| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামীকাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শনিবার এক মঞ্চ থেকে টাম্প দৌঁড়ে পালালেন। এ নিয়ে মানুষের ভেতর জল্পনা কল্পণা আর হাসিঠাট্টার অন্ত নেই। এ কথায় টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড আমেরিকার নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি মতাশীল ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি কিনটন। শেষ হাসি কে হাসবেন? কার গলায় উঠবে ফুলের মালা? কার মাথায় শোভা পাবে মতার মুকুট - হিলারি নাকি টাম্পের? এসব প্রশ্নই থেকেই যাচ্ছে বারবার। মনের জানালায় উঁকি দিচ্ছে আরো কত না প্রশ্ন। অনুসন্ধানী চোখ আর ভাবনার জগৎ বারবার পরিবর্তন হচ্ছে। কখনো মনে হয় টাম্প আবার কখনো মনে হয় হিলারিই হবেন এবারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
প্রথমে আলোচান করা যাক হিলারি ট্রাম্প এর মধ্যে কে জিতলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে? এর জবাবে যা বলতে হয় তাহলো, হিলারি বা ট্রাম্প দুজনই খুবই বিতর্কিত ব্যক্তি। তবে হিলারি অনেক প্রজ্ঞাবান একজন রাজনীতিবিদ। তার মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকে । এবং তিনি আধিবাসী নীতির েেত্র অনেকই নমনীয় ভাব প্রদর্শন করেন। যা আমাদের (বাংলাদেশের) জন্য ভালো । কিন্তু হিলারিকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে অনেক রেকর্ডই ভাঙতে হবে। যেমন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কোনো মহিলাকে প্রেসিডেন্ট হতে হবে তাকে। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানি কোনো পার্টি আমেরিকাতে দুইবার মতায় যায়নি। এতো রেকর্ড ভাঙ্গে মতায় যাওয়া একটু কঠিন হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে অম্ভব বলে একটা কথা আছে। মাঝে মাঝে নিয়মেরও ব্যতিক্রম ঘটে।
অন্য দিকে ট্রাম্প গেলে জঙ্গি দমন হবে কিন্তু তিনি অভিযোগ তুলেছেন মুসলিমদের উপর। ট্রাম্প মুসলিম দেশে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেবে বলেছে। হিলারি জিতলে বিএনপি কতটুকু লাভবান হবে তা অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি সব দেশ এবং সরকারের জন্য প্রায় একই ধরনের। ওরা বুঝে ব্যবসা আর মতা। তবে ড. ইউনুস এর জন্য ভালো হবে। অভিযোগ আছে ইউনুস এ দেশের টাকা মেরে হিলারিকে দিয়েছেন। অন্য দিকে ট্রাম্প হলে উনি আগেই বলেছেন ভারত ও রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি’র জরিপ অনুযায়ী এই মুহূর্তে রিপাবলিকান পার্টির প্রর্থী ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি কিনটন। রবিবার হিলারির এগিয়ে থাকার এ খবর দিয়েছে এবিসি। তাদের জরিপে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১০০ জনের মধ্যে ৪৮ জন ভোট দেবেন হিলারিকে এবং ৪৩ জন দেবেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে। অথচ ইমেইল ফাঁসের প্রেেিত গত সপ্তাহেও কয়েক পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন সাবেক এই ফার্স্ট লেডি।
এবিসির সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, অ্যারিজোনাতে ট্রাম্প ৪৯, হিলারি ৪৪ শতাংশ। ফোরিডাতে হিলারি ৪৯, ট্রাম্প ৪৭ শতাংশ। জর্জিয়াতে ট্রাম্প ৪৫, হিলারি ৪৪ শতাংশ। নিউ হ্যাম্পশায়ারে হিলারি ৪৪, ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ। নর্থ ক্যারোলাইনাতে হিলারি ৪৭, ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে নেভাদায় ট্রাম্প ৪৯ শতাংশ, হিলারি ৪৩ শতাংশ। পেনসিলভানিয়াতে হিলারি ৪৮, ট্রাম্প ৪৩। আইওয়াতে ট্রাম্প ৪৪, হিলারি ৪৪ শতাংশ। ওহাইওতে ট্রাম্প ৪৬, হিলারি ৪১ শতাংশ।
ওবামার হুঁশিয়ারি: এই ‘অ-আমেরিকান’, ‘অমানুষ’ ও ‘বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী’ প্রার্থীর বিজয় ঠেকাতে হবে। এ জন্য বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা।
নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে গত শুক্রবার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি কিনটনের সমর্থনে প্রচার সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই বক্তব্য দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে লোক নারীর প্রতি অবমাননা করেছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে গেলে একই কাজ করবেন। যে লোক বর্ণবিদ্বেষের প্রতি সহানুভূতিশীল, বর্ণবিদ্বেষীদের সমর্থন পেয়েছেন, মতায় গেলে সেই লোক একই কাজ করবেন।
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, যে লোক নির্বাচনের প্রচারণায় দেশের সংবিধানকে সম্মান করতে পারেন না, সেই লোক মতায় গেলে সংবিধান লঙ্ঘন করবেন।
সমবেত জনতার উদ্দেশে ওবামা বলেন, ‘আজ আমরা ডেমোক্র্যাট নয়, রিপাবলিকান নয়, আমরা সবাই আমেরিকান।’ আমরা সবাই ¯্রষ্টার সন্তান। প্রধান পরিচয় আমরা মানুষ।’
নির্বাচন বিশ্লেষকেরা বলছেন, এবার পারদের মাত্রার মতো ওঠা-নামা করছে আমেরিকার নির্বাচনের জরিপের ফলাফল। জনমত জরিপে দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দি¦তার আভাস দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি নিকট অতীতে দেখা যায়নি বলেও বলছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা।
সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি ঘটে গেছে গত শনিবার রাতে, আমেরিকাকে গড়ার দারুণ দারুণ স্বপ্নের কথা বলছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শ্রোতারাও শুনছিলেন মুগ্ধতা দেখিয়ে! হঠাৎ ‘বন্দুক’ বলে চেঁচামেচি! আর কীসের স্বপ্ন, কীসের বক্তৃতা! রণে ভঙ্গ দিয়ে ভো-দৌড় লাগালেন ট্রাম্প! হঠাৎ চেঁচামেচি, মুহূর্তেই উধাও ট্রাম্প! এই কাণ্ডটি ট্রাম্প ঘটিয়েছেন নেভাডা অঙ্গরাজ্যের রেনো শহরের একটি প্রচারণা সভায়। শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে ঘটে যাওয়া তার এই অদ্ভূত কাণ্ডে হাসাহাসি পড়ে গেছে আমেরিকান মিডিয়াপাড়ায়।
বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভাবতে পারেন না, কীভাবে একজন নারী ‘হোয়াইট হাউস’র অধিকর্তা হিসেবে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের আপশট জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে হিলারি কিনটনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে শতকরা ৮৪ ভাগ। ফাইভ থার্টি এইট জরিপে বলা হয়েছে হিলারি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে শতকরা ৬৪.৭ ভাগ। হাফিংটন পোস্টের হিসাবে হিলারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে শতকরা ৯৮.৩ ভাগ।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ নভেম্বর (বাংলাদেশ সময় ৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা রাত ৮টার মধ্যে। তবে আইওয়া এবং নর্থ ডাকোটাতে ভোটগ্রহণ চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। জয় যারই হোক বাংলাদেশ তার পাশেই থাকবে। কারণ, যে দেশ সমগ্র বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছে এ দেশের বৃহৎ স্বার্থে তার পাশে তো থাকতেই হবে। জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন জরিপের তথ্যমতে বিজয়ের পাল্লা হিলারির পইে ভারি বলে মনে হচ্ছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে আরেকটা যুদ্ধ বাধার আশঙ্কার কথা অনেকে বলছে। কারণ ট্রাম্প হলো উগ্র, খ্যাপাটে আর চরম মুসলিম বিদ্বেষী লোক। আমরা সাধারণ মানুষ আর কোনো যুদ্ধ চাই না আমরা চাই ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, শান্তিময় এক সুখের পৃথিবী।

©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
নতুন বলেছেন: হিলারীই জয়ী হবে...
কিন্তু হিলারী যুদ্ধ বেশি করবে ট্রাম্পের চেয়ে.... হিলারী এতো বছর বেশ ভালো ভুমিকা রেখেছে আইএস,অাফগানের বিষয় গুলিতে...