নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েরা মাসিক অবস্থায় কোরআন ধরতে পারবে না। মাসিক চলাকালীন তারা অপবিত্র থাকে। প্রচলিত ভাবে হাদীস কেন্দ্রিক ইসলামে এমনটাই বিশ্বাস।
কোরআনের আয়াতের অনুবাদেও তারা এমনই করেছে
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা أَذًى "অশুচি"। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সুরা বাকারা - ২:২২২]
অথচ أَذًى এই শব্দটির কোরআনে অন্যান্য আয়াতে ব্যবহার ও অর্থ যদি খেয়াল করেন তাহলে পাবেন এর অর্থ হলো কষ্ট/ট্রাবল/পেইন এসব। অথচ ২:২২২ এ অশুচি বা অপবিত্র বলে তারা মেয়েদেরকে কোরআন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
আসুন দেখি আয়াতগুলি
যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও أَذًى দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না। [সুরা বাকারা - ২:২৬২]
নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট أَذًى দেয়া হয়। আল্লাহ তা'আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু। [সুরা বাকারা - ২:২৬৩]
যৎসামান্য কষ্ট أَذًى দেয়া ছাড়া তারা তোমাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি তারা তোমাদের সাথে লড়াই করে, তাহলে তারা পশ্চাদপসরণ করবে। অতঃপর তাদের সাহায্য করা হবে না। [সুরা ইমরান - ৩:১১১]
এরকম আরো যেসব আয়াতে أَذًى এর উল্লেখ আছে তার অনুবাদগুলোও দেখে নিতে পারেন
[সুরা ইমরান - ৩:১৮৬], [সুরা নিসা - ৪:১০২]
মোল্লারা কিভাবে কোরআনের ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ করে মেয়েদেরকে কষ্টের সময়টাকে অপবিত্র বানিয়ে কোরআন থেকে দূরে সরায়ে দিছে। কোরআনের পরিষ্কার বিধান তারা তাদের মানবরচিত বানোয়াট হাদীস, তাফসীর, ফিকহের মাধ্যমে কোরআনের ভুল অনুবাদ করে মেয়েদেরকে দূরে সরায়ে দিয়েছে।
১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২৮
রসায়ন বলেছেন: জ্বি ভাই। এটা নিয়ে পোস্ট আসবে অচিরেই। হাদীসের পোস্ট মর্টেম করা হবে। কলা কলা বলে যা তা গেলানোর দিন শেষ।
২| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আয়াতে প্রথমে মাসিককে ক্ষতিকর বলা হয়েছে। পরে আবার মেয়েদেরকে পবিত্র হতে বলা হয়েছে। তারা যদি পবিত্রই থাকে তাহলে কেন পবিত্র হতে বলা হয়েছে আয়াতে? একজন পুরুষও পবিত্রতা হারাতে পারে যখন সে স্ত্রীর সাথে মিলিত বা অন্য কারণে। উভয় ক্ষেত্রেই পুরুষ বা নারীর কোরআন ধরা নিষেধ।
আপনার কথা অনুযায়ী মনে হচ্ছে যেহেতু মাসিকের কারণে মেয়েরা শুধু কষ্ট পেয়ে থাকে এবং অপবিত্র হয় না তাই ঐ সময় তাদের নামাজ পড়াও জায়েজ আছে। আপনি কি মনে করেন মাসিক অবস্থায় মেয়েদের নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কাবা তওয়াফ করা উচিত। এই নিষেধগুলি সব হুজুররা বানিয়েছে মনে হয়। মাসিক কি পরিষ্কার এবং পরিশুদ্ধ কোন জিনিস?
গোসল ফরজ হলে তো ছেলেরাও নামাজ, রোজা, তওয়াফ করতে পারে না।
অজু ভঙ্গের কারণগুলি কোরআন থেকে বলতে পারবেন? সব কিছু কি কোরআনে পাবেন? পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত কোরআন শরীফ ধরা নিষেধ এই মর্মে সহি হাদিস আছে।আপনার উল্লেখিত আয়াতেও অপবিত্র হওয়ার কথা বলা আছে।
১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৩
রসায়ন বলেছেন: মাসিককে কষ্টকর বলা হয়েছে। অপবিত্র বলা হয়নি। পবিত্রতাই তো বুঝেন না ! পবিত্রতা নিয়ে একটি আলাদা পোস্ট দিবো সামনে।
এবারে আসুন,
সালাতেও রজঃস্রাব কোন বাঁধা নয়। রজঃস্রাব চলাকালীন সালাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি।
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পা য়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল। [সুরা নিসা - ৪:৪৩]
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায় খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। [সুরা মায়েদা - ৫:৬]
এবার দেখা যাক রজঃস্রাব চলাকালীন সময়ে সাওমে কোন বাঁধা বা নিষেধাজ্ঞা আছে কি না কোরআনে,
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। [সুরা বাকারা - ২:১৮৫]
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। [সুরা বাকারা - ২:১৮৭]
তাহলে কোরআন থেকে জানা গেলো যে রজঃস্রাব চলাকালে কোন বাঁধাই নাই এসব করার যদিও মানবরচিত, সংগৃহীত, সংকলিত হাদীস ও মোল্লাকেন্দ্রিক প্রচলিত ইসলামে এগুলো নিষিদ্ধ।
কোরআন থেকে যা জানা গেলো তার সাথে প্রচলিত লাহওয়াল হাদীসের আকাশ পাতাল তফাৎ ! কোরআন যা বলেছে যতোটুকু বলেছে সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের নিকট তিলাওয়াত করা হয়? নিশ্চয় এর মধ্যে রহমত ও উপদেশ রয়েছে সেই কওমের জন্য, যারা ঈমান আনে। বল, ‘আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট । আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, তা তিনি জানেন। আর যারা বাতিলে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত’। [ সুরা আনকাবুত ২৯:৫১-৫২ ]
এরকম আরো আয়াত আমি দেখাতে পারবো। কোরআন যদি যথেষ্ট মনে না হয় তাহলে কিছু করার নাই।
তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ন করেছেন? আমি যাদেরকে গ্রন্থ প্রদান করেছি, তারা নিশ্চিত জানে যে, এটি আপনার প্রতি পালকের পক্ষ থেকে সত্যসহ অবর্তীর্ন হয়েছে। অতএব, আপনি সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। [সুরা আন’য়াম - ৬:১১৪]
এই বিস্তারিত গ্রন্থ আল্লাহর বলা, এখন আপনি যদি বিস্তারিত গ্রন্থকে সংক্ষিপ্ত বলে আল্লাহর উপরে মিথ্যারোপ করেন তাইলে কিছু করার নাই।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:১২
কামাল৮০ বলেছেন: হাদিস হলো কোরানের ব্যাখ্যা।আল্লাহর বাণীকে নবী যে ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তাই হাদিস।সহী হাদিসকে অস্বীকার করলে ইসলামের আকিদার তার সমস্যা আছে।
১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
রসায়ন বলেছেন: একটা জিনিস তো বুঝতে হবে। কোন জিনিসের ব্যাখ্যা সেই করতে পারে যে তার চাইতে অধিক জানে।
কোরআন প্রেরণ করেছেন আল্লাহ। তিনি হলেন সর্বজ্ঞানী, সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। তো সেই কিতাব আবার মানুষ তাফসীর করবে কিভাবে ! মানুষের কি অতো জ্ঞান আছে যে আল্লাহর কিতাবকে ব্যাখা করবে !
এজন্যই আল্লাহ বলেন
আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। [সুরা আরাফ - ৭:৫২]
অর্থাৎ আল্লাহ নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন "স্বীয় জ্ঞানে"
এজন্যই আল্লাহ কোরআনকে মুফাসসাল, তাবিল, আহসানা তাসফির, ফুসসিলাত ইত্যাদি বলেছেন যার অর্থ বিশদভাবে বিবৃত বা ব্যাখাকৃত !
আসুন কিছু আয়াত দেখে নিন,
আর যারা কিছু জানে না তারা বলে, ‘আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না কেন? অথবা আমাদের কাছে কেন আসে না কোন আয়াত? এভাবে তাদের পূর্ববর্তীরাও তাদের মত কথা বলতো। তাদের অন্তর একই রকম। অবশ্যই আমরা আয়াতসমূহকে স্পষ্টভাবে বিবৃত করেছি, এমন কওমের জন্য, যারা দৃঢ়বিশ্বাস রাখে। [সুরা বাকারা - ২:১১৮]
আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। [সুরা আরাফ - ৭:৫২]
আলিফ, লা-ম, রা; এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াত সমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে। [সুরা হুদ - ১১:১]
আমি রাত আর দিনকে দু’টো নিদর্শন বানিয়েছি। আমি রাতের নিদর্শনটিকে জ্যোতিহীন করেছি, আর দিনের নিদর্শনটিকে করেছি আলোয় উজ্জ্বল যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পার আর যাতে বছরের সংখ্যা আর হিসাব জানতে পার; আমি সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছি। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:১২]
এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য। [সুরা হা-মীম - ৪১:৩]
আর তারা আপনার কাছে যে বিষয়ই উপস্থিত করে না কেন, আমি সেটার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা (আহসানা তাফসির) আপনার কাছে নিয়ে আসি। [সুরা ফুরকান - ২৫:৩৩]
পাপিষ্ঠ মোল্লারা আল্লাহর কিতাব পরিবর্তন করতে অসমর্থ হয়ে এর বিপরীতে অন্য কিতাব দাঁড় করিয়েছে এবং কোরআনকে সেসবের আলোকে উপস্থাপন করে মানুষকে পথভ্রষ্ট করছে।
আল্লাহ তাফসীর করেই কোরআন নাজিল করেছেন । কোরআন হলো স্বয়ংসম্পূর্ণ । কাজেই কেউ নিজের মনের মতো ব্যাখ্যা করলে সেটা সুস্পষ্ট শিরক ! আল্লাহই হলেন তাফসীরকারী অন্যকেউ তাফসীর কারক হলে সে শিরক করলো
৪| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:১৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কাঠ মোল্লারা সবসময় একটু বেশীই বুঝে মনে হয় আমার কাছে। ওয়াজবাজ মোল্লাগন তো এই বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেসে যে, পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানী কোরান পড়েই জ্ঞান অর্জন করেছেন। অথচ কোরান নিজেই বলছে কোরান একটি ধর্মীয় গ্রন্থ যা বিজ্ঞানময়। অনেক মোল্লারা নিজেদের মতো করে কোরানের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন।
১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৬
রসায়ন বলেছেন: কোরআন অনুসারে এরাই যুগে যুগে মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে। এজন্য কোরআনে বারবার এদের প্রতি সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা আছে।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু।
১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪১
রসায়ন বলেছেন: তাতো অবশ্যই।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৩৮
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার পোস্টটি বেশ ইন্টারেস্টিং: أَذًۭى শব্দটি নিয়ে আপনি গোত্তা মেরে পড়ে আছেন, মোল্লাদের পিণ্ডি চটকাচ্ছেন, অথচ মাসিক চলাকালীন সময়ে কুরআন সরাসরি স্পর্শ না করার বিষয়টি أَذًۭى শব্দ দ্বারা নয়, বরং অন্য শব্দের মাধ্যমে ২:২২২ আয়াতেই স্পষ্ট হয়। তবে সরাসরি স্পর্শ না করে কুরআন তেলওয়াতে কোনো বাধা নেই বলেই অধিকাংশ মোল্লার অভিমত!
