![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাদের শৈশব কলোনি বা গ্রামে কেটেছে তারাই মূলত এই খেলাগুলোর সাথে পরিচিত। আমার শৈশব পুরোটাই কেটেছে চট্টগ্রামে এক রেলওয়ে কলোনিতে। হাজার চেষ্টা করলেও সেই শৈশবের স্মৃতি ভুলার নয়।
ডাংগুলীঃ প্রথমেই এই খেলাটার কথা উল্লেখ করলাম কারণ হল এটাকে বলা হত বদমাইশ পোলাপাইনের খেলা। এই খেলা খেলতে যেয়ে অনেকে আহত হইত, এমন কি পথচারীটাও আহত হত। আমি যদিও পিচ্চি কালে অনেক ভদ্র ছিলাম, মাগার এই খেলার লোভ সামলাইতে পারতাম না। আম্মুর হাতে এই জন্য কত মাইর খাইছি, এখনও ওই মাইরের কথা মনে পরলে চোখের জলে মুখ ভিজ্জা যায়।
মার্বেলঃ আমগো পিচ্চিকালে এই খেলা খেলতো না এমন কুনু পুলাপাইন নাই। মাম্মি ডেডিগো পোলাপাইন বাদ, ওরা কোন পাড়ার খেলাই খেলে না। মাঝে মাঝে বড় ভাইরাও খেলত আমগো লগে। এই খেলার জন্য কোন সিজন ছিল না। যখন ইচ্ছা তখন খেল। এখনও কোথাও এই মার্বেল দেখলে দাঁড়াইয়া পরি আর চিন্তা করি "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইটাম"।
লাটিমঃ সম্ভবত মার্বেলের পর লাটিম ছিল অন্যতম জনপ্রিয় খেলা।লাটিমের দাম ছিল অতি সস্তা ২,৩,৫ টাকা।তবে গাব গাছের লাটিম ছিল সবথেকে ভাল, বলতে গেলে লোহার মত শক্ত।
ঘুড়িঃ ঘুড়ি বলেন আর ঘুড্ডি বলেন, জিনিস একই। নিজে না হয় আকাশে নাই উড়তে পারলাম কিন্তু ঘুড়ি তো উড়াইতে পারছি, তাই অনেক মজা। তবে ঘুড়ি উড়ানো সব সিজনে সম্ভব না। কর্দমাক্ত আকাশ এবং মেঘযুক্ত মাঠ, এই ঘুড্ডি উড়ানোর জন্য ছিল চরম সর্বনাশ।
সাতচাড়াঃ ওমাগো গেছিরে........সাতচাড়া খেলেছেন অথচ টেনিস বলের আঘাত পান নাই এমন ব্যাক্তি খুব কমই আছে। এই খেলার জন্য সাতটি চাড়া একটার উপর একটা বসিয়ে স্তম্ভের মত বানানো হত। একদল টেনিস বল দিয়ে এই স্তম্ভ ভাঙত আরেক দল অপর পক্ষকে টেনিস বল দিয়ে আঘাত করত বা ফাটিয়ে দিত।
বেয়ারিং গাড়িঃ রিক্সার তিনটি বেয়ারিং আর কিছু কাঠের তক্তা দিয়ে ত্রিভুজাকৃতির এই গাড়িটি বানানো হত।ছোট বেলায় একজন এটাতে বসত আরেকজন পিছন থেকে ঠেলা দিত। অবশ্য আমার বাসা চট্টগ্রামে পাহাড়ের সাথে হওয়াতে আমি এবং আমার বন্ধুরা পাহাড়ের ঢালেই এটা চালাতাম। ফুল ইস্প্রিডে পাহাড় থেকে নিচে নামার মজাই আলাদা।
পটাশঃ পটাশ নামের এক গাছের ফল এটাতে ব্যবহার হত বলে এই অস্ত্রের নাম পটাশ। ছোট বাঁশ দিয়ে বানাতাম পিস্তলের মত অস্ত্র আর পটাশ গাছের ফল ছিল তার বুলেট। পটাশ মারার সাথে সাথে বাঁশের নল দিয়ে ধোঁয়া বের হত, আর গায়ে লাগলে কি যে ব্যাথা।
আরও অনেক খেলা খেলেছি সেই দুরন্ত শৈশবে- কানামাছি, গোল্লাছুট, দারিয়াবান্ধা,বোউচি ইত্যাদি। আরেকদিন না হয় সেইসব বর্ণনা দিব। সবাইকে ধন্যবাদ।
১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১১
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: শৈশবের স্মৃতিগুলো সবসময় সুন্দর হয়। ইস যদি আবার শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইটাম"।
দারুনসসসসসসসসসসসসসসস!!!!
