নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাখনুর(গোঁড়ালির) নিচে কাপড় পরিধান করা কি আসলেই হারাম এবং জাহন্নামে যাওয়ার কারণ ? আসল ব্যাপারটা জানি চলুন | প্রচলিত হাদীস পর্যালোচনা, পর্ব-২

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

আমরা সবাই জানি এবং সমাজে প্রচলিত যে পুরুষরা সবসময় টাখনুর উপরে কাপড় পরতে হবে। কেননা হাদীসে আছে টাখনুর নিচে কাপড় পরলে জাহান্নামে যেতে হয় এবং টাখনুর নিচে কাপড় পরা হারাম ! আসলেই বিষয়গুলো এভাবে আছে হাদীসে ??? চলুন একটু ঘেঁটে দেখা যাক।




টাখনুর নিচে কাপড় পরাকে সোজাসাপ্টা হারাম প্রমাণ করতে যেসব হাদীস ব্যবহার করা হয়(মিসকোট বা অপূর্ণাঙ্গভাবে উদ্ধৃতি দেয় তারা, তাই সেভাবেই উল্লেখ করলাম, বিশ্লেষণের সময় পুরো হাদীস দেখানো হবে)

■১
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি: ৫৭৮৭)

■২
“যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সঙ্গে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ -(সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)

■৩
আবু জর ( রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা তো বলবেনই না, বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। এমনকি তিনি তাদের গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? এদের তো সর্বনাশ হবে। তাদের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।

রাসুল (সা.) এ কথা তিনবার বলেছেন, তারা হলো—

এক. যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে।

দুই. যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য বিক্রি করে।

তিন. যে ব্যক্তি কারো উপকার করে আবার খোটা দেয়। (মুসলিম, হাদিস : ১০৬; নাসায়ি, হাদিস : ২৫৬৩)

এবারে আসুন হাদীসগুলো একটু বুঝার চেষ্টা করি,

শুরুতেই একটা হাদীস দেখা যাক সহীহ বুখারী থেকে

৫৩৬৮। আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... সালিম তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি অহংকারের সাথে নিজের পোশাক ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দিবেন না কিয়ামতের দিন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার লুঙ্গির এক পাশ ঝুলে থাকে যদি আমি তাতে গিরা না দেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নও যারা অহংকার করে এরূপ করে। রেফারেন্স: সহীহ বুখারী, ৬৪:পোষাক পরিচ্ছদ অধ্যায়, হাদীস নং ৫৭৮৪(আন্তর্জাতিক)

এখানে স্পষ্ট লিখা অহংকার বশত কাপড় ঝুলিয়ে রাখা। অহংকার করে কাপড় কেন, লুঙ্গি নিয়ে অহংকার করলেও তা হারাম। তাহলে বুঝা যাচ্ছে ঐ সময়টায় মানুষ হয়তো বা অহংকারের নিদর্শন হিসেবে কাপড় ঝুলিয়ে রাখতো, সেটাকেই নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

অহংকার করা নিঃসন্দেহে জঘন্য একটি কাজ। এতোটাই জঘন্য ও মহাপাপ যে শুধুমাত্র অহংকারের কারণে শয়তান শয়তানে পরিণত হলো এবং আল্লাহর নৈকট্য থেকে বিতাড়িত হলো,

এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। [সুরা বাকারা - ২:৩৪]

এছাড়া কুরআনে স্পষ্টভাবে অহংকার করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, যেমন

অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। [সুরা লুকমান - ৩১:১৮]

আমি আমার নিদর্শনসমূহ হতে তাদেরকে ফিরিয়ে রাখি, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে গর্ব করে। যদি তারা সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে ফেলে, তবুও তা বিশ্বাস করবে না। আর যদি হেদায়েতের পথ দেখে, তবে সে পথ গ্রহণ করে না। অথচ গোমরাহীর পথ দেখলে তাই গ্রহণ করে নেয়। এর কারণ, তারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে মনে করেছে এবং তা থেকে বেখবর রয়ে গেছে। [সুরা আরাফ - ৭:১৪৬]


