নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখ্যমন্ত্রী গগৈ হঠানোর নামে অসমে গৃহযুদ্ধের সূচনা--অখিল গগৈ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

(এম বি ফয়েজ)

গোয়াহাটী, অসম।। ২০শে আগষ্ট।। গোলাঘাট জেলার রঙ্গাজান এলাকায় গতকাল নিরীহ প্রতিবাদকারী নর-নারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলি-বর্ষন, লাঠি-পেটা এবং বাড়ী বাড়ী অভিযান চালিয়ে বিরাট ধড়-পাকড় ও সন্ত্রাস সৃষ্টির প্রতিবাদে আজ সকাল পাঁচটা থেকে অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য গোলাঘাট জেলা বন্ধ এবং নাগাল্যাণ্ডের সহিত যোগাযোগ রক্ষাকারী ৩৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ কার্য্যসূচী শুরু হয়েছে। গতকাল যে স্থানে নিরীহ প্রতিবাদকারীর ওপর মুখ্যমন্ত্রী গগৈর সন্ত্রাসী আরক্ষী বাহিনী বিনা প্ররোচনায় ধারাসার গুলিবর্ষন করেছিল, আজ সেস্থানে লক্ষ লক্ষ জনতা গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে বেরিয়ে এসে সতঃস্ফূর্ত মহামিছিলে যোগ দিচ্ছে। তাঁরা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলা বন্ধ সদৃশ্য অভিনব পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। জাতীয় সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রকাণ্ড গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে, যাতে সহজে গগৈর দুর্দণ্ড-প্রতাপি আরক্ষী বাহিনী চড়াও হ’তে না পারে। স্থানে স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়কের ওপর প্রকাণ্ড অগ্নিকুণ্ডের সৃষ্টি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা “তরুণ গগৈ মুর্দাবাদ”, “রাজ্য আরক্ষী সঞ্চালক প্রধান খগেন শর্মা হায় হায়” প্রভৃতি ধ্বনিতে রঙ্গাজান এলাকার আকাশ-বাতাস কাপিয়ে তুলেছে। গতকাল যেখানে পুলিশ সুপার ও জেলাধিপতির নেতৃত্বে উদণ্ড আরক্ষী নির্বিচার গুলিচালনা ও নিদারুন লাঠি-পেঠা করেছিল, আজ সেই পুলিশ সুপার ও জেলাধিপতির দেখা পাবার কোন জো নেই; অজ্ঞাত কারনেই তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছে। সকাল দশটার দিকে পরিস্থিতির বুঝ নিতে পাঁচটি গাড়ী ভর্তী শসস্ত্রবাহিনীর লোক রঙ্গাজান চারিয়ালির দিকে এলে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়ে পালিয়ে পত্রং দেয়। গোটা গোলাঘাট জেলায় যুদ্ধ সদৃশ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।



উল্লেখ্য, সারা অসম কৃষক মুক্তি মোর্চা সহ দশটি সমাজ-সেবী ও ছাত্র-সংগঠনের সমন্বয়ে আহোত এ বন্ধ “মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে বরখাস্ত করে জেলে না পুরা পর্যন্ত চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বন্ধ সমর্থককারীরা। সারা অসম কৃষক মুক্তি মোর্চার সভাপতি মিঃ অখিল গগৈ ‘তরুণ গগৈ হঠানোর নামে অসমে “গৃহযুদ্ধের সূচনা” হয়েছে বলে পথ-সভায় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান। “আহোম জাতির মুখ্যমন্ত্রী গগৈ রাজ্যে হিটলারী শাসন চালিয়ে নিরীহ আহোম জাতিকেই নির্বিচারে খুন করার পথ বেচে নিয়েছে”—এ দাবি অখিল গগৈর। তিনি জনসাধারনকে দলে দলে এ গৃহযুদ্ধে যোগদান করার আহ্বান জানান।



এদিকে, গগৈ মন্ত্রীসভার অন্যতম প্রতাপশালী ব্যক্তিত্ব, সদ্য পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (বর্তমান কং বিধায়ক) গতকালের অমানুষিক পুলিশী নির্যাতনের জন্য তরুণ গগৈকে রাজ্যবাসীর কাছে অকার্পন্য এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিতে বলেছেন। তবে বিগত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী গগৈ রাজ্যের জনসাধারনের উদ্দেশ্যে প্রচার মাধ্যমে কোন বার্তা দেননি—যেন কোথাও আত্ম-গোপন করে রয়েছেন। গোলাঘাট জেলার যুদ্ধ সদৃশ পরিস্থিতি প্রতি ঘন্টায় অন-লাইন লাইভ টেলিকাষ্ট দেখতে আমাদের সুহৃদয় পাঠক-পাঠিকাদেরকে নিম্নোক্ত লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছেঃ

Click This Link



Click This Link



Click This Link



এম বি ফয়েজ

গোয়াহাটী, অসম, ভারত।







মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: হারামী ভারতের যেকোন রাজ্যে গৃহযুদ্ধ চললে তাতে আমার সমর্থন থাকবে। কাদের প্রতি? সরকারী দলের প্রতি

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

এম বি ফয়েজ বলেছেন: সরকারী দলের প্রতি কেন ভাই? সাধারন জনতার প্রতি আপনি এত বিরাগ ভাজন কেন? একটু বুঝিয়ে বলবেন?

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: কারণ তারা ভারতীয়, তাই।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৭

এম বি ফয়েজ বলেছেন: সব ভারতীয় কি হারামি? আর হ্যা, বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে কারা? পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খান সরকার তো চেয়েছিল বাংলা মায়ের ভ্রুন হত্যা করে ফেলবে! কিন্তু ভারতীয় সেদিন না হলে.......................................?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.