নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসবাদীর হাতে পুলিশ সুপার খুন! রাজ্য প্রশাসনে চরম অরাজকতা; রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আর্জি।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৫

গোয়াহাটী ৬জুন (এম বি ফয়েজ)

শাসকীয় কংগ্রেস দলে বাদী-বিসংবাদীর রাজনীতিতে অসমে চরম নৈরাজ্য ও প্রশাসনে শোচনীয় অরাজকতা দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ বিরোধী গোট “গগৈ হঠাও” অর্থাৎ নেতৃত্ব পরিবর্তনের স্থিতিতে আজও যখন অটল রয়েছে; ঠিক সেই মুহূর্তে গগৈ পন্থী মন্ত্রী-বিধায়করা “গগৈর গদি বাচাও” অভিযানে শেষ মুহূর্ত চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। বিক্ষোব্ধ শিবিরে পাঠানো মন্ত্রীত্বের টোপ ও অন্যান্য লাভজনক অফার কোন কিছুই বরফ গলাতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ দলীয় কোন্দলের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে হাইকমাণ্ডকে অবগত করতে আগামী মঙ্গলবার দিল্লী পাড়ি দিচ্ছেন। সেদিন তিনি তাঁর পদত্যাগ-পত্র হাইকমাণ্ডের কাছে জমা দিয়ে সেটি গ্রহনের জন্য অনুরোধ করবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।



বলা বাহুল্য, বাদী-বিসংবাদীর রাজনীতিতে অসমে চরম নৈরাজ্য ও প্রশাসনে শোচনীয় অরাজকতা দৃশ্যে অসমে কোন সরকার নেই বলে মনে হচ্ছে। উন্নয়ন-মূলক কাজকর্ম একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো মাথা-ঝাড়া দিয়ে উঠছে। অপহরন, লুণ্ঠন, হত্যা, ধর্ষন প্রভৃতি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে মানুষের জান-মালের কোন সুরক্ষা নেই। গৃহ বিভাগের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রী আপন গদি বাচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকায় গৃহ দপ্তরের ফাইল-পত্রগুলো কার্যতঃ চীফ-সেক্রেটারীকে সই করতে হচ্ছে। আর এখান থেকেই নৈরাজ্যের সূত্রপাত। রাজ্য-প্রশাসনে চরম অরাজকতার কথা বিবেচনায় ভারতীয় জনতা পার্টী (বিজেপি) রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছে। অসমে শোচনীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় গৃহ-দপ্তরের রাজ্যমন্ত্রী মিঃ কিরেন রিজিজু আগামী কাল সকাল নয়টায় গোয়াহাটী আসছেন। তাঁর সঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম গৃহ সচীব মিঃ শম্ভু সিং। এখান থেকে তাঁরা পার্বত্য স্বশাসিত এলাকা কার্বি আংলং ও ভ্রমন করবেন।



উল্লেখ্য, গতকাল রাতে কার্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদ এলাকাধীন হামরেন জেলার পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ গোস্বামীকে কেপিএলটি জঙ্গিরা অত্যন্ত নিঃসংশভাবে খুন করে। এই ঘটনায় তাঁর দেহরক্ষী রাতুল নুনিয়াকে ও প্রান দিতে হয়। আজ সকাল ১০টার সময় তাদের নিথর দেহ দুটি কার্বি আংলং এর রংপুর পাহাড়ী অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে, গতকাল রাত ৭টার সময় পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ গোস্বামীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি পুলিশ দল কেপিএলটি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে রংপুরে যায়। রাস্তায় ঐ পুলিশ দলটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে ৯ সদস্যের একটি দল এ এস পি শ্রী বেদান্তের নেতৃত্বে এবং অন্য দলটি পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ গোস্বামীর নেতৃত্বে দুই দিক থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কিন্তু পূর্ব থেকে বধ্যভূমিতে ওতপেতে থাকা জঙ্গিদের মারণাস্ত্রের মুখে পুলিশ বাহিনীকে হিমসীম খেয়ে পালিয়ে বাচতে হয় যদিও পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ গোস্বামী ও তাঁর দেহরক্ষী রাতুল নুনিয়াকে জঙ্গিরা ধরে নিয়ে যায়। তারপর রাতের ভেতরেই ‘তালেবানী কায়দায়’ মাটিতে গর্ত করে জীবন্ত পুলিশ সুপারের কোমর পর্যন্ত মাটিতে গেড়ে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। হত্যার পরও তাঁর মৃত দেহে নির্যাতন চালানো হয়। ৭জুন প্রয়াত পুলিশ সুপারের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া গোয়াহাটীস্থ নবগ্রহ শ্মশানে সম্পন্ন করা হবে এবং কেন্দ্রীয় গৃহ দপ্তরের রাজ্য মন্ত্রী মিঃ কিরেন রিজিজু এতে উপস্থিত থাকবেন।



এম বি ফয়েজ।

গোয়াহাটী, অসম, ভারত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.