নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম্মা: আমি মারা গেলে তুই কোরআন তেলাওয়াত করবি না? মা ছেলের কথোপকথন | ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা| পোস্ট-০১

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আম্মা: আমি মারা গেলে তুই কোরআন তেলাওয়াত করবি না?

আমি: না আম্মা। আল্লাহ নিষেধ করছেন,আল্লাহ বলছেন কোরআন জীবিতদের জন্য। (সুরা ইয়াছিন আয়াত ৭০)। কুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন পিতামাতা জীবিত থাকাকালীন কি করতে হবে,মারা গেলে নয়।(সুরা আর রুম আয়াত ৫২)

আম্মা: আমার কবরে এসে সূরা ও পড়বি না?

আমি: আম্মা,যেই সূরা আমি পড়বো,সেখানেই বলা আছে পিতামাতার জন্য ব্যয় করতে,তাদের সাথে উত্তম আচরণ করতে ইত্যাদি যা জীবিত থাকাকালীন আমার জন্য করণীয় ছিল এখন এটা কোন কাজে আসবে না।(সুরা ৬৩ আয়াত ১০)

আপনার মৃত্যুর সাথে সাথেই আপনার সব বন্ধ হয়ে যাবে আর আপনি শুধু আপনার কর্মফলই ভোগ করবেন যা কুরআনে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন।(সুরা ইয়াসিন আয়াত ৫৪)

আম্মা: তাহলে তো মানুষকে এই দুয়ার অর্থ জানানো বেশি জরুরি,তাহলে মানুষ নিজ নিজ কর্মের ব্যাপারে বেশি সচেতন হবে।

আমি: কিন্তু শয়তান তা হতে দিবে না।শয়তানের সবচেয়ে বড় সফলতা,শয়তান আমাদের কর্মের বইকে তেলাওয়াতে মানে সুর করে পড়ায় আটকে ফেলেছে।

আম্মা: মানে?আল্লাহ কি সুর করে পড়তে বলেন নি?

আমি: সূরা নিসার ১০ নং আয়াতে আল্লাহ জোর দিয়ে বলছেন,"নিশ্চয় যারা পিতৃহীনদের সম্পদ অন্যায় ভাবে গ্রাস করে,তারা আসলে নিজেদের উদরে অগ্নি ভক্ষণ করে।আর অচিরেই তারা জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।"

বুঝে না পড়ায় এই কথা আমরা অনুধাবন করি না।তাই আমরা অনেকের সম্পদ ভোগ করে ও শুধু কোরআন তেলাওয়াত,দুয়া,মোনাজাত,মসজিদ,মাদ্রাসায় দান, ইজতেমা,জামাত,নামাজ পড়ে,হজ করে নিজেদের নাজাত খুঁজছি অথচ আল্লাহ নিশ্চিত ভাবে বলছেন এদের আগুনে দিবেন তা আমাদের ভাবায় না।

আম্মা: আল্লাহর নিয়ম কত সুন্দর!

আমি: আম্মা,এই নিয়মকেই আরবিতে বলে সুন্নত আর শয়তান আল্লাহর নিয়ম বা সুন্নতকে ঢেকে দিয়েছে নবীর সুন্নত তৈরি করে অথচ নবীর কোন সুন্নত নেই৷নবীর সুন্নতের নামে প্রচলিত সমস্ত ইবাদত মিথ্যা!সুন্নত বা নিয়ম হল আল্লাহর,তাই আল্লাহ বার বার বলেছেন "আমার রাসুলগণের মধ্যে তোমার পূর্বে যাদেরকে পাঠিয়ে ছিলাম তাদের ক্ষেত্রেও ছিল এরূপ সুন্নত এবং তুমি আল্লাহর সুন্নতের কোন পরিবর্তন পাবে না।(সুরা ১৭: আয়াত ৭৭)(সুরা ৩৩:আয়াত ৩৮)(৩৩:৬২;৩৫:৪৩;৪৮:২৩)

আম্মা: মানুষ যত শিক্ষিত হবে তত সত্য সামনে আসবে

আমি: না মা,এরা এতটাই উগ্র; যে এসব সামনে আনবে তাকেই হাদিস মানে না,নবিজির হাদিস অস্বীকার মানে নবীকে অস্বীকার এসব বলে তাকে আক্রমণ করবে, ইহুদিদের এজেন্ট,শেষ জামানা,কেয়ামতের আলামত, তাকে কতল করা ঈমানী দ্বায়িত্ব,এসব বলে শেষ করে দিবে তবুও সত্য স্বীকার করবে না।

আম্মা: কেন? তারা কোরআনের সত্য জেনে ও এই কথা কেন বলে?

