নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচলিত হাদীস তাফসীর ফিকহ কেন্দ্রিক ইসলাম মোতাবেক ফিকহী বিধান হলো স্ত্রীকে রাগের মাথায়ও যদি তালাক তালাক তালাক (অর্থ্যাৎ ৩ তালাক বলে) তাহলে তার সাথে তালাক হয়ে যাবে। রাগ দুষ্টামি, মজা, সিরিয়াস হয়ে, এরপরে ফোনে, চিঠিতে এমনকি এমনকি স্ত্রীর অনুপস্থিতে তালাক বললেও সেই তালাক ইফেক্টিভ হয়ে যায়।
অর্থাৎ কোন লোক যদি ধরেন বৌ এর সাথে ঝগড়া করলো আজকে রান্নায় তরকারিতে লবণ কম হইছে ক্যান, এটা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটির এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বলে বসলো তোরে আমি তালাক, তালাক, তালাক....৩ তালাক দিলাম ! তাইলে বউ তালাক হয়ে যাবে ! কিংবা বউয়ের অনুপস্থিতিতেও তালাক ঘোষণা করলেও সেটা তালাক হিসেবে গণ্য হবে।
কি মচৎকার সিস্টেম, তাই না !
এবারে এই কাজের সাথে তৎকালীন আরবীয় জাহেলিয়াতদের মিল খুঁজি চলেন
"যে নারী তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং অভিযোগ পেশ করছে আল্লাহর দরবারে, আল্লাহ তার কথা শুনেছেন। আল্লাহ আপনাদের উভয়ের কথাবার্তা শুনেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। তাদের মাতা কেবল তারাই, যারা তাদেরকে জন্মদান করেছে। তারা তো অসমীচীন ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, অতঃপর নিজেদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাদের কাফফারা এই একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসকে মুক্তি দিবে। এটা তোমাদের জন্যে উপদেশ হবে। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর। যার এ সামর্থ্য নেই, সে একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একাদিক্রমে দুই মাস রোযা রাখবে। যে এতেও অক্ষম হয় সে ষাট জন মিসকীনকে আহার করাবে। এটা এজন্যে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণা দায়ক আযাব। [সুরা মুজাদালাহ - ৫৮:১-৪]"
তার মানে আরবীয় জাহেল সমাজ বউ ভাগানোর জন্য একটা প্রথা ব্যবহার করতো, বউরে মা ডাকতো ফলে বউ তালাক হয়ে গেছে ধরতো !! বয়স্ক ও অপছন্দনের বউকে তাড়ানোর জন্য কি মারাত্মক কূট বুদ্ধি ছিলো তাদের !
এবারে এই সিস্টেমের সাথে ফিকহী ও লাহোয়াল হাদীসের ইসলামের কম্পেয়ার করেন !
এখানেও রাগের মাথায়, দুষ্টামি করে, মজা করে, হাসতে হাসতে, ফোনে, চিঠিতে, শুয়ে বসে, দৌড়ের উপরে থেকে এমনকি স্ত্রীর অনুপস্থিতেও তালাক ৩ বার বললেই সব শেষ !
আসুন লাহোয়াল ফতোয়ার বিধান দেখে নিই
তালাকের ফিকাহ কেন্দ্রিক নিয়ম দেখে নিন
১) কেউ যদি স্বাভাবিক ভাবে শুয়ে শুয়ে তার স্ত্রীর ভাল গুণের কথা চিন্তা করে এবং কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে (তার স্ত্রী তার পাশেই ছিল)। তাহলে কি তালাক পতিত হবে?
২)তালাক দেওয়ার সময় কি বলতে হবে যে,আমি তোমাকে তালাক দিলাম নাকি স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে শুধু "তালাক" উচ্চারণ করলেই তালাক হয়ে যাবে?
৩)তালাক নিয়ে অধ্যেয়ন করার সময়, তার স্ত্রীর কথা স্মরণ করে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে, তাহলে কি তালাক হবে?
৪) স্ত্রীর সামনে শুধু তালাক শব্দটি মজার ছলে উচ্চারণ করলেও কি তালাক হবে?
৫) কেউ,যদি বলে সে জীবনে যত মেয়ে বিয়ে করবে সব তালাক তার ক্ষেত্রে বিধান কি হবে?
৬) স্ত্রীর অনুপস্থিতি একা রুমে নিজে নিজে স্ত্রীকে মুখে উচ্চারণ করে তালাক দিলে তালাক হবে? (স্ত্রী বাসায় ছিল না।)
(১) তালাক কাকে দিচ্ছে, সেই জিনিষটা উল্লেখ থাকতে হবে। চায় বাস্তবে উল্লেখ থাকুক বা মৌনভাবে উল্লেখ থাকুক। যাকে তালাক দেয়া হবে, তার দিকে তালাককে সম্বন্ধযুক্ত করতে হবে। সুতরাং
কেউ যদি স্বাভাবিক ভাবে শুয়ে শুয়ে তার স্ত্রীর ভাল গুণের কথা চিন্তা করে এবং কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে, তাহলে এদ্ধারা তার স্ত্রীর উপর কোনো প্রকার তালাক পতিত হবে না।
(২) স্ত্রীর দিকে তালাককে সম্বন্ধযুক্ত করতে হবে। চায় সরাসরি স্ত্রীর দিকে সম্বন্ধযুক্ত করা হোক বা পরিবেশ পরিস্থিতি একথা বুঝাক যে, তালাক স্ত্রীকেই দেয়া হচ্ছে, যেমন ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী কর্তৃক এমন বাক্য উচ্ছারণ হওয়া, তখন স্ত্রীর দিকে সরাসরি সম্বন্ধযুক্ত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং তখন এমনিতেই তালাক পতিত হবে।
(৩) তালাক নিয়ে অধ্যেয়ন করার সময়, তার স্ত্রীর কথা স্মরণ করে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করলে, তালাক পতিত হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত স্ত্রীর কথা স্বরণ করে তালাক শব্দ বললে, তালাক পতিত হবে।
(৪) স্ত্রীর সামনে শুধু তালাক শব্দটি মজার ছলে উচ্চারণ করলে তালাক পতিত হবে।
(৫) তার নিয়তে যদি তিন তালাক থাকে, তাহলে সে আর কখনো বিয়ে করতে পারবে না। যখনই সে কোনো মেয়ে বিয়ে করবে, সে সাথে সাথেই তালাক প্রাপ্ত হয়ে যাবে। আর যদি নিয়তে এক তালাক থাকে, তাহলে বিয়ে করার সাথে সাথেই এক তালাক পতিত হবে। তবে সে উক্ত স্ত্রী ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার সাথে সংসার করতে পারবে।
(৬) স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে একা একা তালাক উচ্ছারণ করলেও তালাক পতিত হবে। তালাক পতিত হওয়ার জন্য স্ত্রীর শ্রবণ শর্ত নয়।
যাই হোক, এই বিধান যে কতোটা অমানবিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা সংসারে টুকিটাকি বাদানুবাদ বা মনোমালিন্য হতেই পারে, সেসময় রাগের মাথায় তালাক বলে ফেলা অস্বাভাবিক না। তো এরকম ক্ষেত্রে তালাকের মতো এতো বড় ব্যাপার যদি ঘটে যায় তাইলে তো সংসার করা লাগবে না আর !