১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
রসায়ন বলেছেন: কেন স্পর্শ করা যাবে না শুনি ? কোথায় পেলেন এটা ? এটাই তো আমার পোস্টের মূল কথা। এই أَذًۭى বা কষ্ট শব্দকে বিকৃত করে বলা হচ্ছে নোংরা বা অশুচি, সেই ধারণা থেকে মেয়েরা মাসিক চলাকালীন কোরআন ধরতে পারবে না ইত্যাদি বলা হয়ছ অথচ কোরআনে ঐ সময়টায় তাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে তাদের নিকট গমনে নিষেধ করা হয়েছে পুরুষদেরকে, ব্যস এই এতোটুকুই আছে। বাকিসব যা আমরা প্রচলিতভাবে জানে এর কোন অস্তিত্বই নাই কোরআনে।
আপনি পারলে একটু বের করে দেখায়ে যান
৭| ১০ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:১৪
ঈশ্বরকণা বলেছেন: আমার কাছে কুরআন শরীফের দুটো বাংলা অনুবাদ আছে । দুটোই প্রতিষ্ঠিত দুটো ইসলামিক প্রকাশনী থেকে । একটা সৌদি আরবের 'দার উস সালাম' পাবলিকেশন থেকে পাবলিশ ডক্টর মুজিবর রহমানের অনুবাদ ।আর একটা আল কুরআন একাডেমি, লন্ডন থেকে হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদের অনুবাদ করা কুরআন শরীফের বাংলা ভার্সন । দুটো অনুবাদেই কিন্তু ২:২২২ আয়াতের বাংলা হিসেবে পরিষ্কার করেই লিখা আছে : "----তুমি বল: ওটা হচ্ছে কষ্টদায়ক অবস্থা--- "। তাই ইসলামিক স্কলাররা সবাই (আপনার ভাষায় মোল্লারা) ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআনের ভুল অনুবাদ করে মহিলাদের ওপর অবিচার করছেন (আপনার লেখায় যেই ভাবটা আছে খুব জোরালো ভাবে) সেভাবে জেনারেলাইজড করার চেষ্টা সত্যিকে অস্বীকার করার শামিল । বাংলাদেশের কিছু অনুবাদে আপনি যেভাবে বলেছেন সেটাভাবেই করা হয়েছে সেটা ঠিক । কিন্তু রিপ্রেজেন্টেটিভ অনুবাদগুলো বাদ দিয়ে অনামী কোনো প্রকাশনীর বাংলা অনুবাদের ভিত্তিতে হাদিসের ওপর নির্ভর করে সবাই ভুলভাল বাংলা অনুবাদ করেছে এটা বলা হচ্ছে উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে হাদীসকে প্রশ্নের মুখোমুখি করার অপচেষ্টা।এই কাজটা মানে অপ্রয়োজনীয়ভাবে হাদিসের প্রতি বিষাদগার আপনার বেশিরভাগ লেখাতেই দেখা যাচ্ছে । ব্যাপারটা কি বলুনতো ? আরেকটা ব্যাপার হলো -মেনুস্ট্রুয়াল সাইকেল একটা কষ্ট দায়ক অবস্থা বলা আর কুরআন স্পর্শ না করার ব্যাপারটা কিন্তু একই আয়াতের দুটো ইন্ডিপেন্ডেন্ট অংশ । এই দুটো অংশ একটার সাথে আরেকটা সম্পর্কিত না বক্তব্যের দিক থেকে। দুটোই স্বাধীন বাক্য ।তাই কুরআন শরীফ স্পর্শ না করার সাথে 'কষ্টদায়ক অবস্থা' বা মেনুস্ট্রুয়াল সাইকেলের যোগ নেই। কুরআন শরীফ স্পর্শ না করার ওই বিধি নিষেধটাকে একটা কুরআনিক ল' হিসেবেই দেখতে হবে । ছেলেদের ক্ষেত্রেও কুরআন শরীফ না ধরার বা নামাজ আদায় না হবার অনেক বিধি নিষেধ আছে। যার কিছু কিছু নিয়ম নীতি ২:২২২ আয়াতে বলা মেয়েদের কুরআন শরীফ স্পর্শ না করার বিধিনিষেধের খুবই কাছাকাছি বিষয়কে কেন্দ্র করেই। তাই এই আয়াতেএ বাংলা অনুবাদে মেয়েদের স্টিগমাটাইজড করা হচ্ছে হাদিসের ওপর নির্ভর করে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।
১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
রসায়ন বলেছেন: কোরআনের কোথাও নাই মেয়েরা মাসিক চলাকালীন কোরআন ধরতে পারবে না। কোরআনে তাদের ঐ কষ্টের সময়টায় পুরুষদেরকে তাদের কাছে যেতে মানা করা হয়েছে, কষ্ট বিবেচনায়। আপনি কোরআনে মেয়েদেরকে মাসিক চলাকালীন অপবিত্র বা সালাত সাওম ও কোরআন স্পর্শে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মর্মে কোন আয়াত থাকলে পারলে দেখিয়ে দিয়ে আমাকে ভুল প্রমাণ করে যান।
৮| ১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টেই আছে সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে 'তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়।' আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন নাকি না বোঝার ভান করছেন সেটা পরিষ্কার না। পরের অংশেও বলা আছে পরিশুদ্ধ হতে। অপবিত্রতার কথাও আছে।
রজঃস্রাব চলাকালীন কোন মেয়ে নামাজ পড়ে নাকি। পরিচিত কাউকে পড়তে বলবেন, তারপর তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন। সব বিশদ ব্যাখ্যা কোরআনে পাবেন না। আপনি যে মতবাদের অনুসারী তাদেরকে কুরানিসট বলে। এরা ভুল রাস্তায় চলছে। সাধারণভাবে সকল হাদিসকে অস্বীকার করা একটা কুফরি। তউবা করে সঠিক রাস্তায় চলে আসুন। আপনার সাথে কথা বলা মানে সময় নষ্ট করা। আপনি পৃথিবীর সকল প্রখ্যাত আলেমদের বিরোধিতা করছেন। আপনি নিশ্চয়ই তাদের চেয়ে বেশী জানেন না। আপনার ভ্রান্ত মতবাদ আপনি আবার পাবলিক প্লেসে বলে বেড়াচ্ছেন।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৪
রসায়ন বলেছেন: আসেন,
কোরআনে ব্যবহৃত أَذًى মানে যে অশুচি বা নোংরা না সেটা বুঝাতে চাইছি, সেটা আশাকরি আপনি সহ ব্লগার ও পাঠকরা বুঝেছেন। এবারে পরের কথায় আসি। মাসিককে বলা হয়েছে কষ্ট, এরপরে মাসিক পরিষ্কার না হওয়া অবধি স্বামীদের স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাকতে অর্ডার, যেহেতু আগেই আল্লাহ জানিয়েছেন এটা কষ্ট সেজন্য ঐ সময় তাদের সাথে মিলন নিষিদ্ধ করছে। এখানে তাদেরকে অপবিত্র ঘোষণা করা হয়নি।
কোরআনে সালাত ও সাওমের বিধানে যেসব এক্সকিউজ আছে তাতে মাসিকের উল্লেখই নাই, যদিও যা যা নিষেধ তা সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে,
সালাতেও রজঃস্রাব কোন বাঁধা নয়। রজঃস্রাব চলাকালীন সালাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি।
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পা য়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল। [সুরা নিসা - ৪:৪৩]
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায় খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। [সুরা মায়েদা - ৫:৬]
এবার দেখা যাক রজঃস্রাব চলাকালীন সময়ে সাওমে কোন বাঁধা বা নিষেধাজ্ঞা আছে কি না কোরআনে,
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। [সুরা বাকারা - ২:১৮৫]
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। [সুরা বাকারা - ২:১৮৭]
তাহলে কোরআন থেকে জানা গেলো যে রজঃস্রাব চলাকালে কোন বাঁধাই নাই এসব করার যদিও মানবরচিত, সংগৃহীত, সংকলিত হাদীস ও মোল্লাকেন্দ্রিক প্রচলিত ইসলামে এগুলো নিষিদ্ধ।
কোরআন থেকে যা জানা গেলো তার সাথে প্রচলিত লাহওয়াল হাদীসের আকাশ পাতাল তফাৎ ! কোরআন যা বলেছে যতোটুকু বলেছে সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের নিকট তিলাওয়াত করা হয়? নিশ্চয় এর মধ্যে রহমত ও উপদেশ রয়েছে সেই কওমের জন্য, যারা ঈমান আনে। বল, ‘আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট । আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, তা তিনি জানেন। আর যারা বাতিলে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত’। [ সুরা আনকাবুত ২৯:৫১-৫২ ]
এরকম আরো আয়াত আমি দেখাতে পারবো। কোরআন যদি যথেষ্ট মনে না হয় তাহলে কিছু করার নাই।
তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ন করেছেন? আমি যাদেরকে গ্রন্থ প্রদান করেছি, তারা নিশ্চিত জানে যে, এটি আপনার প্রতি পালকের পক্ষ থেকে সত্যসহ অবর্তীর্ন হয়েছে। অতএব, আপনি সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। [সুরা আন’য়াম - ৬:১১৪]
এই বিস্তারিত গ্রন্থ আল্লাহর বলা, এখন আপনি যদি বিস্তারিত গ্রন্থকে সংক্ষিপ্ত বলে আল্লাহর উপরে মিথ্যারোপ করেন তাইলে কিছু করার নাই।
মানবরচিত বানোয়াট বিধানে কি আছে সেটা দেখার বিষয় নয়। সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী (ফুরকান) হলো কুরআন। কাজেই কোরআনে যা আছে যতোটুকু আছে যেভাবে আছে সেটাই যথেষ্ট একজন মুসলিমের জন্য। আল্লাহ নিজেই কিতাবকে তিবিয়ানা লি কুল্লিশাইয়িন (সব ব্যাখ্যা সহ), ফুসসিলাত (বিশদ ব্যাখ্যাকৃত) ইত্যাদি ঘোষণা করেছেন
৯| ১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসুলের নির্দেশ যে মানতে হবে এবং আল্লাহতায়ালা যে তাঁর রসূলকে (সা) কোরআন ব্যাখ্যার দায়িত্ব দিয়েছেন সেই ব্যাপারে কোরআনের কয়েকটি আয়াত দিলাম নীচে।
আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা হাশর (৫৯) : ০৭
আমি প্রত্যেক রাসূলকে কেবল এ লক্ষ্যেই পাঠিয়েছি, আল্লাহর হুকুমে তাঁর আনুগত্য করা হবে। -সূরা নিসা (৪) : ৬৪
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে - (হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ‘আযযিকর’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে সেইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। -সূরা নাহল, আয়াত – ৪৪
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; কিতাবীদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে না এবং পরকালেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম মনে করে না এবং সত্য দ্বীনকে নিজের দ্বীন বলে স্বীকার করে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর, যতক্ষণ না তারা হেয় হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে। -সূরা তাওবা (৯) : ২৯
যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করে সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যারা (তাঁর আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমি (হে নবী!) আপনাকে তাদের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়ে পাঠাইনি (যে, তাদের কাজের দায়-দায়িত্ব আপনার উপর বর্তাবে।) -সূরা নিসা (৪) : ৮০
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে ; (হে নবী!) আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবেসে থাক, তবে আমার অনুসরণ কর; তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৩১
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; বস্তুত রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ- এমন ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের আশা রাখে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করে। -সূরা আহযাব (৩৩) : ২১
রসুলের উপদেশ, নির্দেশ জানার একমাত্র মাধ্যম হোল সহি হাদিস। তাই হাদিস অস্বীকারকারী ভুল রাস্তায় আছে।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭
রসায়ন বলেছেন: আপনি কোরআনের আয়াতের যে মিসকোট ও অপব্যবহার করেছেন তার প্রতিটার জবাব দিচ্ছি,
//রসুলের নির্দেশ যে মানতে হবে এবং আল্লাহতায়ালা যে তাঁর রসূলকে (সা) কোরআন ব্যাখ্যার দায়িত্ব দিয়েছেন সেই ব্যাপারে কোরআনের কয়েকটি আয়াত দিলাম নীচে।//
রাসূলের নির্দেশ মানতে হবে সেটা কেউই অস্বীকার করছে না। কথা হচ্ছে রাসূলের নির্দেশ বলতে আপনি কিসের কথা বলছেন ?? আম যে খেতে ভালো, এবং শরীরের জন্য উপকারী সেটা কেউই অস্বীকার করে না, কথা হইলো ১০০ পার্সেন্ট পিউর ম্যাংগো জুসের কথা বলে হাতে একটু বেশীই পিউর লেবেলযুক্ত জুস ধরায়ে দেওয়া, এবং সেটাকেই আম বলে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার বৃথা চেষ্টা, ঠিক সেই কাজটাই করছেন।
সেইরকম রাসূল যে সত্যবাদী, উনাকে মানতে হবে এনিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নাই প্রশ্নও নাই বরং সেটাই আমরা করার চেষ্টা করি কিন্তু রাসূলের নাম দিয়ে অমুক তমুক কি বলেছে না বলেছে সেটা আবার কেউ এসে নিজের তৈরি করার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী সহীহ বা ভুয়া গ্রেডিং করবে আর সেসবকে রাসূলের কথা হিসেবে মানতে হবে সেটাতেই আমাদের আপত্তি। কোরআন অনুযায়ী রাসূলের মুখের বাণী হলো কোরআন (৬৯:৪০)
আমার প্রশ্ন বা আপত্তি "একটু বেশিই পিউর" হিসেবে ব্র্যান্ডিং করা ফ্যাক্টরিতে তৈরি বোতলের আমের জুস নিয়ে, আম নিয়ে নয়।
আর আমরা রাসূলের অথরিটিকে চ্যালেঞ্জ করছি না বরং রাসূলের নাম দিয়ে বানানো বিভিন্ন লিটারেচার এর অথরিটিকে চ্যালেঞ্জ করছি।
//আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা হাশর (৫৯) : ০৭//
সূরা হাশরের ৭ নং আয়াত কি হাদিস দেওয়া নিয়ে না গণিমতের মাল বণ্টন করা নিয়ে ? ৬ নং ও ৭নং আয়াত পড়লে এটা ক্লিয়ারলি বুঝা যায় এটা ফায় বা বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদের বণ্টন নিয়ে। এটা কি হাদীস দেওয়ার কথা বলেছে ????? এক টপিকের আয়াত আরেক জিনিস হিসেবে চালান কেন ? রাসূল তোমাদেরকে ঐ আয়াতে কি দিয়েছেন ? হাদিস না ফায় ? এরকম নয় ছয় বুঝিয়েই তো এই অবস্থা !
