নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“মিশরের অভ্যুত্থান নাটকে বীর ড্যানিয়েল; হামাস-ভয়াতুর-ফাত্তাহ; অকাল-কুশমাণ্ড-মুরসি ও সুযোগ-সন্ধানী-বারাদি”

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫২

(এম বি ফয়েজ উদ্দিন)

মিশরের সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার তিনদিন আগে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে বিষয়টি অবহিত করেছিলেন।

ইহুদিবাদী সামরিক বিশেষজ্ঞ রুনি ড্যানিয়েল ইসরাইলের ২ নম্বর চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সিসি অভ্যুত্থানের তিনদিন আগে তেল আবিবকে জানিয়েছিলেন, তিনি মুহাম্মাদ মুরসিকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

এছাড়া, তিনি ইসরাইলকে বলেছিলেন, তারা যেন ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কর্মতত্‌পরতা ওপর নজর রাখে। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গেলে হামাস যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তাকে দমন করার দায়িত্ব তিনি ছেড়ে দেন তেল আবিবের ওপর।

ড্যানিয়েল বলেন, জেনারেল সিসি সামরিক অভ্যুত্থানের আগে হামাসকে ভয় পাচ্ছিলেন; কিন্তু তেল আবিব তাকে এ আশ্বাস দেয় যে, গাজার পুরো পরিস্থিতি ইসরাইলের ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। ইহুদিবাদী সরকার হামাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার বিনিময়ে মিশরের সঙ্গে গাজার রাফাহ সীমান্তের ভূগর্ভস্থ টানেলগুলো ধ্বংস করে দেয়ার জন্য জেনারেল সিসি’র প্রতি আহ্বান জানায়। মিশরের সেনাপ্রধান তেল আবিবের সে আহ্বান বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন।

ইসরাইলের সমরবিদ রুনি ড্যানিয়েল জানান, জেনারেল সিসির পাশাপাশি মিশরের সেক্যুলার রাজনীতিবিদ ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ আল-বারদিও তেল আবিবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন। তিনি সামরিক অভ্যুত্থানের আগে একবার এবং এরপর আরেকবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাত করেন।

ড্যানিয়েলের মতে, মিশরের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান হয়েছে সম্পূর্ণভাবে ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং তাতে সহযোগিতা করার পুরস্কার হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মাদ আল-বারাদি।

এ ছাড়া, নেতানিয়াহু আল-বারাদিকে এ আশ্বাস দিয়েছেন যে, অভ্যুত্থানের পর কায়রোর নতুন সরকারকে যাতে পাশ্চাত্য স্বীকৃতি দেয় সেজন্য তেল আবিব সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।

উল্লেখ্য, মিশরে সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েকদিন আগে থেকে গাজার রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টের ভূগর্ভস্থ টানেল ধ্বংস করা শুরু করে মিশরের সেনাবাহিনী। তবে হামাস বলেছে, কায়রো অযথাই তাদের ভয় পাচ্ছে; কারণ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছে তাদের নেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১১

এম বি ফয়েজ বলেছেন: দেখলি তো হে হই-হাল্লাবাজ-অকাল-কুশমাণ্ড মুসলিম সম্প্রদায়, ওরা যে হাতে পাপ করেছিল ওদের সেই হাত দিয়েই তো শাপ-মোচন করে নিলাম; মিশরের সঙ্গে গাজার রাফাহ সীমান্তের ভূগর্ভস্থ টানেলগুলো ধ্বংস করে চুরমার করে দেখালাম। আর এটাই তো হচ্ছে আমাদের আসল পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র। "তোরা যে যা বলিস ভাই, মোদের সোনার হরিণ চাই।"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.