নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সিরিয়ায় ইহুদিদের প্রাচীন কবরস্থান ধ্বংস করেছে মার্কিন সমর্থিত ওহাবী গেরিলারা"

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮

এম বি ফয়েজ।। ২৪ সেপ্টেম্বর : সিরিয়ার আল কায়েদা সমর্থিত গেরিলারা ইহুদিদের কয়েকটি কবরস্থান ধ্বংস করেছে। আলেপ্পোর ঐতিহাসিক শহর ‘তাদৌফে’ এসব ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ইহুদিদের সবচেয়ে প্রাচীন কিছু কবরস্থানও রয়েছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিদেশি মদদপুষ্ট গেরিলারা বহু ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করেছে।



চলতি মাসের শুরুতে আল-কায়েদা সমর্থিত আল-নুসরা ফ্রন্টের অস্ত্রধারীরা দামেস্কের অদূরে ঐতিহাসিক খ্রিস্টান গ্রাম মালুলায় হামলা চালিয়ে এর একাংশ ধ্বংস করেছে। তাদের হামলায় সেখানকার সাতটি ঐতিহাসিক খ্রিস্টান উপাসনালয়ের মধ্যে তিনটিই ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ওই শহরে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সিরিয়ার সরকার বিরোধী গেরিলাদের একটা বড় অংশই হচ্ছে বিদেশি নাগরিক।





সিরিয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের অনেকেই উগ্র ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাসী এবং তারা এ পর্যন্ত বিশ্বনবী (সা.)'র কয়েকজন সাহাবির মাজারসহ বেশ কয়েকটি পবিত্র মাজারের অবমাননা করেছে, এমনকি বিখ্যাত সাহাবি শহীদ হুজর ইবনে উদাই আল কিন্দি (রা.)’র মাজার ভেঙে তাঁর মৃতদেহ চুরি করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে দাফন করেছে।



সৌদি সরকার নিয়ন্ত্রিত ও মার্কিন মদতপুষ্ট ওহাবী গেরিলারা যে সিরিয়ায় ধর্মের নামে ভণ্ডামি করছে তা আরোও একবার জনসমক্ষে প্রকাশ পেল।



উল্লেখ্য, আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে ওয়াহাবি মতবাদের প্রবক্তা আবদুল ওয়াহহাব নজদি সৌদ বংশের সহায়তা নিয়ে ইবনে তাইমিয়ার বিভ্রান্ত চিন্তাধারা প্রচার করতে থাকে। তার ভুল দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নজদি অলি-আওলিয়ার উসিলা দিয়ে দোয়া করা, তাদের মাজারে মানত করা ও শ্রদ্ধা জানানোসহ অলি-আওলিয়ার মাজার ও কবর জিয়ারতের মত ইসলামের মৌলিক কিছু ইবাদত এবং আচার-অনুষ্ঠানকে হারাম ও শির্ক বলে ঘোষণা করেছিল। ফলে ওয়াহাবিরা মাজার ও পবিত্র স্থানগুলো ধ্বংস করে আসছে। শুধু তাই নয় নজদি তার চিন্তাধারার বিরোধীদেরকে কাফির ও তাদেরকে হত্যা করা ওয়াজিব বলে উল্লেখ করত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৪

শিউলীমালা বলেছেন: আপনি কি তেহরানের বাংলাদেশ প্রতিনিধি?

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: অলি-আওলিয়ার উসিলা দিয়ে দোয়া করা, তাদের মাজারে মানত করা ও শ্রদ্ধা জানানোসহ অলি-আওলিয়ার মাজার ও কবর জিয়ারতের মত ইসলামের মৌলিক কিছু ইবাদত এবং আচার-অনুষ্ঠানকে ............


অলি-আওলিয়ার উসিলা দিয়ে দোয়া করা, মাজারে মানত করা এইগুলা ইসলামের মৌলিক ইবাদত?? কই পাইলেন এইসব আজগুবি তথ্য??

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

এম বি ফয়েজ বলেছেন: মাননী্য়া শিউলীমালার প্রশ্নের উত্তরে বলছি, বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক মানুষ রেডিও তেহরানের শোভানুধ্যায়ী এইজন্য যে তেহরান সত্য ও ন্যায়ের পথে জেহাদ করে এবং মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতির হকে কথা বলে। এইজন্য -------------

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

এম বি ফয়েজ বলেছেন: মাননী্য়া শিউলীমালার প্রশ্নের উত্তরে বলছি, বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক মানুষ রেডিও তেহরানের শোভানুধ্যায়ী এইজন্য যে তেহরান সত্য ও ন্যায়ের পথে জেহাদ করে এবং মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতির হকে কথা বলে। এইজন্য -------------

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

এম বি ফয়েজ বলেছেন: সবুজ ভীমরুলের প্রশ্নের উত্তরে বলি সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা এ কাজগুলো করে থাকে। আবার কিছু লোক আছেন যারা এসব ক্রিয়া-কলাপে বিশ্বাসী নহে। তবে আমার মতামত হল একেবারে না করার চেয়ে আজকের মুসলিম যুব সমাজ কিছু একটা করাই ভাল। দেখেন, আজ সমাজে দেখা যায় মুসলিম যুবকরা নামাজ-রোজা প্রভৃতির মত ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো ত্যাগ করে গান-বাজনা, সিনেমা-নাটক ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত অথচ একজন পরহেজগার লোকের সমালোচনায় পঞ্চমুখ। এসব থেকে বিরত থাকতে যদি কেহ অলি-আওলিয়ার উসিলা দিয়ে দোয়া করে ও নামাজ পড়ে তবে মন্দ কি? অভ্যাস ঠিক হয়ে গেলে নিশ্চয় একদিন তারাও অনুধাবন করতে পারবে যে অলি-আওলিয়ার উসিলা দিয়ে দোয়া করা, মাজারে মানত করা ইত্যাদি ইসলামের মৌলিক ইবাদত নহে। আশা করি আমার চিন্তার কথাটা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আরেকটি উদাহরন দেই। দেখেন শাফি মাজহাবের অনুসারীদের নামাজ পড়ার ধরন আর হাম্বলী মাজহাবের ধরন। এখন যদি বেশী কড়াকড়ি আরোপ করা হয়; আর যদি শাফি মাজহাবের লোকগুলো নামাজ ত্যাগ করে তাহলে সমাজে বে-নামাজীর সংখ্যা যে কত বেড়ে যায়, সে হিসাব মিলানো কঠিন। গতিকে----

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.