আমাদের ইলাহ একক ইলাহ। অনন্তর যারা পরজীবনে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সত্যবিমুখ এবং তারা অহংকার প্রদর্শন করেছে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের গোপন ও প্রকাশ্য যাবতীয় বিষয়ে অবগত। নিশ্চিতই তিনি অহংকারীদের পছন্দ করেন না। [সুরা নাহল - ১৬:২২-২৩]

তাহলে বুঝা গেলো অহংকার না করার নিমিত্তে হাদীসটি অত্যন্ত চমৎকার একটি শিক্ষামূলক হাদীস। অহংকার করলে আরবে তখন টাখনুর নিচে কাপড় পরার চল ছিলো, তার নিমিত্তেই হয়তো নবী এমন কথা বলতে পারেন। অহংকার যে খারাপ তা কে না জানে, অহংকার করে নামের আগে আল্লামা, মহা পন্ডিত ইত্যাদি লাগানোও যেমন মহাপাপ তেমনি কথায় আচরণে বড়াই করাটাও।


টাখনুর নিচে কাপড় পরাতে কি আসে যায় যদি অহংকার না করা হয়। তাই হাদীসের মূল উপজীব্য অহংকার নিরুৎসাহিত করা তা যেকোন ফরম্যাটে হোক। অহংকারের সাথে না করলে টাখনুর নিচে কাপড় পরলেও কোন সমস্যা থাকে না।


এই সংক্রান্ত একটি কুযুক্তির উত্তর:

প্রশ্ন: সহীহ মুসলিমের ১০৬ নং হাদীস(আন্তর্জাতিক নাম্বার) অনুযায়ী বলা আছে টাখনুর নিচে কাপড় পরলে জাহান্নামে যেতে হবে, তাতে অহংকারের বিষয়টির উল্লেখ নাই, এর দ্বারা কি প্রমাণ হয় না অহংকার করুক বা না করুক টাখনুর নিচে কাপড় পরলেই জাহান্নাম ?

উত্তর: আসুন আগে হাদীসটা পড়ে দেখা যাক,

"১৯৪-(১৭১/১০৬) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আবূ যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না। বরং তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথাটি তিনবার পাঠ করলেন। আবূ যার (রাযিঃ) বলে উঠলেন, তার তো ধ্বংস হবে, সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহর রাসূল! এরা কারা? তিনি বললেন, যে লোক পায়ের গোছার নীচে কাপড় ঝুলিয়ে চলে, কোন কিছু দান করে খোটা দেয় এবং মিথ্যা শপথ করে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ২০১)" রেফারেন্স: সহীহ মুসলিম, ১-ঈমান অধ্যায়, হাদীস নং: ১৯৪ (আন্তর্জাতিক)


এই হাদীসে (১) টাখনুর নিচে কাপড় পরা, (২) দান করে খোঁটা দেওয়া, (৩) ভুয়া কথা বলে পণ্য বিক্রি করাকে জাহান্নাম যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

(২) ও (৩) খুবই স্পষ্ট যে দান করে খোঁটা দেওয়া (যা কুরআনেও নিষিদ্ধ, রেফারেন্স: সূরা বাকারা ২৬৪)

▶হে ঈমানদারগণ!ত োমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মত যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব, এ ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো, অনন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিল। তারা ঐ বস্তুর কোন সওয়াব পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে। আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। [সুরা বাকারা - ২:২৬৪]


এবং মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রি (যা কুরআনও সমর্থন করে, রেফারেন্স: সূরা আল ইমরান ৭৭)

▶যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য মুল্যে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের কেন অংশ নেই। আর তাদের সাথে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি (করুণার) দৃষ্টিও দেবেন না। আর তাদেরকে পরিশুদ্ধও করবেন না। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। [সুরা ইমরান - ৩:৭৭]

কিন্তু টাখনুর নিচে কাপড় পরা সংক্রান্ত কোন অপকারী দিকের উল্লেখ নাই। তাইলে কেন হুদাই এটা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে ??