//আমি প্রত্যেক রাসূলকে কেবল এ লক্ষ্যেই পাঠিয়েছি, আল্লাহর হুকুমে তাঁর আনুগত্য করা হবে। -সূরা নিসা (৪) : ৬৪//
হ্যাঁ রাসূলের আনুগত্য তো করতেই হবে।
এজন্য রাসূলের প্রতি যেই কিতাব ওহী করা হইসে(৬:১৯) সেই কোরআন মেনে চলার চেষ্টা করি, রাসূল যে কিতাব দিয়ে মানুষকে উপদেশ দিতেন(৫০:৪৫) আল্লাহর পথে আসার, সেই কোরআনের অনুসরণ করি। রাসূল সহ আমাদের উপরে যে কোরআন ফরজ করা হইছে সেটার অনুসরণ করি(২৮:৮৫)
রাসূল যেন কিতামতের পরে শেষ বিচারে অভিযোগ করতে না পারে (২৫:৩০) অন্য কিতাবকে দিয়ে কোরআন ত্যাগ করেছি সেজন্য কোরআন অনুসরণ করি শুধু।
তবে বুখারী মুসলিম ও অননুমোদিত কারো আনুগত্য করি না
//কোরআনে ইরশাদ হয়েছে - (হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ‘আযযিকর’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে সেইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। -সূরা নাহল, আয়াত – ৪৪//
ব্যাখ্যা নয় বর্ণনা, আর যদি আপনারটাই ধরি ব্যাখ্যা তাও আল্লাহ বলেছেন তাদের পূর্ববর্তীদের কাছে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা বিস্তারিত বলতে, তো সেই বিস্তারিত রাসূলকে আল্লাহ কি দিয়ে জানিয়েছেন ?
আর কোরআন সে জিনিস নয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কেউ তা বানিয়ে নেবে। অবশ্য এটি পূর্ববর্তী কালামের সত্যায়ন করে এবং সে সমস্ত বিষয়ের বিশ্লেষণ দান করে যা তোমার প্রতি দেয়া হয়েছে, যাতে কোন সন্দেহ নেই-তোমার বিশ্বপালনকর্তার পক্ষ থেকে। [সুরা ইউনুস - ১০:৩৭]
//কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; কিতাবীদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে না এবং পরকালেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম মনে করে না এবং সত্য দ্বীনকে নিজের দ্বীন বলে স্বীকার করে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর, যতক্ষণ না তারা হেয় হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে। -সূরা তাওবা (৯) : ২৯//
আল্লাহ ও তার রাসূলের কথা বলা হয়েছে কেননা আল্লাহর নির্দেশনাগুলোই রাসূল অবিকল প্রচার করেছেন। রাসূলের কি নিজে নিজে হারাম হালাল করার এখতিয়ার ছিলো? ছিলো না, তার প্রমাণ সূরা তাহরীমের ১ নং আয়াত,
হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ? আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা তাহরীম ৬৬:১)
তাহলে নবীকে আল্লাহ ধমক দিয়েছে, শোকজ করেছে হালালকে হারাম বলার জন্য, সেই নবী কিভাবে হালাল হারাম ঘোষণা করে ! মানে গোঁজামিলেরও একটা মাত্রা থাকে, এগুলোর কোন মাত্রাও নাই।
//যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করে সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যারা (তাঁর আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমি (হে নবী!) আপনাকে তাদের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়ে পাঠাইনি (যে, তাদের কাজের দায়-দায়িত্ব আপনার উপর বর্তাবে।) -সূরা নিসা (৪) : ৮০//
রাসূলের নির্দেশ মানতে হবে সেটা কেউই অস্বীকার করছে না। কথা হচ্ছে রাসূলের নির্দেশ বলতে আপনি কিসের কথা বলছেন ?? আম যে খেতে ভালো, এবং শরীরের জন্য উপকারী সেটা কেউই অস্বীকার করে না, কথা হইলো ১০০ পার্সেন্ট পিউর ম্যাংগো জুসের কথা বলে হাতে একটু বেশীই পিউর লেবেলযুক্ত জুস ধরায়ে দেওয়া, এবং সেটাকেই আম বলে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার বৃথা চেষ্টা, ঠিক সেই কাজটাই করছেন।
সেইরকম রাসূল যে সত্যবাদী, উনাকে মানতে হবে এনিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নাই প্রশ্নও নাই বরং সেটাই আমরা করার চেষ্টা করি কিন্তু রাসূলের নাম দিয়ে অমুক তমুক কি বলেছে না বলেছে সেটা আবার কেউ এসে নিজের তৈরি করার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী সহীহ বা ভুয়া গ্রেডিং করবে আর সেসবকে রাসূলের কথা হিসেবে মানতে হবে সেটাতেই আমাদের আপত্তি। কোরআন অনুযায়ী রাসূলের মুখের বাণী হলো কোরআন (৬৯:৪০)
আমার প্রশ্ন বা আপত্তি "একটু বেশিই পিউর" হিসেবে ব্র্যান্ডিং করা ফ্যাক্টরিতে তৈরি বোতলের আমের জুস নিয়ে, আম নিয়ে নয়।
আর আমরা রাসূলের অথরিটিকে চ্যালেঞ্জ করছি না বরং রাসূলের নাম দিয়ে বানানো বিভিন্ন লিটারেচার এর অথরিটিকে চ্যালেঞ্জ করছি।
//কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; বস্তুত রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ- এমন ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের আশা রাখে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করে। -সূরা আহযাব (৩৩) : ২১//
তোমাদের জন্যে ইব্রাহীম ও তাঁর সঙ্গীগণের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে...[সুরা মুমতাহিনা - ৬০:৪]
নবী মুহাম্মাদ সা. ও তার সাহাবীদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেছেন তাদের জন্য নবী ইব্রাহীম ও তার সাহাবীদের মধ্যে উত্তম আদর্শ আছে । তো এবার বলেন দেখি নবী ইব্রাহীমের হাদিসগুলো কোথায় ? কি দেখে নবী ইব্রাহীমের উত্তম আদর্শ সম্পর্কে জানবো ? আল্লাহর কিতাবে নবী ইব্রাহীম সম্পর্কে যতোটুকু বর্ণনা আছে সেটা বিশ্বাস করবো নাকি ইহুদি খ্রিস্টানদের মাঝে নবী ইব্রাহীমের আদর্শ বলে যা প্রচলিত আছে বা ছিলো সেসব মানবো ? নবী মুহাম্মাদ কিভাবে নবী ইব্রাহীমের আদর্শগুলো জানলো ? সেই নবী ইব্রাহীমের হাদিসগুলো দেখান দেখি।
//রসুলের উপদেশ, নির্দেশ জানার একমাত্র মাধ্যম হোল সহি হাদিস। তাই হাদিস অস্বীকারকারী ভুল রাস্তায় আছে।//
রাসূলের মুখের কথা হলো কোরআন [সূরা হাক্কাহ ৬৯:৪০]
রাসূল উপদেশ দিতেন কোরআন দিয়ে,
তারা যা বলে, তা আমি সম্যক অবগত আছি। আপনি তাদের উপর জোরজবরকারী নন। অতএব, যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন। [সুরা ক্বাফ - ৫০:৪৫]
আপনার সকল যুক্তি কোরআনের সামনে ধুলিস্মাৎ
১০| ১০ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের কিছু আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা আল্লাহতায়ালা ছাড়া কেউ জানে না;
তিনিই তোমার প্রতি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন; যার কিছু আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন, এগুলি কিতাবের মূল অংশ; যার অন্যগুলি রূপক; যাদের মনে বক্রতা আছে, তারা ফিতনা (বিশৃংখলা) সৃষ্টি ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে যা রূপক তার অনুসরণ করে। বস্তুতঃ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না।আর যারা সুবিজ্ঞ তারা বলে, আমরা এগুলিতে বিশ্বাস করি। সমস্তই আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে আগত। বস্তুতঃ বুদ্ধিমান লোকেরাই উপদেশ গ্রহণ করে। ( সুরা আল ইমরান, আয়াত ৭)
অর্থ-
He it is Who has sent down to thee the Book: In it are verses basic or fundamental (of established meaning); they are the foundation of the Book: others are allegorical. But those in whose hearts is perversity follow the part thereof that is allegorical, seeking discord, and searching for its hidden meanings, but no one knows its hidden meanings except Allah. And those who are firmly grounded in knowledge say: “We believe in the Book; the whole of it is from our Lord:” and none will grasp the Message except men of understanding.
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৮
রসায়ন বলেছেন: এইসব কাজ তো বুখারী গংরা করে গেছে ও করছে।
১১| ১০ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৪
জ্যাকেল বলেছেন: উপরে বেশ কয়েকজন ব্লগারের মতামত পড়ে বুঝতে পারলাম হাদীস শরিফ ব্যতীত ইসলাম পালন সম্ভব নহে। অথচ বুখারী শরিফ সংকলিত করা হয়েছে কয়েক শো বৎসর পরে। তার মানে কি দাঁড়াল যে এর আগের লোকেরা ইসলাম বিচ্যুত ছিল?
অথচ আপনে কমন সেন্স থেকে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে হাদিস ভিত্তিক ইসলাম কোরআনের সাথে যথাযথ হয় না। কোরআনে আল্লাহ আমাদের বলে দিয়েছেন সহজ সরল ভাবে ভাবতে, দেখতে বুঝতে অথচ আরবী ভাষা ব্যাকরণ ইত্যাদির দোহাই দিয়ে জনসাধারণকে এক অর্থে কোরআন থেকে ইসলাম গ্রহণ করতে / পরিচালনা করতে দেওয়া হইতেছে না।
একটু নিরপেক্ষ মন নিয়ে আল্লাহর রাসুল সাঃ এর জীবনী পড়ে দেখুন, ৪ খলিফার জীবনী পড়ে দেখুন। আল্লাহর রাসুল সাঃ শেষ বয়সে এসে হাদীস সমুহ পুড়িয়ে ফেলছিলেন। আবুবকর রাঃ একই কাজ করেছেন, উমর রাঃ এমনকি উসমান রাঃ হাদিস পুড়িয়ে ফেলেছিলেন।হযরত আলী রাঃ এর কাছে জিজ্ঞেস করা হলো আপনার কাছে কি লিখিত কিছু আছে? তিনি বলেন আমার কাছে আল্লাহর কোরআন আর আল্লাহর দেওয়া বিবেক, বুদ্ধি ছাড়া কিছু নেই(সহজ ইন্টারপ্রেটেশন)।
অথচ আল্লাহ আমাদের টিপস দিয়েছেন দ্বীনী বিষয়ে বেশি প্রশ্ন না করতে। কমন সেন্সে যা ধরে তা-ই নিয়ে চলতে চেয়েছেন রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তাআলা। সুরাঃ বাকারাহ পড়ে দেখবেন, আল্লাহ আমাদের ইয়াহুদী সম্প্রদায়ের উদাহরণ দিয়ে কি বলতে চেয়েছেন দেখবেন।
উপরে এক ব্লগার অজু ভংগের কারণ খুঁজতে গেলেন অথচ ইহা প্রকাশ্যই ইহুদীদের অনুসরণ। আপনার যখন মনে হবে আপনি অজু করলে স্বস্তিবোধ করবেন, সালাত আদায় করতে অজু লাগবে ঠিক তখনই আপনার অজু করতে হবে। দ্বীনে কোন জোর জবরদস্তি নেই, এই সিম্পল জিনিস কেন অস্বীকার করতে চান রে ভাই?
