নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বুঝিলাম গদির-মোহ কি বিষম বস্তু"--তরুন গগৈ।

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৬



গোয়াহাটী ৫মে (এম বি ফয়েজ)

দিল্লী থেকে আজ গোয়াহাটী ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ পূনরায় গদি রক্ষার তৎপরতায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাজধানীর অদূরে কন্যাধরায় নিজ বাস ভবনে আয়োজন করেন মন্ত্রী-বিধায়কদের এক আলোচনা সভা। উদ্দেশ্য, বিক্ষোদ্ধদের মন্ত্রীত্ব লাভের টোপ দিয়ে বাগে আনা। গগৈ পন্থী ১৩ জন মন্ত্রী-বিধায়কদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত দুই ঘন্টা জোড়া আজকের ঐ সভায় তিল মাত্র উদ্দেশ্য হাসেল হয়নি গগৈ পন্থীদের। সভায় উপস্থিত থাকা মন্ত্রীরা হলেন অজন্তা নেওগ, টংক বাহাদুর রাই, প্রনতি ফুকন, বসন্ত দাস, প্রদ্যুত বরদলৈ, নীলমণি সেন ডেকা, রকিবুল হোসেন প্রমুখ।



তবে গগৈ বিরোধী শিবিরের ৪৫ জনেরও অধিক মন্ত্রী-বিধায়কদের মধ্যে কেহ আজকের এ বৈঠকে অংশ নেননি। তাদের সাফ কথা, ‘এটা কোন বিধান পরিষদীয় দলের বৈঠক নহে এবং এতে কোন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও নেই’। এটা গগৈর গদি রক্ষার পন্থা হিসেবে মন্ত্রীত্বের টোপ দেওয়া-র সভা। তবে উন্নয়নকামী (তথা কথিত বিক্ষোদ্ধ) গোষ্ঠীর কোন মন্ত্রী-বিধায়ক মন্ত্রীত্বের জন্য লালায়িত নন। আর প্রদেশ কংগ্রেসের সর্বাধিক সিনিওর নেতা ও বিধায়ক রামেশ্বর ধানোয়ার সাংবাদিকদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, গগৈ যদি সত্যিকার অর্থে কংগ্রেস তথা রাজ্যের জনসাধারনের হকে কাজ করতে চান তবে আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে সম্মান জনক প্রস্থানের পথ বেচে নিন। তার অভিমত, দলে আভ্যন্তরীন কোন্দলের ফলে উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়েছে এবং গোটা রাজ্যের মানুষকে বিগত কয়েকদিন ধরে একপ্রকার জিম্মী করে রাখা হয়েছে। এ অবস্থা বেশীদিন চলতে দেওয়া যায় না। তাছাড়া গগৈ হঠাও অভিযানে যারা কোমর বেধে নেমেছেন তাদেরকে “বিক্ষোদ্ধ বিধায়ক” না বলে “উন্নয়নকামী বিধায়ক” বলতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন।



এদিকে, এ আই ইউ ডি এফ সুপ্রিমো বদর উদ্দিন আজমল সাংবাদিকদের জানান, গগৈ কংগ্রেসের শব-ভর্তি কফিনে শেষ লৌহটুকু (গজাল) না ঠুকা পর্যন্ত গদি ছাড়ছেন না। যেটুকু বাকি রয়েছে তা দলীয় হাই-কমাণ্ডের বেধে দেওয়া সাত দিনের ভেতরে অবশ্যই শেষ করবেন; তারপর প্রস্থান। আর “গদির মোহ যে কি বিষম বস্তু” মুখ্যমন্ত্রী গগৈ তা-ই বুঝিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের জনগনকে।



“মুখ্যমন্ত্রী কি পদত্যাগ করছেন না”—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষিণ হস্ত বলে বিবেচিত বন-মন্ত্রী রকিবুল হোসেন, আজকের কন্যাধরায় সভা শেষে বেরিয়ে এসে জানান, “দলের হাই-কমাণ্ডের সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে মেনে নিব”। তাঁর এ হতাশা ব্যঞ্জক উক্তি ‘গগৈর যে শেষ রক্ষা হচ্ছে না, তারই ইঙ্গিত বহন করছে। কথায় বলে, “সব ভাল যার, শেষ ভাল তাঁর’।



এম বি ফয়েজ।

গোয়াহাটী, অসম, ভারত।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.