যাই হোক, প্রচলিত বিধান তো আমরা জানি সবাই, উপরেও আলোচনা করলাম।
এবারে আল্লাহর কিতাবের বিধান দেখেন তালাকের।
তালাকের আলোচনা কোরআনের কয়েক জায়গায় আছে, যেমন সূরা বাকারার আয়াত ২২৫ থেকে ২৩২ পর্যন্ত, এবং তালাক নামে একটা আস্ত সূরা আছে, ৬৫ নাম্বার সূরা আত্ব তালাক।
এবারে আসুন কোরআন থেকে তালাকের আয়াতগুলো জেনে নিই,
আল্লাহ তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু তোমাদের অন্তরের সংকল্পের জন্য দায়ী করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত না হওয়ার শপথ করবে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর তারা যদি ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর যদি তারা তালাকের দৃঢ় ইচ্ছা করে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। এবং তালাক প্রাপ্তাগণ তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে; এবং যদি তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে তাহলে আল্লাহ তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন করা তাদের পক্ষে বৈধ হবেনা; এবং এর মধ্যে যদি তারা সন্ধি কামনা করে তাহলে তাদের স্বামীই তাদেরকে প্রতিগ্রহণ করতে সমধিক স্বত্ববান; আর নারীদের উপর তাদের স্বামীদের যেরূপ স্বত্ব আছে, স্ত্রীদেরও তাদের পুরুষদের (স্বামীর) উপর তদনুরূপ ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে; এবং তাদের উপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে; আল্লাহ হচ্ছেন মহা পরাক্রান্ত, বিজ্ঞানময়। তালাক দু’বার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে। তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে, আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতে পারবে না। সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম। অতঃপর যদি সে তালাক প্রদান করে তাহলে এরপরে অন্য স্বামীর সাথে বিবাহিতা না হওয়া পর্যন্ত সে তার জন্য বৈধ হবেনা, অতঃপর সে তাকে তালাক প্রদান করলে যদি উভয়ে পরস্পর প্রত্যাবর্তিত হয় তাতে উভয়ের পক্ষে কোনই দোষ নেই, যদি আল্লাহর সীমারেখা বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। এবং এগুলিই আল্লাহর সীমাসমূহ, তিনি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এগুলি ব্যক্ত করে থাকেন। আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছে যাবে তখন হয়তো বিধি মোতাবেক তাদেরকে রেখে দেবে অথবা বিধি মোতাবেক তাদেরকে ছেড়ে দেবে। তবে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সীমালঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না। আর যে তা করবে সে তো নিজের প্রতি যুলম করবে। আর তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে উপহাসরূপে গ্রহণ করো না। আর তোমরা স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত এবং তোমাদের উপর কিতাব ও হিকমত যা নাযিল করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয় সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত। আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছবে তখন তোমরা তাদেরকে বাধা দিয়ো না যে, তারা তাদের স্বামীদেরকে বিয়ে করবে যদি তারা পরস্পরে তাদের মধ্যে বিধি মোতাবেক সম্মত হয়। এটা উপদেশ তাকে দেয়া হচ্ছে, যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে। এটি তোমাদের জন্য অধিক শুদ্ধ ও অধিক পবিত্র। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। [সুরা বাকারা - ২:২২৫-২৩২]
সুতরাং তালাকের বিধানের ক্ষেত্রে কোরআন আমাদের বলছে,
* শুধু শুধু মুখে তালাক বলার কোন মূল্য নেই (২:২২৫)
* প্রাথমিকভাবে তালাকের ব্যাপারে অটল হয়ে তালাক ঘোষণা করলে সেই তালাকের সিদ্ধান্ত যাচাইয়ের জন্যে উভয়কে(স্বামী স্ত্রী) চার মাস অপেক্ষা করতে হবে (২:২২৬)। চার মাসের মধ্যে....
* যদি উভয়ের ভুল বুঝাবুঝি মিটে (মিমাংসা) যায় তবে বিবাহ অটুট থাকবে (২:২২৬)
* যদি তালাকের সিদ্ধান্তে উভয়ে অটল থাকে তাহলে প্রথম তালাক (২:২২৭)
*এবারে এরপরে, তালাক প্রাপ্তানারী তিন হায়েজকাল অপেক্ষা করবে (মাসিক বন্ধ হওয়া নারীদের ইদ্দাত তিন মাস ৬৫/৪), তিন রজচক্রের মধ্যে স্বামী স্ত্রী পুনরায় একত্রিত হতে চাইলে একত্রিত হওয়ার অধিকারী। নয়তো তালাক।(২:২২৮)
*গর্ভবতী নারীদের ইদ্দত সন্তান প্রসব কাল পর্যন্ত (৬৫:৪)।
এর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ হলো। অর্থাৎ কোরআনের বিধান মতে তালাকের প্রক্রিয়া ন্যূন্যতম ৭ মাস আর গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে এটা আরো বেশী।
* ২:২২৬-২২৮ প্রক্রিয়াই দুই বার (২:২২৯) তালাকের পরেও স্ত্রী ফেরত নেওয়া যাবে (২:২৩১), কিন্ত তৃতীয়বার তালাক সম্পন্ন (২:২২৬-২২৮) হলে অন্যের সঙ্গে বিয়ে এবং পরবর্তী স্বামীর দ্বারা তালাক ব্যতিরেকে স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহন করা যাবে না (২:২৩০) (২:২৩২)।
তাহলে ৭ মাস ব্যয় করে তালাক কার্যকর হওয়ার পরে ঐ নারী পুরুষ চাইলে আবারো বিয়ে করতে পারে। অর্থাৎ সামগ্রীকভাবে একই নারী পুরুষ একবার তালাক হলে পরবর্তীতে আবার বিয়ের শর্ত ছাড়াই একবারের জন্য পুনরায় বিয়ে করতে পারবে।
*বিবাহের পরে স্পর্শ(সহবাস) করার পূর্বে তালাকের মনস্থির করলে গননার তিন হায়েজকাল ইদ্দত নেই (৩৩:৪৯), শুধু অপেক্ষা করতে হবে অবকাশের চার মাস (২:২২৬)
অর্থাৎ নববিবাহিত দম্পত্তি যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলে শুধু অবকাশের ৪ মাস অপেক্ষার পরেই তালাক কার্যকর হবে, ৩ মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষার দরকার নাই।
*বিধবা নারীদের সিদ্ধান্তের অবকাশ (২:২২৬) নেই,শুধুমাত্র চার মাস দশ দিন ইদ্দত (২:২৩৪) পালন করলেই সে নতুন বিয়ে করতে পারবে।
অর্থাৎ বিধবাদের শুধু ৩ মাসিক পরেই বিয়ের অনুমতি প্রাপ্ত হবে।
তালাক ব্যবস্থায় সাক্ষী আবশ্যিক (৬৫:২)।
সোজা কথায় একদম নরমাল সব হলেও তালাক কার্যকর হতে টোটাল ৭ মাস সময় ! এর মাঝেও যদি স্বামী স্ত্রী মিলে যায় তাইলে সব ঠিক !
তাহলে কোরআনের তালাকের সিস্টেমটা হলো AT A GLANCE
১. তালাকের ব্যাপারে মনস্থির করলে টানা ৪ মাস এই সিদ্ধান্তে অটল থেকে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে, এতে প্রথম তালাক কার্যকর হবে। যদি এর মধ্যে তারা বোঝাপড়া ও বিবাদ মিটিয়ে মিলে যায় তো প্রথম তালাক বাতিল
২, ৪ মাস পরেও মিলমিশ না হওয়ায় প্রথম তালাক হওয়ার পরে স্ত্রী ৩ মাসিক (Menstrual cycle) পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এর মধ্যেও যদি তারা পরষ্পর আবারো বিবাদ ভুলে একত্রে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তালাক বাতিল। যদি না করে তাহলে ৩ মাসিক শেষে ২য় তালাক কার্যকর হবে। তবে যদি স্ত্রী গর্ভবতী হয় তবে ২য় তালাক কার্যকরী হওয়ার সময় হলো সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ বাচ্চা জন্মাতে যতদিন লাগে ততদিন পর্যন্ত ২য় তালাক কার্যকরী হওয়ার সময়, এর মাঝেও মিলে যেতে চাইলে আবার সম্পর্ক ঠিক।
এই ২ ধাপে চূড়ান্ত সম্পর্কচ্ছেদ ঘটবে।
নারীরা কি তালাক দিতে পারবে ?
কোরআনের বিধান মতে নারীরাও তালাক নেওয়ার অধিকারী...
"" যদি কোন নারী স্বীয় স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে পরস্পর কোন মীমাংসা করে নিলে তাদের উভয়ের কোন গোনাহ নাই। মীমাংসা উত্তম। মনের সামনে লোভ বিদ্যমান আছে। যদি তোমরা উত্তম কাজ কর এবং খোদাভীরু হও, তবে, আল্লাহ তোমাদের সব কাজের খবর রাখেন। [ সুরা নিসা:128 ]
এবারে ভাবেন, খাড়ার উপ্রে মোল্লাদের প্রবর্তিত ৩ তালাক, বনাম কোরআনের বোঝাপড়ার কি সুন্দর সিস্টেম !
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৮
রসায়ন বলেছেন: হ্যাঁ, তাদের এই ফতোয়াবাজির কারণে কতো পরিবার যে ধ্বংস হয়ে গেছে তার কোন ইয়ত্তা নাই ! কোরআন ওভারটেক করে মনগড়া শরীয়ত প্রবর্তন করে বসে আছে।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তালাকতো মুখের মাধ্যমেই হয়!
