নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রথমে কিছু জানার চেষ্টা করো, তারপর কিছু বল।

মো ফরহাদ

পৃথিবীর সাধারণ মানুষ গুলোর মধ্যে আমি নিতান্তই এক সাধারণ মানুষ। অহংকার করার মতো আমার নেই কোন মহৎ যোগ্যতা, রুপ আর ধন। তাই আমি সাধারণ মানুষ।

মো ফরহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কষ্টের ভালোবাসা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫



======মোঃ ফরহাদ হোসেন=====
তখন আমি মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানিবিদ্যা বিভাগ থেকে ৫ম সেমিষ্টার দিয়েছি। বাড়িতে আসলাম তিন দিন হলো দুইদিনই বৃষ্টির কারণে বের হতে পারিনাই। বৃষ্টি থামার পর আমি বের হয়ে মেঠো পথে বাজারের দিকে যাচ্ছি। হঠাৎ দেখি আমাদের গ্রামের বিদ্যালয় ছুটি হলো । ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয়ের থেকে কাঁদা মাটি পাশ কেটে কেটে যাচ্ছিল। আমিও তাদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ একটা মেয়ে আমার সামনে এসে পা পিছলে পড়ে গেলো। আমি না জানতেই হেসে দিলাম। আসলে আমি ইচ্ছা করে হাঁসি নাই। সেই আমার দিকে তাকিয়ে খুব রেগে মেগে বলল ফাজিল কোথাকার। আমি বললাম তাও ভালো আবার পড়ে যাবার দরকার। সেই আমার এই কথা শুনে বলল বেয়াদব কোথাকার। আমি আবার ও হেসে দিলাম।আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আবার হাটার সাথে সাথে সে আবারও পা পিচলে এবার পাশের ধান খেতে পড়ে গেলো। আমি দোঁড়দিয়ে তাকে তোলার জন্য গেলাম। তার হাতে পিঠের বইর ব্যাগটা আমি নিজের হাতে নিলাম সে নিজে নিজে উপরে উঠলো ।সে এবার আমাকে মনে হয় গালা গাল দিবে এভাবে তাকাচ্ছে। আমি বললাম স্যরি, আপু আমি আসলে ইচ্ছে করে হাসি নাই । রিয়েলি স্যরি। সে আমার দিকে তাকিয়ে আর কিছু বললনা। চলে গেলো। আমি বেপারটা ভুলে গেলাম। আমার ৬ষ্ঠ সেমিষ্টার দেওয়ার পর আমাদের পড়া লেখার চাপ কমে গেলো। তাই আমি আবার বাড়িতে চলে এলাম তিন মাসের জন্য ।আমার আসার খবর পেয়ে কয়েকজন এস এসসি পরীক্ষার্থী আমাকে বললো তাদের পড়ানোর জন্য ।আমিও রাজি হয়ে গেলাম। তাদের প্রাইভেট পড়ানোর জন্য আমি গেলাম। পাড়ানোর মাঝে একটা মেয়ে আমাকে এসে বলল স্যরি ভাইয়া ।আমি বললাম কেন ? সে বলল- সেদিন আপনাকে আমি যে বকা বকি করেছি। এটা বলার সাথে সাথে আমার মনে পড়লো তার সেই দিনের কথা। আমি তাকে বললাম আমার আসলে মনেই ছিলো না সেদিনের কথা। তুমি বলার সাথে সাথে মনে হলো। সে বলল আমি আসলে বলতে পারবোনা যে আজ আমাদের কে আপনি পড়াতে আসবেন। তহলে আমি আগেই আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতাম।আমি তাকে বললাম ওকে ভুলে যাও সেদিনের কথা।পড়ানোর পর সবাইকে বললাম কেমন লাগলো তোমাদের কাছে আমার পড়া। সবাই বলল ভালো লেগেছে। পরে সবার নাম জীজ্ঞাসা করার মাধ্যমে জানতে পারলাম তার নাম জান্নাতুল ফেরদোস শিরিণ । আমি তাকে শিরিণ বলেই ডাকতাম । পড়ানোর কয়েকদিন পরে, একদিন. এক আংকেল আমাকে এসে ডাকলো।আমি গেলাম। তিনি আমাকে বলে কেমন আছো রুম্মান । আমি বললাম হুম ভালোই।আপনি কেমন আছেন? বলল ভালোই আছি ।আমি আসলাম একটা কথা বলতে ।