নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসম-নাগাল্যাণ্ড সীমান্তে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৪

এম বি ফয়েজ।। গোয়াহাটী (অসম) ১৪ই আগষ্ট।।

অসমের গোলাঘাট জেলার ধনশিরি মহকুমার উরিয়ামঘাটে গতকাল নাগা জঙ্গিদের সন্ত্রাসের পর অঞ্চলটিতে এখনও প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ বিরতিতে থাকা এন এস সি এন জঙ্গিদের গুলিতে অসমের তিন নিরপরাধ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্ততঃ অর্ধ-শতাধিক এবং বাড়ী-ঘর পুড়েছে শতাধিক। গতকাল অসম-নাগাল্যাণ্ড সীমান্তের বিবদমান বি-সেক্টরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। নাগা দুষ্কৃতীদের হাতে দুই স্কুল ছাত্রের অপহরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার স্থানীয় সি আর পি এফ ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ক্ষুব্ধ জনগণ। সে সময় একদল নাগা দুর্ব্রিত বিনা প্ররোচনায় প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালাতে থাকে। এরফলে দুই আন্দোলনকারীর ঘটনাস্থলে কালই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, অত্র এলাকার চেনপুর গ্রামে নিজ ঘরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের গুলিবিদ্ধ মৃত দেহ গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, গুরুতর আহত আরও এক ব্যক্তির আজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। এখানেই থেমে থাকেনি নাগা সন্ত্রাস। সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের শতাধিক ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা। প্রাণ ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পাঁচ হাজারেরও অধিক মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এ দিকে, সংঘর্ষ কবলিত উরিয়ামঘাটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে অনুরোধ জানিয়েছেন।



অসম-নাগাল্যাণ্ড সীমান্তে নাগা জঙ্গিদের আগ্রাসন নতুন নয়। কিছুদিন পর পর সীমান্তে তাঁরা সন্ত্রাসের সৃষ্টি করে। গত ২৬ জুলাইয়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সীমান্ত অঞ্চল। সে দিন চেইনপুর অঞ্চলের দু’জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোক নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এ ঘটনার পাঁচদিন পর ৩১ জুলাই ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশকে অবগত করা হয়। কিন্তু পুলিশ নিখোঁজ দুই যুবকের সন্ধান বের করতে ব্যর্থ হয়। পুলিশের ব্যর্থতার প্রতিবাদে মংগলবার স্থানীয়রা সি আর পি এফ ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখান। সে সময় আচমকাই সীমান্তের সাংলাচুং গ্রাম থেকে নাগা দুর্ব্রিতরা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। তাদের গুলিতে চিন্তামণি বারৈ(৬২) নামে এক মহিলা এবং ফসাই কর্মকার(২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তাছাড়া প্রদীপ গৌড়(২৮), রুপেশ গৌড়(১৯) ও বাপু মিঞ্জ(২০) গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য সরুপথার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর সি আর পি এফ বাহিনী সাংলাচুং গ্রামে অভিযান শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে নাগা দুর্ব্রিতরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে স্থানীয়দের প্রচুর ঘরবাড়ীতে তাঁরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে চেইনপুর, চেতিয়াগাও, রতনপুর, রমনবস্তি, কেমফুর ইত্যাদি গ্রাম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।



এম বি ফয়েজ

গোয়াহাটী, অসম, ভারত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.