এমনকি সহবাসের পরে আপনার শরীর থেকে যদি দুর্গন্ধ না বের হয় কিংবা আপনি মদ খেয়ে মাতাল না হন তবেও আপনি সালাত আদায় করতে পারেন। এক কথায় মনের পবিত্রতাই হইল আসল। আল্লাহর কাছে কোরবানীর গোশত, রক্ত এইগুলো পৌছে না, পৌছে তাকওয়া(যদি থাকে)।
আসলে মানুষকে আল্লাহর দ্বীন থেকে দুরে রাখতে শয়তানের ওসওয়সা দ্বারা কতিপয় আলেম ইয়াহুদী ধর্ম থেকে রেস্ট্রিকশন ভাড়া করে আমাদের সহজ+উত্তম দ্বীন-ইসলামকে বিকৃত করে ফেলেছেন। একমাত্র কুরআন ফলো করাটাই আল্লাহর পক্ষ থেকে অথেনটিক। Yes, কুরআনে রাসুল সাঃ কে ফলো করতে বলা হয়েছে, এখন রাসুল সাঃ কে কি কি বিষয়ে ফলো করা লাগবে সেটা বুঝতে হলে যা লাগবে তা হইল জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও নিয়াত। ---যেমন এখন আপনে উট নিয়ে চলাফেরা করতে যদি চান রাসুল সাঃ কে ফলো করার উদ্দেশ্যে তবে স্পষ্টতই আপনি ভুল উপায়ে ইসলাম ফলো করছেন। এটা আল্লাহ চান নি যে আমরা সহজ সরল উপায় ত্যাগ করে কঠিন বন্ধুর উপায়ে আল্লাহর আদেশ পালন করব।
ইসলামে খুব গুরুত্ব দিয়ে না করতে বলা হয়েছে এমন কিছু বিষয়ে যা আমরা ইগ্নোর করি/জানি-ই না-
শিরক
গীবত
হত্যা
জুলুম
দুর্নিতি
অসহায়/এতিমের সম্পদ লুট
জাহেলি যুগের সুদ
পক্ষান্তরে আমাদের মা-বাবার খেদমত করতে বারবার বলা হয়েছে এবং আল্লাহর নিদর্শন তালাশ করতে এবং জ্ঞানার্জন করতে। সম্পদ জমা করে না রাখতে খুব বেশি করে বলা হয়েছে বরং তা সমাজের অভাবী মানুষকে দিতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ইসলাম কায়েম করতে আসলে ইসলামী রাষ্ট্র লাগে না, জাস্ট ইসলামকে কোরআন থেকে বুঝে সে অনুযায়ী আমল শুরু করে দিলেই হয়ে যায়। উপরে বর্ণিত অপরাধ ও সওয়াবের কাজ কতজন ধনী আলেমকে করতে দেখেছেন? তাহলে এরা ইসলামের সঠিক তথ্য আপনাকে দেবে কি করে ভাবলেন? টেন কমান্ডমেন্টস নিয়ে কোন মাওলানাকে বলতে দেখেছেন?
এই সহজ সুন্দর ইসলামকে আপনারা আহলে কোরআন বলতেছেন অথচ আমি দেখি এরা নিজেদের simply মুসলমান হিসাবে পরিচয় দেন। গর্বিত বোধ করেন এই পরিচয় দিয়ে। এখন আপনারা ইনাদের আহলে কোরআন সংগায়িত করতেছেন যা নিজেদের আহলে হাদীস কিংবা আহলে মাজহাব বা আহলে সুন্নাহ হিসাবে মুসলমান পরিচয়টিকেই মাইনর করে ফেলতেছেন। স্পষ্টতই এইগুলা গোমরাহী।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের ওপর আমল করবার তাওফিক দিন।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৯
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ, চমৎকার ভাবে বলেছেন। পড়ে মুগ্ধ হলাম, সমৃদ্ধ হলাম।
১২| ১০ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার মনে হয় এই পোস্ট ঈদের পরে দিলে আরো অনেক ব্লগার অংশ গ্রহণ করতে পারত। এই ধরণের সব পোস্টে একই ব্লগারের একই মত টাইপ আলোচনা।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১০
রসায়ন বলেছেন: দিয়েই যখন ফেলেছি, কি আর করা। এরকম আরো নানা টপিকস আছে। সামনে পোস্ট করবো ইনশাআল্লাহ।
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০১
জ্যাকেল বলেছেন: @কামাল০৮
আপনার তো ইহা নিয়া কোন কন্সার্ন থাকার কথা না। আপনে প্রকাশ্য ইসলাম বিরোধী হিসাবে সামুএ প্রতিষ্টিত আছেন। এইভাবে বাম হাত ঢুকানর খাইস কেন? খুপ মজা লাগে?
উপরে আপনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া আছে তারপরেও জল ঘোলা করতে চাহিতেছেন কেন? আপনে না খুফ জ্ঞানি? এত বেশি জ্ঞানী যে বিশ্বজগতের একজন স্রষ্টা অস্বীকার করে বসে আছেন তবে আপনে গবেট মার্কা আকাইম্মা মানুষের ন্যায় আচরণ করতেছেন কেন?
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১২
রসায়ন বলেছেন: উনারা যতোই যুক্তি দিক, কোরআনের সামনে সব তাসের ঘরের মতো উড়ে যাবে।
১৪| ১০ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভাই আপনি কি কোরআন ও হাদিস বিশারদ?
কোন মাদ্রাসা থেকে পাশ করেছেন? বা কোথায়
কোরআন হাদিস শিক্ষা দিচ্ছেন? এতকাল আমরা
জেনেছি শুনেছি তা এক নিমিষে ভুল বলে রায় দিয়ে
দিলেন? কাদের কথা অনুসরণ করবো, প্রখ্যাত হাদিস
বেত্তাদের নাকি আপনাকে? আল্লাহ আমাদের ঈমানকে
হেফাজত করুন। আমিন
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২০
রসায়ন বলেছেন:
অধিকাংশ লোক করে বলেই সেটাই সত্যি এমন কোন গ্যারান্টি নাই। অধিকাংশ কোন যুক্তি না বা মানদন্ড না, মানদণ্ড হলো কোরআন
আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে। [সুরা আন’য়াম - ৬:১১৫-১১৬]
আমি কি তাদেরকে কোরআনের পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছি, অতঃপর তারা তাকে আঁকড়ে রেখেছে?বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত। [সুরা যূখরুফ - ৪৩:২১]
আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা'আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও। [সুরা বাকারা - ২:১৭০]
যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং রসূলের দিকে এস, তখন তারা বলে, আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। যদি তাদের বাপ দাদারা কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই করবে? [সুরা মায়েদা - ৫:১০৪]
তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে, তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনি করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না। [সুরা আরাফ - ৭:২৮]
তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো নামের এবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। [সুরা ইউসুফ - ১২:৪০]
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, তোমাদের বাপ-দাদারা যার এবাদত করত এ লোকটি যে তা থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায়। তারা আরও বলে, এটা মনগড়া মিথ্যা বৈ নয়। আর কাফেরদের কাছে যখন সত্য আগমন করে, তখন তারা বলে, এতো এক সুস্পষ্ট যাদু। [সুরা সা’বা - ৩৪:৪৩]
বাবা দাদা বা পূর্বপুরুষ করতো তাই আমাদেরকেও করতে হবে। তারা কি ভুল কিছু করেছে ?
এটাও কোন যুক্তি না।
১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস লেখা রসূলের (সা) ওফাতের ২০০ বা ৩০০ বছর পড়ে হয়েছে কথাটা সঠিক না। রসুলের (সা) জীবদ্দশাতেই কয়েকজন সাহাবী কিছু হাদিস লিখে রেখেছিলেন। এছাড়া প্রথম হিজরির শেষের দিকে অর্থাৎ রসূলের (সা) ওফাতের ৭০ বা ৮০ বছর পরে হাদিস লেখার সূচনা হয়। হাদিস সঙ্কলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নীচে দিলাম;
সাহাবীগণ ইসলামের সর্বশেষ নবীর কথা ও কাজের বিবরণ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে স্মরণ রাখতেন। আবার কেউ কেউ তার অনুমতি সাপেক্ষে কিছু কিছু হাদীস লিখে রাখতেন। এভাবে তার জীবদ্দশায় স্মৃতিপটে মুখস্থ করে রাখার সাথে সাথে কিছু হাদীস লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ ছিল। হযরত আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত আনাস ইবনে মালিক প্রমুখ সাহাবীগণ কিছু কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। হযরত আবূ হুরায়রা বলেন “আবদুল্লাহ ইবনে আমর ব্যতীত আর কোন সাহাবী আমার অপেক্ষা অধিক হাদীস জানতেন না। কারণ, তিনি হাদীস লিখে রাখতেন আর আমি লিখতাম না।”
নবীর জীবদ্দশায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রশাসনিক বহু কাজকর্ম লিখিতভাবে সম্পাদনা করা হতো। বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা, সরকারী কর্মচারী এবং জনসাধারনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত নির্দেশ প্রদান করা হতো। তাছাড়া রোম, পারস্য প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশসমূহের সম্রাটদের সাথে পত্র বিনিময়, ইসলামের দাওয়াত এবং বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি ও সন্ধি লিখিতভাবে সম্পাদন করা হতো। আর রসুলের (সা) আদেশক্রমে যা লেখা হতো তাও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। রসুলের (সা) মৃত্যুর পর বিভিন্ন কারণে হাদীস সংকলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কুরআন মাজীদের সাথে হাদীস সংমিশ্রণ হওয়ার আশংকায় কুরআন পুর্ণ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করতে কেউ সাহস পায়নি। আবূ বকরের (রা) আমলে কুরআন মাজীদ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হলে সাহাবীগণ হাদীস লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে আর কোন বাধা আছে বলে অনুভব করেননি। হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষভাগে সাহাবি ও তাবেয়ীগণ প্রয়োজন অনুসারে কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।
অতঃপর উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আযীয হাদীস সংগ্রহের জন্য মদীনার শাসনকর্তা আবু বকর বিন হাজম সহ মুসলিমবিশ্বের বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা ও আলিমগণের কাছে একটি ফরমান জারী করেন যে, আপনারা মহানবী হাদীসসমূহ সংগ্রহ করুন। কিন্তু সাবধান! মহানবী এর হাদীস ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করবেননা। আর আপনার নিজ নিজ এলাকায় মজলিস প্রতিষ্ঠা করে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদীস শিক্ষা দিতে থাকুন। কেননা, জ্ঞান গোপন থাকলে তা একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই আদেশ জারীর পর মক্কা, মদীনা, সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে হাদীস সংকলনের কাজ শুরু হয়। কথিত আছে যে, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে শিহাব আল-জুহরি সর্বপ্রথম হাদীস সংগ্রহ এবং সংকলনে হাত দেন। কিন্তু তার সংকলিত হাদীসগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর ইমাম ইবনে জুরাইজ মক্কায়, ইমাম মালিক মদীনায়, আবদুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব মিসরে, আব্দুর রাজ্জাক ইয়েমেনে, আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক খুরাসানে, এবং সূফিয়ান সাওরী ও হাম্মাদ ইবনে সালমা বসরায় হাদীস সংকলনে আত্ননিয়োগ করেন। এ যুগের ইমামগণ কেবল দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় হাদীসগুলো ও স্থানীয় হাদীস শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাপ্ত হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তাদের কেউই বিষয়বস্তু হিসেবে বিন্যাস করে হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেননি।
এ যুগে লিখিত হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান প্রামান্য হাদীসগ্রন্থ। ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” গ্রন্থটি হাদীস সংকলনের ব্যাপারে বিপুল-উৎসাহ উদ্দিপনার সৃষ্টি করেছিল। এটি হাদীসশাস্ত্র অধ্যায়নে মুসলিম মণিষীদের প্রধান আর্কষণে পরিণত হয়েছিল। এরই ফলশ্রূতিতে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বে সর্বত্র হাদীস চর্চার কেন্দ্র কিতাবুল “উম্ম” এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের “মাসনাদ” গ্রন্থদ্বয় হাদীসের উপর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। অতঃপর হিজরী তৃতীয় শতাব্দীতে অনেক মুসলিম মণিষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর হাদীস সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে বিখ্যাত হলেন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবূ দাউদ, ইমাম তিরমিজী, ইমাম নাসাঈ, এবং ইমাম ইবনে মাজাহ। এদের সংকলিত হাদীস গ্রন্থগুলো হলো সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে আবূ দাউদ, সুনান আত-তিরমিজী, সুনানে নাসাই এবং সুনানে ইবনে মাজাহ। এই ছয়খানা হাদীসগ্রন্থকে সন্মিলিতভাবে সিহাহ সিত্তাহ বা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীসগ্রন্থ বলা হয়। আব্বাসিয় যুগে হাদীস লিপিবদ্ধের কাজ পরিসমাপ্ত হয়।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩১
রসায়ন বলেছেন: ইমাম বুখারী ১৬ বছর হাদীস নিয়ে কাজ করে বুখারীর সংকলন শেষ করেন
এই কাজ করতে উনি নাকি ৬০০০০০ (ছয় লাখ) হাদীস মুখস্ত করেন !