আমি: কেননা এই সত্য স্বীকার করলে নবীর নামে তাদের হাজার বিজনেস হারাবে,জান্নাতের ঠিকাদারি হারাবে, ফতোয়া দেওয়ার পাওয়ার হারাবে,দুয়া বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে,বিদেশি ডোনেশন হারাবে। সুন্নতি জিনিস বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে।

আম্মা: মানুষ কি বোকা নাকি? মানুষ সত্য খুলে দেখে না?

আমি: না দেখে না। ধর্মের ব্যাপারে আমরা বেশিরভাগ আবেগি আর অন্ধ,কেউ পড়ে দেখে না,শুনে শুনে প্রশ্ন করে।তবে সত্য চাপা থাকে না।সুরা নিসা আয়াত ৬৪ "রসূল এ উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছি যে,আল্লাহর নির্দেশ মানে আল্লাহর কিতাব অনুসারে তার আনুগত্য করা হবে।"

আপনি যদি কোরআন দিয়ে রাসুলের আনুগত্য করেন, তখন দেখবেন রাসুল নিজের নামে সুন্নত প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেননি বরং তিনি নিজে আল্লাহর সুন্নত অনুসরণ করেছেন।কিন্তু যারা নবীর সুন্নত পালনের মধ্য দিয়ে জান্নাত প্রাপ্তির আশায় আছেন,তারা কখনোই সত্যকে মেনে নিতে পারবে না।

আমাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়,"নবিজি কেন বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন?"
আমাদের উত্তর হবে,"নবিজির দাড়ি ছিল আর উনি খেজুর খেতেন, টুপি পরতেন তাই!!!
এই জন্যই আল্লাহ বলেছেন এই কিতাব জ্ঞানীদের জন্য, শুধু জ্ঞানীরাই এই কিতাবের উপদেশ অনুধাবন করতে পারবে।

সংগৃহীত

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার পড়ালেখা কোন বিষয়ে, আপনার প্রফেশান কি?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫১

রসায়ন বলেছেন: ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নই। তবে এটুকু বলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেছি। এখন সরকারী চাকরি করি।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:



এসব অপ্রয়োজনীয় পোষ্ট সংগ্রহ করে কেন প্রকাশ করা হয়?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫২

রসায়ন বলেছেন: প্রয়োজনীয়তা আপেক্ষিক বিষয়।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: শুধু একটা কথাই বলবো , অনবদ্য !!!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো। কিন্তু শেষে এসে দেখলাম সংগৃহীত লিখে দিয়েছেন। যাইহোক যিনিই লিখেছেন ভালো লিখেছেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

রসায়ন বলেছেন: লিখাটা ভালো, তাই পোস্ট করা এখানে।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এসব ধর্মীয় কচকচানি বা দিয়ে মানুষের জীবনের গল্প বলুন, তাও ভালো।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৪

রসায়ন বলেছেন: ১৮০ কোটি লোকের গল্প যার সাথে জড়িত সেটাকে কি আপনার অগুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হয়?

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: লেখাটা যার লেখাই হোকনা কেন মুলত কোরান কে ঠিক এভাবেই ভাবতে হবে ঠিক এভাবেই বুঝতে হবে, কোরাণ কোন ভাবেই মুখস্ত দোয়া দুরূদের মত খাওয়ার আগে পরে ঘুমানোর মধ্যে খানে, বিড় বিড় করে পড়ে সওয়াবের জন্য হতেই পারেনা।

যেমন ধরুন আপনি বিপদে ভয় পাচ্ছেন তখন আপনার দোয়া হবে আল্লাহর কাছে সাহস বা সাহায্য চাওয়া - হে আল্লাহ আমাকে তুমি একটা উপায় বের করে দাও এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সেখানে আপনি যদি আয়াতুল কুরসি পড়েন যেখানে বলা আছে চন্দ্র সূর্য্য মহাবিশ্ব নিয়ে, আপনি বলুন এই বিপদের আপনার সেসব পড়ে কি লাভ? আপনি এসব পড়বেন যখন আপনি মাহবিশ্ব নিয়ে গবেষনা করবেন তখন। তখন আপনি বুঝবেন এসব কিভাবে কাজ করে।

