নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরু জবাই ও গোশতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞার দাবি খারিজ দিল্লী-হাইকোর্টে

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

৬ নভেম্বর (এমবিফয়েজ): ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গরু জবাই এবং গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে এক জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

আজ (শুক্রবার) প্রধান বিচারপতি জি রোহিণী এবং বিচারপতি জয়ন্ত নাথের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে আবেদনটি খারিজ করা হয়। আবেদনটি ভুল ধারনার ভিত্তিতে করা হয়েছে বলে বেঞ্চের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়।

এই মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ আদালতে বলেন, ‘আগে থেকেই দিল্লি গবাদি পশু রক্ষা আইন কার্যকর রয়েছে। এই আবেদনটি শুধুমাত্র লোকেদের নজর কাড়ার জন্য করা হয়েছে সেজন্য তা বাতিল করা হোক।’

জনস্বার্থে দায়ের পিটিশনটি স্বামী সত্যানন্দ চক্রধারী নামে এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে করা হয়। আবেদনকারীর দাবি, গরু এবং মহিষ রাখার জন্য আলাদা স্থান চিহ্নিত করতে হবে দিল্লি সরকারকে। এই স্থানের নাম দিতে হবে গোকুল গ্রাম। আবেদনকারীর আইনজীবী নওল কিশোর ঝা’র দাবি, জম্মু-কাশ্মিরে রনবীর পেনাল কোড চালু রয়েছে। এতে গরু জবাইকারীকে দশ বছরের জেল এবং জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। দিল্লি সরকারকেও এই নিয়ম রাজধানীতে প্রয়োগ করতে হবে।

সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ আদালতে বলেন, দিল্লিতে আইন অনুযায়ী দিল্লি এলাকার ভিতর থেকে কোনো গবাদি পশু হত্যা করার উদ্দেশ্যে বাইরে চালান করা বা চালানের চেষ্টা করা বা সেই চেষ্টায় মদত দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।

সঞ্জয় ঘোষ আরো বলেন, দিল্লি সরকারের কাছে পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে যেখানে ২৩ হাজার গবাদি পশু রাখা যেতে পারে। যদিও এখন এই গবাদি পশুর সংখ্যা ১০ হাজার রয়েছে। যদি পিটিশনকারীর কাছে এরকম কোনো গবাদি পশু থাকে এবং তার নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকলে তা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। এরপরেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পিটিশনটি ভুল ধারণার ভিত্তিতে করা হয়েছে মন্তব্য করে তা খারিজ করে দেয়।

বলা বাহুল্য, মুসলিম-বিদ্বেষীদের তো হাতে আর কোন কাজ নেই। এইজন্যই গো-মাংস নিয়ে নতুন করে হৈ চৈ শুরু করেছে। প্রয়াত বিজ্ঞানী-রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম অদেরকে কাজ দিয়েছিলেন যেন ওদের নব-প্রজন্ম বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আহরন করে নতুন নতুন উদ্ভাবনের প্রতি মনোনিবেশ করে; আর Made in India সামগ্রী বিশ্বের সর্বত্র পৌছে দেওয়া সম্ভবপর হয়। কিন্তু এই মহানায়কের অকাল প্রয়ানে প্রধানমন্ত্রী মোদির "সব-কা-সাথ সবকা বিকাশ" মাঠে মার খেতে চলেছে; যেহেতু বিশ্বের বৃহত্তম গনতান্ত্রিক এ দেশকে দারুন অসহিষ্ণূতার মধ্য দিয়ে বর্তমান সময় কালাতিপাত করতে হয়েছে। আর এসবের মূলে রয়েছে উগ্র-হিন্দুত্ববাদীদের সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

সত্যের পয়গাম বলেছেন: গাভী যদি হিন্দুদের মা হয় তাহলে বলদকে ওরা বাপ ডাকেনা কেনো? গাভীর গোশত খাওয়া হিন্দুদের মতে হারাম! মাগার গাভীর চামড়া দিয়া জুতো পড়তে আরাম! সত্যিই সেলুকাস!

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০১

এম বি ফয়েজ বলেছেন: সত্যের পয়গাম ভাই, আপনি সঠিক বলেছেন। এবার বিহারের নির্বাচনে লালুর কাছে উল্টা ঠেলা খেয়ে ওরা এখন বলছে, "গাভী তো দুধ দেয়; মগর ভোট দেয় না।" এই তো, আর কি!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.