এজন্য এ সংক্রান্ত আরো হাদীসগুলো পর্যালোচনার দরকার, সেই নিমিত্তে বুখারী শরীফে গেলেই ৫৭৮৩ নং হাদীসটি লক্ষ্য(রেফারেন্স: সহীহ বুখারা,৭৭-পোষাক অধ্যায়, হাদীস নং: ৫৭৮৩ (আন্তর্জাতিক)

"৫৭৮৩. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ সে লোকের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) দেখবেন না, যে অহঙ্কারের সাথে তার পরিধেয়) পোশাক টেনে চলে। [৩৬৬৫; মুসলিম ৩৭/৮, হাঃ ২০৮৫, আহমাদ ৫৩৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৪)"

অর্থাৎ অহংকার করাটাই কারণ। অহংকার করে টাখনুর নিচে কাপড় পরলেই সেটা হাদীস মতে জাহান্নামে নিয়ে যেতে পারে।(এটা কুরআনও সমর্থন করে কেননা কুরআনে অহংকার করা নিষিদ্ধ এবং আল্লাহর বিরাগভাজন হওয়ার কারণ(দেখা যেতে পারে ৩১:১৭-১৮; ৭:১৪৬; ১৬:২২-২৩)


কোথায় হলো অহংকার নিরুৎসাহিত করণ আর কোথায় এটা উল্টা বুঝে হয়ে গেলো ড্রেসকোড!!!

শীতের দেশে টাখনু উদোম রেখে ফ্রস্ট বাইট হয়ে মানুষের পা অকেজো হয়ে যাবে, এছাড়া টাখনু খোলা রাখা হলো আবার মোজা পরা হলো, এসব কিরকম সেলফ কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে যায় না !


তাই টাখনুর নিচে কাপড় পরাতেও কোন সমস্যা নাই যদি না অহংকার করা হয়। আর অহংকার করলে টাখনু মাখনু কেন, গায়ে ঢাবির লোগো ওয়ালা হুডি পরে শোঅফ করাটাও মহাপাপ ! অহংকার না করলে সব ডালভাত !

নবী বললো কি, আর বুঝলো কি !

এজন্যই বলতে হয়,

আল্লাহ নবীকে দিয়েছেন হিকমাহ (wisdom/প্রজ্ঞা)
আর কতিপয় মানুষকে দিয়েছেন আহাম্মকি !!!




মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬

অধীতি বলেছেন: বিষয়টা যেহেতু মতানৈক্যের সেখানে চুপ থেকে নিজের মত করে চলাই ভালো।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩

রসায়ন বলেছেন: সত্য তো জানতে হবে। এরপরে মানলে মানা যাবে না মানলে নাই।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

কাঁউটাল বলেছেন: সহমত

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

বীরশ্রী বলেছেন: এটির কোন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ আছে?
আরবরা তো দেখি তাদের জামা টখনুর নিচেও পরেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৪

রসায়ন বলেছেন: বৈজ্ঞানিক যুক্তি খুঁজলে মদেরও হাজারটা উপকারীতা পাওয়া যাবে। কমন সেন্স দিয়েও ভাবা প্রয়োজন।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

নতুন বলেছেন: আর টাকনুর হাড়ে যদি সূর্যের আলো না লাগে তখন কি কি সমস্যা হয় সেই সম্পর্কে বয়ান গুলি করলেন না?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৫

রসায়ন বলেছেন: ঐসব করার জন্য তো মোল্লারা আছেই।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে এসে এরকম চিন্তা ভাবনা এবং এরকম পোষ্ট বড় হাস্যকর লাগে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৬

রসায়ন বলেছেন: যারা এসবে বিশ্বাস করে তাদের ভুলটা ভাঙাতে বা ভুল না ভাঙুক অন্ততঃ সত্যিটা জানাতে আমাদেরও এসব নিয়ে লিখতে হয়। কি আর করা।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না তবে, টাকনুর হাড়ে যদি আলো-বাতাস, সুর্যের তাপ না লাগে তাহলে কোমড় ব্যাথা, হাঁটু ব্যাথা, এবং যৌনশক্তি কমে যায়, এরকম একটা বৈজ্ঞানীক আলোচনা শুনেছিলাম অনেক বছর আগে, খুব সম্ভবত বক্তা ছিলেন মুফতি ইব্রাহিম। নিচেও দুটি বৈজ্ঞানিক লিংক দিলাম দেখে আসতে পারেন।
টাখনুর নিচে কাপড় না পড়ার বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় কারন

