নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
হাইলাকান্দি ১৪ নভেম্বর।। এম বি ফয়েজ।। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সংগে সঙ্গতি রেখে আজ ভারতের অসমে ও মহাধুমধামে পবিত্র আশুরা, ১০ই মহররম পালিত হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় মহররম শোভা যাত্রা বের করা হয় দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দি জেলায়। জেলার মোট ১৪টি আঞ্চলিকের ৫০টি গ্রোপ তাজিয়া মিছিল নিয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরগামী আটটি রাস্তায় মিছিল করে বেলা ১২টা নাগাদ সমবেত হয়ে শহরে প্রবেশ করে। তারপর সমবেত শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ করে করে “হায় হোসেন, হায় হোসেন” “আল্লাহু-আকবার, আল্লাহু-আকবার” প্রভৃতি ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তুলে। শোভা-যাত্রার অগ্রভাগে ছিল হাতী-ঘোড়া ও মোটর গাড়ীর উপর স্থাপিত হজরত হোসেন (আঃ) এর মাজারের প্রতিকৃতি অবলম্বনে প্রস্তুত করা তাজিয়া, যাহা দর্শকদের মন কাড়ে। বেলা ২টার দিকে লক্ষাধিক শোকার্ত জনতার এ মহা মিছিল আর্ত কন্ঠে শোকের শারিগান “কাসিম শহীদ হইলা; হাজার কাফের রে ভাই হোসেন একলা” গেয়ে গেয়ে ডিএসএ ময়দানে সমবেত হয়। এখানে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সমবেত জারি-গান, লাঠি-খেলা, ডাল-তলোয়ার খেলা প্রভৃতি প্রদর্শন করে আবার বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে শোভা-যাত্রীরা নিজ নিজ গ্রামের দিকে চলে যায়।
মহররম উপলক্ষে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এলাহি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। আজ দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা সদরের সব ক’টি রস্তা নো-এন্ট্রির আওতায় ছিল। সরকারি মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় ঔষধ-পত্র নিয়ে ডিএসএ ময়দানেই আঘাতপ্রাপ্তদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। এছাড়া সরকারি জল-সরবরাহ বিভাগ বিনা-খরচায় প্রয়োজনীয় পানীয় জলের যোগান ধরে।
রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারীগরি বিভাগের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক শ্রী গৌতম রায় মহররম উপলক্ষে জেলার সর্বস্তরের জনসাধারনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বার্তায় তিনি বলেন, “মহররম আমাদেরকে ভীষণ তিতিক্ষার মধ্যে ও চরম আত্মবলিদানের অনুপ্রেরনা যোগায়”। মহররম উদযাপন কমিটির সভাপতি লালুমিয়া এবং সাধারন সম্পাদক হাফেজ হেলাল উদ্দিন নির্বিঘ্নে মহররম শোভাযাত্রা সম্পন্ন করার জন্য শোভাযাত্রীদেরকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, পূর্ব-নির্ধারিত কার্যসূচী অনুযায়ী সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা ক্রীড়া-সংস্থার ময়দানে আনুষ্ঠানিক মহররমের পতাকা উত্তোলন করেন সভাপতি লালু মিয়া। এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থাকেন জেলা শাসক সমসের সিং, পুলিশ সুপার ইনম শৈকিয়া, জেলা পরিষদ সিইও হোসেন আহমদ লস্কর প্রমুখ।
এছাড়া, কাছাড় জেলার শিলচর ও সুনাই এলাকা, অসমের রাজধানী শহর গৌহাটী, তেজপুর সহ অন্যান্য স্থানে ও মহররম পালনের খবর পাওয়া গেছে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
এম বি ফয়েজ বলেছেন: আর হ্যা, সিলেট থেকে প্রকাশিত তৎকালীন সাপ্তাহিক "বনভূমি"তে আমার লেখা পড়েন নাই?
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ওয়াও! আপনার বাড়ি হাইলাকান্দি?
সিলেটের পাবলিক লাইব্রেরিতে এক সময় নিয়মিত হাইলাকন্দি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা পড়তাম ।