এছাড়া তিনি রাবীদের নাম পরিচয় জন্ম মৃত্যু বাড়ি কই ইত্যাদিও মুখস্ত করতেন। তিনি ৪০০০০ (চল্লিশ হাজার) রাবির ডিটেইলস মুখস্ত করেছিলেন !
আর এই ১৬ বছরে শুধু তিনি বুখারী শরীফই লিখেন নাই, আরো ১৮ টা বই লিখছেন !
বলেন, এইডা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব !!!
গল্পেরও একটা মাত্রা আছে !
আল বুখারীর সত্য হাদিস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতাঃ এবং যত্নশীলতা থেকে আপনি বুঝতে পারেন তিনি এই ব্যাপারে কতটা নিখুঁত ছিলেন এবং তার বর্ণনা অনুযায়ী শুধু একটি হাদিস সংগ্রহ করতে এক মাস সময় লাগার কথা। তারপরও আল বুখারীর প্রতি একটু সদয় হয়ে তর্কের খাতিরে ধরে নেই তিনি এক ঘন্টায় একটি হাদিস সংগ্রহ করতেন। এবং তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তার সময় লাগতো এক সপ্তাহ বা এক মাস না মনে করি শুধু সেই এক ঘন্টাই । যদি ধরে নেই তিনি বাকি সময়ে খাওয়া-দাওয়া ঘুম থেকে ওঠা এই জাতীয় দৈনন্দিন কার্যাবলী করতেন ১০ ঘন্টা ব্যাপী এবং তার অন্য কোন কাজ নেই শুধুমাত্র অন্য লোকেরা হাদীসের ব্যাপারে কি বলেন তা লিখে রাখা ছাড়া। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে তিনি দৈনিক শুনতেন ১৪ টি হাদিস এবং সাথে সাথে তাদের সত্যতা যাচাই করে ফেলতেন । ৬ লক্ষ হাদিসের থেকে প্রতিদিন ১৪টি হাদিস সংগ্রহ করা হলে -এই কাজ শেষ করতে তার সময় লাগার কথা অন্তত ১১০ বছর ( ১১৭ =(৬০০০০০/১৪)/৩৬৫)
তবে তিনি বলেছেন তিনি নাকি বইটি শেষ করেছেন ১৬ বছরের মধ্যে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনি শুধু এই হাদিস বই লিখেননি, উনি লিখেছেন আরো ১৮ টি বই। যেগুলি প্রায় বুখারী শরীফের মতো প্রায় একই আকৃতির কিংবা বুখারী শরীফ এর চেয়েও বড়। তাছাড়া তিনি বলেছেন শিশু বয়সে তিনি ৭০ হাজার হাদিস মুখস্ত করেছেন। তিনি যখন বড় হয়েছেন তিন লক্ষ হাদিস তার মুখস্থ ছিল। তার মধ্যে এক লক্ষ কে তিনি সঠিক বলে চিহ্নিত করেছিলেন আর বাকি দুই লক্ষ ছিল মিথ্যা বা বানোয়াট।
এই লাহোয়াল হাদীস নিয়ে মোল্লারা কোরআনের বিধানকে বাতিল করে দিতেছে
বুখারীর পান্ডুলিপি ১২০০ সালের আগে নাই ! বুখারী তার বুখারী শরীফ বইটা নিজেও দেখেননি !
বুখারী তার মৃত্যুর মাত্র ৪ বছর আগে ফিরাব্রি নামের তার ছাত্রের কাছে ওরালি ন্যারেট (মৌখিকভাবে শুনিয়ে) যায় ! এই ফিরাব্রি ৬৭ বছর ধরে এই জিনিস কারো কাছে প্রচার করেননি। তিনি তার মৃত্যুর ৩ বছর আগে এটা তার ১৭ বছর বয়স্ক ছাত্র আল খুশায়মানির কাছে ! এই খুশায়মানির ছাত্রদের থেকে এইটার বিভিন্ন ভার্সন বের হয় !... খুশায়মানির ৪৫০-৫০০ বছর পরে ইবনে হাজার আশকালানির ফাত হুল বারি থেকে বর্তমান প্রচলিত বুখারী !
তো নবী তো আল আমিন ছিলেন, তিনি নবী ছিলেন। কিন্তু বুখারী, ফিরাব্রি, খুশায়মানি কিংবা আশকালানি কি নবী ছিলেন ? তাদের কথা বা কাজের সত্যায়ন কি ? বুখারী শরীফ কি আল্লাহ বা নবী মুহাম্মাদ কর্তৃক অনুমোদিত ?
বুখারী নাকি তার প্রতিটা হাদিসকে ইস্তেখারা (ধ্যানের) মাধ্যমেও সত্যায়ন করেছেন ! নবী মুহাম্মাদ নাকি বুখারীকে স্বপ্নে এসে বলতো এটা সহীহ !!! এই গল্পে বিশ্বাস করবো কি করে ?
হাদিস যাচাইয়ের মূলনীতি কি আল্লাহ বা নবী কর্তৃক অনুমোদিত ?
আল্লাহ বা নবী মুহাম্মাদ কি কখনো বলেছে এইভাবে হাদিসের সত্য মিথ্যা নির্ণয় করো ? তাহলে এইসব হাদিসের সত্যায়নের ভিত্তি কি ? আমি তো "আমানতু বিল্লাহি ওয়া বুখারিহী, ওয়া ফিরাব্রিহী, ওয়া খুশায়মানিহী ওয়াল ইবনে হাজার আশকালানি আজমাইন" বলি নাই ! বুখারী নামের কোন মানুষ ছিলো সেটা বিশ্বাস করাই তো আমার ঈমানের অংশ না !
বুখারী সহ এসব ব্যক্তিদেরকে এসব হাদিস সংগ্রহ বা সংকলনের দায়িত্ব কে দিয়েছে ? আল্লাহ না নবী ? বুখারী যে বুখারী লিখেছে তারই তো কোন প্রমাণ নাই ! আর হাদিস সংগ্রাহকরাও তো যে যার মতো ! শিয়াদের হাদিস মানেন আপনি ? তারাও তো সহীহ হাদিস বলছে শিয়াদের নিজেদের কাছে থাকা সিহাহ খামছা (পাঁচটি সহীহ হাদিসের বই) । সুন্নীরা তো শিয়াদের হাদীস মানে না, আবার শিয়ারাও সুন্নীদের গুলো মানে না ! তাহলে কিসের হাদিস মানেন আপনারা ?
হাদিস মানে কথা বা খবর, তো কথা বা খবর হলে সেটা সত্যি না মিথ্যা জানতে হবে না ? কোরআনের ব্যাপারে বললেন, কিন্তু কোরআনের গ্যারান্টার আল্লাহ, সূরা বাকারায় আল্লাহ বলেন, লা রাইবা ফি, অর্থাৎ বিন্দুমাত্র সন্দেহহীন !
হাদিসের ব্যাপারে কি আল্লাহ বা রাসূলের কোন লা রাইবা ফি গ্যারান্টি আছে ? এসব আমি কিসের ভিত্তিতে সত্যি মানবো ?
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পবিত্র কোরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা এসেছে। মহান আল্লাহ বলেন, আর আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয সম্পর্কে। বলে দেন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষন না তারা পবিত্র হয়ে যায় ততক্ষণ তাদের নিকটবর্তী হবে না। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন গমন কর তাদের কাছে, যে ভাবে আল্লাহ হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং যারা অপবিত্রতা হতে বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। (বাকারা/আয়াত-২২২)
হজরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতীর সঙ্গে মিলিত হয় কিংবা কোনো মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোনো গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। (তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০)
সুতরাং স্বামীর জন্য জায়েয হবে না স্ত্রী সহবাস করা যতক্ষন না স্ত্রী হায়েয থেকে মুক্ত হয়ে গোসল করে পবিত্র হয়।
এছাড়া ডাক্তারদের মতেও এ সময় স্ত্রী সহবাস করা অনুচিত। কারণ এ সময় নারীরা অসুস্থ্য বোধ করে। স্রাবের রক্তের সঙ্গে বিভিন্ন রোগের জীবানু বের হয়ে থাকে। যা সহবাসের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই শরীয়তের বিধানের পাশাপাশি ডাক্তারী মতেও এ সময় সহবাস করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য।
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে এক নম্বর ক্ষতি হলো, মহান আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিধানকে লঙ্ঘণ করা হয়। এর চেয়ে বড় ক্ষতি আর কিছুই হতে পারে না। যে কর্মের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামীন অসন্তুষ্ট হোন। তার বিধান লঙ্ঘিত হয়। এর চেয়ে ক্ষতি আর কী হতে পারে?
হায়েয অবস্থায় সহবাসের কাফফারা:
হায়েজ অবস্থায় যদি কেউ যৌনমিলনে লিপ্ত হয় তবে তার ওপর এই পাপের কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। কাফফারার পরিমাণ হলো এক দীনার অথবা অর্ধ দীনার। এ ক্ষেত্রে দলীল হলো, আবু দাউদ বর্ণিত একটি হাদীস। কোনো কোনো আলেম হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। কিন্তু বিশুদ্ধ মত হলো, হাদীসটির বর্ণনা কারীরা সকলেই নির্ভর যোগ্য। সুতরাং দলীল হিসেবে উহা গ্রহণযোগ্য।
এই কাফফারা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত হল:
(১) ব্যক্তির জ্ঞান থাকা। (যে হায়য অবস্থায় ইহা হারাম) (২) স্মরণ থাকা। (ভুল ক্রমে নয়) এবং (৩) ইচ্ছাকৃতভাবে সে কাজে লিপ্ত হওয়া। (কারো জবরদস্তী করার কারণে নয়।) যদি উক্ত কাজে স্বামীর অনুগত হয় তবে তারও ওপর উক্ত কাফফারা ওয়াজিব হবে।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫১
রসায়ন বলেছেন: কোরআনে ব্যবহৃত أَذًى মানে যে অশুচি বা নোংরা না সেটা বুঝাতে চাইছি, সেটা আশাকরি আপনি সহ ব্লগার ও পাঠকরা বুঝেছেন। এবারে পরের কথায় আসি। মাসিককে বলা হয়েছে কষ্ট, এরপরে মাসিক পরিষ্কার না হওয়া অবধি স্বামীদের স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাকতে অর্ডার, যেহেতু আগেই আল্লাহ জানিয়েছেন এটা কষ্ট সেজন্য ঐ সময় তাদের সাথে মিলন নিষিদ্ধ করছে। এখানে তাদেরকে অপবিত্র ঘোষণা করা হয়নি।
কোরআনে সালাত ও সাওমের বিধানে যেসব এক্সকিউজ আছে তাতে মাসিকের উল্লেখই নাই, যদিও যা যা নিষেধ তা সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে,
সালাতেও রজঃস্রাব কোন বাঁধা নয়। রজঃস্রাব চলাকালীন সালাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি।
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পা য়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল। [সুরা নিসা - ৪:৪৩]
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায় খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। [সুরা মায়েদা - ৫:৬]
এবার দেখা যাক রজঃস্রাব চলাকালীন সময়ে সাওমে কোন বাঁধা বা নিষেধাজ্ঞা আছে কি না কোরআনে,
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। [সুরা বাকারা - ২:১৮৫]
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। [সুরা বাকারা - ২:১৮৭]
তাহলে কোরআন থেকে জানা গেলো যে রজঃস্রাব চলাকালে কোন বাঁধাই নাই এসব করার যদিও মানবরচিত, সংগৃহীত, সংকলিত হাদীস ও মোল্লাকেন্দ্রিক প্রচলিত ইসলামে এগুলো নিষিদ্ধ।
কোরআন থেকে যা জানা গেলো তার সাথে প্রচলিত লাহওয়াল হাদীসের আকাশ পাতাল তফাৎ ! কোরআন যা বলেছে যতোটুকু বলেছে সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের নিকট তিলাওয়াত করা হয়? নিশ্চয় এর মধ্যে রহমত ও উপদেশ রয়েছে সেই কওমের জন্য, যারা ঈমান আনে। বল, ‘আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট । আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, তা তিনি জানেন। আর যারা বাতিলে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত’। [ সুরা আনকাবুত ২৯:৫১-৫২ ]
এরকম আরো আয়াত আমি দেখাতে পারবো। কোরআন যদি যথেষ্ট মনে না হয় তাহলে কিছু করার নাই।
তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ন করেছেন? আমি যাদেরকে গ্রন্থ প্রদান করেছি, তারা নিশ্চিত জানে যে, এটি আপনার প্রতি পালকের পক্ষ থেকে সত্যসহ অবর্তীর্ন হয়েছে। অতএব, আপনি সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। [সুরা আন’য়াম - ৬:১১৪]
এই বিস্তারিত গ্রন্থ আল্লাহর বলা, এখন আপনি যদি বিস্তারিত গ্রন্থকে সংক্ষিপ্ত বলে আল্লাহর উপরে মিথ্যারোপ করেন তাইলে কিছু করার নাই।
মানবরচিত বানোয়াট বিধানে কি আছে সেটা দেখার বিষয় নয়। সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী (ফুরকান) হলো কুরআন। কাজেই কোরআনে যা আছে যতোটুকু আছে যেভাবে আছে সেটাই যথেষ্ট একজন মুসলিমের জন্য। আল্লাহ নিজেই কিতাবকে তিবিয়ানা লি কুল্লিশাইয়িন (সব ব্যাখ্যা সহ), ফুসসিলাত (বিশদ ব্যাখ্যাকৃত) ইত্যাদি ঘোষণা করেছেন
১৭| ১০ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেট জানার জন্য।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৫
রসায়ন বলেছেন: আচ্ছা।
১৮| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৩
জ্যাকেল বলেছেন: সরল বাক্যে আল্লাহর রাসূল সাঃ এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের নির্দেশ উপেক্ষা/অমান্য করে হাদীস সংকলন করা হয়েছে। তাই সেটা ইসলাম ধর্মের রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা অনুচিত হবে; ধর্মের বিধান তো বহুত দুর কি-বাত। তবে ইতিহাস হিসাবে যদি পড়া হয়, নিজের তাকওয়া সমৃদ্ধ করতে পড়া হয় তবে ভিন্ন কথা। আল্লাহর দানকৃত সহজ ইসলামকে জটিল করতে যদি ব্যবহার করা হয় তবেই সমস্যা।
উপরে "অশুচি" অনুবাদটা কিন্তু সঠিক না। এটা হবে "কষ্ট"
সুলতান মুয়াবিয়া কর্তৃক প্রবর্তিত (ইয়াহুদি-নাসারাদের অংশগ্রহণ ছিল প্রচুর) সুন্নি ইসলাম সুলতান ওমর আব্দিল আজিজ দ্বারা পুর্ণতা পায়। আল্লাহর রাসুল সাঃ স্বয়ং মদ, বার, পতিতাখানা এইগুলা বন্ধ করেন নাই, নির্দেশও দেন নি এমনকি প্রথম ৪ খলিফার কেহই ইসলাম নিয়ে কড়াকড়ি করেন নি। ২য় ওমর কঠিন ইসলাম/তালেবানী ইসলাম শুরু করেছিলেন আর সেটাই আমাদের সুন্নিপন্থী মওলভীরা এখানে ইম্পোর্ট করেছেন।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৭
রসায়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কোরআন এবং..এই এবং মানে তুশরিক বিল্লাহ, বা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন। যার শাস্তি কোন গুণা টুনা না, নিশ্চিত জাহান্নাম
১৯| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২৪
তানভির জুমার বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: উপরে বেশ কয়েকজন ব্লগারের মতামত পড়ে বুঝতে পারলাম হাদীস শরিফ ব্যতীত ইসলাম পালন সম্ভব নহে। অথচ বুখারী শরিফ সংকলিত করা হয়েছে কয়েক শো বৎসর পরে। তার মানে কি দাঁড়াল যে এর আগের লোকেরা ইসলাম বিচ্যুত ছিল
আপনারা এইসব নাস্তিকতাময় কথা কই পান। আপনি কোথায় পেলেন যে বুখারী শরিফ সংকলিত করা হয়েছে কয়েক শো বৎসর পর। হাদিস সংকলিত করা হয়েছে নবী সা এর জীবনদশাই। হাদিসশাস্ত্র কিভাবে কাজ করে তা জানেন? শতশত যাচাই-বাছাইয়ের পরই একটা হাদিস সহি হিসেবে সনদ পায়। কেউ একজন বললো রাসূল সা এরকম বলেছেন আর তাই হাদিস শাস্ত্রে যোগ করা হবে বেপারটা এরকম না। ইসলাম ধর্ম কে অস্বীকার করার প্রথম ধাপ হচ্ছে হাদিস কে অস্বীকার করা। একটু কমনসেন্স কাজে লাগান, রাসূল সা এর সময়, সাহাবী, তাবেয়ীদের সময় হাদিস ব্যাপকভাবে প্রয়োজন হয়নি কারণ তারা ইসলামের বিধি-বিধান ১০০% সঠিকভাবে জানতো কেউ এক চুল পরিমান এদিক-ওদিক করার সাহস করতো না, তখন ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগ। সাহাবী-তাবেইরা ই হাদিস সংকোলন করেছে । যারা বলে রাসূল সা ওফাতের ৩শ বছর পর হাদিস সংকোলন করা হয়েছে এটা ডাহা মিথ্যা কথা।
১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৮
রসায়ন বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা, বুখারী শরীফের কথা মহানবীর কথা নয়।
মহানবীর মৃত্যুর পর বুখারী ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করে। তিনি কি সে হাদিস লেখে রাখলেন? উত্তর না।
বয়োবৃদ্ধ বুখারীর মৃত্যুর ২ বছর আগে তার ১৭ বছর বয়সী ছাত্র ফিরাবরি (রঃ) কে ৬ হাদিস বর্ণনা করে যান। ফিরাবরি কি বুখারীর হাদিস লিখে রেখেছেন? উত্তর না।
৮৪ বছর বয়সে ফিরাবরি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর চার বছর আগে তার ১৬ বছর বয়সী ছাত্র মারওয়াজি কে ৬ লক্ষ হাদিস বর্ণনা করেন। মারওয়াজি কি ৬ লক্ষ হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন? উত্তর না।
মারওয়াজি মৃত্যুর আগে তার ছাত্র আসসিলি (রঃ) কে হাদিস গুলো বলে যান। বুখারীর প্রথম পাণ্ডুলিপি লেখেছে আসসিলি (রঃ)। বুখারীর লেখা কোন পাণ্ডুলিপি বা ম্যানুস্ক্রিপ্ট নাই। যদিও বুখারীর আগেও অনেকের পাণ্ডুলিপি ইসলামি জাদুঘর গুলো তে আছে।
এখন অনেকে বলবে ফিরাবরি মারওয়াজিরা অনেক মেধাবী ছিল। তাদের কে বলে রাখি, ফিরাবরি মারওয়াজির বিবরণ কোথাও নাই।
এ হচ্ছে হাদিসের সার্কাস। আর বুখারীর প্রায় হাদিস কোরআন পরিপন্থ
ইমাম বুখারী ১৬ বছর হাদীস নিয়ে কাজ করে বুখারীর সংকলন শেষ করেন
এই কাজ করতে উনি নাকি ৬০০০০০ (ছয় লাখ) হাদীস মুখস্ত করেন !
এছাড়া তিনি রাবীদের নাম পরিচয় জন্ম মৃত্যু বাড়ি কই ইত্যাদিও মুখস্ত করতেন। তিনি ৪০০০০ (চল্লিশ হাজার) রাবির ডিটেইলস মুখস্ত করেছিলেন !
আর এই ১৬ বছরে শুধু তিনি বুখারী শরীফই লিখেন নাই, আরো ১৮ টা বই লিখছেন !
বলেন, এইডা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব !!!
গল্পেরও একটা মাত্রা আছে !
আল বুখারীর সত্য হাদিস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতাঃ এবং যত্নশীলতা থেকে আপনি বুঝতে পারেন তিনি এই ব্যাপারে কতটা নিখুঁত ছিলেন এবং তার বর্ণনা অনুযায়ী শুধু একটি হাদিস সংগ্রহ করতে এক মাস সময় লাগার কথা। তারপরও আল বুখারীর প্রতি একটু সদয় হয়ে তর্কের খাতিরে ধরে নেই তিনি এক ঘন্টায় একটি হাদিস সংগ্রহ করতেন। এবং তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তার সময় লাগতো এক সপ্তাহ বা এক মাস না মনে করি শুধু সেই এক ঘন্টাই । যদি ধরে নেই তিনি বাকি সময়ে খাওয়া-দাওয়া ঘুম থেকে ওঠা এই জাতীয় দৈনন্দিন কার্যাবলী করতেন ১০ ঘন্টা ব্যাপী এবং তার অন্য কোন কাজ নেই শুধুমাত্র অন্য লোকেরা হাদীসের ব্যাপারে কি বলেন তা লিখে রাখা ছাড়া। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে তিনি দৈনিক শুনতেন ১৪ টি হাদিস এবং সাথে সাথে তাদের সত্যতা যাচাই করে ফেলতেন । ৬ লক্ষ হাদিসের থেকে প্রতিদিন ১৪টি হাদিস সংগ্রহ করা হলে -এই কাজ শেষ করতে তার সময় লাগার কথা অন্তত ১১০ বছর ( ১১৭ =(৬০০০০০/১৪)/৩৬৫)
তবে তিনি বলেছেন তিনি নাকি বইটি শেষ করেছেন ১৬ বছরের মধ্যে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনি শুধু এই হাদিস বই লিখেননি, উনি লিখেছেন আরো ১৮ টি বই। যেগুলি প্রায় বুখারী শরীফের মতো প্রায় একই আকৃতির কিংবা বুখারী শরীফ এর চেয়েও বড়। তাছাড়া তিনি বলেছেন শিশু বয়সে তিনি ৭০ হাজার হাদিস মুখস্ত করেছেন। তিনি যখন বড় হয়েছেন তিন লক্ষ হাদিস তার মুখস্থ ছিল। তার মধ্যে এক লক্ষ কে তিনি সঠিক বলে চিহ্নিত করেছিলেন আর বাকি দুই লক্ষ ছিল মিথ্যা বা বানোয়াট।
এই লাহোয়াল হাদীস নিয়ে মোল্লারা কোরআনের বিধানকে বাতিল করে দিতেছে !
২০| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৭
জ্যাকেল বলেছেন: Abu Sa'id Khudri reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
Do not take down anything from me, and he who took down anything from me except the Qur'an, he should efface that and narrate from me, for there is no harm in it and he who attributed any falsehood to me-and Hammam said: I think he also said:" deliberately" -he should in fact find his abode in the Hell-Fire.
ইসলাম ধর্ম কে অস্বীকার করার প্রথম ধাপ হচ্ছে হাদিস কে অস্বীকার করা।
আপনি কিন্তু আল্লাহর রাসুল সাঃ এর সবচেয়ে ঘনিষ্ট সাহাবী আবুব অকর রাঃ এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করতেছেন। উনি তো হাদীস সংকলন নিষিদ্ধ করেছিলেন, পুড়িয়ে ফেলেছিলেন সেইম ওমর রাঃ, উসমান রাঃ, আলী রাঃ।
ভাই, পৌত্তলিক আরবে যেমন রাসুল সাঃ এর নিকটাত্মীয়দের ইসলাম গ্রহণ করা খুব কঠিন ছিল(রাসুল সাঃ কে এরা ভালবাসতেন তবুও), সেইম সিচুয়েশন আপনাদের মধ্যে দেখতে পাইতেছি।
আল্লাহর কোরআন স্পষ্ট কিতাব, কোরআন নিজেই নিজের ব্যাখ্যা করবে। হাদীসের প্রয়োজন নেই। চাইলে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাইতে পারে।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৯
রসায়ন বলেছেন: ১১৫। ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোগ যখন বেড়ে গেল তখন তিনি বললেনঃ আমার কাছে কাগজ কলম নিয়ে এস, আমি তোমাদের এমন কিছু লিখে দিব যাতে পরবর্তীতে তোমরা ভ্রান্ত না হও। ‘উমর (রাঃ) বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোগ যন্ত্রণা প্রবল হয়ে গেছে (এমতাবস্থায় কিছু বলতে বা লিখতে তাঁর কষ্ট হবে)। আর আমাদের কাছে তো আল্লাহর কিতাব রয়েছে, যা আমাদের জন্য যথেষ্ট। এতে সাহাবীগণের মধ্য মতবিরোধ দেখা দিল এবং শোরগোল বেড়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আমার কাছ থেকে উঠে যাও। আমার কাছে ঝগড়া-বিবাদ করা উচিত নয়। এ পর্যন্ত বর্ণনা করে ইবনু আব্বাস (রাঃ) (যেখানে বসে হাদীস বর্ণনা করছিলেন সেখান থেকে) এ কথা বলতে বলতে বেরিয়ে গেলেন যে, ‘হায় বিপদ, সাংঘাতিক বিপদ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর লেখনীর মধ্যে যা বাধ সেধেছে।
https://hadithbd.com/hadith/link/?id=12
তাহলে উনাদের হাদীস মতেই দেখা যাচ্ছে রাসূলের মৃত্যুশয্যায় উনি কিছু লিখতে খাতা কলম চাওয়া উমর তা দেননি, কারণ তাদের কাছে কোরআনই যথেষ্ট ছিলো।
২১| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১৬
তানভির জুমার বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: আপনি কিন্তু আল্লাহর রাসুল সাঃ এর সবচেয়ে ঘনিষ্ট সাহাবী আবুব অকর রাঃ এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করতেছেন। উনি তো হাদীস সংকলন নিষিদ্ধ করেছিলেন, পুড়িয়ে ফেলেছিলেন সেইম ওমর রাঃ, উসমান রাঃ, আলী রাঃ। সূত্র ছাড়া এইসব মিথ্যা কথা বলতে লজ্জা করে না?
আবু সাইদ খুদরীর নামে একটা মিথ্যা কথা বলে দিলেন কোন সূত্র ছাড়াই। কোরআনের সাথে ম্যাচিং করে হাদিস কে অনুসরণ করা মানে আপনি সুবিধাবাদী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাদিস কে অস্বীকার করেছেন মানে ইনডিরেক্টলী ইসলামকেই অস্বীকার করেছেন।
আপনারা চাইতেছেন অন্য ধর্মের মত ইসলাম কে একটি সো-অফ ধর্ম বানাতে আপনাদের এই নোংরা ইচ্ছা সফল হবে না ইনশেআল্লাহ।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৩
রসায়ন বলেছেন: কোরআনের মধ্যে হাদীস, সুন্নাত এসব শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে আল্লাহ ও কোরআনকে ইন্ডিকেট করতে, এইসব শব্দ হাইজ্যাক করে কোরআন বহির্ভূত লিটারেচারের নামে চালিয়ে দেওয়ার স্পর্ধা যারা দেখিয়েছেন তারা মুসলিম নয় মুশরিক।
আর আপনার জন্য দুঃসংবাদ
ক্রাউন প্রিন্স সালমান বুখারী মুসলিম তিরমিজি ইত্যাদি মানবরচিত বানোয়াট হাদিস গ্রন্থ ত্যাগ করে কোরআনের পথে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ হাদীস হলো পার্সিয়ানদের তৈরি। ইসলাম মানে শুধুমাত্র আল্লাহর কিতাব কোরআন, কোন হাদীস মাদিস, ফিকহ টিকহ নয়।
সৌদির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের আরবিতে দেয়া সাক্ষাৎকারটি দেখুন, ইংরেজি ভাষায় সাবটাইটেল দেয়া আছে।
মালয়েশিয়ার উন্নতির রূপকার, ড. মাহাথির মোহাম্মদও এইসব হাদীস ত্যাগ করে কোরআন মানতেন শুধু। তাই তার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া আজকে এই অবস্থায় আসতে পেরেছে।
https://youtu.be/xqXl0L3lL8w
২২| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪২
জ্যাকেল বলেছেন: তানভীর জুমার সাহেব, আপনার ইসলামের প্রতি মহব্বত আমি পছন্দ করি। কিন্তু আপনি মধ্যযুগের কলংক বয়ে বেড়াতে চাচ্ছেন এখানেই সমস্যা। যাইহোক, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পোস্ট বহির্ভুত আলাপে আর না জড়াতে, তাই এই এই বিষয়ে আলাদা করে একখানা পোস্ট দেব।
১ তানভির জুমার বলেছেন: ----- সূত্র ছাড়া এইসব মিথ্যা কথা বলতে লজ্জা করে না?
২ আবু সাইদ খুদরীর নামে একটা মিথ্যা কথা বলে দিলেন কোন সূত্র ছাড়াই।
৩ কোরআনের সাথে ম্যাচিং করে হাদিস কে অনুসরণ করা মানে আপনি সুবিধাবাদী।
৪ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাদিস কে অস্বীকার করেছেন মানে ইনডিরেক্টলী ইসলামকেই অস্বীকার করেছেন।
৫ আপনারা চাইতেছেন অন্য ধর্মের মত ইসলাম কে একটি সো-অফ ধর্ম বানাতে ---আপনাদের এই নোংরা ইচ্ছা সফল হবে না ইনশেআল্লাহ।
তবে পোস্ট লিখবার আগে একটা কথা জানতে চাই- যদি আমি সুত্র সহ বলতে পারি, তবে কি আপনি মেনে নিবেন যে হাদীস চর্চা যেহেতু বারবার নিষিদ্ধ করা হইয়াছে তার মানে এটা ইসলামের অংশ নয়?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
রসায়ন বলেছেন: তখন আর খুঁজে পাবেন না
২৩| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
নতুন বলেছেন: চমতকার আলোচনা, বেশ কিছু নতুন জিনিস উঠে এসেছে।
সকল ধর্মই মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্যই ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। আর বর্তমানে ধর্ম অনেকটা সামাজিক প্রথার মতন চলছে। অন্য সব ধর্ম ইতিমধ্যে সামাজিক প্রথা হয়ে গেছে বেশির ভাগ অনুসারীদের কাছে। আমাদের দেশেও তেমনটাই হতে যাচ্ছে।
গত কাল ঈদের দিন কতজন মানুষ ফজর নামাজ পড়েছে VS কতজন ঈদের নামাজ পড়েছে আর কুরবানি করেছে তুলনা করলেই বুঝতে পাবেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
রসায়ন বলেছেন: ইসলাম কোন ধর্ম নয়, এটা একটা জীবনব্যবস্থা। কোরআনের ইসলামের সাথে প্রচলিত ইসলামের আকাশ পাতাল তফাৎ।
২৪| ১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি কি আরবী ভাষায় পন্ডিত? আরবী ভাষায় বিশদ জ্ঞান রাখেন? আরবী আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন? সম্পূর্ণ কোরআন সম্পর্কে জ্ঞাত? যদি প্রশ্নগুলো উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার আলোচনা ঠিক আছে আর যদি না হয় এবং আপনি যদি internet ভিত্তিক হুজুর হয়ে থাকেন তাহলে এইসব বিভ্রান্ত ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন এবং আরো ভাবুন।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
রসায়ন বলেছেন: আপনি পারলে পোস্টের ভুল বের করে দেখান। কোরআন থেকে সরাসরি বিধানটা জানিয়েছি তালাকের। আপনি সেই প্রসঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজন মনে করলে কাবার ইমামের সাথে দেখা করে আসেন, এইখানে কোন অনুবাদ ভুল আছে কিনা।
যাই হোক, আপনি যেহেতু ভাষার কথা এনেছেন তো আপনার কিছু ইনফরমেশন জানা জরুরী !
প্রচলিত সুন্নীদের সিহাহ সিত্তাহর গ্রন্থসমূহের প্রণেতা
বুখারী
মুসলিম
তিরমিযী
ইবনে মাজা
নাসায়ী
আবু দাউদ
এরা একজনও আরবীয় ছিলেন না, সবাই পার্সিয়ান।
এরপরে নবীর সীরাত রচয়িতা ইবনে হিশামও ছিলেন নন আরাবিক
২৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হাদিস লেখা রসূলের (সা) ওফাতের ২০০ বা ৩০০ বছর পড়ে হয়েছে কথাটা সঠিক না। রসুলের (সা) জীবদ্দশাতেই কয়েকজন সাহাবী কিছু হাদিস লিখে রেখেছিলেন। এছাড়া প্রথম হিজরির শেষের দিকে অর্থাৎ রসূলের (সা) ওফাতের ৭০ বা ৮০ বছর পরে হাদিস লেখার সূচনা হয়।
ভাই আপনি যা জানেন তা সম্পূন ভূল জানেন। ১ম খলিফা হযরত আবু বকর সংগৃহিত সকল হাদীন পুড়িযে দিয়েছিলেন এবং এ বিষয়টি কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করেচিলেন কারন হাদীন সংগ্রহ করতে রাসুল নিজে নিষেধ করেছিলেন। ২য় খলিফা ওমর (আঃ হাদীসের ব্যাপারে আরো কঠোর হয়েছিলেন। পর পর ৪ জন খলিফা হাদীস সংগৃহিত রাখাকে চরম অপরাধ হিসেবে গন্য করা হতো। তাহলে আপনি উমাইয়া শাসনআমলকে হাদীস সংগ্রহের ধারক বাহক বলছেন। তাদের কি ইসলামে কোন ভিত্তি আছে? তারা কে হাদীস সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়ার যা স্বয়ং রাসুল নিষেধ করেছেন।
২৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা হাশর (৫৯) : ০৭
রাসুল (নাঃ) সরাসরি হাদীস লিখতে এবং সংগৃহ করতে নিষেধ করে গেছেন। তার নিষেধ না শুনে যে সব সাহাবী হাদীস গোপনে সংগ্রহ করতেন তারা কি ঠিক করতেন? এরাই পরবতূীতে ইসলামের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়।
"আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা প্রচার কর(narrate from me)। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু মৌখিক বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" (সহি মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪)
একই বর্ণনাকারী থেকে আর একটি হাদিস: আমরা রাসুল সঃ থেকে (কুরান ছাড়া অন্য কিছু) লিপিবদ্ধ করে রাখতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি অনুমতি দেন নি।" যায়দ বিন সাবিতও একই রকমের হাদিস বর্ণনা করেছেন।
রাসুল সঃ তাদেরকে বলেন: তোমরা এসব কী লিখছ? ...আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশিয়ে আর একটা কিতাব লিখছ?
It was narrated from Abu Sa'eed al-Khudri that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: "Do not write anything from me; whoever has written anything from me other than the Qur'aan, let him erase it and narrate from me, for there is nothing wrong with that." (Narrated by Muslim, al-Zuhd wa'l-Raqaa'iq, 5326)
শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ অনুবাদ করছি: বর্ণিত আছে, রাসুল সঃ বলেন: কোরান ছাড়া আমার কাছ থেকে তোমরা আর কিছুই লিখবে না। যে এরকম যা কিছু লিখেছ, মুছে ফেল।...
তখন এইসব সাহাবি কর্তৃক কোরান-হাদিস মিলিয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিলো, সব পুড়িয়ে ফেলা হয় (রেফ: মুসনাদে ইমাম আহমদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৭১, মজমায়ুজ জাওয়ায়িদ, ১ম খন্ড, পৃ.
১৫২)
২৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ তানভির জুমার কিছু ছুপা নাস্তিক জাল হাদিসের নাম দিয়ে সহি হাদিস কে অস্বীকার করার চেষ্টা করে কারণ, হাদিস বাদ দিতে পারলেই অন্য ধর্মের মত ইসলাম কে নিজেদের মত করে পরিবর্তন করা যাবে।
হাদীস কখনই ইসলামে ছিলো না। বরং হাদীস জোর করে কিছু নাস্তিক ছুপা ভন্ড দ্বারা ইসলামের মধ্যে মুখোশ পড়ে ঢুকে পড়েছে। একে তাড়াতে না পারলে ইসলাম কলুষিতময় হয়ে পড়ছে। ২৮ নং মন্তব্য লক্ষ্য করুন।
২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ভাইঃ
আপনি একটি মন্তব্যে বলেছেন, " আপনি যে মতবাদের অনুসারী তাদেরকে কুরানিসট বলে। এরা ভুল রাস্তায় চলছে। সাধারণভাবে সকল হাদিসকে অস্বীকার করা একটা কুফরি। তউবা করে সঠিক রাস্তায় চলে আসুন।"
আমি শুধু জানার আগ্রহ থেকে বলছি - কুরানিস্ট মানে কি? কেন তারা ভুল পথে চলছে?
সকল হাদিসকে অস্বীকার করা কুফরি - এই বিষয়ে নীতিমালা কোথায় আছে?
