![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সাধারণ মানুষ গুলোর মধ্যে আমি নিতান্তই এক সাধারণ মানুষ। অহংকার করার মতো আমার নেই কোন মহৎ যোগ্যতা, রুপ আর ধন। তাই আমি সাধারণ মানুষ।
আজ আমি আপনাদের নিকট কিছু কথা নিয়ে হাজির হয়েছি। যা আমাদের সাধারণ জনগনের কথা, যেটা আমাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে, যেটা আমরা পাওয়ার দরকার ছিল সেটা। কিন্তু সে ব্যপারে আমরা কয়জন কথা বলি বা বলতে চাই আমাদের বিবেক কে জিজ্ঞাসা করলেই উত্তর পাব। সেটা হলো রাজনীতি, দূর্ণীতি, শাসন, শোষণ ও সত্যের কথা উম্মোচন। ১৯৪৭ সালে আমরা বহু কষ্টের বিনিময় আমাদের পরাধীণতা থেকে মুক্তি পেয়েছি। প্রায় দুইশত বছর আমরা নানা প্রচেষ্টা করেছি কিন্ত এই পরাধীনতার জাতা-কল থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি। দুইশত বছরের সাধনা আমাদের সেই মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা কি মুক্তি পেয়ে্ছি???? প্রশ্নটা আমাদের সাধারণ মহলে নয় উচ্চ মহলে রয়ে গেল। আবারও কি আমরা পরাধীন হতে হলো? এবার আবার অন্য ভাবে আমরা শোষিত হতে থাকলাম। কেউ নানা প্রকারের স্বার্থ হাসিল করতে থাকে আবার কেউ স্বার্থের জন্য নানা প্রকার জাল পাত তে থাকে . কি হলো তার ফল ? বাংলাদেশের কিছু স্বার্থবাদি লোক তাদের স্বার্থ সম্পন্ন করার জন্য শাসক গোষ্ঠি অর্থাৎ পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে যোগ দিল। আবার কিছু লোক কে ভারত সরকার নানা প্রকার লোভ দেখিয়ে তাদের মধ্যে নিয়ে গেলো। ফলে আমাদের কিছু অসহায় লোক না পারছে পাকিস্তানীদের হয়ে কাজ করে রাজাকার হতে, আবার না পারছে ভারতীয়দের দালাল হতে, কি হলো তাদের ? তারা নিজেদের জন্য বাছার জন্য দুমুঠো ভাতের জন্য বাংলাদেশের জন্য শত্রু মোকাবেলা করার জন্য হাতে যা পেয়েছে তা নিয়ে যুদ্ধ করতে শুরু করেছে। তা শুধু পাকিস্তানী রাজাকার বাহিনীর বিরোধ্যে নয় মাঝে মাঝে ভারতের দালালি করা বা নিজের স্বার্থে যুদ্ধ করা লোকেদের বিরুদ্ধেও হাতিয়ার নিতে হয়েছে।
শুরু হলো সত্য আর মিথ্যার দ্বন্ধ। যারা যে ভাবে পেরেছে, তারা সেভাবে অন্যের উপর প্রতিশোধ নিয়েছে। মনে করেন আপনার আর আমার শত্রুতা ছিল। কিন্ত আপনিও রাজাকার বা মুক্তিযোদ্ধা নন, আমিও না। কিন্ত আমি হয় মুক্তিযুদ্ধা দের কে বলব আপনি রাজাকার, না হয় রাজাকারদের বলব আপনি মুক্তিযুদ্ধা এরকম বলে হত্যা নামক কর্ম কান্ড চালাছিল । সারা দেশ যেন নরকে পরিণত হলো, মানুষ মানুষের রক্ত চুষে নিতে লাগলো। জয় পরাজয়ের লড়াই। সারাদেশে নানা কলা কৌশলে সবার স্বার্থ নামক কথাটি হাসিল হতে লাগল। আবার হত্যা আর হত্যা । নয় মাস রক্ত ক্ষয়ি যুদ্ধের পর আমাদের দেশ আবারও স্বাধীন হলো। আমরা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামক দেশের নাম নিয়ে হাজির হলাম। আমাদের যুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা যেন ইতিহাসের পাতায় পাতায় ভরে গেল। কিন্তু আসলে কি আমরা সত্যি স্বাধীন হতে পেরেছি? বাংলাদেশ কি এখন পুরোপুরি স্বাধীন? প্রশ্নটা রয়েগেল সবার নিকট।