এনটিভির ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাবঃ
রাগান্বিত ব্যক্তির তালাক।
রাগের মাথায় তালাক দিলে তালাক হয় না।
তবে রাগের তিনটি অবস্থা হতে পারে:
প্রথম অবস্থা: এত তীব্র রাগ উঠা যে, ব্যক্তি তার অনুভুতি হারিয়ে ফেলা। পাগল বা উন্মাদের মত হয়ে যাওয়া। সকল আলেমের মতে, এ লোকের তালাক কার্যকর হবে না। কেননা সে বিবেকহীন পাগল বা উন্মাদের পর্যায়ভুক্ত।
দ্বিতীয় অবস্থা: রাগ তীব্র আকার ধারণ করা। কিন্তু সে যা বলছে সেটা সে বুঝতেছে এবং বিবেক দিয়ে করতেছে। তবে তার তীব্র রাগ উঠেছে এবং দীর্ঘক্ষণ ঝগড়া, গালি-গালাজ বা মারামারির কারণে সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। এগুলোর কারণেই তার রাগ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ লোকের তালাকের ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতভেদ আছে।
অগ্রগণ্য মতানুযায়ী, এ লোকের তালাকও কার্যকর হবে না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “ইগলাক এর অবস্থায় তালাক কিংবা দাস আযাদ নেই”। [সুনানে ইবনে মাজাহ (২০৪৬), শাইখ আলবানী ‘ইরওয়াউল গালিল’ কিতাবে হাদিসটিকে ‘সহিহ’ আখ্যায়িত করেছেন]
ইগলাক শব্দেরইগলাক শব্দের অর্থে আলেমগণ বলেছেন: জবরদস্থি কিংবা কঠিন রাগ।
তৃতীয় অবস্থা: হালকা রাগ। স্ত্রীর কোন কাজ অপছন্দ করা কিংবা মনোমালিন্য থেকে স্বামীর এই রাগের উদ্রেক হয়। কিন্তু এত তীব্র আকার ধারণ করে না যে, এতে বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে কিংবা নিজের ভাল-মন্দের বিবেচনা করতে পারে না। বরং এটি হালকা রাগ। আলেমগণের সর্বসম্মতিক্রমে এ রাগের অবস্থায় তালাক কার্যকর হবে।
রাগাম্বিত ব্যক্তির তালাকের রাগাম্বিত ব্যক্তির তালাকের মাসয়ালায় বিস্তারিত ব্যাখ্যামূলক এটাই সঠিক অভিমত। ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়্যেম এভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ। আমাদের নবী মুহাম্মদ এর উপর আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২২
রসায়ন বলেছেন: তালাক কোন মৌখিক বিষয় না। কোরআনে সুষ্পষ্টভাবে তালাকের নিয়মাবলী বর্ণনা করা আছে, তা অনুযায়ী এসব মৌখিক বা রাগের মাথায় কিংবা ঠান্ডা মাথায়ও হুট করে তালাক বলে দিলে তালাক হবে এমন কথার কোন ভিত্তি নাই !
কোরআন হলো ফোরকান বা সত্যমিথ্যার পার্থক্যকারী, কোরআন দিয়ে সত্যমিথ্যা যাচাই করতে হবে। কোরআনের আলোকে দেওয়া নিয়ম কানুন পরিবর্তনের ক্ষমতা কোন হাদীস বা মোল্লার নাই।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: তালাক শব্দটাই আমার অপছন্দ।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২২
রসায়ন বলেছেন: সেতো আমারও, কিন্তু এরপরও এই ব্যাপারটা যখন সমাজের একটা অনুসঙ্গ তাই এর নিয়মটা জানা দরকার।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:০০
কামাল৮০ বলেছেন: “ বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে- বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে ”
কাজী নজরুল ইসলাম
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২৫
রসায়ন বলেছেন: কাজী নজরুল ইসলাম ঠিক বলেছিলেন। কোরআনের তালাকের এতো সুন্দর সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও হুজুররা কোথা থেকে এসব ৩ তালাক আবিষ্কার করেছে কে জানে ! ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে ৩ তালাক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, ভালো উদ্যোগ বটে।
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৫৯
স্প্যানকড বলেছেন: মানুষের চিন্তায় পরিবর্তন হওয়া দরকার। শুধু একটা শব্দে সব শেষ এইটা কিছু হইলো ? তবে এই বিধান হয়তো সে সময় হতে পারে যখন কেউ কাউকে ঠকায় বা অন্যায় আচরণ করে। যাক বাকী টা আল্লাহ ভালো জানে।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২৭
রসায়ন বলেছেন: সেটাই তো ভাই। রাগের মাথায় বা দুষ্টামির ছলে বলে ফেলা একটা কথার জন্য সব শেষ হয়ে যাবে, কোন ধরনের অনুতাপ বা অনুশোচনায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ ছাড়াই এটা একদমই মানবতাবিরোধী কাজ। কোরআনে তালাকের সুষ্পষ্ট নিয়ম থাকা সত্ত্বেও এরকম ৩ তালাক মোল্লারা প্রবর্তন করেছে। এটা তো আল্লাহর উপরে মাতবরি করা, শিরক।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি কি আরবী ভাষায় পন্ডিত? আরবী ভাষায় বিশদ জ্ঞান রাখেন? আরবী আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন? সম্পূর্ণ কোরআন সম্পর্কে জ্ঞাত? যদি প্রশ্নগুলো উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার আলোচনা ঠিক আছে আর যদি না হয় এবং আপনি যদি internet ভিত্তিক হুজুর হয়ে থাকেন তাহলে এইসব বিভ্রান্ত ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন এবং আরো ভাবুন। এই মন্তব্যটি অন্য একদিন করেছিলাম উত্তর দেননি; আজ উত্তর আশা করছি।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩০
রসায়ন বলেছেন: আরবি কোন প্রাচীন মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক ভাষা নয় ভাই, এটা একটা সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক ভাষা। কোরআন গবেষণার জন্য মাদরাসায় পড়ে আসতে হবে সেই যুগ শেষ। এখন আপনি ইন্টারনেটেই কোরআনের ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড ভেঙে ভেঙে এনালাইলিস করা পাবেন। কাজেই হাইকোর্ট দেখিয়ে লাভ নাই। আপনি আপনার পছন্দের কোন হুজুরের সাথে এই পোস্টের ব্যাপারে কথা বলে আসুন। এখানে কোরআনের কোন কথাকে কি বিকৃতি করা হয়েছে কি না।
আর আমি আরবি ভাষা জানি। ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আরবি ভাষা জানা আর আরবি ভাষায় বিশদ জ্ঞান রাখা কি একই কথা?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
রসায়ন বলেছেন: আপনি পারলে পোস্টের ভুল বের করে দেখান। কোরআন থেকে সরাসরি বিধানটা জানিয়েছি তালাকের। আপনি সেই প্রসঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজন মনে করলে কাবার ইমামের সাথে দেখা করে আসেন, এইখানে কোন অনুবাদ ভুল আছে কিনা।
যাই হোক, আপনি যেহেতু ভাষার কথা এনেছেন তো আপনার কিছু ইনফরমেশন জানা জরুরী !
প্রচলিত সুন্নীদের সিহাহ সিত্তাহর গ্রন্থসমূহের প্রণেতা
বুখারী
মুসলিম
তিরমিযী
ইবনে মাজা
নাসায়ী
আবু দাউদ
এরা একজনও আরবীয় ছিলেন না, সবাই পার্সিয়ান।
এরপরে নবীর সীরাত রচয়িতা ইবনে হিশামও ছিলেন নন আরাবিক।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০১
জ্যাকেল বলেছেন: @ সৈয়দ মশিউর রহমান
এটা তো কমন সেন্স যে মুখে তালাক বলে ফেললেই তালাক হয়ে গেল এটা সুকঠিন জীবন ব্যবস্থা। আর আল্লাহ কোরআনে বারবার বলেছেন তিনি আমাদের জন্য সহজ চান। এমনকি তালাকের নিয়ম স্পষ্টভাবে কোরআনে পাকে বর্ণনা করা আছে। তারপরেও আল্লাহর কালামের কথা মেনে নিতে কিসে আপনাকে বাধা দিচ্ছে?