আর পিতামাতা আবেগের বশে মৃত্যুর পরে সন্তানের ভুমিকা নিয়ে যেসব আশায় বুক বাধেন সেগুলো মুলত কোন কাজই নয়, সারা পরিবার কে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা বানিয়ে ফেললেও পিতামাতা কারো থেকে এক টাকা নিয়ে ফেরৎ না দিয়ে চলে গেলে ঐ গোটা মাদ্রাসা দিয়ে সেই ঋন শোধ করতে পারবেনা। আর প্রকৃত সত্য হলো মানুষ মরণ থেকে কেয়ামতের ময়দানে উঠে আসার মধ্যে খানের সময় বলতে কিছু নেই। শুধু আত্মাকে একটা উপযুক্ত জায়গায় সংরক্ষণ বৈ আর কিছুই নেই, সুতরাং কবর আযাব কাযাব মাটির চাপ বাপ বাপ এসব সব হলো মিথ্যে কথা। গোটা কোরাণে মরণ এর ঠিক পর মুহুর্ত থেকে কেয়ামতের ময়দানে উঠে আসা পর্যন্ত এই সময় নিয়ে একটা শব্দ আল্লাহ বলেননি। বরং তিনি বলেছেন মৃত ব্যক্তি আর জীবিত ব্যক্তি সমান নয়। উনি বলেছেন আমি তোমাদের পুনরায় সৃষ্টি করে কেয়ামতের ময়দানে উঠাবো।

কিছু মানুষের ধর্মে এলার্জি আছে, থাকতেই পারে, আমিও মনে করি ধর্ম বলতে আসলেই দুনিয়াতে কিছু নেই। মানুষ দুই রকম , ভালো আর মন্দ। ভালো কাকে বলে তা বুঝতে পিএচডি করতে হয়না। যে কাজ কথা অন্যকে আঘাৎ করে তা খাারাপ বা মানুষটি খারাপ। যে কাজ কথা মানুষের সন্মান রক্ষা করে তা ভালো তার মানে মানুষটি ভালো, সেই সাথে একটু বিশ্বাস যোগ করে দিলেই আপনি সৎ মানুষ। ধার্মিক আর সৎ এই দুইটা অনেক ব্যবধান । সত্য বলা মানুষের উপকার করা, মানুষকে সন্মান করা এসব একটা মানুষ জন্ম থেকে করা শুরু করলে তার কোরাণ পড়ারও দরকার নেই, কোারাণেতো এসবই বলা আছে। আর আছে চিন্তাশীল বা গবেষকরের জন্য কিছু সাইন্স তথ্য। আল্লাহ যেহেতু মানুষের ব্রেইন নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম করে দেয়নি সুতরাং মানুষ মুক্তচিন্তা করেব এটাই স্বাভাবিক । মানুষতো আর সাইবেরিয়ার পাখি নয় যে তার ডিম নিয়ে পৃথিবীর যেই প্রান্তে বাচ্ছা ফুটাক না কেন সে উড়ে সাইবেরিয়া চলে যাবেই।

মানুষ মুর্খ হতে পারে আবার শিক্ষা লাভ করতে পারে। দুই অবস্থার মানুষও ভালো খারাপ হয় বা হতে পারে। আমাদের সব কিছু মুলে হলো ভালো বা মন্দ নিয়ে। আপনি মন্দ হলে আপনার জ্ঞান কে আমি কেয়ার করিনা। সোজা কথা। আপনি ভালো হলে আপনার জানার সীমাব্ধতা থাকুক আপনাকে আমি সন্মান করি করবো।

কেন ধর্ম নিয়ে আমরা কথা বলি? ধরে নিলাম ধর্ম খুব খারাপ। খারাপ জিনিসকে জানতে আরো বেশি তা অপসারণ করতে। যেমন করনা , করনা আমাদের দরকার নেই, কিন্তু করনা নিয়ে গত ৩ বছর হাজার গবেষনা হয়েছে তাকে অপসারণ করতে। সুতরাং সব গবেষনা শুধু জীবনে জড়াতে নয়, ক্ষেত্র বিশেষ জীবন থেকে বাদ দিতেও দরকার হয়।

