নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘সৌদিআরব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মুক্ত করে তাদেরকে দিয়ে ইরাকে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালাচ্ছে’

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬

এম বি ফয়েজ।।২০ অক্টোবর: ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলো বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দাগি আসামীদেরকে জেলখানা থেকে ছেড়ে দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য তাদেরকে ইরাকে পাঠিয়েছে। সম্প্রতি ইরাক সরকারের বিরোধী কর্মকর্তারা সেদেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালনার সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা বলেছে।





ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসগারি বলেছেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি আরব দেশ জেলখানায় আটক আসামীদের ছেড়ে দিয়ে জিহাদের কথা বলে ইরাকে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য তাদেরকে সেদেশে পাঠাচ্ছে। ইরাক অনেকদিন ধরেই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার স্বীকারে পরিণত হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে সন্ত্রাসীদের পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। এ ছাড়া, ইরাকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যিয়ারতকারীদের ওপরও সন্ত্রাসী হামলায় এ পর্যন্ত বহু লোক হতাহত হয়েছে।





রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার ও বোমা বিস্ফোরণের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তারা ইরাকে গোত্রীয় বিভেদ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও সাবেক স্বৈর শাসক সাদ্দামের অনুসারী নিষিদ্ধ ঘোষিত বাথ পার্টির সদস্যদের ততপরতার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে, ইরাকের কর্মকর্তারা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিসহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সেদেশে বোমা বিস্ফোরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য সরাসরি আমেরিকা, কাতার ও সৌদি আরবকে দায়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি বহুবার ইরাকে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য সরাসরি কয়েকটি আরব দেশকে অভিযুক্ত করেছেন।



বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকের বিভিন্ন শহরে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে যে দেশগুলো জড়িত তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরব সরকার তাদের নীতি আদর্শের বিরোধী দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে তারা নুরি আল মালিকির বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে বিশেষ করে সাদ্দাম সমর্থক বাথিষ্টদেরকে ইরাকে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করছে।





সৌদি আরব চলতি বছর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বহু আসামীকে জেলখানা থেকে মুক্তি দিয়েছে এবং তাদেরকে ইরাক ও সিরিয়ায় বোমা হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করেছে। সৌদি সরকার মুক্তি প্রাপ্ত এসব দাগি আসামীদেরকে অর্থ দেয়ার পাশাপাশি সিরিয়া ও ইরাকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। ইরাকের গোয়েন্দা বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, কাতার সরকারও গত কয়েক মাসে দুই হাজারের বেশি সন্ত্রাসীদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে ইরাকে পাঠিয়েছে।





এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইরাক সরকারের অনেক বিরোধী গোষ্ঠী ও দেশটিতে ঘাপটি মেরে থাকা এক শ্রেণীর বিশ্বাসঘাতক সেদেশে সৌদি আরব ও কাতারের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। ইরাকের আদালত গত দুই বছরে জাতীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার দায়ে অনেক ব্যক্তির বিচার করেছে। এর মধ্যে ইরাকের পলাতক ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আল-হাশেমি অন্যতম যে কিনা সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে।



তথ্যঃতেহরান রেডিও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.