কোরআন বুঝার জন্য আরবী ভাষার পন্ডিত হওয়া আবশ্যক নয়। আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ চান, কঠিন না। অন্তত পক্ষে কোরআনের নসিহত পেতে আপনাকে আরবী না জানলেও চলবে। আর পান্ডিত্য যতই হোক, আল্লাহর দেওয়া বিধান পরিস্কার বর্ননা করা আছে। এর পরেই আছে আমাদের বিবেক। এই দুয়ের সমন্বয়ই হতে পারে যেকোন মুসলমানের জন্য হেদায়েত।
হেদায়াত পাইতে আপনাকে কোন মধ্যস্তকারীর প্রয়োজন নাই। আল্লাহ আমাদের অন্তরের খবর আমাদের প্রত্যেকের চেয়ে অধিক জ্ঞাত। কেউ যদি আল্লাহর রাস্তায় চলতে ইচ্ছা করে আল্লাহ তাকে সেদিকেই পরিচালিত করেন। আর কেহ যদি নিয়ত করে যে দুনিয়ার স্বার্থ প্রাধান্য দেবে তবে আল্লাহ তাকে আটকান না। ফলে শয়তান তাকে প্ররোচিত করার সুযোগ লাভ করে এবং তার দলভুক্ত করে।
এখন বেহুদা পেচাল পাইড়া ইহুদীদের মত আমরা কি বিভক্ত হয়ে পড়ব নাকি এক আল্লাহর কালামের নির্দেশনা অনুসারে সুস্পষ্ট এক মুসলমান জাতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকব?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১১
রসায়ন বলেছেন: আমরা সূরা হামদ (ফাতিহা) এ আল্লাহর কাছে বলি
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, [সুরা ফাতিহা - ১:৬]
আল্লাহ আমাদের যেন সরল পথ দেখায়, যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করছে।
এবার দেখেন সরল পথ কোনটা, সেই উত্তর আল্লাহ বলে দিচ্ছেন,
إِنَّ هَـذَا الْقُرْآنَ يِهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا
এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৯]
কোরআনকে আল্লাহ সর্বাধিক সরল পথ বলেছেন।
অথচ আমাদের অনেকের কাছে কোরআন যথেষ্ট না। হাদীস তাফসীর ফিকহ ইত্যাদি মানবরচিত বিধিবিধান ছাড়া কোরআন নাকি অসম্পূর্ণ।
আল্লাহর ঘোষিত সর্বাধিক সরল পথ আমাদের ভালো লাগে না।
এজন্যই আল্লাহ বলেছেন,
আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য বিভিন্ন উপমা দ্বারা আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফরী করা ছাড়া ক্ষান্ত হয়না। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৮৯]
আমি এ কুরআনে মানুষের (জ্ঞান লাভের) জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিশদভাবে বিবৃত করেছি কিন্তু মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্ককারী। [সুরা কা’হফ - ১৮:৫৪]
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনারব হলেই যে আরবি ভাষায় বিশদ জ্ঞান অর্জন করা যাবেনা আমিতো সেকথা বলিনি।
সরাসরি অনুবাদ করলেই কি কোরআনের অর্থ সঠিকভাবে বোঝা যায়?
আপনি বলেছে, প্রয়োজন মনে করলে কাবার ইমামের সাথে দেখা করে আসেন কিন্তু কেন? আপনিই তো পৃথিবীর শ্রেষ্ট ইমাম (!) কাবার ইমাম আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে? আপনার মত কি কাবার ইমামের যোগ্যতা আছে?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১২
রসায়ন বলেছেন: পোস্টের প্রাসঙ্গিক কথা বলেন। কোন ভুল থাকলে বের করে দেখান, এটা না করে এসব ফাও আলাপে আপনারও সময় নষ্ট আমারো।
আমরা সূরা হামদ (ফাতিহা) এ আল্লাহর কাছে বলি
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, [সুরা ফাতিহা - ১:৬]
আল্লাহ আমাদের যেন সরল পথ দেখায়, যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করছে।
এবার দেখেন সরল পথ কোনটা, সেই উত্তর আল্লাহ বলে দিচ্ছেন,
إِنَّ هَـذَا الْقُرْآنَ يِهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا
এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৯]
কোরআনকে আল্লাহ সর্বাধিক সরল পথ বলেছেন।
অথচ আমাদের অনেকের কাছে কোরআন যথেষ্ট না। হাদীস তাফসীর ফিকহ ইত্যাদি মানবরচিত বিধিবিধান ছাড়া কোরআন নাকি অসম্পূর্ণ।
আল্লাহর ঘোষিত সর্বাধিক সরল পথ আমাদের ভালো লাগে না।
এজন্যই আল্লাহ বলেছেন,
আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য বিভিন্ন উপমা দ্বারা আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফরী করা ছাড়া ক্ষান্ত হয়না। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৮৯]
আমি এ কুরআনে মানুষের (জ্ঞান লাভের) জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিশদভাবে বিবৃত করেছি কিন্তু মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্ককারী। [সুরা কা’হফ - ১৮:৫৪]
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্লগার জ্যাকেল আমি তালাক নিয়ে কোন কথা বলিনি।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৩
রসায়ন বলেছেন: কারণ আপনি আসতেন বিতর্ক করতে
ভুল থাকলে বের কইরা দেখান, নাইলে কিচ্ছু করার নাই
১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নজরুল ইসলাম বিবি তালাকের ফতওয়া নিয়ে মশকরা করলেও বিয়ের নিয়ম জানা যেমন দরকার আছে একইভাবে সমাজের মানুষের জন্য তালাকের নিয়ম জানাও দরকার আছে। এটাই মানুষের জীবনের বাস্তবতা। অসুস্থ দাম্পত্য জীবনের চেয়ে পৃথক হয়ে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে উত্তম। বিবাহ মধুর হলেও সেই মধু স্থায়ী হয় না অনেকের জীবনে। অনেক ধর্মে তালাকের নিয়ম নেই বা অনেক কঠোর নিয়ম। যেটা আসলে বাস্তবসম্মত না।
বিয়ে তো ছেলে খেলা না যে দুষ্টমি করে বিয়ে করবে আবার দুষ্টমি করে তালাক দিবে। মানুষ যেন তালাককে হাল্কা না বানিয়ে ফেলে সেটা নিশ্চিত করার জন্যই আল্লাহ সরবোচ্চ ৩ বার তালাক দেয়ার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নতুবা অনেক জালেম স্বামী মাসের মধ্যে ১০ বার তালাক দেবে আবার ফিরিয়ে নেবে।
৪ মাস স্ত্রী থেকে দূরে থাকার শপথ করাটা তালাকের শর্ত না। তবে কেউ যদি এরকম সংকল্প করে সেই ক্ষেত্রে ৪ মাস পার হয়ে গেলে তাকে প্রথম তালাক দিতে হবে। তবে ৪ মাসের আগে সে শপথ ভঙ্গ করতে পারবে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে। কেউ চাইলে স্ত্রীকে ৪ মাসের জন্য পৃথক করার শপথ না করেও সরাসরি ১ম তালাক দিতে পারে। কারণ আয়াতের ভাষা থেকেই সেটা বোঝা যায়। বলা হয়েছে 'যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত না হবার শপথ করবে'। অর্থাৎ সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। এই ৪ মাসের নিয়মের উদ্দেশ্য হোল স্বামী যেন অনির্দিষ্ট কাল এভাবে স্ত্রীকে দূরে না রাখে। সর্বোচ্চ ৪ মাস স্ত্রীর উপর রাগ করে এভাবে দূরে রাখা যাবে নতুবা স্ত্রীকে ১ম তালাক দিতে হবে অথবা মিটমাট করে নিতে হবে। তাই ৪ মাসের অধিক স্ত্রী থেকে রাগ করে দূরে থাকাটা ইসলাম অনুমোদন দেয় না।
