নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেধা যাচাই ????
বলছিলাম ভর্তি পরীক্ষা আর চাকরি পরীক্ষার কথা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে । এই দুটোতে অনেক প্রার্থী আবেদন করলেও সামান্যই ভর্তির সুযোগ পায় । কারণ ধারণক্ষমতা কম কিংবা পদ কম । কিন্তু এই পরীক্ষায় না টিকলে বা পাস ফেইল করলে কিংবা সিরিয়ালে আগে পরে থাকলে আপনি কি এই কথা বলতে পারেন যে কেউ বেশি মেধাবী আর কেউ কম মেধাবী ????
মোটেও না । আর যদি এতদিন এই ধারণাই পোষণ করে থাকেন তাহলে সেটাও ভুল ।
বাংলাদেশ এর ভর্তি পরীক্ষা বা চাকরি পরীক্ষা কোনক্রমেই শিক্ষার্থীদের মেধার কোন যাচাই পরীক্ষা নয় । এটাকে বলে স্ক্রিনিং বা বাদ দেয়ার উপায় । অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন কিংবা চাকরির আবেদন করতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কিছু শর্ত আরোপ করে সেগুলোই হলো আপনার যোগ্যতার পরিমাপক । যেমন ধরা যাক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান শ্রেণীতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদন করার নূন্যতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে জিপিএ ৪ মোট জিপিএ ৫ এর ভিতর । কিংবা কোন চাকরিতে নূন্যতম সিজিপিএ চাওয়া হয়েছে ৩.০০ মোট সিজিপিএ ৪.০০ এর ভিতর । এই যোগ্যতা যদি কারো থাকে তবে সেইই ভর্তির বা চাকরির যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে । এটা তার অর্জন । কিন্তু যেহেতু প্রার্থী বেশি তাই সবাইকে তো আর নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয় সেজন্য অবশ্যই আপনাকে পদের বা আসনের সমসংখ্যক লোক রেখে বাকিদের বাদ দিতে হবে । সেই বাদ দেয়ার প্রসেসটাই হলো এই ভর্তি বা চাকরি পরীক্ষা । কাজেই এখানে যদি কেউ খারাপ করে তাকে অযোগ্য বা খারাপ কিংবা অমেধাবি ভাবার কোন সুযোগ নেই । ধরা যাক দুটো মেয়ে হলিক্রস কলেজ থেকে একই জিপিএ সহ পাস করেছে এখন ধরা যাক দুজন থেকে মাত্র একজনকে ভর্তির সুযোগ দেয়া যাবে । অন্যজন এ ক্ষেত্রে অবধারিতভাবে বাদ পড়বে । এখন তাকে কি অমেধাবি বা অযোগ্য বলা যাবে কিংবা বলাটা কি উচিৎ হবে ??? কিংবা ধরা যাক দুজনেই একই জায়গায় পছন্দ দিয়েছে কিন্তু একজনকেই এই জায়গায় বা প্রতিষ্ঠানে রাখা যাবে , অন্যজন অবধারিতভাবেই অন্য স্থানে যেতে হবে । এসবটাই মূলত স্ক্রিনিং । এটা কোনক্রমেই মেধার বা সক্ষমতার যাচাই নয় ।
যেমন ধরা যাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞানের একটি অংশ থাকে । এখন সেটিতে ভাল বা খারাপ করলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার কি সম্পর্ক ! অর্থাৎ পদার্থ বিজ্ঞানে খারাপ করলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কি আসে যায় !!!
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাতে সাধারণজ্ঞান থাকে । এখন ঘানার রাজধানী কি কিংবা কিউবার মুদ্রার নাম কি এটা জানা বা না জানা কি কোনভাবে মেডিকেল পড়াশোনার সক্ষমতা নির্ধারণ করে ??? বাংলাদেশের প্রথম পাইলট এর নাম জেনে কিভাবে মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা নির্ধারিত হয় ???
ডাক্তার আসার পূর্বে রোগী মারা গেলো এই কথাটার ইংরেজি অনুবাদ পারলেই কি প্রমাণ হয়ে যায় কেউ ভাল একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে যাবে ????
মোটেও না ।
এগুলো কোনক্রমেই মেধার যাচাই নয় । এগুলো জাস্ট স্ক্রিনিং বা বাদ দেয়ার একটা ফর্মুলা । যেহেতু যোগ্য লোক অনেক আর সবাইকে নিয়োগ দেয়াটাও সম্ভব না পদের অপ্রতুলতার জন্য সেজন্য এইভাবে কিছু লোক বাদ দেয়া হয় । এর মানে এই না যে যে টিকলো সেই মেধাবী আর বাকিরা কিছুই না !!!
কাজেই কিছু দিন বাদে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাংলাদেশ এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা আরম্ভ হবে তখন যাতে টিভি বা মিডিয়ায় "অকৃতকার্যদের" অমেধাবি বা অযোগ্য বলা না হয় কিংবা শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন না করা হয় যেটায় শিক্ষার্থীদের দোষারোপ করা হয় কিংবা তাদের খাটো করে দেখা হয় ।
আর যদি এটা বলা হয় বাংলাদেশে কি আদৌ কোন সঠিক ভর্তি প্রক্রিয়া নেই ???
তবে উত্তর হলো আছে !
সেটা হলো একমাত্র বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার পদে ক্যাডেট নিয়োগ প্রক্রিয়া যেটা আইএসএসবি নামে পরিচিত । একমাত্র আইএসএসবিই হলো বাংলাদেশের সঠিক যোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষা(অবশ্যই এই যোগ্যতা শুধু সশস্ত্রবাহিনীর অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য , আইএসএসবি দিয়ে মেডিকেল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হলে সেটা তখন অগ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে !!! যেমন ফুটবলার নিয়োগে যদি আপনি কম্পিউটার সায়েন্স এর অনার্স যোগ্যতা হিসেবে চান আর কি !!)
একমাত্র আইএসএসবিতে কোন সুনির্দিষ্ট পদের সীমারেখা নেই । মানে এই ব্যাচে এতজনকেই নিয়োগ দিতে হবে বা এর কম বেশি করা যাবে না সেটা নেই । বোর্ড যদি এ টু জেড সবাইকে যোগ্য ভাবে তাহলে সবাইকেই নিয়োগ দিতে পারে আর কাউকে যোগ্য না ভাবলে কোন নিয়োগ নাও দিতে পারে । সুতরাং যোগ্য হলে বাদ পড়বেন না ।
একজন সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার হতে গেলে যে প্রাইমারি যোগ্যতা আর বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তার সবই চেক করে নেয়া হয় সেখানে । এগুলো পরে নিজ নিজ বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেমন সেনাবাহিনীর জন্য বিএমএ(বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি ;ভাটিয়ারী , চট্টগ্রাম) উন্নয়নের ব্যবস্থা নেয়া হয় । এছাড়া নেই কোন কোটাও । কাজেই অযোগ্য হয়ে ঢুকে পড়ার কিংবা যোগ্য হয়েও বাদ যাওয়ার কোন সুযোগই নেই সেখানে ।
আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নিয়মগুলো রিভিউ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা খুব জরুরি ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৩
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়ার পর মনে হচ্ছে, কপি করার দরকার নেই