টাখনুর নিচে কাপড় পড়লে যৌনশক্তি কমে যায়, এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটির তথ্যসূত্র

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৭

রসায়ন বলেছেন: প্রতিটা জিনিসের আপনি উপকারীতা পাবেন, মদ বলেন শুকরের মাংস সব কিছুরই উপকারীতা আছে কিছু না কিছু। উপকারীতা সিলেক্টিভলি খুঁজলে হবে না। কমন সেন্স ও রেফারেন্স দিয়ে যাচাই করারও দরকার আছে।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪০

তানভির জুমার বলেছেন: কোরআন হাদিস কে নিজের মত ব্যাখ্যা করলে বা বুঝলে হবে না ব্রো, কোরআন হাদিস কে বুঝার ব্যখ্যা করার নির্দিষ্ট কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে, ইসলামের সর্বসম্মত বিধাগুলো নিয়ে আপনি যেভাবে নিজের বস্তা-পঁচা, বানোয়াট লেখা নিয়ে হাজির হন তাতে মনে হয় লক্ষ-কোটি আলেম সমাজ এতদিন ললিপপ খেয়েছে, ইসলামের তরে জীবন বিলিয়ে দিয়ে তারা এইসব কোনকিছু জানেনি বুঝেনি, আর আপনিই সবকিছু জেনে ফেলেছেন বুঝে ফেলেছেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১১

রসায়ন বলেছেন: লক্ষ লক্ষ মানুষ কি ভাবলো আর কি মনে করলো তাতে কিছু এসে যায় না। অধিকাংশের মতামত মেনে নিলে এখন খ্রিস্টান হয়ে যাওয়াটা সবচেয়ে যৌক্তিক কাজ হবে।

কথা হচ্ছে রেফারেন্সের আলোকে। আপনি যদি মনে করেন আমার কোন রেফারেন্স ভুল বা এর থেকেও ভালো কোন রেফারেন্স আপনার জানা আছে (জানা না থাকলে আপনার পরিচিত হুজুরদের থেকেও জেনে নিতে পারেন, তাতেও আমার আপত্তি নেই) তাহলে সেই রেফারেন্স সহকারে মন্তব্য করুন।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি এখনো টাকনুর নিচেই কাপড় পরি। আর এইটা ছোট বেলা হতেই।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আমরা বাংগালীরা টাকনূ আর কদমবুসির নিয়ম কানুন নিয়েই পরে থাকলাম। বিশ্ব এগিয়ে গেছে অনেক দূর !! আমরা বসে বসে নিমের দাতন চাবাই !!!

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যারা এসবে বিশ্বাস করে তাদের ভুলটা ভাঙাতে বা ভুল না ভাঙুক অন্ততঃ সত্যিটা জানাতে আমাদেরও এসব নিয়ে লিখতে হয়। কি আর করা।

হ্যাঁ লিখুন। কিন্তু এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয়ও আছে। সেগুলো কি আপনি ইচ্ছা করেই এড়িয়ে যান?

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন। অনেকেই এই ভুল হাদিস ব্যাখ্যা নিয়ে জীবন পার করে দেয়।
এটা প্রচলিত হয়েছে দেশের কিছু অল্প শিক্ষিত হুজুরদের কল্যানে। এরা যা মুখস্ত করে আসে সেটাই বাছ বিচার না করে বলে দেয়।
এই ধরনের আরও লেখা লিখুন। মানুষের ভুলগুলো ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করুন।
শুভ কামনা।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: অধীতি বলেছেন: বিষয়টা যেহেতু মতানৈক্যের সেখানে চুপ থেকে নিজের মত করে চলাই ভালো।
না ভুল ভেঙে দেয়া উচিত। উনি সঠিক লিখেছেন। এটা আমিও জানি।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৯