আমার কথাটা তোমার রাখতে হবে । আমি বললাম বলুন রাখার চেষ্টা করব। তিনি বললেন আমি শিরিণের বাবা। ওহ জি আংকেল বলেন। তুমি আর কত দিন আছো বাড়িতে? আর প্রায় আড়াই মাস আছি। তাহলে আমার শিরিণকে একটু আমার বাড়িতে পড়াতে হবে। আংকেল আমি তো সময় পাইনা। তিনি আমাকে এমন ভাবে বললেন আমি আর কথাটা না রেখে পারলাম না। আমি তার পর দিন সন্ধার পর পর তাকে পড়াতে গেলাম। গিয়ে দেখি, তার বাবা মা আমার আসার অপেক্ষায় আছেন। আমি গেলাম শিরিণ আসলে কয়েকটা বিষয় খুব ভালো পারতো না, বিশেষ করে জীববিজ্ঞান।আমি আবার জীববিজ্ঞানে ভালো পারতাম। তাই আমিও তাকে পড়াতে আনন্দ পেতাম। খুব বেশি দিন হলো না তাদের পরিবারের সাথে আমার সম্পর্ক হয়ে গেলো। আমি তাদের সবার সাথে খুব মিশে গেলাম । শিরিণেরও পড়া ভালোই চলতেছিল। আমি তিন মাস পড়ানোর পর আবার ভার্সিটিতে পিরে যাবো । তাদের কে বলে গেলাম আবার তিন মাস আমার ক্লাস রেগুলার চলতে থাকবে। তাই আমি আর এই তিন মাস পড়াতে পারবো না। আমি আসার দিন শিরিণ আমার দিকে তাকিয়ে প্রায় কেঁদে ফেলবে মনে হচ্ছে, তার এই অবস্থা দেখে আমি তাকে বললাম, আমি তোমাকে ভালো কাউকে ঠিক করে দিব? শিরিণ - না লাগবে না। ভার্সিটিতে আসার পর আমি সব ভুলে আমার পড়া লেখায় মনোযোগ দিলাম। তিন মাস পর আবার আমার হাফ সেমিষ্টর হয়ে পড়ার চাপ কমে গেলো । আমি আবার তিন মাসের জন্য বাড়ি ছলে আসলাম। শিরিণের বাবার সাথে প্রথম দিনেই দেখা। আমাকে দেখে বলে আংকেল তুমি কখন আসলা। আমি- জি মাত্র আসলাম । তিনি বলেন আমাদের বাসায় আসিও রাতে। আমি বললাম আজ না কাল আসব । তিনি বললেন ঠিক আছে। আমি মনে করলাম আমাকে এমনিতে ডাকলো। কিন্তু আমি বাসায় গিয়ে মাত্র বসলাম, শিরিণ বই পত্র নিয়ে হাজির। আমি অবাক হয়ে বললাম আমি কি তোমাকে পড়াতে আসলাম। শিরিন- মানে? আব্বু না আপনাকে কাল বললো আমাদের বাসায় আসার জন্য। আমি- তো,আসলাম তো ! কিন্তু উনিত আমাকে পড়ানোর জন্য বলেনি। সে- তাহলে কি আমার রূপ দেখতে আসতে বলেছে। কথা শুনে আমি খুব রেগে গেলাম আমি বললাম এটা কোন ধরণের কথা? শিরিণ- ওমা, আবার মাইন্ডের কি আছে এখানে আমিতো আপনাকে কিছু খারাপ বলিনি। তার পর বললাম আমি কি কয়েক দিন শান্তিতে থাকতে পারবো না। শিরিণ আমাদের মাঝে আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে? আমি- আচ্ছা দাও বই খাতা নাও। পড়ানোর কিছুখন পর দেখি তার মা আমার জন্য দুধ নিয়ে আসলো সাথে অনেক ধরণের পিঠা। তিনি বললেন আগে খেয়ে নাও বাবা। আমি- তাহলে শিরিণকে খেতে দিবেন না? শিরিণ- ওমা, আমি কি আপনার দিকে চেয়ে থাকব? আপনি খেলে আমিও আপনার এখান থেকে খাব। শিরিণের মা- না না। তুমি আমাদের সাথে খাবে। শিরিণ - জি না। আমি স্যারের সাথে খাব। পরে সে আমাকে ভালো ভাবে খেতে দেয় নি ।আমি হাতে নিলেই সে নিয়ে যেতো। তার এই বয়সে ছেলে মানুষি দেখে আমি অবাক হলাম। কিছু খন পর সে তার মাকে বলল মা আরো দাও ।