নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
এম বি ফয়েজ।। ২০ সেপ্টেম্ব: ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দাঙ্গা প্রতিরোধের জন্য আহ্বান জানান তিনি। মনমোহন সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, “সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের দায়িত্ব।” দেশটির শাসক দল কংগ্রেসের স্পষ্ট অভিমত--প্রতিবারই লোক-সভা নির্বাচন আসলে দিল্লীর মসনদ দখল করার অভিপ্রায় নিয়ে হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি হিন্দু-মুসলিক দাঙ্গা বাধিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়। তবে দেশের মুসলিম জনগন এখন জেগে উঠেছেন; দাঙ্গা বাধিয়ে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি কোন সদভাবাপন্ন ভোটার এখন মেনে নিতে পারছেন না। সম্প্রতি অসমের শিলচরে হিন্দু-অধ্যুসিত এলাকার একটি মন্দিরে গো-মাংসের পুটলা ফেলে দেয়া এবং তার এক সপ্তাহ পর ঐ রাজ্যের করিমগঞ্জ শহরের একটি মন্দিরে মরা গরুর একটি শুকনা হাড় ফেলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। তবে জেলা প্রশাসনের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহনে জল অধিক গড়াতে পারেনি। উল্লিখীত দুই ঘটনার জের মিটে যেতে না যেতেই গত ১৩ই সেপ্টেম্বর দাঙ্গা জর্জর অসমের কোকড়াঝাড় জেলায় একটি মসজিদে দুষ্কৃতিকারীরা শুকরের মাংসের একটি টুপলা রাতের অন্ধকারে ফেলে যায়। পরিস্থিতি থমথমে হয়ে উঠলেও জেলা প্রশাসন কড়া হাতে তা মোকাবেলা করেন। "মন্দির-মসজিদে গো-মাংস, শুকরের মাংস রাজনীতি" এখন তেমন আর বিজেপি-র পালে হাওয়া তুলছে না বলে আপাতঃ দৃষ্টিতে তা মনে হয়।
তবে, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া উত্তর প্রদেশ রাজ্যের দাঙ্গায় ইতিমধ্যে ৫১ জন নিহত হয়। ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয় কয়েক হাজার মুসলিম নাগরিক। সরকার তাদের পূনর্বাসনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর সফর করেন।
উত্তর প্রদেশে ২০ কোটি লোক বসবাস করে। ভারতের উত্তর প্রদেশে প্রায়ই হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়। চলতি বছর এরইমধ্যে ৪৫১টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটেছে এ প্রদেশে। দাঙ্গা বেড়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও তাতে কোন প্রভাব পড়ছেনা।
দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন, বিজেপি-র কাজ দাঙ্গা ছড়ানো আর কংগ্রেসের দায়িত্ব তা প্রতিহত করা।
©somewhere in net ltd.