নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর আশাতে ঠাণ্ডা জল”

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

অসমের ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর দীর্ঘ-দিনের লালিত আশাতে এবার শেষ বারের মত ঠাণ্ডা জল ঢাললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ সরকারের স্বনাম-ধন্য শিক্ষা মন্ত্রী মিঃ শরৎ বরকটকী। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের কার্য্যকালের শেষ অধিবেশনে, আগামী কাল ৭ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ইং রাজ্য বিধান-সভায় "ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর পদ প্রাদেশীকরন সংশোধনী বিল" উত্থাপন করার কথা ছিল। বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন জেলায় এ নিয়ে শিক্ষা বিভাগের কার্য্যালয়গুলোতে দারুন উত্তাপ ও তোড়জোড় পরিলক্ষিত হয়। আর এ বিল বিধান-সভায় উত্থাপন করতে সরকারকে বাধ্য করতে ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজধানী শহর দিসপুরে বিগত দিনগুলোতে নানা ধরনা কর্মসূচী ও আন্দোলন করে পুলিশী হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তাদের মুখে মুখে শ্লো-গান ছিল, “আমাক ভাত দিয়ক, আমি ভোট দিম”—অর্থাত আমাদেরকে ভাত দিন, আমরা ভোট দিব; আমি শিক্ষক কর্মচারী সবাতকৈ বেশী নির্বাচনী কর্মী”—অর্থাত আমরা শিক্ষক কর্মচারীরাই সব চেয়ে বেশী ভোট গ্রহনে অংশ গ্রহন করে থাকি, প্রভৃতি। তাদের সে দাবীর প্রতি সহারী জানিয়ে সরকার শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে "ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর পদ প্রাদেশীকরন সংশোধনী বিল" বিধান্ সভায় উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু আজ হঠাৎ করে ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর আশাতে ঠাণ্ডা জল ঢেলে দেয় সরকার। রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক কর্মচারীকে প্রতারনা করে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে "ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর পদ প্রাদেশীকরন সংশোধনী বিল" উত্থাপন করা হচ্ছে না আগামী কাল রাজ্য বিধায় সভায়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে এর দারুন বিরোপ প্রতিক্রিয়া। বিক্ষোভে ফুসছে ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীরা।

“কেন সে দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত বিল বিধান সভায় আনা হচ্ছে না?”—সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ বলেন যে, ফাইল প্রস্তুতি-করনের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভবপর হয়নি বলেই এ বিলটি বিধান সভায় উত্থাপন করা যাচ্ছে না। আর শিক্ষা মন্ত্রী শরত বরকটকী জানালেন, তাঁর শরীর খারাপ থাকার দরুন তিনি ফাইল পর্যন্ত দেখতেই পারেননি। তবে অভয় বানী দিয়ে বলেন, আগামী কাল তিনি ফাইলটি দেখবেন—অর্থাত বিয়ের দিনে চুল কাটা।

প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা দল-ত্যাগী কংগ্রেসী নেতা মিঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “প্রতারনা করা মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ সরকারের ভূষন ও বিশেষন।“ গতিকে, এই সরকারের আমলে ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীরা এর চেয়ে বেশী আর কি আশা পোষন করতে পারেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রী থাকা কালীন লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। তাঁর আমলে শিক্ষা বিভাগে ২৩০০০ কোটি টাকার বেশী অর্থ ব্যয় করে ঐ বিভাগকে চাঙ্গা করেছেন এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছেন। ২০১৬-এর নির্বাচনে তিনি বিজেপি দলকে জিতিয়ে সরকার গঠন করতে পারলে ভেঞ্চার স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর পদ প্রাদেশীকরন করে এ সমস্যা সমূলে সমাধান করে ফেলবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গগৈ কিন্তু এ বিল নিয়ে কংগ্রেসকে দারুন বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেন। এই বিলের জন্যেই তাকে অন্ততঃ পনেরটি বিধান সভা আসন খোয়াতে হবে—একথা নিশ্চিত। কথায় বলে সব ভাল যার, শেষ ভাল তাঁর। তরুন গগৈ সরকার বিধান সভার সর্বশেষ অধিবেশনে যে সর্বশেষ গোল খাচ্ছেন—এনিয়ে দ্বিতীয় চিন্তার দারুন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.