শার্দূল ২২ বলেছেন: রসায়ন ভাই টাখনুর নিচে কাপড় পড়া হারাম বিষয়টা আসলে আসছে একটা বিশেষ প্রেক্ষাপট ছিলো আমি যত টুকু জানি সেটা বলছি -

আজকের দুনিয়া আমরা আমাদের কে শো-আপ করি দামি গাড়ি বা বাড়ি দিয়ে, কিন্তু সেই সময়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিতো পোষাক দিয়ে । যার পোষাক যত বড় বা বেশি কাপড়ের সেই সমাজে তত বেশি দামি। অন্যদিকে ইসলাম বেশিরভাগ সাহাবিদের জামা কাপড় ছিলো খুব সংক্ষেপ। এমনি এক সময় এক অমুসলিম নিজের লম্বা পোষক মাটিতে টানতে টানতে সামনে কোন এক সাহাবিকে কটাক্ষ করে বলছে তোমরা মোহাম্মদের দলে যোগ দিয়েছো যেখানে তোমাদের পোষাক টুকু ঠিক মত পাওনা।
নবীজি সাধারণ কাউকে লানত বা অভিশাপ দিতেননা। কিন্তু সেদিন তিনি বলে বসলেন, লানত তাদের উপর যারা অহংকারের সাথে টাখনুর নিচে কাপড় পড়ে হাটে। ঐ সময় আবু বক্কর রাঃ ছিলেননা পাশে। তিনি পরে সেটা অন্যের মুখে শুনেছেন যে নবি লালনত দিয়েছেন তাও আবার টাখনুর নিচে কাপড় পড়া নিয়ে । যেখানে আবু বক্কর নিজেও টাখনুর নিচে কাপড় পড়েন, কারণ তিনি ছিলেন একটু শুকনো শরীরের ওনার পায়জামা নিচের দিকে নেমে যেত প্রায়ই। সেই কারণে উনি ভয় পেয়ে নবিজির কাছে ছুটে এসে বললো - হুজুর আমিও টাখনুর নিচে পায়জামা পড়ি আপনিতো লালনত দিলেন। নবিজি জবাবে বললো আবু বক্লর তুমিতো অহংকারের সাথে পড়োনা, আমিতো অহংকারিদের কথা বলেছি।

তাহলে বিষয়টা ছিলো অহংকার নিয়ে। টাখনু নিচ থেকে উঠে আসা মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকতে পারলে উপর থেকে কাপড় গিয়ে ঢাকলে কি সমস্যা। এই সাধারণ জ্ঞান টুকু মোল্লাদের নাই। মিজানুর রহমান আহাজারী ( আজহারী ) তো এতো শিক্ষিত এত মডার্ন তিনি আবার এটার সাথে মেডিক্যাল সাইন্সের সাথে মিলাতে গিয়ে বলেছেন পুরুষের টাখনু ঢাকা থাকলে নাকি সেক্সুয়াল পাওয়ার কমে যায়। শুনে খুব হাসলাম । এই শিক্কিত হুজুর বলে যে ব্যাক্তি সকালে ৬ টা আজওয়া খেুজুর খেয়ে বের হবে সারাদিন তাকে যদি শাপ কামড় দেয় তাকে নাকি বিষে ধরবেনা। এমন আজগুবি কথা বাইবেলেও আছে। যাইহোক আরব দেশের মানুষের জুব্বা মাটির সাথে মিশে থাকে।

১৪০০ বছরের মুসলিম টাখনুর নিচে কাপড় পড়া কেন হারাম কখন হারাম এটাই বের করতে পারেনি বা বুঝেনি তারাই আবার নাম দেয় হেফাজতে ইসলাম ।

আপনি লেখেননা কেন? আপনার টপিক গুলো সমাজের খুব বেশি গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে হয় । যদিও এখানে হাতে গোনা দুই একজন মানুষ্ব দিয়ে দেশ দশ বদলানো যাবেনা তবুও ২/৩ জন মানুষ যদি বুঝে তাহলে ২/৩ টা পরিবার বুঝবে । সুতরাং এমন সব অসঙ্গতি নিয়ে আপনি আসবেন এখানে আমি ব্যক্তি. গত ভাবে চাই,

শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.