আমি এই দুনিয়া দেশ মানুষ সম্পর্ক এবং সমস্যা যা পেয়েছি দেখেছি তাতে আমার প্রধান সমস্যা ধর্মকেই মনে হয়েছে। মানুষ যত ধর্মকে বুঝবে তত এই জটিলতা কমতে থাকবে। প্রতিদিন সবার জীবনের একটা সময় ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা উচীৎ সে যেই ধর্মের হোকনা কেন,সকল ধর্মের মুল গ্রন্থে ভালো কথাই বলা আছে, শুধু মানুষের বুঝার ভুল, ধর্ম আলোচনায় পৃথিবীর সমস্যা গুলো কমতে থাকবে। ধর্মের জটিল জাল থেকে মানুষ যেদিন বেড়িয়ে আসবে সেদিন এটমবোম্ব হয়ে যাবে অকার্যকর। কারণ কেউ কারো শত্রুই থাকবেনা।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা টপিক এখানে তুলে আনার জন্য।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫

রসায়ন বলেছেন: সুন্দর ও যুক্তিপূর্ণ কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯

রিদওয়ান খান বলেছেন: আমি আপনাকে প্রশ্ন করি, উমরাহ কিভাবে পালন করবেন? আল্লাহ বলেছেন 'আতিম্মুল হাজ্জা ওয়াল উমরা'তা লিল্লাহ' এখন এই উমরাহ পালনের দিক নির্দেশনা কী হবে? আপনি যে বললেন যারা নবীর সুন্নত পালনের মাধ্যমে জান্নাতে যেতে চায় তারা সত্যকে মেনে নিতে পারবেনা। তো এখন উমরাহ পালনের বিধানগুলো বলেন। আপনি কি রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাইতে 'কোরআনের সুন্নত' পালন বেশি বুঝেছেন নাকি রাসূল বেশি বুঝেছেন? আল্লাহর কোরাআন তাঁর উপর নাজিল হয়েছে, তিনি আমল করে আমাদের দেখিয়েছেন আমরা সেভাবে করার চেষ্টা করি। রাসূলের এতায়াত, রাসূলের শাফায়াত ছাড় জান্নাতে যাওয়া সম্ভব?
যদি আসমানি কিতাবগুলো নিজে নিজে পড়েই পাড় পাওয়া যেতো তাহলে
এত এত নবী-রাসূল কেনো প্রেরণ করলেন? কেনো প্রতিটা কিতাবের সাথে
একজন যোথাযোগ্য নবী প্রেরণ করলেন?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭

রসায়ন বলেছেন: রাসূলের শাফায়ত এটা মহা শিরক ও আল্লাহর সাথে চরম বেয়াদবিমূলক কথা! আল্লাহ কোন পৃথিবীর বিচারক না যে ভুল বিচার করবে কিংবা নবীর থেকে আল্লাহর দরদ কম!

আর দ্বিতীয় যেটা বলবো, আপনাদের করা আমল কোরআনে আল্লাহ বলেছেন কিনা সেটা যাচাই করবেন নাকি বাব দাদারা যা করে আসছে তা দিয়ে কোরআন যাচাই করবেন?

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২১

খনাই বলেছেন: রসায়ন:
আপনার কুরআন পড়া (যদি মুসলিম হয়েই থাকেন), কুরআনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং আর ইসলামের প্রাকটিসের রসায়নতো ঠিক নেই দেখছি ।এগুলোর মধ্যেতো বিশাল গোলমাল । এই কনফিউজিং লেখাটার মানে কি ? কুরআন একটু বুঝতে হবে তো। শুধু অনুবাদ দেখে ফতোয়া দিলেই হবে? আমার নিজের ধারণা আপনি ইসলাম প্রাকটিস করেন না। আরো ধারণা করি এই লেখাটা আসলে যার তার পুরোই ইচ্ছে ছিল কুরআন নিয়ে কনফিউশন তৈরী করা। আপনি ইসলাম প্রাকটিস করলেতো খুব সহজেই সেটা বুঝতে পারতেন । আর ব্লগাররাও দেখি ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না ব্যাপারটা সেটাও আশ্চর্য !

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৫

রসায়ন বলেছেন: ইসলামের একমাত্র উৎস কোরআন আর কোরআন যা বলছে তাই পোস্টে উল্লেখ করা। আপনার যদি মনে হয় এখানে কোরআন বহির্ভূত কিছু লিখা আছে তাহলে সেটা দেখিয়ে দিন।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

রিদওয়ান খান বলেছেন: @রসায়ন আমার প্রশ্নের উত্তর পেলাম না। 8-|

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

রসায়ন বলেছেন: সেটার জন্য আপনি আগে সিদ্ধান্ত নেন

কোরআনের আলোকে আপনাদের কথিত ইবাদাত আমল যাচাই করবেন নাকি
বাপ দাদার থেকে পাওয়া কথিত ইবাদত আমলগুলো দিয়ে কোরআনকে যাচাই করবেন

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মৃত মানুষের জন্য দোয়া কাজে না লাগলে জানাজার নামাজ কেন পড়া হয়?

