নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় হুমকি ইজরায়েলঃ রিচার্ড ফল্ক

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

(এম বি ফয়েজ উদ্দিন)

প্যালেস্তাইন বিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি রিচার্ড ফল্ক বলেছেন, পরমানু অস্ত্রে সজ্জিত ইহুদিবাদী ইসরায়েল সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের জন্যই এক বিরাট হুমকি। তিনি এই অঞ্চলে সংকট সৃষ্টির জন্য ইজরায়েলকেই দায়ী করেছেন। ইসরায়েলের পরমাণু অস্ত্রের বিপদ সম্পর্কে রিচার্ড ফল্ক বলেন, ইসরায়েল নিজেই একটা বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্যালেস্তাইন বিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি আরো বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এবং তারা এই অঞ্চলের দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে চলেছে। উল্লেখ করা যায়, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পরমাণু অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইসরায়েল পরমাণু অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। এই অঞ্চলে যুদ্ধ, হিংসা ও দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখার জন্য ইজরায়েল পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সহযোগীতায় পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা দিন দিন বাড়িয়েই চলেছে। বর্তমানে তাদের হাতে ৩০০ থেকে ৪০০টিরও বেশী পরমাণু বোমা মজুত রয়েছে। ইজরায়েল পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও পরমাণু অস্ত্র উৎপাদন ও বিস্তার রোধ সংক্রান্ত এনপিটি চুক্তিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে সেই শুরু থেকেই। মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইজরায়েলই এনপিটি চুক্তিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে এবং তাদের পরমানু কেন্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-র পরিদর্শকদের পরিদর্শনেরও সুযোগ দিচ্ছে না। দখলদার ইসরায়েল ও তাঁর মিত্ররা পরমাণু বিষয়ে আন্তর্জাতিক সব নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ-কারনে বিশ্বের বহু দেশ ও রাষ্ট্রসংঘের কর্ম-কর্তারা ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে আইএইএ-র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলোর ষড়যন্ত্র ও বাধার কারনে আন্তর্জাতিক সমাজ আজ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্ণবাদী ইসরায়েলের প্রতি পাশ্চাত্যের অস্ত্র সমর্থনের কারনে ইজরায়েল অবাধে পরমাণু অস্ত্রের বিশাল মজুত গড়ে তুলতে পেরেছে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১২ সালের নভেম্বরে গাজার বিরুদ্ধে ইজরায়েলের আটদিনের যুদ্ধের ব্যাপারে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই যুদ্ধে ইজরায়েল বিভিন্ন ধরনের মারনাস্ত্র ব্যবহার করেছে। অথচ যেসব দেশ শান্তিপূর্ন উদ্দেশ্যে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় তাদের পরমাণু কর্মসূচীকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমাজকে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য উস্কানি দিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সমাজ ও বিশ্ব-জনমতের প্রতিক্রিয়া থেকে বুঝা যায়, ইসরায়েলের সব ষড়যন্ত্রই কার্যত ব্যর্থ হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি এখন মধ্যপ্রাচ্যের আসল হুমকি ইজরায়েলের দিকে। এ অবস্থায় মানবতাবিরোধী কর্মকার্য থেকে ইসরাইলকে বিরত রাখা এখন আন্তর্জাতিক সমাজের প্রধান দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন ফল্ক।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.