নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“হিংসার দাবানলে জ্বলছে অসম-নাগাল্যাণ্ড সীমান্ত” পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে ফোন-কল মুখ্য মন্ত্রী গগৈর

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৪

এম বি ফয়েজ।। ১৩ই আগষ্টঃ গোয়াহাটী, অসম, ভারত ।।

গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে অত্যাধুনিক মারনাস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এন এস সি এন-এর একটি দল অসমের নাগাল্যাণ্ড সীমান্তবর্তী অঞ্চল “উরিয়াম ঘাটে” আচমকা হানা দিয়ে স্থানীয় অসমীয়া বাসিন্দাদেরকে বেদড়ক মারধোর করতঃ ঐ এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। তারপর গ্রেনেড নিক্ষেপ ও বসত বাড়ীগুলোতে আগুন ধরাতে শুরু করলে প্রানভয়ে বাসিন্দাদের অধিকাংশ পালিয়ে বাচে। আর যারা বসত বাড়ীর মোহ সহজে ত্যাগ করতে পারেন নি, তাদের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন শুরু করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাগা দুর্ব্রিতদের পাশবিক গুলি চালনায় তিন জন অসমীয়া লোকের প্রানহানি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে এবং আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক লোক। এদিকে, আজ অত্র এলাকার চেনপুর গ্রামে নিজ ঘরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের গুলিবিদ্ধ মৃত দেহ উদ্ধার করা হলে নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। উপদ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে আসা লোকজন প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি এল পি স্কুলে নিজে থেকে আশ্রয় ক্যাম্প তৈরী করে তাতেই রয়েছে। এখন পর্যন্ত আশ্রয় শিবিরে সরকারী তরফে কোন রিলিফ সামগ্রী কিংবা তো কোন বৈদ্যুতিক বাতি বা আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি। বলা বাহুল্য, উত্তপ্ত উরিয়াম ঘাট থেকে মাত্র পঞ্চাশ মিটার দূরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ১৪২ নম্বর সেক্টর কমাণ্ডিং অফিসারের কার্যালয় রয়েছে; অথচ নাগা দুষ্কৃতিকারীরা তাদের নাকের ডগায় একের পর এক অসমীয়াদের বাড়ীতে অগ্নি সংযোগ করে করে এপর্যন্ত শতাধিক বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে, প্রকাশ্য দিবালোকে AK-47 মারনাস্ত্র উচিয়ে গুলি ছুড়ছে; কিন্তু রহস্য-জনক ভাবে সি আর পি এফ জোয়ানরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এরই প্রতিবাদে আজ স্থানীয় সময় বেলা এগার ঘটিকার দিকে উত্তেজিত জনতা ঐ সি আর পি এফ কার্যালয় ঘেরাও করে এবং অবিলম্বে সেটি তুলে নেবার দাবীতে সোচ্চার হয়। Go Back CRPF; হায় হায় CRPF ধ্বনিতে তাঁরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলে। এক সময় উত্তেজিত জনতার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে বেলা একটার দিকে তাঁরা কেন্ত্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ১৪২ নম্বর সেক্টর কমাণ্ডিং অফিসারের কার্যালয় লক্ষ্য করে শিলা-বর্ষন শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশকে দুই দুই বার লাঠি চালনা ও গুলি ছুড়তে হয়েছে। এই ঘটনায় দশ জন CRPF সদস্য এবং শতাধিক জনতা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা CRPF ক্যাম্পের বিস্তর ক্ষতি সাধন করেছে বলে সরকারী সূত্রের খবরে প্রকাশ।



এদিকে, বিকাল তিনটের দিকে নাগাল্যাণ্ডের কৃষি মন্ত্রী মিঃ ইংজুং লিভা “উরিয়াম ঘাটের” উত্তপ্ত এলাকা দিয়ে সড়ক যোগে নাগাল্যাণ্ড যাবার পথে উত্তেজিত জনতার রোষে পড়েন। রাস্তা অবরোধকারীরা জোর করে তাঁর কনভয় আটকে দেয় এবং অবস্থা বেগতিক দেখে মন্ত্রী কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ১৪২ নম্বর সেক্টর কমাণ্ডিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে পালিয়ে বাচেন। অপর দিকে, বিকাল পাঁচটা থেকে নাগাল্যাণ্ড গামী সড়ক যোগাযোগ অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবরোধকারীরা। এছাড়া, সারা আসাম ট্রাক ড্রাইভারস এসোসিয়্যাসন নাগাল্যাণ্ডের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের লক্ষ্যে খাদ্য ও পণ্যবাহী যাবতীয় ট্রাকের যাতায়াত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সাধারন সম্পাদক মীঃ মহেন তালুকদার। সব মিলিয়ে অসম-নাগাল্যাণ্ড সীমান্ত এলাকা ক্রমশঃ ভয়াবহ রুপ ধারন করছে।



এদিকে, রাজ্যের রাজধানী দিসপুরে বিধান সভার চলিত বাজেট অধিবেশনে বিরোধী বিধায়করা “অসম-নাগাল্যাণ্ড সীমান্তে নাগা দুর্ব্রিতদের তাণ্ডব” বন্ধের দাবীতে বিধান-সভা উত্তপ্ত করে তুলেন। অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ এবং আটসা ও প্লে-কার্ড ফেষ্টুন ইত্যাদি নিয়ে “নাগা দুর্ব্রিতদের তাণ্ডব” বন্ধের দাবীতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে বিধান-সভা চত্তরে ঢুকে পড়ে। উপায়ান্তর মুখ্য-মন্ত্রী তরুন গগৈ সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোনে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মিঃ রাজনাথ সিংকে পর্যাপ্ত কেন্ত্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে সীমান্তে নাগা-তাণ্ডব মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান।



এম বি ফয়েজ

গোয়াহাটী, অসম, ভারত।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.