“And those who came after them say: ‘Our Lord! Forgive us and our brethren who have preceded us in Faith’” [Sura al-Hashr 59:10]

পরের প্রজন্মের মানুষ পূর্বের প্রজন্মের ঈমানদারদের জন্য দোয়া করলে কাজ হবে এটাই উপরের আয়াত থেকে বোঝানো হয়েছে।

আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন কোরআন তেলাওয়াত করার জন্য;
Or add to it, and recite the Qur'an with measured recitation. ( সুরা আল মুজ্জাম্মিল আয়াত ৪)

আগের নবিদেরও সুন্নাহ ছিল। রসূলের (সা) সুন্নাহর যে প্রয়োজন আছে সেটা বুঝতে হলে নীচের আয়াতটা বুঝতে হবে। আল্লাহর সুন্নাহ নবী রসুলরাই দেখিয়ে গেছেন।

রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা হাশর (৫৯) : ০৭

উপরে রসূলের আদেশ এবং নিষেধ মানতে বলা হয়েছে। রসূলের আদেশ নিষেধ কোরআনে পাবেন না। সেটার জন্য হাদিস জানতে হবে।

কোরআনের আয়াত ব্যাখ্যার দায়িত্বও রসূলকে (সা) দেয়া হয়েছে। নীচের আয়াত পড়লে বুঝতে পারবেন।

(হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ‘আযযিকর’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে সেইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। -সূরা নাহল, আয়াত – ৪৪

এই ব্যাখ্যা কোরআনে পাবেন না। সেটার জন্য হাদিস পড়তে হবে।

সুরা নিসার ৬৪ নং আয়াতের অর্থ ভুল লিখেছেন। এটা হবে;
And We did not send any messenger except to be obeyed by permission of Allah.
অর্থঃ আমি রসূল এ উদ্দেশেই প্রেরণ করেছি, যেন আল্লাহর নির্দেশে তাঁর আনুগত্য করা হয়।
উপরে তাঁর অর্থ রসূল। অর্থাৎ আল্লাহর অনুমতিতে রসূলের (সা) আনুগত্য করতে বলা হয়েছে। আপনি পুরো অর্থ উল্টা করে ফেলেছেন।

আল্লাহর সুন্নাহ বা রাস্তা নবী রসূলগণই দেখিয়েছেন। তাই নবীদের সুন্নত মানেই আল্লাহর দেখানো রাস্তা। সকল নবী রসূলের আকিদা আল্লাহর তরফ থেকে। তাই আল্লাহর সুন্নাহ আর রসুলদের সুন্নাহ একই জিনিস। রাস্তা তো নবীরাই দেখিয়েছেন আল্লাহর নির্দেশে। তবে কোরআনের ব্যাখ্যার দায়িত্ব আল্লাহ আমাদের রসূলকে (সা) দিয়েছেন যেটা উপরে বলেছি। কোরআনের ব্যাখ্যা তো কোরআনে পাবেন না। কোরআনের ব্যাখ্যা রসূল করেছেন এবং সেটা আমরা হাদিসের মাধ্যমে জানি।

আপনি বলতে পারেন যে রসূলের দাড়ি ছিল, টুপি পড়তেন, খেজুর খেতেন তাই তিনি বিখ্যাত ছিলেন। এই কথা কোন বুদ্ধিমান মুসলমান বলবে না। এই ধরণের কথা কোন বোকা লোকের কাছেও শুনিনি। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম।

কবরের আজাবের ব্যাপারে কোরআনে আয়াতে ইঙ্গিত আছে।
And if you could but see when the angels take the souls of those who disbelieved… They are striking their faces and their backs and [saying], “Taste the punishment of the Burning Fire. (সুরা আল আনফাল, আয়াত ৫০)

কবরের আজাবের ব্যাপারের ইঙ্গিতবাহী আরও কিছু আয়াত আছে।

আর হাদিসে তো আপনার পোস্টের জবাবে অনেক কিছুই আছে। আপনি কোন হাদিসই মানেন না। হাদিস না মানলে সে মুসলমান না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩২