বিয়ে যেমন মুখে মুখে হয় তালাকও মুখে মুখে হয়। তবে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হয়। বর্তমান যুগের সেকুলার আইনেও অনেক দেশেই চুক্তি সব ক্ষেত্রে লিখিত হওয়ার প্রয়োজন পরে না। মৌখিক চুক্তিও কার্যকর চুক্তি।
প্রথম বা দ্বিতীয় তালাক কার্যকরী হওয়ার পর স্ত্রীকে ঘরে নিতে হলে উভয়ের মধ্যে নতুন করে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। স্ত্রীকে নতুন করে দেন মোহর পরিশোধ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে যদি স্ত্রী বিয়েতে বেঁকে বসে তাহলে পুনরমিলন সম্ভব নাও হতে পারে। আপনি লিখেছেন বিয়ের শর্ত ছাড়াই বিয়ে করতে পারবে। কথাটা ঠিক না। ১ম বা ২য় তালাকের পর বিয়ের শর্ত মেনেই পুনরায় বিয়ে করতে হবে। কারণ বিয়ে করতে গেলে শর্ত মানতেই হবে। শর্ত মানতে হবে না এমন কথা কোথাও বলা নাই। এই সব কঠোর নিয়ম এই জন্যই রাখা হয়েছে যে মানুষ যেন বুঝে শুনে এবং পরিণতি চিন্তা করে তালাক দেয়। তালাককে কে যেন ছেলেখেলা বানিয়ে না ফেলে। এই কারণেই অতিরিক্ত গরম মাথার তালাক বাতিল বলে গণ্য করা হয়।
৩ তালাক একসাথে হয় না। ৩ তালাক দিলে ১ তালাক হিসাবে গণ্য করা হয়।
যুগে যুগে বিশ্বের প্রখ্যাত আলেমদের অগ্রাহ্য করাটা ভালো কাজ না। আপনি তাদের চেয়ে বড় পণ্ডিত নিশ্চয়ই না। বিভিন্ন যুগের প্রথম শ্রেণীর ইসলামি বিশেষজ্ঞদের কথা অগ্রাহ্য করে আপনি নিজের মত কোরআনের ব্যাখ্যা করছেন। আপনি ভুল রাস্তায় আছেন। ইমাম বুখারি সহ অনেককে আপনি অবজ্ঞা করছেন। এগুলি ভালো লক্ষণ না।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৮
রসায়ন বলেছেন: //আল্লাহ সরবোচ্চ ৩ বার তালাক দেয়ার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন//
উত্তর দিমু পরে আগে একটু হাইস্যা লই
যাই হোক, কোরআনে সুষ্পষ্টভাবে বলা আত্বতালাকু মাররাতান বা তালাক ২ দফা এরপরও ৩ তালাক ৩ তালাক করছেন
তালাক দু’বার الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে। তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে, আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতে পারবে না। সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম। [সুরা বাকারা - ২:২২৯]
//৪ মাস স্ত্রী থেকে দূরে থাকার শপথ করাটা তালাকের শর্ত না। তবে কেউ যদি এরকম সংকল্প করে সেই ক্ষেত্রে ৪ মাস পার হয়ে গেলে তাকে প্রথম তালাক দিতে হবে। তবে ৪ মাসের আগে সে শপথ ভঙ্গ করতে পারবে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে। কেউ চাইলে স্ত্রীকে ৪ মাসের জন্য পৃথক করার শপথ না করেও সরাসরি ১ম তালাক দিতে পারে। কারণ আয়াতের ভাষা থেকেই সেটা বোঝা যায়। বলা হয়েছে 'যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত না হবার শপথ করবে'। অর্থাৎ সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। এই ৪ মাসের নিয়মের উদ্দেশ্য হোল স্বামী যেন অনির্দিষ্ট কাল এভাবে স্ত্রীকে দূরে না রাখে। সর্বোচ্চ ৪ মাস স্ত্রীর উপর রাগ করে এভাবে দূরে রাখা যাবে নতুবা স্ত্রীকে ১ম তালাক দিতে হবে অথবা মিটমাট করে নিতে হবে। তাই ৪ মাসের অধিক স্ত্রী থেকে রাগ করে দূরে থাকাটা ইসলাম অনুমোদন দেয় না।//
যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবেনা বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে অতঃপর যদি পারস্পরিক মিল-মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ ক্ষামাকারী দয়ালু। [সুরা বাকারা - ২:২২৬]
একদম পানির মতো পরিষ্কার কথা, স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখবে না ডিসিশন নিলে তাকে ৪ মাস তাকে অপেক্ষা করতেই হবে। এর আগে মিলে গেলে তো গেলোই, তবে মিলে যায় যেন সেজন্য তাদের টাইম ৪ মাস, এর মধ্যে না মিললে ১ম তালাক।
//বিয়ে যেমন মুখে মুখে হয় তালাকও মুখে মুখে হয়। তবে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হয়। বর্তমান যুগের সেকুলার আইনেও অনেক দেশেই চুক্তি সব ক্ষেত্রে লিখিত হওয়ার প্রয়োজন পরে না। মৌখিক চুক্তিও কার্যকর চুক্তি।//
তালাকের ক্ষেত্রে সাক্ষী ২ জন রাখা আবশ্যিক [সুরা তালাক - ৬৫:২]। মন চাইলে আর খাড়ার উপরে তালাক বলে দিলো, হবে না।
আচ্ছা, তার মানে আপনার মতে "আলেমরা" হলো সত্য মিথ্যার মানদন্ড
কিন্তু কোরআন কি বলে ?
পরম কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার/সত্যমিথ্যার পার্থক্যকারী গ্রন্থ অবর্তীণ করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হয়,। [সুরা ফুরকান - ২৫:১]
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। [সুরা বাকারা - ২:১৮৫]
সুতরাং কোরআনের বিধানই একমাত্র ও চূড়ান্ত।
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪২
বিটপি বলেছেন: আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুমিনদেরকে আদেশ দিয়েছেন হেকমতের সাথে কাজ করতে। মুখে মুখে তালাক দিলে কার্যকর হবে বলে যারা ফতোয়া দিচ্ছেন, তারা কি অনুগ্রহ করে জানাবেন - এটা কোন লেভেলের হেকমতের কাজ?
সহজ ভাবে নিজের কমনসেন্স খাটিয়ে চিন্তা করলেও তো বুঝা যায় যে এটা কোন সিস্টেমের মধ্যেই পড়েনা। বিবাহের মত এত স্থায়ী একটা সম্পর্ক এত সহজে কিভাবে শেষ হতে পারে?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
রসায়ন বলেছেন: এগুলো হলো সেইসব লোকদের কাজ যারা আল্লাহর উপরে খবরদারি করতে আসে। মুশরিক।
১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ বিটপি - বিয়ে কি লিখিত হওয়া বাধ্যতামূলক। উত্তর হোল না। তবে বিয়ে এবং তালাকের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। লিখিত হওয়াটা বাধ্যতামূলক না। বর্তমান সেকুলার আইনেও দেশে বিদেশে চুক্তি মুখে মুখে হতে পারে। সব চুক্তি লিখিত হওয়ার দরকার পরে না। বিয়ে হোল একটা চুক্তি। তালাক হোল সেই চুক্তির অবসায়ন। তবে আধুনিক যুগে সব কিছু কাগজে কলমে করা সহজ এবং সুবিধাজনক তাই এগুলি এখন লেখা হয়।
বিয়ে এবং তালাক নিয়ে একটা জোকস আছে, অনেকেই জানেন। তারপরও বলছি;
স্বামী অনেকক্ষণ ধরে বিয়ের কাবিন নামার দিকে গভীর মনোযোগের সাথে তাকিয়ে আছে। স্ত্রী বলছে যে তুমি এত মনোযোগ দিয়ে ওটাতে কি দেখছো? স্বামী বলল যে ' মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটা খুঁজে পাচ্ছি না।'
১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
রসায়ন বলেছেন: তালাক বিষয়ে কোরআনের সুষ্পষ্ট আয়াতেও মন ভরে না, যেতে হয় মানবরচিত বিধানে। কি আর কমু
১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিজের খুশি মত কোরআন বিশ্লেষণ করলে এই রকম ব্যাখ্যাই দিবেন। সুরা বাকারার ২২৯ নং আয়াতের প্রথম অংশ দিলাম।
Divorce is permissible only twice; then keep them in honour, or let them go with kindness.
