নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশরে ১১ ইখওয়ান নেতা-কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডঃ মুরসিও সেই একই পথের যাত্রী।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

এম বি ফয়েজ।।৩ সেপ্টেম্বর: "না ছুই জল ধরি মাছ" মুরসির পতনের পর ইখওয়ান সমর্থকরা এই মন্ত্রে দীক্ষিত হতে না পেরে সরাসরি রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করার চেষ্টায় মেতে উঠলে সেনাবাহিনীর হাতে বহু নেতা-কর্মীকে অকাল মৃত্যুর কূলে ঢলে পড়তে হয়; জেলে যেতে হয় অগনিত মুরসি সমর্থককে। আর রমজান মাসে প্রতিবাদের ঢল মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার দরুন ধৈর্য্যচ্যুতি হয় উভয় পক্ষের বহুলাংশে। এভাবে অত্যধিক প্রতিবাদ মিছিলের জেরে বন্দী হয়ে বহু নেতা-কর্মী এখন আদালতের বিচারের সম্মুখীন, যাহা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি, মিশরের একটি সামরিক আদালত সেদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইখওয়ানুল মুসলিমিনের ১১ নেতা-কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। গত মাসে মিশরের সুয়েজ শহরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসী’ ভূমিকার জন্য আদালত এ রায় ঘোষণা করল।



এর আগে, গত ৩ জুলাই সেনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আরো ৪৫ ইখওয়ান কর্মীকে ৫ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। এ সময় আরো ৮ জনকে খালাস দেয়া হয়।



যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ইখওয়ান সদস্যদের ব্যাপারে আদালত জানায়, গত ১৪ আগস্ট সুয়েজ শহরে মুরসি সমর্থকদের বিক্ষোভে পুলিশি অভিযান চালানোর সময় অভিযুক্তরা তাদের ওপর সহিংসতা চালায়।



জুলাই মাসের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসির রাজনৈতিক দল ইখওয়ানের বিরুদ্ধে সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার যে দমন অভিযান চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবে এ দণ্ড দেয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে।



এর আগে, মিশরের বিচারকদের একটি প্যানেল দেশটির একটি প্রশাসনিক আদালতের কাছে ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে।



ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসিও বর্তমানে বিচারের সম্মুখীন। খুব শীঘ্রই তাঁকে ও যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয়া হচ্ছে বলে তথ্যবিজ্ঞমহলের ধারনা। এভাবে সবাইকে কোন না কোন ভাবে আটকে দিতে পারলেই তো আল-সিসি-র কন্ঠকময় রাস্তা একেবারে মসৃণ। আর হ্যা, ইতিমধ্যে আল-সিসি বাহিনী এব্যাপারে ৭৫% সাফল্য পেয়েছে।



আপসোস লাগে, রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়; যেমন নারীর দোষে সংসার নষ্ট শান্তি চলে যায়। মুরসি-পন্থীদের উচিত ছিল, "না ছুই জল ধরি মাছ" এই ফর্মূলা প্রয়োগ করে প্রতিবাদ গড়ে তোলা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.