![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে আবার পেছনে তাকাল, শেষ আশা নিয়ে। যদি কেও তাকে ফিরায়। নাহ। কে ফেরাবে তাকে? এই জগতের কী দরকার তাকে? অস্তিত্তের আবির্ভাব ঘটবে আবার তা মিলিন হয়ে যাবে এখানে হারনোর কি আছে? জীবের জর হওয়ার প্রক্রিয়ায় একটা পরমাণুরও সৃস্টি বা ধংশ ঘটে না। রবিন একটা ছোট নিশ্বাস ফেলে আবার এগিয়ে চলল। সে এরকম ছিল না। সেও ছিল মানবতায় বিস্বাসি, মানব ইতিহাসে প্রভাবিত, সুখ-দুঃখ আবেগ-সংবেদন এর দাশত্তে বন্দি একজন সাধারণ বালক। এমনও নয় যে রাতারাতি এসবের সারা ঘটে সে বুদ্ধায় পরিনত হয়েছে। এ ধারা রোধ করা আদৌ তার পক্ষে সম্ভব নয়। শুধু সম্ভব একটা গল্প বানিয়ে তা নিয়ে পথ চলতে থাকা। আর পথ চলতে যখন আর সেই গল্পে মন ভরবে না তখন নতুন একটা গল্প আবিষ্কার করা। আর যখন এই গল্প-জল্পতে জীবন ধারন করা যখন আর সম্ভব হবে না, চিরচেতন মনের সাথে যুদ্ধে যখন তাকে পরাজয় স্বীকার করতে হবে তখন সমাজের সাথে বিশ্বাসের বাধন ছিন্ন করতেই হবে। তাছাড়া এই মূল্যহীন অস্তিত্তে প্রত্তেকটা মুহূর্ত যন্ত্রণা শূন্যই প্রকৃত, শূন্যই উৎকৃস্ট। এই পর্যায়ে সমাজের ও রবিনের কোন প্রয়োজন নেই, সমাজ ও তার চিরকল্যাণকর অর্থনীতির ও রাজনীতির চোখে সে একটা লস্ট কজ। অবশেষে যখন পথ ফূরাল ও তার সামনে এই বিশাল জনহীন খাদ দৃশ্য হল তার চোখে পানি টলটল করতে লাগল। দিনশেষে সেও তো সুতোয় বাধা ঘুড়ি, এই বিশ্ব তার সুতোয় ধরে যেভাবে নাড়াবে সে সেভাবেই নড়বে।
জীবন কে বেনিফিট অফ ডাউট দেয়া মন্দ শুনায় না। বাঁচার জন্য বাঁচা, আরেকটি গল্পের প্রভাত। তবে সংশয়ে বাঁচা তেমন খারাপ শোনাচ্ছে না। প্রকৃতি যা প্রকাশ করে নি তা নিয়ে হতাশ হয়ে কি হবে। প্রশ্নের গোঁড়ায় সারা জীবন পড়ে থাকার মদ্ধেওতো একটা এডভেঞ্চার আছে। সেই কৌতূহলেই সময়টাকে প্রত্যক্ষ করে দেখা যাক।
©somewhere in net ltd.