নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে ভারতে শাখা বিস্তারের ছক আই এস-এরঃ ভারত ভূমি উর্বর নয়!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

নতুন দিল্লী ১০ই সেপ্টেম্বর।। সিরিয়া ও ইরাকে নিজেদের মুক্ত বিচরন ভূমি তৈরী করে নেওয়ার পর “ইসলামের কলঙ্ক আই এস আই এল” জঙ্গি গোষ্ঠী এবার দক্ষিণ এশিয়ার ৪০ কোটি মুসলমানদের মধ্যে তাঁদের অভিশপ্ত সংগঠনটির জাল বিস্তার করতে প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে পাকিস্তান ও ভারতের মুসলিম জনগনকে নির্বাচন করেছে বলে সংবাদ সংস্থার খবরে প্রকাশ। এমনকি, তালিবান বা আল-কায়দার মতো ক্ষমতাশালী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সমর্থকদের বিশাল অংশকেও দলে টানার চেষ্টা করছে তারা।



বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমে পাকিস্তানে নিজেদের সংগঠন মজবুত করে সেই পুঁজিকে কাজে লাগিয়ে ভারতে প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা জোরদার করবে তারা। পাক তালিবানের একটি উপগোষ্ঠী জামাত-উল-আহরা আই এস-এর প্রতি খোলাখুলি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনটির নেতা এহসানউল্লাহ এহসানের কথায়, “খলিফার শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামি ব্যবস্থার প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করছে আই এস। গতিকে, ওরা সাহায্য চাইলে অবশ্যই ভেবে দেখব”—বলল, এহসানউল্লাহ। পাকিস্তানে পা শক্ত করে ভারতে আসতে চায় আই এস এবং ইতিমধ্যে আল-কায়দা তাঁদের ভারতীয় শাখা খোলার কথা বলেছে; আর সে দিকে এগোচ্ছে আই এস ও।



লাদেন পরবর্তী আল-কায়দার বয়স্ক নেতারা মূলতঃ পাক-আফগান সীমান্ত এলাকায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাঁদেরকে ক্লান্ত ও অকর্মণ্য হিসেবে দেখিয়ে আই এস চাইছে মুসলিম যুবকদের মধ্যে নতুন করে জিহাদের উন্মাদনা জাগিয়ে তুলতে। একটি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের পেশোয়ারে এবং পূর্ব আফগানিস্তানের কিছু এলাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে আই এস এর সমর্থনে “ফতেহ” (অর্থাৎ “জয়”) নামে একটি পুস্তিকা বিলি করেছে একটি গোষ্ঠী। ঐসব এলাকায় আই এস-এর ষ্টিকার লাগানো গাড়ির আনাগোনাও চোখে পড়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের।



সোশ্যাল মিডিয়ায় জিহাদের মতাদর্শ প্রচার করে ভারতীয় মুসলিম তরুনদেরও উস্কানি দিচ্ছে আই এস। এতে প্রভাবিত হয়ে মহারাষ্ট্র থেকে চার যুবক মে মাসে ইরাকে পাড়ি দিয়েছিল। আই এস-এর হয়ে ইরাকি সেনার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মসুলে তাঁদের একজন নিহতও হয়েছে। একই উদ্দেশ্যে ইরাকে পাড়ি দিতে গিয়ে দিন কয়েক আগে কলকাতায় ধরা পড়েছে হায়দরাবাদের চার তরুণ। গত দু’মাসে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে আই এস-এর পতাকা, ব্যানার ও দেওয়াল লিখন দেখা গিয়েছে। ঐ জঙ্গি গোষ্ঠীর ছাপ মারা টি-শার্ট পরা একদল যুবকের ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করায় চেন্নাইয়ের তিন যুবক ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে।



ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সন্দেহ, এ সব হিমশৈলের চূড়া মাত্র। উচ্চ পদস্থ এক গোয়েন্দা আধিকারীকের কথায়, “তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে অসংখ্য তরুণ আই এস এর দালালদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করছে। সে সংখ্যাটা ভয়াবহ।“ নতুন দিল্লীর ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) এক শীর্ষকর্তা বললেন, “লস্করই তৈয়বা অথবা ইন্ডীয়ান মোজাহিদিনের সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান বা সদস্য বাড়ানোর উপায়গুলোর অনেকটাই আমরা জানি। কিন্তু আই এস এর চ্যালেঞ্জটা পুরো অন্য। ইন্টারনেট, ফেসবুক, চ্যাটরুমের মাধ্যমে ঘরে বসেই তরুনরা জিহাদি হয়ে যাচ্ছে। এটা সময় মতো ধরতে পারা খুব কঠিন।



প্রসঙ্গত, ইরাক ও সিরিয়ায় আই এস জংগী-গোষ্ঠী এবং আফগান ও পাকিস্তানে আল-কায়দা ও তালিবান জঙ্গিরা যে ভাবে অতি সহজে তাঁদের ক্ষেত্র তৈরী করে নিতে পেরেছে, ভারতে তা এখনোও তাঁদের দিবা-স্বপ্ন। এর নেপথ্য কাহিনী অনেক বড়। ভারতে ২৫ কোটি মুসলিম জনতার মাত্র ৪% শতাংশ লোক ওহাবী, সালাফি কিংবা তাকফিরি ভাব-ধারা মনে মনে পোষন করে। বাকি ৯৬% শতাংশ মুসলিম লোক “সুন্নী, আহলে সুন্নত” মতবাদে বিশ্বাসী। “সুন্নী আহলে সুন্নত-এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বাশকান্দি দারুল উলুমের জনৈক হাদিস শিক্ষক বললেন, “যারা ইসলামের চার খলিফার আদর্শ যথাযথ মেনে চলে মহানবী(ছঃ) এর সুন্নত পালনে ব্রতী হয়, তাঁদেরকে আহলে সুন্নত-এর অনুসারি বলা হয়।

আই এস জঙ্গিরা সাধারনতঃ ওহাবী, সালাফি ও তাকফিরি ভাবধারার পূজারী এবং তাঁদের নেতা আবুবক্কর বাগদাদি মস্তবড় দুরাত্মা-শয়তান, ইহুদি মা-বাবার সন্তান। তার প্রকৃত নাম 'শামউন ইয়লুত'। গতিকে, ভারতের ২৫ কোটি“সুন্নী, আহলে সুন্নত” মুসলিম জনতা অতি সহজে ভ্রান্ত ও বাতিল ধর্ম-মতে বিশ্বাসী হয়ে পাপিষ্ট শয়তানের ফাঁদে পা ফেলবার নহে। আর মুসলিম নামধারী যদি কোন ভারতীয় ভণ্ড ইরাক-সিরিয়ার ভয়াবহ গনহত্যার রূপ দেখেও আই এস-এর পক্ষপাতিত্ব করে তবে এসব অকাল কুশমাণ্ডদেরকে অনতি বিলম্বে ভারতীয় রাষ্ট্র-যন্ত্রের কাছে ধরে দেওয়া প্রত্যেকটি মুসলমানের ঈমানের অংগ এবং অবশ্যই করনীয় বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.