদের দেশের বিদেশ নীতির কোন পরিবর্তন নেই। এই অপ্রিয় সত্যটি উপলব্ধি করতে পেরে ইরানের রুপকার মরহুম আয়াতুল্লাহ খোমেইনী(রঃ) অত্যন্ত আক্ষেপের সহিত বলেছেন, "Oh Muslim, awake up", Oh Muslim, I am oppressed" etc. আয়াতুল্লাহ খোমেইনীর(রঃ) আহ্বানে সাড়া দিয়ে শিয়া মুসলিমরা এগিয়ে এসে আজ সভ্যতার চরম শিখরে পৌছে যাচ্ছে। বিশ্বে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে তারা আজ এক অতি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নিয়েছে। কিন্তু সুন্নিরা আত্মগরিমায় অন্ধ হয়ে বসে বসে কেবল বিবি-তালাক, শিয়ারা কাফের, সিরিয়ায় নারী ধর্ষন জায়েজ, সালাফি মতবাদ জাহির করা, সৌদি যুবরাজের নারী-ধর্ষন ও হত্যা জায়েজ করা, মুসলমানদের পহেলা কিবলা আল-আকসা মসজিদ ইহুদিদের হাতে ছেড়ে দেয়া প্রভৃতি নানা মাসলা দিতে গিয়ে কোরান-কিতাবের পাতা আওড়াচ্ছে। আর এই নাটের গুরু আমেরিকা সুন্নিদেরকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে আল-সৌদ পরিবারকে সুকৌশলে বাগে এনেছে ওহাবী মতবাদ ও সালাফি ভাবধারা চাপিয়ে দেয়ার নাম করে। এখন সৌদি রাজ আব্দুল্লাহ আমেরিকার কাছে সেই জন্য একেবারে অনাথ এবং আল-আকসা মসজিদ পূনরুদ্ধার করার নাম পর্যন্ত মুখে উচ্চারন করার সাহস নেই। ইহুদিবাদীদের মদতে সিরিয়ায় সালাফিরা ইতিমধ্যে রাসূল(সা.)’র সাহাবি শহীদ হুজর ইবনে আদি আল কিন্দি (রা.)’র মাজার ধ্বংস করে লাশ পর্যন্ত অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আল্লাহ না করুক, আগামী দিনগুলোতে যদি মার্কিন মুনিব ও ইহুদি ধর্ম-গুরুর একান্ত ইচ্ছায় মদিনায় মহানবী(ছঃ) এর রওজা মোবারক স্থানান্তর করার প্রস্তাব করা হয় তবে সৌদি রাজ-পরিবার তাও মেনে নিতে বাধ্য। কারন, "ধান খেলে মুরগী এখন যাবে কই?" একমাত্র শিয়া নামের হাতিয়ারটি আজ মুসলিম বিশ্বে এত ভয়ানক ঘায়েল সৃষ্টি করতে পেরেছে আর দাম্ভিক সুন্নিরা নাকে তেল দিয়ে ব্যাংগের শীত নিদ্রায় আচ্ছন্ন রয়েছে। মিশরের মুরসিরা ইসলামের বিশ্বজনীন ভাবধারা ন্যিয়ে চিন্তা-চর্চায় ব্যর্থ বলেই তো অন্তিম মুহূর্তে মার্কিন, ইহুদি ও সৌদি মুনিবদের শরনাপন্ন হয়েও শেষ রক্ষা হলনা।

০ টি +০/-০