নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
২৮-০৮-২০১৩।।এম, বি, ফয়েজ।।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী আমেরিকা ও তার মিত্রদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দামেস্কের ওপর সর্বাত্মক যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হলে আরব এই দেশটি ও তার মিত্ররা তাতক্ষণিকভাবে ইসরাইলের ওপর একই ধরনের হামলা চালাবে। আর অবৈধ ইহুদিবাদী ইসরাইল নামের দেশটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা না পর্যন্ত তারা থামবে না বা বিশ্বের কোন শক্তি তাদেরকে থামাতে পারবে না; যেহেতু তারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত আর দামেস্কে রাসায়নিক হামলার সাথে তারা জড়িত নয়; ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সে কাজ করে যুদ্ধ বাধানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। সম্প্রতি সিরিয়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘাটিগুলোতে হামলা চালিয়ে সরকারী সেনা উল্লেখযোগ্য সাফল্য হাসিল করার পর বিদ্রোহীরা দিশেহারা হয়ে এখন আমেরিকার আগ্রাসন ভিক্ষা করছে। তবে তাদের এ দুষ্ট মতলব যে কোন মূল্যে রুখে দেয়া হবে বলে সেনাবাহিনী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সেনা-কর্তারা বলেছেন, প্রয়োজনে ইসরাইলকে জ্বালিয়ে ভষ্ম করে দেয়া হবে।
সিরিয় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এফএনএ-কে বলেছেন, "দামেস্ক আক্রান্ত হলে তেল আবিবও হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে এবং সিরিয়ার ওপর সর্বাত্মক যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার অর্থ হবে বাস্তবে ইসরাইলের ওপর হামলার লাইসেন্স দেয়া।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সিনিয়র কর্মকর্তা আরো বলেছেন, "আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, সিরিয়া আক্রান্ত হলে ইহুদিবাদী ইসরাইলকেও জ্বালিয়ে দেয়া হবে এবং সিরিয়ার প্রতিবেশীরাও এ ধরনের হামলায় জড়িত হবে।"
সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরানও সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে একই ধরনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
এদিকে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম বলেছেন, সিরিয়া আক্রান্ত হলে দেশটির পাল্টা হামলা ও সামরিক ক্ষমতায় হামলাকারীরা 'হতবাক' হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা 'যুদ্ধের ফাঁদে পা দিলে' তা আমেরিকার জন্য ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে আনবে বলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তাহলে এখন প্রশ্ন হল, ইসরায়েলে হামলার অবকাশ মিলবে কি দামেস্কের? যে হামলার মুখে তারা পড়তে যাচ্ছে সহসাই তার মোটামুটি চিত্র এরকম:
প্রতিটি ডেস্ট্রয়ার ৪০টি করে স্যাটেলাইট গাইডেড ক্রুজ মিসাইলবাহী। প্রতিটি ক্রুজ ১ হাজার পাউন্ড করে ওয়্যারহেডবাহী। প্রতিটি ক্রুজের রেঞ্জ ১ হাজার বা ততোধিক মাইল। টার্গেটে আঘাত হানে নিখুঁতভাবে। টার্গেট বিচ্যুতি প্রায় ১৫ ফিট। যার অর্থ টার্গেট থেকে একটু দূরে যদি পড়ে, সে দূরত্ব বেশি নয়, মাত্র ১৫ ফিট প্রায়।
ক্রুজ মিসাইল প্রক্ষেপণের আদর্শ সম্ভাব্য সময় হলো রাত। একটি নিক্ষেপের পর অপেক্ষা করে দেখা হবে স্যাটেলাইটের রিপোর্ট - টার্গেটের ঠিক কোথায় গিয়ে আঘাত হেনেছে প্রক্ষিপ্ত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি, কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি সাধনে সক্ষম হয়েছে সেটি। এরপর যে টার্গেট এখনও অক্ষত রয়েছে সেটিকে লক্ষ্য করে দাগানো হবে দ্বিতীয় ক্রুজ মিসাইল। এভাবে চলতে থাকবে লাগাতার ৩ দিন ধরে। ধ্বংস করা হবে সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা, ঘাঁটি, অস্ত্রভাণ্ডার, রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ক্রুজ অন্যত্র পড়লে, সংঘটিত বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি - এ বিধ্বংসী মিশনের মুফতে বাড়তি অর্জন; - মরলে মুসলমানই তো মরছে, অন্য কেউ তো নয়।
তবে হ্যা, ইরানী "ফজর" ও রাশিয়ান এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সুচারুরুপে প্রয়োগ হলে আসন্ন যুদ্ধে সিরিয়ার ক্ষেত্রে বেশী না হলেও সমুদ্রে-শৈবাল-সম-সাহারা তো হবেই বটে, যাহা নাকি ইসরাইল ধ্বংসের পক্ষে যথেষ্ট। বাস্তব চিত্র কি হয় তা সময়েই বলবে।।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: মুসলিম দেশ দখলে আরো একটি সুযোগ আমেরিকা পেয়েছে। মুসলিম শাসকদের অদূরদর্শিতাই এজন্য দায়ী।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
***হাফিজ*** বলেছেন: ইরান ছাড়াও সিরিয়া যেই রাশিয়ার উপরে নির্ভর করত সেই প্রধান মিত্র রাশিয়ার হাব ভাব বুঝা যাচ্ছে না
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
ইমরান হক সজীব বলেছেন: এইসব জঙ্গি দেশের সরকার ধ্বংস হওয়াই উত্তম ।
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: রাশিয়া চাইলে একাই পশ্চিমাদের হামলা ঠেকাতে পারত। কিন্ত রাশিয়াকে অঘোষিত একঘরে করে চাপে রেখেছে পশ্চিমারা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আমেরিকা-ইসরাইল নিপাত যাক