নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তাঁরা দেশের জন্য বাঁচবে এবং দেশের জন্যই মরতে প্রস্তুত রয়েছে"-- মোদী

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৮

(এম বি ফয়েজ) নতুন দিল্লী ১৯ সেপ্টেম্বরঃ মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরানে দেশ-প্রেম সম্পর্কে বলা হয়েছে, “মাতৃভূমিকে ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ।“ আর ভারতীয় মুসলিমরা কোরানের সে নির্দেশ মর্মে তাঁদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল। এদেশের মাটি ও মানুষকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত করতে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে অনুপ্রেরনার জয়ধ্বনি “জয় হিন্দ” গেয়ে গেয়ে হাসিমুখে আত্মবলিদান দিয়ে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রয়েছে। আর হ্যা, আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্মকর্তা মেজর আবিদ হাসান জাফরানিই ‘জয় হিন্দ’ স্লোগানটির প্রবর্তন করেন, যাহা পরবর্তীতে নেতাজির কল্যাণে ভারতীয়দের মধ্যে জনিপ্রয় হয়ে ওঠে। এদেশের মুসলিমরা সে অনুভূতি আজও হৃদয়ে ধারন করে রয়েছে। তাঁরা দেশের জন্য বাঁচবে এবং দেশের জন্যই মরতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।



বার্তা সংস্থা সিএনএনের প্রতিনিধিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভারতে আল-কায়েদার শাখা খোলার ঘোষণা প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি বলেন, "যদি আল-কায়েদা মনে করে তারা ভারতীয় মুসলিমদের দলে টানবে তাহলে তারা ভুল করবে। ভারতীয় মুসলিমরা আল-কায়েদাকে সাহায্য করবে না। ভারতীয় মুসলিমরা দেশের জন্য বাঁচবে এবং দেশের জন্য মরবে।"



প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি সিএনএন টেলিভিশনকে এই প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন। সিএনএন-এর পক্ষে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক ফরিদ জাকারিয়া। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সিএনএনে ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৪টায় এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার হবে।



সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "ভারতের মুসলমানরা আল-কায়েদা দ্বারা কোনোভাবেই প্রভাবিত হবে না। আমি মনে করি তারা (আল-কায়েদা) ভারতীয় মুসলিমদের ধর্মমতের প্রতি অবিচার করছে। যদি কেউ ভাবে ভারতের মুসলমানরা তাদের ইশারায় নাচবে, তাহলে তারা দারুন বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। ভারতীয় মুসলিমদের দেশপ্রেম নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। ভারতীয় মুসলিমরা জীবন দিয়ে দেবে কিন্তু দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। তারা ভারতের অকল্যাণ কখনই চায় না। দেশের ঐক্য, সংহতি ও অখণ্ডতা যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে রক্ষা করতে অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় প্রস্তুত রয়েছে এদেশের মুসলিম জনতা।"



পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে আল-কায়েদার প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এটা মানবতার বিরুদ্ধে সঙ্কট। এটা কোনো দেশ বা জাতির বিরুদ্ধে সঙ্কট নয়। সুতরাং এটা মানবতা এবং অমানুষিকতার মধ্যের লড়াই।"



দিল্লির ফতেপুরি মসজিদের শাহী ইমাম মুফতি মুকাররম আহমদ, জাকাত ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ জাফর মাহমুদ, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য সুলতান আহমেদ, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য মুফতি এজাজ আহমেদ কাশেমি প্রমুখ প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। উত্তর-পূর্ব ভারত, আমীরে শরীয়ত তথা মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের অন্যতম অপর সদস্য ও প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিধ আলহাজ হজরত মৌলানা তৈয়ীবুর রহমান বড়ভূইয়া, এম এম এম এ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এদেশের মুসলিম জনতা সম্পর্কে সঠিক অনুধাবন করেছেন।“

“ইরাক ও সিরিয়ায় আই এস জঙ্গীগোষ্ঠী এবং আফগান ও পাকিস্তানে আল- কায়দা ও তালিবান জঙ্গিরা যে ভাবে অতি সহজে তাদের ক্ষেত্র তৈরী করে নিয়ে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষ ধর্মের শুড়শুড়ি দিয়ে হত্যা করেছে, ভারতে তা কখনোও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না; এ যেন তাঁদের এক ভ্রমাত্মক স্বপ্ন—যা স্বপ্নই থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রী মোদির বিবৃতির সমর্থনে এর নেপথ্য কাহিনীটি ব্যাখা করেছেন দারুল উলুম বাশকান্দি মাদ্রাসার হাদিস শিক্ষক হজরত মৌলানা এ রহমান কাসেমী সাহেব। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ভারতে ২৫ কোটি মুসলিম জনতার মাত্র ৪ শতাংশ ওহাবী, সালাফি কিংবা তাকফিরি মতধারা পোষন করে। বাকি ৯৬ শতাংশ মুসলিম “সুন্নী, আহলে সুন্নত” মতবাদে বিশ্বাসী। “সুন্নী আহলে সুন্নত"-এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বাশকান্দি দারুল উলুমের ঐ হাদিস শিক্ষক বললেন, “যারা ইসলামের চার খলিফার আদর্শ যথাযথ মেনে চলে মহানবী (স.) এর সুন্নত পালনে ব্রতী হয়, তাঁদেরকে আহলে সুন্নত-এর অনুসারি বলা হয়।"

আইএস জঙ্গিরা সাধারণতঃ ওহাবী, সালাফি ও তাকফিরি ভাবধারার পূজারী। এদের নেতা আবুবকর আল বাগদাদি মস্তবড় দুরাত্মা-শয়তান, ইহুদি মা-বাবার সন্তান। তার প্রকৃত নাম 'শামউন ইয়লুত'। গতিকে, ভারতের ২৫ কোটি “সুন্নী, আহলে সুন্নত” মুসলিম জনতা অতি সহজে ভ্রান্ত ও বাতিল ধর্ম-মতে বিশ্বাসী হয়ে পাপিষ্ঠ শয়তানের ফাঁদে পা ফেলবার নহে। আর যদি মুসলিম নামধারী কোন ভারতীয় ভণ্ড ইরাক-সিরিয়ার ভয়াবহ গনহত্যার রূপ দেখেও আইএস-এর পক্ষপাতিত্ব করে তবে এসব অকাল কুষ্মাণ্ডদেরকে অনতিবিলম্বে ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে ধরিয়ে দেওয়া প্রত্যেকটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে দেশের ১২৫ কোটি জনতার অখণ্ড অভিমত।







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.