আমি সব খেয়ে পেলেছি। তার মা- কি!!! তুই না দেখলাম কারো সামনে খেতে চাইতে না? সে বলে কারো সামনে আর উনার সামনে তপাৎ আছে। আমি অবাক হলাম। এই তিন মাসের ভিতরে আমার সাথে শিরিণের অনেক আচরণ আপত্তি জনক এবং আমার কাছে কি যেন অন্য রকম লাগতো। একদিন তার মা আমাকে ভাত খেতে দিলো সে হঠাৎ কোথা থেকে এসে আমার প্লেট থেকে ডিম নিয়ে পালিয়ে গেলো। এই ভাবে দিন যত বেশি হয় সে তত ছেলে মানুষি করতে থাকে। এগুলো দেখে তাকে একদিন বললাম শিরিণ একটা কথা বলি মাইন্ড করবে? শিরিণ- কেন গালাগাল দিবেন? আমি- মানে? শিরিণ- তাহলে মাইন্ড করব কেন? আমি- তোমার সাথে কারো সম্পর্ক আছে? শিরিণ- না, তবে আমি একজনকে অনেক ভালোবাসি। আমি- কে? শিরিণ- না বলা যাবে না। যাকে ভালোবাসি সেও যানে না। আমি - তাহলে লাভ নাই। সে যদি অন্য কাউকে ভালোবাসে? শিরিণ- আমি যতদূর জানি, তিনি কাউকে ভালোবাসেনা। কারণ আমি উনার মোবাইল অনেক বার চেক করেছি তিনি কারো সাথে কথা বলে না। উনার ছোট বোন কে জিজ্ঞাসা করেছি। সেও বলল । সে কখনো কারো সাথে কথা বলতে দেখেনি।
কথা গুলো শুনে আমার কেন যেন মনে হলো শিরিণ কথা গুলো আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতেছে। আমার সন্দেহ হলো তাই আমি তাকে বললাম তুমি যদি না বলো, তাহলে আমি আর তোমার সাথে এভাবে কথা বলব না। শুধু পড়াবো আর ছলে যাব। শিরিণ মুখ মলিন করে বলে একটা কথা দিবেন ? আমি হ্যাঁ দিবো । বলতে পারো। শিরিণ- আমার মা, বাবা কাউকে বলতে পারবেন না। আমি- আরে পাগলী আমি তোমার মা বাবাকে বলবো কেন? আমি কি পাগল নাকি। শিরিণ কাঁন্না কাঁন্না কন্ঠে বলল আমার ভালোবাসার মানুষ হলো আপনি। আমি কিছু না বলে সোজা উঠে চলে আসলাম। শিরিণ আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাইলো। আমি সুযোগ দিলামনা। বাড়িতে আসার পর আমার আর সেদিন ঘুম হলো না। সারা রাত কথা গুলো আমার মনে পড়েছে। পরের দিন আর গেলাম না। তার পর দিন শিরিণের বাবা আমাকে দেখে বল, তুমি কি অসুস্থ্য? আমি না আংকেল। তিনি- তাহলে আমাদের বাড়ি গেলা না কেন? কাজ ছিলো ? আমার মুখের দিকে তাকিয়ে গভীর দেখে বললো। এই রুম্মান তোমাকে আমাদের কেউ কিছু বলেছে? নাকি শিরিণ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে? আমি হাসলাম আর বললাম না তেমন কিছুনা। আরো পনের দিন গেলো শিরিণ আমাকে জোর করে তাকে ভালোবাসার জন্য বাধ্য করেছে। আমি ও তাকে ভলোবেসে ফেললাম। আমার পরীক্ষা শেষ হলো ভালো রেজাল্ট করলাম। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাই চাকুরী পেতে কষ্ট হলো না। আমার চাকুরী খোঁজাখুজীর সময়েই শিরিণ আমাকে কতবার বলতো তাকে লোকজন দেখতে আসে। আমি কিছু একটা কররা জন্য। চাকুরী হওয়ার সাথে সাথে আমি আমার মাকে বললাম। মা রাজি হলো না। অনেক কষ্টে রাজি করালাম। এবার সোজা শিরিণের বাবাকে বললাম। তার বাবা শুনার সাথে সাথে রেগে মেগে গেলেন। তিনি আমাকে অনেক বকা দিলেন, আর বললেন আমি যেন কোন দিন তাদের বাড়ির পাশেও না যাই। কথা গুলো খারাপ লাগলো কিন্তু কি করার আমিও যে তাকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছি। সে দিন তার বাবা তাকে অনেক মেরেছে। আর কোন দিন তার গায়ে হাত তুলে নি । তার পরে তিনি আরো জোরালো চেষ্টা শুরু করলেন তার বিয়ের জন্য। শিরিণ আমাকে অনেক চাপ দিলো তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি রাজি ছিলাম না । কারণ মান সম্মান আছে। কিন্তু শেষে মেষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হলাম ।