আজ ২০১৮ সাল আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে ১৯৭১ সালে এই ৪৬ বছরে আমরা কি পেরেছি আর কি পারিনি তা পুরো বিশ্লেষণ করলে বুঝা যাবে। কিন্তু আমার সময় নেই সেগুলো বিশ্লেষণ করার আর পাঠকেরও সময় নেই পড়ার জন্য।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশকে শেখ মুজিবর রহমানকে দেওয়া হলো জাতির জনক, তাই তিনি তিনার মতো করে দেশ চালাতে চেয়েছেন।
কিছু দূর্ভিত্ব ও দেশ দ্রোহীদের হাতে তিনি নিহত হলে দেশের দায়িত্ব ভার নিতে এসেছেন, মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণাকারী জিয়া উর রহমান। তিনি আবার তিনার মতো করে দেশ কে চালাতে চেয়েছেন। তিনাকে আবার দূর্ভিত্ব ও দেশ দ্রোহীরা হত্যা করেন। তাই আবার ও তিনার মত পরিবর্তন হয়ে গেল।
আসলো এরশাদ সাহেব তিনি মোটামুটি দেশকে তিনার মতো করে সাজিয়ে ৯ বছরের মতো চালালেন, আবারও দেশের অধিকাংশ লোক তাদের মতে এরশাদ শৈরাচার তা বিতাড়িত করার জন্য সবাই পাগলের মতো হয়ে গেল। এবার আবার বিএনপি বনাম আওয়ামীলী শুরু হলো পালা বদল করে।
এই দুই দল ইচ্ছা করলে আমাদের দেশের বাহিরের চিত্র্য পরিবর্তন করে দিতে পারে, কিন্তু এরা কি তা করে আদো ? যখন আমাদের দেশের কোথাও সামান্য পরিমান ও উন্নয়ন মুলক কাজ করতে যায় ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলী তার তিনটা বাক্যের বেশি বক্তব্য দিতে পারে না ।
১। আমরা যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করছি।
২। বিএনপি সারাদেশকে নষ্ট করে দিয়েছে।
৩। জামাত শিবির রেজাকার
আবার বিএনপি যেহেতু ক্ষমতায় নেই চুরিও কম করতে পারে? তাই তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিছু বক্তব্য আছে। সেগুলো হলো আওয়ামীলীগ নাস্তিক শেখ হাসিনা কাফের - বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রয় করে দিবে। আমরা দেশে আসলে সোনার মতো করে দিব বাংলার জমিনকে।
আমার প্রশ্ন কেন এই গালাগালি, দোষারোপ দেওয়া হয় । আমরা কি ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারে না ?
আওয়ামীলীগ যদি সত্যিই জনপ্রিয় হয় তাহলে কেন তারা তত্বাবধায়ক দিতে চায় না। আর বিএনপি যদি এতই ভালো হয় তাহলে কেন ছিয়ানব্বইতে তত্বাবধায় বাদ দিতে চেয়েছে। আমাদের রাজনীতি বিধদের মানসিকতা পরিবর্তন করা উচিৎ আমাদের ভিতর দেশ প্রেম থকালে আমরা ঠিকই দেশের উপকার করতাম এবং একে অপরের পরিপারুক হয়ে দেশের কাজ করতাম।
©somewhere in net ltd.