তালাক দু’বার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে।
সারাংশ হোল ২ বার তালাকের পর স্ত্রীর সাথে সংসার করার সুযোগ আছে অথবা তৃতীয় তালাকের মাধ্যমে তার থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। বারবার তালাক দেয়া যাবে না এবং ফিরিয়ে নেয়া যাবে না। তাই ২য় তালাক চূড়ান্ত তালাক না ও হতে পারে। ফেরতযোগ্য তালাক হোল ২ বার। ফেরতযোগ্য তালাক ১ বার হলে উপরের আয়াতের সাথে সংঘর্ষ হবে। কারণ ওখানে ২য় তালাকের পর স্ত্রীর সাথে সংসার করার সুযোগ রাখা হয়েছে (দেন কিপ দেম ইন অনার)। ২য় তালাক চূড়ান্ত হলে ২য় তালাকের পর স্ত্রীর সাথে থাকার সুযোগ থাকে না। ফলে উপরের আয়াতের সাথে সংঘর্ষ তৈরি হয়।
যুগে যুগে বহু প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত যা বলেছে আপনি তাদের চেয়ে বেশী বোঝেন। এটাই মূল সমস্যা।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২
রসায়ন বলেছেন: সহজ বিষয়টা বুঝতে পারছেন না। তালাক ২ বার। ২ ধাপেই সম্পর্কচ্ছেদ ঘটবে, তৃতীয়ের কোন কথাই নাই।
আর যে বিষয়টা আপনি গন্ডগোল করে ফেলছেন তা হলো একই স্বামী স্ত্রী সর্বোচ্চ ২ বার তালাক দিয়ে এরপরে আবারো নিজেরা সংসার করতে পারবে সরাসরি। তবে ৩ বার এমন ঘটনা ঘটলে পুনরায় বিয়ে এবং সেখান থেকে ডিভোর্স না হলে আবার তাদের পুনঃবিবাহ সম্ভব না
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে কি বিয়ে আর তালাক লিখে রাখতে বলেছে? আমি বলেছি বিয়ে আর তালাক লিখিত হওয়া জরুরী না। কোরআন থেকে দেখান যে বিয়ে আর তালাক লিখে রাখতে বলেছে। মূল পয়েন্টে থাকার চেষ্টা করেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩
রসায়ন বলেছেন: তালাক লিখার কথা বলা হয়নি, সাক্ষীর কথা বলা আছে।
১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২১
জ্যাকেল বলেছেন: @৭৪.৫
আপনার কাছে তালাক লিখিত হইতে হইবে কে বলেছে? যে পদ্ধতিটা কোরআনে আছে, সেটা মেনে নিচ্ছেন না কেন?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪
রসায়ন বলেছেন: সেটাই তো। তালাকের পদ্ধতি এদের বিভিন্ন রকম। হানাফি মাজহাবের কাহিনী পোস্টে দিয়েছি, এরকম বিভিন্ন সেক্টারিয়ানদের বিভিন্ন রকম অথচ কোরআনে সহজ সরল সমাধান উপস্থিত
১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ জ্যাকেল - ১৩ নং মন্তব্যে বিটপি বলার চেষ্টা করেছেন যে মুখে মুখে তালাক দিলে সেটা কার্যকর হবে না। ওনার কথায় আমার কাছে মনে হয়েছে যে উনি বলতে চাচ্ছেন তালাক মুখে মুখে না বরং লিখিত থাকা জরুরী। আমি বলতে চাচ্ছি যে বিয়ে এবং তালাক কোনটাই লিখিত থাকা জরুরী না। কিন্তু এই যুগে লিখে রাখা, নিবন্ধন করার সুযোগ আছে তাই করা হচ্ছে। ১৩ নং প্রতি মন্তব্যেও মনে হোল পোস্টদাতা ব্লগার বিটপিকে সমর্থন করছে।
কোরআনের ব্যাখ্যার যে ভুল ব্যাখ্যা আপনারা করছেন সেগুলিই আমি উপরের মন্তব্যগুলিতে বলার চেষ্টা করেছি। আপনারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন যুগের স্বনামধন্য ইসলামি পণ্ডিতদের চেয়ে বেশী বোঝেন না। কোরআনের ব্যাখ্যা তারাও এই বিষয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা আপনাদের খামখেয়ালি অনুযায়ী ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন।
১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫১
জ্যাকেল বলেছেন: ১৩ নম্বর মন্তব্যে আপনি মুখে মুখে = অলিখিত বুঝেছেন অথচ আমি বুঝেছি মুখে মুখে = তৎক্ষণাৎ
এই সহজ বিষয়ে আপিনি যেভাবে ঘট পাকিয়েছেন তেমনি কোরআনের পরিস্কার নির্দেশনাতেও ঝট লাগাচ্ছেন। আল্লাহর কালাম পরিস্কার ও স্পষ্ট এ কথা কি মানেন? যদি মানেন তবে স্বনামধন্য আলেমদের কথার চেয়ে আল্লাহর কথাই তো মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
"কোরআনের ব্যাখ্যার যে ভুল ব্যাখ্যা আপনারা করছেন সেগুলিই আমি উপরের মন্তব্যগুলিতে বলার চেষ্টা করেছি।" ভুল ব্যাখ্যা কিভাবে হয়? হাদিসের সাথে মিল না থাকার কারণে?
এই হাদিসের অথেনটিসিটি কি আল্লাহ দিয়েছেন? দিয়ে থাকলে কোথায়? আল্লাহ কি হাদিস সংরক্ষণের ওয়াদা করেছিলেন নাকি কোরআনের?
আর কোরআন কি মানুষ/ঈমানদারদের জন্য নাযিল করা হউয়েছে নাকি তথাকথিত স্কলারদের উপর?
আল্লাহ সিরাতুল মুস্তাকিম অনুসরণ করতে বলেছেন নাকি পথভ্রস্ট ইয়াহুদী নাসারাদের? (ইহুদী নাসারা উভয় জাতি ধর্মের দ্বায়িত্ব তাদের আলেমগণের নিকট ন্যস্ত বলে মনে করে)
১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ জ্যাকেল - সমস্যা হোল আরবি ভাষা এবং কোরআনের যারা পণ্ডিত তাদের চেয়ে আপনারা বেশী বোঝেন। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে তাদের চেয়ে বেশী জ্ঞান আপনার থাকতে হবে।
আমি হাদিসের সাথে তুলনা করিনি। কোরআনের ভাষাকেই আপনারা অপ ব্যাখ্যা করছেন। কোরআনে বলা আছে রসুলকে অনুসরন করার জন্য। হাদিস ছাড়া কিভাবে রসুলকে (সা) অনুসরণ করবেন। কোরআনের কথা তো রসুলের কথা না।
২০| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তালাক বললাম আর তালাক হয়ে গেলো! এসব আজগুবি গল্প বাদ দেন তো। ভাই এখন আর এসব মানা যাবে না্। ১৪০০ বৎসর পুর্বে কি বলা হয়েছিলো সেটা নিয়ে এখনও কেনো বাড়া বাড়ি করা হচ্ছে বুঝি না। একটা নারী জীবনভর একজন পূরুষের জন্য দিযে দিলো আর পূরুষ বললো আর সঙ্গে সঙ্গে তালাক হয়ে গেলো? নারী জীবনটা খেলনা ফেলনা! দেশে বিবেক হারিয়ে গেছে নাকি? বললেই তালাক দেওয়া যাবে না। তালোকের ক্ষেত্রে অবশ্যই নারীর কি ব্যবস্থা হবে সেটা ভাবতে হবে।
১৪০০ বৎসর পূর্বে মানুষের জন্য তৎকালীন সময়ের আইনের জন্য তৎকালীন মানুষের জন্য বিষয়বস্থু যা নাজিল করা হয়েছিলো সেটা এখন কেনো মেনে চলতে হবে সত্যিই বুঝলাম না!
বিষয়বস্থুগুলো আরো গভীর ভাবে ভাবতে হবে। সমাজের সাথে মানবিকতা থাকতে হবে। আমি মনে করি।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
রসায়ন বলেছেন: বাদ দেওয়ার জন্যই তো পোস্টটা করলাম। ফিকহী বিধানে তালাককে একটা বাচ্চাদের খেলার মতো বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতেও তালাক দেওয়া যায় !
২১| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর, আপনি হাদীস দিয়ে রাসুলকে অনুসরন করতে পারবেন না। কারন তাতে ভূল ভ্রান্তি বেশি থাকবে। অ্তএব হাদীসকে এ্যাভোযেড করার কোন বিকল্প নেই। তবে আল কোরআনের যে আয়াতের সাথে হাদীসের মিল পাওয়া যায় সেই হাদীস গুলোই গ্রহণযোগ্য। এর বাইরে অনিশ্চয়তা কেবল।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
রসায়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।
২২| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ রাশেদুল ইসলাম লাবলু- কোন হাদিসকে যখন হাদিস বেত্তারা সহি বলেন তখন অবশ্যই কোরআনের সাথে মিলিয়ে দেখেন। কোরআন বিরোধী কোন হাদিসকে কখনও সহি বলা হয় না। কিন্তু সমস্যা হোল অনেকে অল্প জ্ঞানের কারণে কোরআনের অপব্যাখ্যা করে। ফলে তাদের কাছে মনে হয় এই ব্যাখ্যা হাদিসের সাথে মিলছে না।
আমি বলিনি যে মুখে তালাক বললেই সাথে সাথে তালাক হয়ে যায়। আমি বলেছি তালাকের জন্যও কিছু শর্ত মানতে হয়। এই পোস্টের কিছু শর্ত ঠিক আছে। কিন্ত কিছু বক্তব্য মনগড়া। উপরের মন্তব্যগুলিতে আমি বিস্তারিত বলেছি।
আপনি যদি মনে করেন কোরআন ১৪০০ বছর আগের জন্য এবং এখনকার উপযোগী না তাহলে আপনার এই ধারণা ভুল। কোরআনের বিধান কেয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবে। কোরআন এই যুগের উপযোগী না এটা আপনি কোরআন দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কিন্তু আপনি পারবেন না।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
রসায়ন বলেছেন: //কোন হাদিসকে যখন হাদিস বেত্তারা সহি বলেন তখন অবশ্যই কোরআনের সাথে মিলিয়ে দেখেন। কোরআন বিরোধী কোন হাদিসকে কখনও সহি বলা হয় না।//
তাই নাকি !!!
