নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
সিরিয়ার রাজধানী শহর দামেস্কের অদূরে রাসায়নিক বোমার ব্যবহার করে সম্প্রতি শতাধিক লোকের প্রান কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রচার মাধ্যমগুলো এ ঘটনার এত প্রাঞ্জল আপডেট দিয়েছে যে বিশ্বের আনাচে-কানাচে অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ ঘটনা সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এখন প্রশ্ন হ'ল কে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত বোমার প্রয়োগ করল? সিরিয় বিদ্রোহীরা জোর-গলায় বলছে, আসাদের সেনা বাহিনী তা প্রয়োগ করেছে। আর দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ বলছেন, বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় বিদেশী আগ্রাসনের কামনায় একটি অজুহাত খাড়া করতে এ জঘন্য কাজটি করে ফেলেছে। অবশ্য আসাদ আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছেন যে রাসায়নিক অস্ত্র ইতিমধ্যে বিদ্রোহীদের হাতে পৌছে গেছে এবং বিদ্রোহীদের ধূসর সৌদি রাজের বদান্যতায় সে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
যাইহোক, যে-ই বা দামেস্কে ফসফরাস বোমার ব্যবহার করুক না কেন, কাজের কাজ তো হয়ে গেছে। বিদ্রোহীরা একটি সুনিপুন অজুহাত খাড়া করে খাল কাটতে শুরু করেছে এবং আগামী বৃহস্পতিবার সে খাল দিয়ে সিরিয়ায় কুম্ভীরের আগমন হচ্ছে সে কথা একেবারে নিশ্চিত। যদিও প্রথম যাত্রায় তিন দিনের আতিথেয়তার আয়োজন বলে জানানো হচ্ছে; তবে একথা ও মিথ্যা নহে যে, এ আত্মীয়কে একমাত্র গলা-ধাক্কা দিয়ে বের করতে না পারলে তিনে ত্রিশ বছর হবে, তবুও বিদায় সম্ভাষন জানানো যাবে না; যেহেতু কুম্ভীর-আত্মীয়।
বলা বাহুল্য, সিরিয়ায় নিষিদ্ধ রাসায়নিক বোমা প্রয়োগের অজুহাতে মার্কিন সরকার আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালাতে প্রস্তুত হয়েছে বলে দেশটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা খবর দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা মার্কিন টিভি চ্যানেল এনবিসি নিউজকে আজ (মঙ্গলবার) ২৭ আগস্ট এ কথা বলেছেন। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অজুহাতে দেশটিকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকা। ওই কর্মকর্তা বলেন, সীমিত পরিসরে এ হামলা চালানো হবে এবং তা তিন দিন ধরে চলবে। তিনি আরো বলেন, সিরিয়ার সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করার পরিবর্তে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে একটি বার্তা পাঠানো হবে এ হামলার মূল লক্ষ্য।
ইরাকের পর লিবিয়া তারপর এখন সিরিয়া--অভিযোগ কিন্তু একটাই 'রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ'। অথচ মুসলিম জাতিগুলো নাকে তেল মাড়িয়ে এখন ও নিদ্রা-মগ্ন। কেহ বলে খৈ দাও, কেহ চায় দৈ। আন্তর্জাতিক সমুদায় অতি সহজে দামেস্কে নিহত শতাধিক লোকের চক্ষু-নীর অবলোকন ও অনুধাবন করতে পারল অথচ লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি জনগনের দৈন্যদশা অবলোকন এবং সমুদ্র-সম-চক্ষু-নীর অনুধাবন করার অবকাশ নেই আর্কিনীদের। তবুও আমরা মুসলিমরা বলছি নমঃ নমঃ আমেরিকা, তুমিই নমশ্যঃ।
যাদের ভেতরে ধর্ম নেই তারা মৃত্যুকে ভয় করেনা; তারা মরতে পারে, মারতেও পারে। যারা প্রকৃত ধার্মিক তারা জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে মৃত্যুকে ভয় করে; তাইতো তারা মারতে জানে না; আর নিজেও পরের হাতে মরে না। সিরিয়ায় সক্রীয় প্রতিটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিপথগামী, অধার্মিক ও ভণ্ড। একমাত্র আসাদকে ছোড়ে ফেলতে ওরা হিংসান্ধ হয়ে ইহুদি-খ্রিষ্টানদের কাছে বায়াত পর্যন্ত গ্রহন করতে দ্বিধা নেই। ওরা কি জানেনা, মিশর থেকে দৃষ্টি ফেরাতে সিরিয়ায় হামলা চালানো একটি কূট-চাল? ওরা কি জানেনা, খিষ্টান দলনেতা কখন ও ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে না স্বপ্নের সিরিয়ায়?
রাসায়নিক বোমা-প্রয়োগের অজুহাতে আমেরিকার সিরিয়া আক্রমন বিশ্বের তৃতীয় চক্ষু খুলে দেবে--এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এ যুদ্ধ আরবের আল-সৌদ পরিবারের মোহ ভঙ্গ করবে; শীত-নিদ্রা কেটে যাবে কাতারের আমীরের; যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিঃশেষ হয়ে যাবে ইহুদিবাদী ইসরাইলের এবং সর্বোপরি জীবনের শ্রেষ্ঠ পাঠদান করা হবে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাকে--মা-ভৈ-নমঃ।
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০০
জীনের বাদশা বলেছেন: মুসলমানরা এখন জেগে জেগে ঘুমায়, যে ঘুম সহজে ভাঙ্গার নয়। সত্যি খুবই খারাপ লাগছে আমেরিকানদের এমন আগ্রাসনে।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১১
তানজিব বলেছেন: আসাদ আর তার গুন্ডারা মানুষ নামের কলঙ্ক
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
চাদের জোসনা বলেছেন: আসাদের এই শাম হাদিসের পাঠশালা। এখানে ঘটবে জাগরণের ঘটনা। এটিই হবে মুসলিমদের জেগে উঠার কলিং বেল। প্রতিটি ঘটনার শেষ আছে যেমনি তার আছে শুরু্। আগ্রাসিদের এমন একটি সময়ের ঘনঘটা তাদের আকাশে। এখন তার রক্তমূল্য যতই হোক না কেন।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
এম বি ফয়েজ বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজনকে বলি, "প্রতিবেদনের কোন জায়গায় বললাম "আসাদ ই কি না মুসলমানদের বন্ধু?" কোন চোখ দিয়ে পড়লেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হা হা হাসতে হল যে আপনার এই লেখা দেখে , এক যায়গায় বললেন আসাদ ই কি না মুসলমানদের বন্ধু । কোন চোখ দিয়ে দেখেন ভাই!