নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়ার যুদ্ধে যোগ দেয়াটা ভুল: সৌদি গ্র্যান্ড মুফতির বোধোদয়

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৯

২৯ অক্টোবর।।এম বি ফয়েজ: সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ ইবনে আবদুল্লাহ আল আশ শেখ সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ না দিতে তার দেশের যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।





তিনি গতকাল (সোমবার) সিরিয়ায় সৌদিদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন," এটা পুরোপুরি ভুল পদক্ষেপ, জরুরি বা ফরজ বিষয় নয়। এ ধরনের পদক্ষেপ দলাদলি বাড়াচ্ছে এবং সেখানে (সিরিয়ায়) কারো যাওয়া উচিত নয়। আমি সেখানে (সিরিয়ায়) কাউকে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি না।"





আশ শেখ তাদেরও সমালোচনা করেছেন যারা সৌদি যুবকদের সিরিয়ার যুদ্ধে যোগ দিতে উতসাহ দিচ্ছেন।





তিনি বলেছেন, মুসলমানদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা ও মুসলিম যুবকদের ধোঁকা না দেয়া। এইসব যুবকদের দুর্বলতা ও দূরদৃষ্টির অভাবকে অপব্যবহার করে তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া উচিত নয় বলেও আশ শেখ মন্তব্য করেছেন।





সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি এমন সময় এইসব মন্তব্য করলেন যখন দেশটির সরকার ও ওয়াহাবি-সালাফি দরবারি মুফতিরা সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য গত প্রায় তিন বছর ধরে মুসলমানদের উতসাহ দিয়ে এসেছেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত যুবকদের মনোরঞ্জনের জন্য যৌন সেবা দিতে মুসলিম নারীদের প্রতিও আহ্বান জানিয়ে এ ধরনের পদক্ষেপকে 'যৌন জিহাদ' বা 'জিহাদে নিকাহ' বলে ফতোয়া দিয়েছেন। আরো জঘন্য ব্যাপার হল তাদের একজন বলেছেন, বিবাহিত স্ত্রীরাও স্বামীকে না জানিয়ে এ ধরনের 'যৌন জিহাদে' অংশ নিতে পারেন!





তিউনিশিয়ার অনেক কুমারী মেয়ে সিরিয়ায় যৌন জিহাদে গিয়ে গর্ভবতী হয়ে দেশে ফেরায় সেদেশের সরকারি কর্মকর্তারা সিরিয়ায় তিউনিশিয় মেয়েদের সফর বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হয়েছেন। কথিত 'যৌন জিহাদে' শরিক হতে গিয়ে অনেক মুসলিম নারী সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের 'গণ-বধূ' হয়েছেন তথা গণ-ব্যভিচারের শিকার হয়েছেন।





সৌদি গ্র্যান্ড মুফতির বিলম্বিত বোধোদয় ও 'আল্লাহর ভয়' জাগিয়ে তোলার চেষ্টা এমন সময় ঘটল যখন সিরিয়ার রণাঙ্গনে সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীরা একের পর এক বড় ধরনের পরাজয় ও বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে।





সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে আরব দেশগুলোর যুবকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। তাদের অনেকেই আল-কায়দার সমমনা আন-নুসরা ফ্রন্টের সদস্য হিসেবে লড়াই করছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয় সেনাদের হামলায় নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে অনেকেই ছিল সৌদি নাগরিক।





ইহুদিবাদী ইসরাইল ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সরকারগুলোর পাশাপাশি কাতার, সৌদি আরব ও তুরস্কের সরকার সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিয়োজিত সন্ত্রাসী এবং বিদ্রোহীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।







সিরিয়ায় বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের নির্বিচার হামলায় লক্ষাধিক বেসামরিক সিরিয় নারী-পুরুষ হতাহত হয়েছে এবং এমনকি তাদের রাসায়নিক হামলায়ও শত শত নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ বেসামরিক সিরিয় নাগরিক নিহত হয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:২৬

শিপন মোল্লা বলেছেন: কি আর করার , সময় অনেক চলে গেছে ভাইরাও

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

উযায়র বলেছেন: ইহুদিবাদী ইসরাইল ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সরকারগুলো সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিয়োজিত সন্ত্রাসী এবং বিদ্রোহীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.