তো পাথর মেরে ব্যাভিচারীকে হত্যা করা কোরআনের কোন আয়াতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ?
২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ লেখক, আপনি ঠিক বলেছেন। আল কোরআন ব্যাভিচারীর শাস্তি হিসেবে বলেছে “ ব্যাভিচারীর সাথে ব্যাভিচারীনিকে বিয়ে দাও” আর হাদীস বলছে “ পাথর মেরে হত্যা কর”। এটি একটি জাল হাদীস। যার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারন মাথর মেরে হত্যা করাটা ঐ এলাকার তৎকালীন সময়ের শাস্তি। রাসুলের জন্মের পূর্ব থেকেই এই প্রথাটি মধ্যপ্রাচ্যে বলবৎ ছিলো। স্থানীয় এই প্রথা বা
শাস্তির নিয়মটি হাদীসের মধ্য দিয়ে ইসলামে প্রবেশ করানো হয়েছে সুক্ষ পরিকল্পনায়।
২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর, আপনি যদি মনে করেন কোরআন ১৪০০ বছর আগের জন্য এবং এখনকার উপযোগী না তাহলে আপনার এই ধারণা ভুল। কোরআনের বিধান কেয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবে। কোরআন এই যুগের উপযোগী না এটা আপনি কোরআন দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কিন্তু আপনি পারবেন না।
ভাইগো আমাকে ভূল বুঝবেন না। আল কোরআন একটি উপদেশনামা বা নিদর্শনগ্রন্থ। তৎকালীন মানুষের জন্য নাযিলকৃত কিছু উপদেশ এবং নিদর্মন। আল কোরআন নাযিল হয়েছে ৩ টি বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে। ১। তৎকালীন সময়ের মানুষের বিভিন্ন বিষয় সমাধান করার জন্য উপদেশ বা আদেশ। ঐ আয়াতগুলো শুধুমাত্র ঐ সময়ের জন্যই নির্ধ্যারন করা হয়েছিলো। ২। উপমা বা রুপক অর্থে মানবজাতিকে বোঝানো কিচু নিদর্শন। ৩। চিরন্তন বিষয়বস্তু। সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য কিচু আয়াত।
আপনি যে উপযোগী বিষয় বলে দেখাতে চাইছেন সেটি ভিন্ন বিষয়।
২৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: //কোন হাদিসকে যখন হাদিস বেত্তারা সহি বলেন তখন অবশ্যই কোরআনের সাথে মিলিয়ে দেখেন। কোরআন বিরোধী কোন হাদিসকে কখনও সহি বলা হয় না।//
হাদীস তো রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ বৎসর পরের ঘটনা। ঈমাম বোখারীর সময়কাল রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ বৎসর পরের। সেই সকল হাদীসে আপনি সঠিকত্ব কিভাবে পাবেন? আর হাদীস বেত্তারা বা সহি অসহি নিধ্যারন করেন কি করে’ ঐ সময়ের রাসুলের মনোজগৎ কি তারা বুঝতে পেরেছিলো? আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি।
২৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবারর এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানলাম।
১৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৩
রসায়ন বলেছেন: আমিও
২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিসের কথা কোরআনে থাকতেই হবে এমন না। অনেক হাদিসের বিধান আছে যেগুলির ব্যাপারে কোরআনে কোন কিছু বলা নাই। অনেক বিষয় আছে যেগুলি হাদিসের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বা হারাম করা হয়েছে কিন্তু এই বিষয়গুলির ব্যাপারে কোরআনে কিছু বলা নাই। রসুলের (সা) আদেশ আর আল্লাহর আদেশ একই জিনিস। কারণ রসূল (সা) মনগড়া কিছু বলতেন না। কিছু কিছু ধর্মীয় বিধান শুধু হাদিসের মাধ্যমে এসেছে। ঈদূল ফিতরে ফিতরা দেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোরআনে এই ব্যাপারে কিছু পাওয়া যায় না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে ফেতরা দেয়ার দরকার নাই? ঈদের নামাজের কথা কোরআন কি আছে? আপনি কি তাহলে ঈদের নামাজ পড়বেন না?
ব্যভিচারের শাস্তি কি তাহলে? কোন মুসলমান ব্যভিচার করলে তাকে ইসলামি বিধান অনুযায়ী আপনি বিচারক হিসাবে কিভাবে শাস্তি দিবেন? নাকি কোন শাস্তি দিবেন না। দেশের প্রচলিত সেকুলার আইনেও তো ব্যভিচারের শাস্তি আছে। ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি তাহলে কি?
১৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৫
রসায়ন বলেছেন: আপনার সহীহ আকীদার দোকানের রহস্য একেরপর এক কোরআন দিয়ে উন্মোচন করা হবে।
কোরআনে বেত মারার কথা আছে, তাও সাক্ষী এনে। সেটা ভালো না লাগলে কি করা আর থাকেন এসব কোরআন বিরোধী লাহওয়াল হাদীস নিয়ে।
২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিভিন্ন যুগের স্বনামধন্য ইসলামি পণ্ডিতদের চেয়ে আপনি বা আপনারা পন্ডতি হতে পারেন না বা জ্ঞান বুদ্ধি আপনাদের থাকতে পারে না - তাঁরা প্রকারান্তে আল্লাহকে অবমাননা করছেন, আল্লাহর ক্ষমতাকে অস্বীকার করছেন। এই ধরনের যুক্তি খুব দুঃখজনক। বিশেষ করে যারা বিবেকবান বলে সমাজে পরিচিত তারা যদি এই ধরনের অন্যায় কথা বলেন, তাহলে তো সমস্যা।
একজন আরো হাস্যকর টাইপ কথা বার্তা বলে গেলেন - যে আরবী ভাষার বুঝার সক্ষমতা নিয়ে। ব্যক্তিগত পড়াশোনা এবং সাধারন জ্ঞান কতখানি দুর্বল হলে এই ধরনের কথা কেউ বলতে পারে - সেটা বুঝা নিশ্চয়ই কঠিন কিছু না।
ভেবে দেখেন, আমাদের বর্তমান যুগের এত আধুনিক মানুষই তাদের পুর্ব পুরুষদের বা আগে পালন করে আসা নিয়ম থেকে বের হতে চান না, তাহলে আমাদের রাসুল সাঃ এর যুগে রাসুল সাঃ কে কত ভয়াবহ কষ্টই না করতে হয়েছে। তায়েফে যে অত্যাচার নবী মোহাম্মদ সাঃ এর উপর করা হয়েছিলো - তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি মনে হয় বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে আসলে নবীকে বরন করতে হতো। আল্লাহ মনে হয় এই কারনেই আরব দেশে নবীদেরকে প্রেরণ করেছেন।
যাইহোক, জ্ঞান মহান আল্লাহর বিশেষ উপহার। তিনি যাকে ইচ্ছে তা দান করতে পারেন। আল্লাহ কোরানে বলেন,
তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞানদান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞানদান করা হয়, সে প্রভূত কল্যাণকর বস্তুপ্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান।’ সূরা আল বাকারাহ : ২৬৯
এর পরেও আপনি কি আগের যুগের আলেমদের চেয়ে বেশি জ্ঞানী টাইপ কথা বলার মানে হচ্ছে - স্বেচ্ছায় আল্লাহর বানী ও আল্লাহর ক্ষমতাকে অস্বীকার করা।
তবে এই সব কথা ব্লগে বলে কোন লাভ নাই কেউ শুধরাবে না। কারন
এদের জিজ্ঞেস কর, যে জানে এবং যে জানে না, এরা উভয় কি কখনো সমান হতে পারে? বুদ্ধি-বিবেকসম্পন্ন লোকেরাই তো উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।’ সূরা আয্ যুমার : ৯।
সবচেয়ে বড় কারনঃ ‘‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হেদায়াত দান করেন’’। (সূরা মুদ্দাছ্ছির: ৩১)
১৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৮
রসায়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।
কোরআন হলো ফুরকান বা সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। এছাড়া আল্লাহ বুরহান (প্রমাণ), সুলতান (দলীল), আহসানা তাফসীর (সর্বোত্তম তাফসীর), তিবিয়ানা লি কুল্লিশাইয়িন (সব জিনিসের ব্যাখ্যা) বলে আখ্যায়িত করেছেন
কাজেই কোরআনই যথেষ্ট। কোরআনের সাথে বিরোধী কোন জিনিস কষ্মিনকালেও কোন মুসলিম বিশ্বাস করতে পারে না।
২৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
নতুন বলেছেন: যারা শুধুই কোরানের অনুসারী আর যারা হাদিসের অনুসারী তাদের মাঝের এই আলোচনা ভালোই উপভোগ করছি।
অবশ্য যারা হাদিসের অনুসারী তাদের বলবো অনেক হাদিস আছে যেইগুলি কখনোই আপনারা কোন ওয়াজে বা হুজুরেরে বলতে শুনবেন না। সেই গুলি কিন্তু বেশি দিন লুকিয়ে রাখা যাবেনা। সেই সব হাদিসের কথা মানুষ জানলে ইসলামের উপরে মানুষের প্রশ্ন আরো বাড়বে বই কমবে না।
১৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৮
রসায়ন বলেছেন: হ্যাঁ, এগুলো নিয়ে আবার পোস্ট দিবো।
৩০| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা নিসার ১৫ নং আয়াত সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যা কি?