যেহেতু আপনি এখানে উল্লেখ্য করেছেন, তারমানে আপনি অবশ্যই জানেন। আমিও জানার সুবিধার্থে শ্রেফ জানতে চাইছি।
২৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @তানভির জুমার: আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনি যদি ইচ্ছেখুশি মত নাস্তিক ট্যাগ প্রদান করেন, তাহলে আপনার ব্লগ সুবিধা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। এই বিষয়ে আপনার সর্তকতা কামনা করছি।
৩০| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই - আমি ধর্মীয় ব্যাপারে কখনও নিজস্ব মতামত পেশ করি না। আপনার সুবিধার জন্য আমি কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম যেখানে বিস্তারিতভাবে al-Qur’aaniyyeen বা কুরানিসটদের ব্যাপারে বলা আছে। এই মতবাদকে কুরানিসম বলে।
নীচের দেয়া প্রথম লিঙ্কে এদেরকে বিপথগামী দল বলা হয়েছে এবং এক পর্যায়ে বলা হয়েছে The one who rejects the Sunnah is a kafir and an apostate. কেন এই রকম বলা হয়েছে সেটা আপনি লিঙ্কগুলি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝতে পারবেন। এই সাইটের নাম islamqa. এটি একটি প্রখ্যাত ইসলামি সাইট। এছাড়া আরেকটা সাইটের লিঙ্ক দিয়েছি নীচে।
Should He Forsake His Family Who Reject the Sunnah?
The misguided sect of al-Qur’aaniyyeen
অনেক মুসলিম দেশে কুরানিসটদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়। যেমন;
- In Egypt, Quranists face persecution, imprisonment, torture and exile.
- In Sudan, Quranist men were imprisoned and sentenced to death for only recognizing the Quran and rejecting the Sunnah.
- The Turkish Directorate of Religious Affairs (Diyanet) regularly criticizes and insults Quranists, gives them no recognition and calls them kafirs (disbelievers).
- In Saudi Arabia, Quranism is described as apostasy, therefore punishable by death.
Rejecting Hadiths: The Fitnah of the Quranists
এই রকম সুত্র আরও অনেক আছে। সব দিলে পড়ে শেষ করতে পারবেন না।
তাদের কিছু উদ্ভট কাজ নীচে দেয়া হোল;
- এই দলের অনেকে দুই বা তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। অনেকে নামাজ পড়াকে জরুরী মনে করে না। তারা মনে করে সালাত হোল আধ্যাত্মিক যোগাযোগ তাই নামাজ পড়ার দরকার নাই।
- এদের অনেকে আজানে রসুলের নাম উল্লেখ করে না এবং দরুদে ইব্রাহিমি পড়ে না।
- এরা মনে করে মেয়েদের মাসিক চলাকালীন মেয়েরা নামাজ পড়তে পারে।
- মসজিদে পুরুষ এবং নারী পাশাপাশি দাড়িয়ে নামাজ পড়তে পারে বলে এরা মনে কর।
- হজ্জের সময় হজরে আসওয়াদ পাথরকে চুমা দেয়াকে এবং শয়তানকে পাথর নিক্ষেপকে এরা শিরক মনে করে।
- ইমাম মেহেদি এবং দজ্জালে এরা বিশ্বাস করে না।
আপনি চাইলে আরও কিছু লিঙ্ক তথ্য দেয়া সম্ভব।
৩১| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর, আপনি যাদের লিঙ্ক দিয়েছেন তারা আপনারই মতোন। সঠিক সত্য বোঝবার ক্ষমতা বা সামথ্য নেই। রাসুলের অবমাননাকারী। রাসুল যে বিষয়টি সরাসরি নিষেধ করেছেন সেই নিষেধ অমান্য করেও কুরানিস্ট দের হত্যা করছেন। আপনি কুরানিস্টদের যে চরিত্র সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছেন সে সম্পর্কে আমার মনে হয় সম্পূর্ন ভ্রান্ত ধারনা।
ইসলামের ইতিহাস বলে একটি বিষয় আছে বিশেষ করে আমরা যারা কোরআনের নিয়মে চলতে পছন্দ করি তারা কেউই ইতিহাসকে অস্বীকার করি না। নামাজ ৫ ওয়াক্ত আমরা জানি সেটা নিয়ে আমরা বিভেদ করবো না। নামাজ ৫ ওয়াক্ত রাসুলের আমল থেকে চলে আসছে সুতরাং এটা নিয়ে অমতে কিচু আছে বলে আমি অন্তত মনে করি না।
৩২| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ তানভীর জুমা, ইসলাম ধর্ম কে অস্বীকার করার প্রথম ধাপ হচ্ছে হাদিস কে অস্বীকার করা। একটু কমনসেন্স কাজে লাগান, রাসূল সা এর সময়, সাহাবী, তাবেয়ীদের সময় হাদিস ব্যাপকভাবে প্রয়োজন হয়নি কারণ তারা ইসলামের বিধি-বিধান ১০০% সঠিকভাবে জানতো কেউ এক চুল পরিমান এদিক-ওদিক করার সাহস করতো না, তখন ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগ। সাহাবী-তাবেইরা ই হাদিস সংকোলন করেছে । যারা বলে রাসূল সা ওফাতের ৩শ বছর পর হাদিস সংকোলন করা হয়েছে এটা ডাহা মিথ্যা কথা।
আমি বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক ও লেখক ড. মুহাম্মদ নুরুল আবছার এর “হাদীস সংকলন” নামক একটি প্রবন্ধ থেকে ৪ জন খলিফার আমলে হাদীস সংকলিত না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরলাম। ৪ জর খলিফা হাদীস সংকলনে করে নাই তাহলে ৪ খলিফা কি ইসলাম ধর্ম কি অস্বীকার করেছিলো? ভাইরে আমি আপনাকে বোঝাতে পারছি না হাদীস ইসলামকে বিকৃত করে ফেলেছে।
লেখকের প্রবন্ধ: খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে হাদীস সংকলন :
ক. হযরত আবু বকর (রা.) : হযরত আবু বকর (রা.) নিজে পাঁচ শত হাদীসের একটি সংকলন প্রস্তুত করেছিলেন, তবে শেষ জীবনে তিনি নিজেই তা নষ্ট করে ফেলেন। এর কারণ হিসেবে মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ দু’টি বিষয় উল্লেখ করেছেন-১. তিনি বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদীসে একটি শব্দও যদি রাসূলের (সা.) মূল বাণীর বিন্দু মাত্র বিপরীত হয়ে পড়ে তবে রাসূলের (সা.) সতর্কবাণী অনুযায়ী তাঁকে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে। ২. তাঁর মনে এ ভয়ও জাগ্রত হয় যে, তাঁর সংকলিত হাদীস গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কুরআনের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে বা অন্য সাহাবীগণের বর্ণিত হাদীস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তাহলে ইসলামের বিশেষ ক্ষতি হবে।
খ. হযরত ওমর ফারুক (রা.) : তিনি অনেক হাদীস সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করে ইসলামী রাজ্যের বিভিন্ন শাসকের নিকট প্রেরণ করেছিলেন এবং সর্বসাধারণ্যে সে সবের ব্যাপক প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। ইলমে হাদীসের শিক্ষা ব্যাপকতর করার জন্যে তিনি বিভিন্ন অঞ্চলে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিষ্ঠা করেন। হযরত ওমর ফারুক (রা.) এর সময়ই বিচ্ছিন্ন থাকা হাদীস সম্পদ সংকলন করার প্রশ্ন প্রথম উত্থাপিত হয়। ওমর ফারুক (রা.) এবিষয়ে অন্যান্য সাহাবীর সাথে পরামর্শ করেন। মুসলমানরা তাঁর অনুকূলেই পরামর্শ দেন। কিন্তু শেষে তিনি একদিন বললেন-আমি তোমাদের হাদীস লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহলে কিতাবরাও এমনিভাবে নবীর কথা সংকলিত করে কিতাব রচনা করেছিল এবং আল্লাহর কিতাব পরিত্যাগ করেছিল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে কোন কিছুই মিশাবোনা। অত:পর তিনি হাদীস সংকলিত করার সংকল্প ত্যাগ করেন। বস্তুত: সুসংবদ্ধ ও সংকলিত হাদীস গ্রন্থ পেয়ে লোকেরা হয়তো কুরআন থেকে তাকে বেশি গুরুত্ব দিবে এবং কেবল হাদীস অনুযায়ী চলতে শুরু করবে, শুধুমাত্র এভয়েই এমর (রা.) হাদীস সংকলনের সংকল্প পরিত্যাগ করেন। তিনি এটাকে যে নাজায়েয মনে করতেন না, তা তাঁর পূর্বোল্লিখিত কার্যকলাপ থেকে সহজেই অনুমেয়।
গ. হযরত ওসমান (রা.) : হযরত ওসমান (রা.) খুবই কমসংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন। কেন না তিনি ভুল হওয়ার আশংকায় হাদীস বর্ণনা করা থেকে এক প্রকার বিরত ছিলেন বলা চলে। এ বিষয়ে তাঁর নিজের বক্তব্য হচ্ছে: ‘‘রাসূলের (সা.) সাহাবাদের মধ্যে আমি কম হাদীস জানি, এটি রাসূল (সা.) এর হাদীস বর্ণনা থেকে আমার বিরত থাকার কারণ নয়। আসল কারণটি হচ্ছে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি নিজেই রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, আমি যা বলিনি যদি কেউ তা আমার কথা হিসেবে বর্ণনা করে তবে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।’’ তাই হযরত উসমানের (রা.) বর্ণনা করা কয়েকটি মাত্র হাদীস পাওয়া যায়।
ঘ. হযরত আলী (রা.) : যে কয়জন সাহাবী হাদীস লিপিবদ্ধ করেছিলেন হযরত আলী (রা.) ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তিনি তাঁর লিখিত হাদীস ভাঁজ করে তাঁর তলোয়ারের খাপে রেখে দিয়েছিলেন। (বুখারী, মুসনাদে আহমদ)
৩৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: হাদিস লেখা হয়েছে রসুলের মৃত্যুর ৩০০ বছর পরে।
তিনশত বছর পর মক্কা মদিনার হাজার হাজার মাইল দূরে এক সময়ের সোভিয়েট রাশিয়া এলাকা তাসখন্দের কাছে বুখারা শহরে হাদিস লেখা শুরু হয়,
সেখানকার এক রাজার নির্দেশে বোখারি হাদিস লিখেছিলেন একজন অনারব ব্যক্তি যিনি কখনো আরবে বসবাস করেননি শুধু একবার হজে গেছিলেন। মক্কা মদিনায় কিছু মানুষের কথা শুনে এসে পরে লিখেছেন।
এতে বাদশাহর ইচ্ছায় অনেক আজগুবি গল্প হাদীসের স্থান পেয়েছে। সেই হাদিসের উপর ভিত্তি করে উপমহাদেশের সুন্নি ইসলাম।
ইমাম বুখারী,
ইমাম মুসলিম,
ইমাম আবূ দাউদ,
ইমাম তিরমিজী,
ইমাম নাসাঈ
এরা কেউই আরবীভাষী নন, অনারব। এদের দেশ ছিল উজবেকিস্তান, পারস্য (ইরান্ আজারবাইজান, ইত্যাদি। এরা আরবি ভাষা সামান্য শিখেছেন হজ করার সময়।
এরপরেও হাদীস টিকে গেছে। যুদ্ধবাজ দখলবাজ শাসকগণ হাদীস বানিয়েছে, টিকিয়ে রেখেছে ধর্মের জন্য নয়, রাজনীতি দেশ শাসনের জন্য।
হাদিস বর্তমান ধর্মব্যবসায়ীদের মূল অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। হাদিসের অংশ বিশেষ নিজেদের ইচ্ছামত ব্যাখ্যা করছে নিজেদের রুটি রুজির প্রয়োজনে।রাজনীতির প্রয়জনে। হাদিসকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আরও পোক্ত করে ফেলেছে।
"রসূল সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন" এই তথ্য এখন আর গুগলে খুজলে পাওয়া যায় না, জেহাদিরা মোটা অংকের ডলার খরচ করে ব্যাবস্থা করেছে। কিন্তু ছাপা বইতে ঠিকই আছে।
৩৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী, আসলে আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাদীস নিয়ে অনেক কনট্রোভার্সি আছে। খোদ সহি হাদীস বলে স্বীকৃত অনেক হাদিসের গ্রন্থে বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। বিশেষ করে গাদিরে খুমে রাসুল সাঃ এর বক্তব্য কে বিদায় হজের বক্তব্য হিসাবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে একটু পড়াশোনা করলেই - জানা যাবে।