নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"লিওয়াউল ইসলামের সহযোগীতায় সৌদি গুপ্তচররা সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে"

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

এম বি ফয়েজ।।৫ অক্টোবর : আগুনকে যেমন ছাই-চাপা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না; ঠিক তেমনি সত্যকে মিথ্যা দিয়ে। তাইতো, মনিষীরা বলে গেছেন, "সত্যম শিবম সুন্দরম।" গত আগষ্ট মাসে সিরিয়ার রাজধানী শহর দামেস্কের অদূরে ঘৌতা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় শত শত নিরীহ মানুষ নিহত হওয়ার পর সিরিয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা এ কাজের জন্য আসাদ সরকারকেই দায়ী করে জোর প্রচারনা চালিয়ে ছিল। আর সরকার এহেন জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজের জন্য সন্ত্রাসীদের দিকে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করে বলেছিল যে সিরিয়ায় বিদেশী আগ্রাসনের ক্ষেত্র তৈরী করতে তারাই একাজ করেছে। এভাবে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের ফলশ্রুতিতে গোটা বিষয়টি বিশ্ববাসীর কাছে একেবারে জগা-খিচুড়ী হয়ে গিয়েছিল অথচ সাধারন মানুষ ছিল ধন্দে।



ইতিমধ্যে এক আমেরিকান সংবাদ-কর্মী ভিডিও চিত্র-সহ তথ্য সহকারে সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার পেছনে সন্ত্রাসীদের হাত বলে সংবাদ চাউর করলে সৌদি গোয়েন্দা মন্ত্রী বান্দর তাকে দেখে নেবার হুমকি দেন। ফলস্বরুপ এই সংবাদ কর্মীকে ইতিমধ্যে চাকুরী খোয়াতে হয়েছে। আর রাশিয়ার ইন্টার ফ্যাক্স বার্তা সংস্থাও তো হাল ছাড়বার নহে। তারা এ ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে ইতিমধ্যে সক্ষম হয়েছে। রাশিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে আগস্ট মাসে যে রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা হয়েছিল তা চালিয়েছে সৌদি আরবের গুপ্তচররা। রুশ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রাশিয়ার ইন্টারফেক্স সংবাদ সংস্থা। খবরে আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রাসায়নিক হামলার একটি পরিষ্কার চিত্র তৈরি করা গেছে।



এতে আরো বলা হয়েছে, জর্দানের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় সৌদি গুপ্তচরদের একটি অপারেশন গোষ্ঠীকে পাঠানো হয়েছিল এবং ওই গোষ্ঠীই দামেস্কের উপকণ্ঠে ঘৌতা এলাকায় রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। এ কাজে তাদেরকে সহাযোগিতা করেছে লিওয়াউল ইসলাম নামের একটি গোষ্ঠী।



এর আগে গত বুধবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা সিরিয়ায় প্রয়োগ করা রাসায়নিক অস্ত্র ইরাকে পাঠিয়েছে এবং সেখানে এ জাতীয় হামলার আশংকা রয়েছে।



গত ২১ আগস্ট দামেস্কের উপকণ্ঠে ঘৌতা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় শত শত নিরীহ মানুষ নিহত হয়। সিরিয়ায় ততপর বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা এ হামলার জন্য দামেস্ক সরকারকে দায়ী করেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার এ অভিযোগ পরিষ্কার ভাষায় অস্বীকার করে বলেছে, সিরিয়ার বিদেশি সেনা আগ্রাসনের ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে এ হামলা করেছে তাকফিরি সন্ত্রাসীরাই।



সিরিয়ার ঘৌতা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার সংগে "লিওয়াউল ইসলাম" নামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহযোগীতায় সৌদি গুপ্তচররা যে জড়িত ছিল, সৌদি গোয়েন্দা-মন্ত্রী বান্দরের 'আমেরিকান সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি' থেকে তা নিঃসন্দেহে প্রমানিত।



তথ্যঃ রেডিও তেহরান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.