১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৬
রসায়ন বলেছেন: এক পোস্টে সেই টপিকেই থাকেন। শুরু যখন করেছি আপনাদের সহীহ আক্বীদার সব নাড়ি নক্ষত্রই আস্তে আস্তে দেখাবো। সব উত্তর পাবেন আলাদা আলাদা পোস্টে।
৩১| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩২
হাসান রাজু বলেছেন: ১। রেগে গিয়ে বা ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ তালাক দিতেই পারে। সেই তালাক তালাক হিসেবে ধরে নিতে হবে। আর এখানেই কোরআনের মূল খেলা। একটা মানুষ কতক্ষণ রেগে থাকতে পারে ২ ঘণ্টা, ২ দিন, ২ মাস ? এর বেশি হলে ৪ মাস, ৬ মাস ? কোরআন মোতাবেক তাকে সর্বনিম্ন ৭ মাস সময় দিচ্ছে। এর মাঝে রাগ না কমলে সে মানুষের রাগ যৌক্তিক, নয়তো অন্য কথাও বড় সমস্যা আছে। বাকিটা আল্লাহ জানেন।
২। কোরআন আল্লাহ আমাদের সকলকে পড়তে দিয়েছেন। আরবি শুধুমাত্র একটা মাধ্যম। আমরা এটা পড়ব, আলোচনা করব, ভুল করব আবার ভুল শুধরে নিব। এটাই তো আল্লাহ চেয়েছেন। নাকি? যদি এটা শুধু আরবি ভাষায় লেখা বলে এর থেকে দূরে থাকি তাহলে কি আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া উপহার প্রত্যাখ্যান করা হয়ে গেল না? আমরা এত ভাষা, এত বই, অনুবাদ করে পড়ে ফেললাম আর কোরআন অনুবাদ করে পড়ব না? আরবি জানিনা বলে দূরে থাকাতে, আজ আমরা এমন দৈনন্দিন সমস্যাগুলো নিয়ে এখন আলোচনা করছি। কিন্তু এগুলো কয়েকশ বছর আগেই পরিস্কার হওয়া উচিত ছিল।
আমরা কি ইংরেজি জানতাম? আজ যে কোন বিষয় নিয়ে কথা বললে হাজারো ইংরেজি তথ্য উপাত্ত ঘেঁটে তর্ক করছি। আইনের বই পড়লে মাথা মুণ্ডু কিছুই বুঝা যায় না। বাংলা কি ইংরেজি, আইন বিষয়ে ৪/৫ বছর লেখাপড়া করা লোকও এটার প্র্যাকটিসে না থাকলে তার সাথে আমার আপনার তেমন কোন পার্থক্য থাকে না। তাই বলে কি আমি আপনি যতটুকু আইন বুঝি প্রয়োজনে এ নিয়ে আলোচনা করি না? কয়েকশ বছর আগেই ভাষার (বাঁধা) গণ্ডি মানুষ পেরিয়েছে । আরবিতে পণ্ডিত হয়ে কোরআন নিয়ে আলোচনা করতে হবে না। অনুবাদ পড়েই আলোচনা করা যায়। আলোচনার উদ্দেশ্যই হল ভুল থাকলে শুধরে নেয়া।
অসাধারন পোস্ট। মন্তব্য পড়ে এই দুটি বিষয় মাথায় আসল ।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪১
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। তালাক এতো ঠুনকো কিছু না। এটা মুখে মুখে বলার কিছু না, এটা বোঝাপড়া ও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্তের বিষয়।
কেউ যদি জাপানি ভাষার বর্ণমালা শিখে জাপানি একটি চিকিৎসা বিষয়ক বই আগাগোঁড়া অর্থ ছাড়া জাস্ট উচ্চারণ পড়ে শেষ করেন তাইলে চিকিৎসা কেমনে করবে ? চিকিৎসা করা কি সম্ভব তখন ?
তাইলে অর্থ না বুঝে কোরআন "পড়ে" কেউ নিজেকে আল্লাহর রাস্তায় আনবে কি করে ? ৫০০ বার পুরো কোরআন অর্থছাড়া পড়লেও হেদায়েত পাবেন কেমনে ?
কলমের কাজ লিখা, এখন ধরা যাক কেউ কলম দিয়ে কান খুঁচিয়ে অশেষ ফায়দা হাসিল করলো, তো না লিখলে কলমের মূল ফায়দা(উপযোগ) কি হাসিল হলো ?
সমাজে কোরআনকে হেদায়েতের বই এর বদলে পড়ে সওয়াব কামানোর বই হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হইসে ! পুরো কোরআন পারে, কিন্তু একটা সূরার অর্থ জানে না ! কি সুন্দর তাক থেকে নামিয়ে রিডিং পড়ে চুমু খেয়ে রেখে দিই আলমারির উপরে, এমনিই দোজাহানের অশেষ ফায়দা হাসিল করা শেষ !
কোরআনে আল্লাহ এইরকম একটা উদাহরণ দিয়েছেন ৬২ নং সূরার (সূরা জুমুআ) ৫ নং আয়াতে !
যাদেরকে তওরাত দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তারা তার অনুসরণ করেনি, তাদের দৃষ্টান্ত সেই গাধা, যে পুস্তক বহন করে, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তাদের দৃষ্টান্ত কত নিকৃষ্ট। আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। [সুরা জুম’য়া - ৬২:৫]
গাধার পিঠে বই চাপালেন মাগার জানলোই না কি আছে ভেতরে ! তাইলে কেমনে কি ! এতো বইয়ের তাইলে কি মূল্য ! বইয়ের মূল উপযোগ তো তখনই যখন তা পড়ে কেউ অনুধাবন করবে, উপদেশ নিবে…
আরবিতে পড়লে, এটা সওয়াব এই এক ধারণা কোরআন থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। অর্থও জানার চেষ্টা করতে হবে, মানুষের হেদায়াত (সঠিক পথনির্দেশ) প্রাপ্তির জন্যই কোরআনটা আল্লাহ ওহী করেছেন, কাজেই অর্থ জানুন ও মানার চেষ্টা কররা লাগবে সবার।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৯
স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: ফতোয়া প্রদানকারী এই কাঠামোল্লাদের ফতোয়ার তালাক সম্পুর্ণ কুরআন ও হাদীস বিরোধী।গভীরভাবে কুরআন-হাদিস গবেষণা করলে আইনী তালাকের সাথে ধর্মীয় তালাকের কোন বিরোধ থাকে না। তালাক সম্পর্কে আমাদের সমাজে বহুত ধরণের কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে।