নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশ্বর না করুক! সিরিয়া যুদ্ধ হলে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করত ওরা!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৬

এম বি ফয়েজ।। ২ সেপ্টেম্বর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়া আক্রমণের অনুমতি চেয়ে কংগ্রেসের শরণাপন্ন হওয়ায় আপাতত যুদ্ধের উন্মাদনা স্তিমিত হয়ে এসেছে। সিরিয় বিদ্রোহীরাও এ মূহুর্তে যুদ্ধ বাধাতে না পেরে দারুন হতাশায় ভুগছে। আর ভুলক্রমে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে আপন লোকজন নিধন করার পরমাদ গুনতে শুরু করেছে। তবে মার্কিনীদের যুদ্ধ-উন্মাদনা স্তিমিত হয়ে এলেও প্রস্তুতির ঘাটতি নেই সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহ যুদ্ধাদের মধ্যে। তার কারন হচ্ছে একটাই--সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাকে বিশ্বাসে নেয়া যায় না; চোরা-গুপ্তা হামলা করে ভূমধ্য সাগর ও তার আশ-পাশের এলাকা থেকে চম্পট মেরে পালিয়ে যেতে পারে; যেহেতু আগ্রাসনবাদীরা আগেই বলেছে সিরিয়া আক্রমন হবে স্বল্প পরিসরে। তবে বাস্তবে বলতে পারি, আমেরিকা যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়ে জনমত জরিপ করে বুঝতে পেরেছে যে সিরিয়া আক্রমন করলে তাদের পায়ের নীচে একবিন্দুও মাটি থাকবে না। এ যুদ্ধের ব্যাপারে ধূসরদের মধ্যে ও তেমন কোন সায় নেই। মরলেও একা, জিতলেও একা। জার্মানী, ব্রিটেন সহ প্রায় সবক'টি মিত্র দেশ সিরিয়া যুদ্ধে "না" সংকেত পাঠিয়েছে, যাহা নাকি ইরাক কিংবা লিবিয়া যুদ্ধের সম্পূর্ন বিপরীত মুখী চিত্র। গতিকে 'দশে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ'--এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে আপাততঃ অবামা হোয়াইট হাউসের কোর্টে বল ছুড়ে এখন গোল রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ন; স্কোরার নহে।



এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরিয়ার একজন পদস্থ সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন, “সিরিয়ায় মার্কিন আগ্রাসন হলে তা হবে সন্ত্রাসবাদের পক্ষে আমেরিকার প্রকাশ্য সমর্থন ঘোষণা। সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের মূলোত্‌পাটন না হওয়া পর্যন্ত এ প্রস্তুতিতে ভাটা পড়বে না।”



সিরিয়ায় গত আড়াই বছর ধরে বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যেসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লড়াই করছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের শাখা আন-নুসরার সদস্যরা। আমেরিকা বিশ্বের সর্বত্র আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালালেও সিরিয়ায় সেই আল-কায়েদাকেই অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এর চেয়ে জঘন্য ও ন্যাক্কার জনক মুসলিম-বিদ্বেষী মার্কিন দ্বৈত্যনীতি আর কি হতে পারে! আমরা এর অবসান চাই।



বিশ্লেষকরা বলছেন, এখান থেকে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার মিথ্যাচার ও দ্বিমুখী নীতি ফুটে উঠেছে। এ ছাড়া, জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে সিরিয়ায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে মার্কিন সরকার। আমেরিকা যে নিজের অশুভ স্বার্থ হাসিলের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তোয়াক্কা করে না- তাও প্রমাণিত হচ্ছে এ ঘটনায়।



যাইহোক, গোটা বিশ্ব এবার সহজে বুঝতে পেরেছে জায়নবাদী আমেরিকার অশুভ স্বার্থ হাসিলের পট রচনার কূট-কৌশল। সিরিয়া যুদ্ধ থেকে আমেরিকাকে পিছু হটাতে অগ্রনী ভূমিকা পালনের জন্য মিঃ পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া সরকার এবং ড০ রুহানীর নেতৃত্বে ইরান সরকার চিরদিন বিশ্ববাসীর হৃদয়ে স্মারক হয়ে উজ্জীবিত থাকবে।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: বৃটিশ এমপিদেরকেও কৃতিত্ব দিতে হবে।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

তানজিব বলেছেন: সিরিয়ার বিদ্রোহীরা সন্ত্রাসী। ভালই বলছেন

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এর চেয়ে জঘন্য ও ন্যাক্কার জনক মুসলিম-বিদ্বেষী মার্কিন দ্বৈত্যনীতি আর কি হতে পারে! আমরা এর অবসান চাই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখান থেকে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার মিথ্যাচার ও দ্বিমুখী নীতি ফুটে উঠেছে। এ ছাড়া, জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে সিরিয়ায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে মার্কিন সরকার। আমেরিকা যে নিজের অশুভ স্বার্থ হাসিলের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তোয়াক্কা করে না- তাও প্রমাণিত হচ্ছে এ ঘটনায়। "

++++

সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.