১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: টাইম মেশিন পাইলে ভাল হইত, পিচ্চিকালে ফিরে যাইতাম
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ডাংগুলি টা সেইভাবে কখনো খেলিনাই। রুটিপিটা খেলছেন? নৃসংশ খেলা ছিল পুরাই। আমিতো হাড়িপাতিল, কুতকুত, বউচি, ফুল্টোক্কা এইসবও খেলছি। আমাদের হাউজিং এ সবাই সব খেলতো। মাইয়ারাও ফুটবল ক্রিকেট খেলতো, পোলারাও কুতকুত। একসাথে মিশলে এখনকার মত হায় হায় রব উঠতো না।
পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: আপনার জন্যও রইল অসংখ ধন্যবাদ
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
অশ্রুকারিগর বলেছেন: মার্বেল আর বেয়ারিং গাড়িটা খেলতে পারিনাই। শহরে বড় হইলেও ঘুড়ি উড়াইছি, ডাংগুলি, সাতচারা, পটাশ এগুলো ছিল।
আমার ছোট ভাই-বোন সাতচারা কিংবা ডাংগুলি জীবনে চোখেও দেখেনাই।
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৮
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: আমাদের ছোট ভাই বোনরা চোখে দেখে খালি কম্পিউটার গেমস
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সুমন কর বলেছেন: দিলেন তো সব মনে করিয়ে......... অল্প হলেও খেলেছিলাম, বেয়ারিং গাড়িটা খেলা হয়নি।
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২০
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: সব মনে করিয়ে আনন্দ দিলাম না কষ্ট দিলাম? ঠিক বুঝলাম না
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৯
অন্তু নীল বলেছেন: সবগুলাই খেলছি। সাচ্চা গেরামের পোলা বইলা কথা। খালি হাত থেইক্যা কাটা চামচ, সব যায়গায় বিচরণ।
হা হা হা,,,,,।
ভালোলাগা রেখে গেলাম।
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২২
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: আমারও কিন্তু খালি পা থেকে পার্টি সু, সব জায়গায় বিচরণ।
আপনার জন্যও রইল অনেক ভালোলাগা।
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:০৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ডাঙগুলি আমরা বলতাম ফুতি ডান্ঠি।
আর সাতচাড়াকে বলতাম বোমবাস্টিং।
এ
মারবেলে একে এন্দুর দুইয়ে দাঁত, তিনে তেলি ছিল আমার প্রিয়
১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩১
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: আসুন আমরা সবাই মিলে ছোটবেলার স্মৃতিতে হারিয়ে যাই
৮| ১৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০৯
আফ্রোদিতে বলেছেন: মার্বেল বাদ দিয়ে সব খেলছি।। মেয়ে হয়েছি কিন্তু ডাংগুলি খেলায় ছিলাম পটু। শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিলেন। অস্থিররকম ভাবে ভালো ছিলাম তখন। বাঁধার শাষণ যে ছিলো না। এখনকার বাচ্চারা তো ওইসব খেলেই না। শুধু কম্পিউটার নিয়ে সারাদিন পরে থাকে।।।
১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৮
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: কি আর কইতাম, এখনকার বাচ্চাগুলা হইল ফার্মের মুরগী। দোষ অব্শ্য তাদের না,অভিভাবকদের
৯| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আহ শৈশব! আহ! মার্বেল,ডাঙ্গুলী,সাতচারা বেয়ারিং গাড়ি।
গ্রামে বড় হয়েছি তাই এ্ই খেলাগুলি খুব মজা নিয়ে খেলতাম। সেই দিন আর নাই।
তবে গোল্লাছুট, বউচি, কানামাছি এগুলো নিয়েও লিখেন।
পোষ্ট প্লাস।
২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
আউলাঝাউলা পাগল বলেছেন: ইনসাআল্লাহ গোল্লাছুট, বউচি, কানামাছি এগুলো নিয়েও হয়ত পরবর্তী কোন একসময় লিখব
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মার্বেল আর ডাংগুলি সাত চারা খেলি নাই ...
ছবিগুলি শৈশব মনে করিয়ে দিলো