| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মায়ানমারের মুসলমানদের জন্য খুব খারাপ লাগছে। ফেসবুকে মায়ানমারে নির্যাতিত মুসলমান ভাইবোনদের ছবি দেখি। এমন এমন বিভৎস ছবি দেখি যা বিশ্বাস করতে পারি না। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি এগুলো কি সত্যি সত্যি ছবি নাকি এডিটিং করে দেয়া। পরণে আবার আমার ধারণার কালোমেঘ কাটতে শুরু করে। না আসলেই এগুলো সত্যিকারের ছবি। মায়ানমারের সরকার কর্তৃক নির্যাতিত মুসলমান ভাইবোনদের ছবি। “জীবহত্যা মহাপাপ”-এর ধ্বজাদারী বৌদ্ধভিু কর্তৃক নির্যাতনের ছবি। মায়ানমারে বর্তমান সময়ে শত শত মুসলমানকে মারা হচ্ছে। রশি দিয়ে একসাথে বেঁধে গরুর মতো জবাই করা হচ্ছে। পাখির মতো গুলি করা হচ্ছে। উত্তপ্ত তেলের মাঝে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। টায়ারের সাথে বেঁধে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের স্তন কেটে নেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণ করে যৌনঙ্গে গুলি করা করা। শিশুদেরকে পর্যন্ত ধর্ষণ করা হচ্ছে। ছুরি গিয়ে গুছিয়ে গুছিয়ে মারা হচ্ছে। এগুলো হলো নির্যাতনের অভিনব পদ্ধতি। যা মায়ানমারের বৌদ্ধরা আবিষ্কার করেছে। ইতিহাস বলে চেঙ্গিস খান পূর্ব ঘোষণা দিয়েই আক্রমণ চালাত। ভিুরা যখন তখন হামলা চালায়। রাতে ঘুমের ভেতর বাড়ি ঘরে আগুণ লাগিয়ে দেওয়া হয়। দিনের আলোতে হামলা করা হয়। জমির ফসল কেটে নেওয়া হয়। নিজ দেশে আজ পরবাশী হয়ে গেছে মায়ানমারে মুসলমানরা। অথচা শত শত বছর ধরে তারা মায়ানমারে বসবাস করে আসছে। ত্রিশ ল রোহিঙ্গা মুসলমানের বাস বর্তমানে মায়ানমারে। দেশের অর্থনীতিতে তাদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য। এ অন্যায় আবদারের কোনোই মানে হয় না। সীমান্ত খুলে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না। জাতিসংঘকে বলব, মুরোদ থাকলে অং সাং সুচীকে ধমক লাগান। বন্ধ করতে বলুন এ গণহত্যা। আপনারা তো হলেন তেল আর সম্পদের দোসর। এছাড়া বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কেন যে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় তা আমার বুঝে আসে না। মানবাধিকার কি শুধু নির্দিষ্ট জাতি আর ধর্মের জন্য। মানবাধিকার হলো সকল দেশের, সকল কালের, সকল ধর্মের, সকল মানুষের জন্য। মানবাধিকার হলো চিরন্তন একটা বিষয়।
মায়ানমারে এভাবে কি গণহত্যা চলতেই থাকবে! বিশ্বের অন্যান্য ধর্ম আর রাষ্ট্রপ্রধানরা নিশ্চুপ আছে রহস্যজনক ভাবে। মুসলমান দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা কেন চুপচাপ আছে তা আমার কাছে এখন একটা বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে সৌদি আরব, কাতার, মিশর, তুরস্ক, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ার সরকার প্রধানগণ এ গণহত্যা বন্ধের জন্য আহ্বান জানাতে পারে। হত্যা বন্ধ না হলে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এ রকম মতা আজো আছে। আর আমাদের বাংলাদেশের মুসলমান যুবকদের উচিত ব্যাপকভাবে এর প্রচার প্রচারণা চালাতো। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে এ গণহত্যা বিরোধী আওয়াজ তোলা দরকার।
কেননা বর্তমান পৃথিবীতে মিড়িয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই মিড়িয়াতে অন্তত মায়ানমারের মুসলমানদের পে একটু কাজে লাগান। প্রিয় মুসলমান যুবক ভাইবোনেরা, বন্ধুর সাথে তো অনেক চ্যাট করলেন, একটু সময় না হয় ভাবুন মায়ানমারে বসবাসরত আপনার মুসলমান ভাইবোনদের কথা। কিছু না করতে পারেন অন্তন লাইক কমেন্ট আর শেয়ার তো করতে পারেন। এতটুকু যদি করতে না পারেন তাহলে আপনি মুসলমান হিসেবে কি ভূমিকা রাখছেন নিজেকে নিজে একবার প্রশ্ন করুন। প্লিজ এড়িয়ে যাবেন না। আপনার জন্ম যদি মায়ানমারে হতো তাহলো কি হতো ভেবে দেখেছেন কি ভাই।
২|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
কুহুক বলেছেন: আর বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়া করানো অভিযান । দেশের সংখ্যালঘুদের তারিয়ে দিলে ভালো লাগে আর মায়ান্মারের সংখ্যালঘুদের জন্য মায়াকান্না হয় ।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
আলী আকবর ভুঁইয়া বলেছেন: প্রিয় কুহুক ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অপনি বলেছেন মায়াকান্না। মায়াকান্না করতে যাব কেন ভাই, বাস্তবেই কান্না করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারেরও আমি নিন্দা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫
আশরাফ ও নীল বলেছেন: এরকম মিনমিনে মুসলমানেরা গণহত্যার শিকার হবেনা তো হবে কি? আব্বাসীয় বা উসমানীয় শাসনামলে মাত্র হাজার খানিক মুসলিমের ভয়ে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত রোম্যান পার্সিয়ানরা কাঁপতে কাঁপতে পালানোর রাস্তা ধরত। আর এখন ন্যাড়া বৌদ্ধরা, নিরামিষ খোর হিন্দুরা আর গুটিকয়েক ইহুদি বিশ্বে দেড়শ কোটি মুসলমানকে কানে ধরে উঠবস করাচ্ছে। লজ্জা থাকলে সেই মুস্লিম জাতি এখন কান্নাকাটি না করে সরাসরি এ্যাকশানে যেত।