বিয়ে করে ফেললাম । বিয়ের তিন দিনের মাথায় আমাদের বাড়িতে পুলিশ। আমার বাবাবে ধরার জন্য আসলো আমার মা ফোন দিলে শিরিণ আর আমি বাড়ি চলে আসলাম। পুলিশ আমাকে ধরতে চাইলো। শিরিণ পুলিশ কে বলল কেন উনাদের হয়রাণি করতেছেন? পুলিশ বলল তোমার বাবা বলল তুমাকে অপহরণ করলো তাই। শিরিণ বলল তিনি আমাকে অপহরণ করেন নি। আমি তাকে বাধ্য করেছি আমার সাথে পালানোর জন্য। এই সময় শিরিণের বাবা এসে হাজির হলো। তিনি বলল সাত্যি যদি হয় তাহলে আজ তোমার কাছে দুইটা অপশান আছে । এক, রুম্মানকে ছেড়ে আমাদের কাছে আসবে। দুই, আমাদের ছেড়ে রুম্মানের কাছে যাবে । আমি তাকে তার বাবার সাথে পিরে যাওয়ার জন্য বললাম সে কাঁন্না করে দিলো আর বলল আপনি যদি আজ আমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেন তাহলে কালই বা পরশু আমার মরা মুখ দেখবেন। আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। শিরিণের বাবা পুলিশের সামনে তাকে নাদাবি নামা লিখে আমার কাছে রেখে চলে গেলেন। আমাদের পরিবার ভালোই চলতে ছিল। শিরিণ মাঝে মাঝে কাঁন্না করতো । অনেক কষ্ট করে তার মাকে ম্যানেজ করলাম। তখন তার মা গোপনে শিরিণকে দেখতে আসতো। এর মাঝে শিরিণ গর্ভবতী হলো। তার অসুস্থ্যতার কথা শুনে তার বাবা রাস্তায় আমাকে ডাকলো ।আমি সেদিন এতো খুশি হলাম যে শিরিণের বিয়ের দিনও এতো খুশি হই নাই। আমি দোঁড়ে গিয়ে উনাকে সালাম দিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি। তিনি অনেক সময় ধরে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। পরে বলে বাবা স্যরি। আমি কথাটা শুনার সাথে সাথে তিনার হাত ধরে বলি একথা বলেন কেন? তিনি- শিরিণ কেমন আছে। আমি- সে খুব অসুস্থ্য ।আমার মা আমাদের পরিবার দেখা ও তাকে দেখা এগুলো সব পারে না। আমার বোনটা দুই তিন দিন ছিলো । পরে তার বর তাকে আবার নিয়ে গেলো। তিনি- আমি শিরিণের মাকে নিয়ে তোমাদের বাড়িতে আসলে তোমার বাবা কিছু বলবেন? আমি- না। তিনি আমাকে কালও বলেছে আপনাদেরকে খবর দিতে? কিন্তু আমি আপনার ভয়ে যাইনি। আপনি কখন আসবেন? তিনি- তাহলে আমরা কাল আসব।
এর পরের দিন আমি বাজার করলাম তাদের পরিবারের সবাই আসলো আমাদের বাড়িতে। এই ভাবে তাদের সাথে আমাদের মিল হয়ে গেলো ।আমার এক বাচ্ছা মেয়ে হলো। তার বয়স পাঁচ বছর আর কোন বাচ্চা হয় নি। আমার বাচ্চাকে তিন বছরের মাথায় একটা বিদ্যালয়ে ভর্তি করালাম। আমার ভালো বেতন ছিলো তাই আমাদের পরিবারে কোন অসুবিধা হতো না। শিরিণ এই সাত বছরে আমি বাড়ি থাকার সময় আমাকে ব্যতিত কখনো খেয়েছে কিনা আমার মনে পড়ে না। মাঝে মাঝে আমার খুদা না লাগলে সেও খেতোনা তার খুদা নেই বলে জানাতো। একদিন আমরা আমার নানুর বাড়িতে গেলাম। আমার বাবা মাকে প্রথমে একটা গাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম আমার বাচ্চাকে সাথে করে। পরে আমরা দুজন অন্য গাড়িতে আসতে লাগলাম পথে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলো আমরা নেমে দাঁড়ালাম। হঠাৎ করে একটা ট্রাক শিরিণকে ধাক্কা দিতে লাগলো সে অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলো ।তাই সে দেখেনাই আমি তাকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রাকে ধাক্কা খেলাম ।আমার শরীরের অনেক অংশ ক্ষতবিক্ষত হলো। কিন্তু শিরিণের ক্ষতি হয় নাই সামান্য ব্যথা পেলো। শিরিণ আমার মা, বাবাকে ফোন করলে তারা আসলো তারা সহ আমাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করালো ।আমি বেঁচে গেলাম কিন্তু আমার জীবন সে দিন থেকে যেন প্রতিবন্ধী হয়ে গেলো। আমি অনেক যন্ত্রনার মধ্যে আছি। আমার কোম্পনির সাথে আমার ভলো সম্পর্ক ছিলো। তাই সে আমার সব খরচ বহন করেছিলো। এবং আমার মৃত্যুর আগ পর্যছন্ত আমার খরচের ব্যবস্থা করেছেন। আমি তিনার ঋণ কখোন পরিশোধ করতে পারবোনা। কিন্তু আমার এই অবস্থার দুই মাসের মধ্যে শিরিণ যেন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেলো ।সে আমার কথার অবাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। যতো দিন সেখানে থাকে, আমার কথা জিজ্ঞাসাও করেনা । এখন সে আমাকে ব্যতিত নিযেই খেয়ে নেয়। আরো পাঁচ মাস পর একদিন শিরিণ আমার বাবা মাকে বলে সে আর পারতেছেনা। সে বাবার বাড়ি যাচ্ছে ।তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। ঠিক সে দিন দুপুরে আমার মেয়েটা কে নিয়ে বের হয়ে গেলো ।আর আসলোনা। পনের দিনের মাথায় একদিন দেখি আমাদের গ্রামের চকিদার একটা চিঠি নিয়ে আসলো। হাতে নিয়ে দেখি শিরিণের ।আমি মনে খুব আনন্দিত হলাম তার হাতের চিঠি দেখে। কিন্তু তার দেওয়া চিঠি খুলে আমি যেন আবার সেই ট্রাকের নিছে পড়লাম এমন মনে হলো। কারণ শিরিণ আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠালো। আমি কাঁন্না করতে থাকলাম আমার মা আমার হাত থেকে সেটি নিয়ে ছিড়ে ফেললো আর কাঁন্না করতে করতে চলে গেলো আমার সামনে থেকে । আজ পাঁচ দিন হলো শিরিণ আমাকে ডিভোর্স দিলো। আজ সকালে এসে এক লোক বলল শিরিণের নাকি আরেকটা বিয়ে আজ। কথাটা শুনার পর আর যেন কানে শুন্তে পাচ্ছি না। আমাকে কেন সে এতো বড় ব্যথা দিলো আমি নিজের জীবন দিয়ে তাকে বাঁচালাম ।আর সে আমাকে এভাবে ধোঁকা দিলো ---- আমার বাকি জীবন কিভাবে যাবে জানিনা ।তবে আজ বিকেল পযন্ত কিছু খাই নি কারণ আমার আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
বিঃদ্রঃ গল্পটা সম্পুর্ণ আমার নিজের তৈরী তাই আমি নাম ঠিকানা ভালো ভাবে দিতে পারি নাই।
আমার গল্পটা কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এবং লাইক দিবেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১০

আবু আফিয়া বলেছেন: ভাল লাগল, ধন্যবাদ

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাল। সুন্দর পরিপাটি লেখা। আপনার লেখা কি প্রথম পাতায় যায়?

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর গল্প তবে বানানের দিকে আরো মনোযোগী হতে হবে ভাইয়া।

২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

মো ফরহাদ বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে, তারেক মাহমুদ ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে ভালো একটা পরামর্শ দেওয়ার জন্য, ভবিষ্যতে বানানের দিকটা দেখার চেষ্টা করব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.