নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
জয়পুর, ভারত।। রাজস্থান পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস) উদ্বেগজনক এক সতর্কতা জারি করেছে। তাদের সতর্কতা নির্দেশে বলা হয়েছে যে, রাজস্থান লাগোয়া পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে একদল সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে এবং এক্ষেত্রে প্রবল সম্ভাবনার কথাও নির্দেশে বলা হয়েছে। কমপক্ষে ১৫ জন সন্ত্রাসী প্রবেশ করতে পারে বলেও আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সতর্কতার সূত্র ধরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আন্তর্জাতিক সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়ে দিয়েছে; বিশেষ করে রাজস্থান রাজ্যের বিকানির, যোধপুর ও বার্মায় এই টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সব ধরনের পদক্ষেপ ভেস্তে দিতেই কড়া নজরদারি শুরু করা হয়েছে। এটিএস-এর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সব ক’জন এসপি এবং আইজিপিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে এবং এই হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। ভারতের কাছে অনুপ্রবেশ বরাবরই একটি বড়মাপের চ্যালেঞ্জ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সুদীর্ঘ ৩,৩২৩ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ঐতিহ্য অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তই হচ্ছে অনুপ্রবেশের সক্রীয় ঘাটি। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে বেশ চাপে রাখায় অর্থাৎ সে সীমান্তে চাতকের দৃষ্টি রাখায় রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বর্তমানে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহেই বিএসএফের পক্ষে জানানো হয় যে, ভারতের সীমান্তের খুব কাছাকাছি সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি তাদের নজরে আসে। বিএসএফ প্রধান জানান, ঘন ঘন অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের প্রক্রিয়া সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে প্রবেশে সাহায্য করছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক তথা বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এসব জঙ্গিরা আইএসআইএল, তাকফিরি বা ওহাবী জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য হ’তে পারে এবং ভারতে প্রবেশ করে তারা বিশ্বের সবচাইতে অধিক মুসলিম জনবহুল দেশ ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বিভাজন ও মতানৈক্য সৃষ্টি করতে তৎপর রয়েছে।
©somewhere in net ltd.