রসায়ন বলেছেন: এতো আবোলতাবোল এবং এক জায়গায় জিনিস অন্য জায়গায় ও আয়াতের কাটছাঁট প্রকাশ করলে তো পড়তেও বিরক্ত লাগে। তারপরও জবাব দিচ্ছি, নাইলে লোকজন মনে করবে বাপরে বাপ, কিনা কি বলে ফেলেছে।

এবারে আসুন,

//পরের প্রজন্মের মানুষ পূর্বের প্রজন্মের ঈমানদারদের জন্য দোয়া করলে কাজ হবে এটাই উপরের আয়াত থেকে বোঝানো হয়েছে।//

কে বলেছে আপনাকে ভাই? এইখানে মৃত লোকের কথায় পেলেন কইই? আগের আয়াতটা দিলাম, যাতে একজন হিন্দুও এটা পড়ে বুঝবে এখানে মৃত মানুষের কোন কথাই নাই!

যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে মদীনায় বসবাস করেছিল এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তারা মুহাজিরদের ভালবাসে, মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে, তজ্জন্যে তারা অন্তরে ঈর্ষাপোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে অগ্রাধিকার দান করে। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম। [সুরা হাশর - ৫৯:৯]

//আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন কোরআন তেলাওয়াত করার জন্য;
Or add to it, and recite the Qur'an with measured recitation. ( সুরা আল মুজ্জাম্মিল আয়াত ৪)//

হা হা হা,

শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের অনুগামী হয় تَلَاهَا, [সুরা শামস - ৯১:২]

অনুগামী تَلَاهَا তালাহা এর রুট ওয়ার্ড হলো تلو তা লাম ওয়াও, যার অর্থ অনুগামী হওয়া বা পিছনে পিছনে চলা, অনুসরণ করা

তা লা হা থেকেই এই থেকে তিলাওয়াত এর উৎপত্তি যেমন تَتْلُونَ يَتْلُونَ , যাকে আমরা আবৃত্তি বা সুর করে বা এমনি না বুইঝা পড়া মনে করি, কিন্তু [সুরা শামস - ৯১:২] থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এর অর্থ পাঠের অনুগামী হওয়া বা অনুসারী হওয়া।

কিন্তু এর প্রকৃত অন্তর্নিহিত অর্থ হলো অনুসরণ করা। কোরআন পাঠ করে সেটা মেনে চলার নামই তিলাওয়াত, আর আল্লাহ কোরআনে আদেশ দিয়েছেন হাক্কা তেলাওয়াতের حَقَّ تِلاَوَتِهِ

আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ [অনুসরণ করে] حَقَّ تِلاَوَتِهِ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। [সুরা বাকারা - ২:১২১]

তাহলে কোরআনরে যথাযথভাবে মানতে হবে, তাইলেই হাক্কা তেলাওয়াত হবে।

এরপরে আসেন,

//আগের নবিদেরও সুন্নাহ ছিল। রসূলের (সা) সুন্নাহর যে প্রয়োজন আছে সেটা বুঝতে হলে নীচের আয়াতটা বুঝতে হবে। আল্লাহর সুন্নাহ নবী রসুলরাই দেখিয়ে গেছেন।

রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা হাশর (৫৯) : ০৭

উপরে রসূলের আদেশ এবং নিষেধ মানতে বলা হয়েছে। রসূলের আদেশ নিষেধ কোরআনে পাবেন না। সেটার জন্য হাদিস জানতে হবে।//

সূরা হাশরের ৭ নং আয়াত কি হাদিস দেওয়া নিয়ে না বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ তথা ফায়ের মাল বণ্টন করা নিয়ে ? এক টপিকের আয়াত আরেক জিনিস হিসেবে চালান কেন ? রাসূল তোমাদেরকে ঐ আয়াতে কি দিসেন ? হাদিস না ফায়ের মাল ?

তারপরে দেখা যাক কি লিখেছেন,
//কোরআনের আয়াত ব্যাখ্যার দায়িত্বও রসূলকে (সা) দেয়া হয়েছে। নীচের আয়াত পড়লে বুঝতে পারবেন।

(হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ‘আযযিকর’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে সেইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। -সূরা নাহল, আয়াত – ৪৪

এই ব্যাখ্যা কোরআনে পাবেন না। সেটার জন্য হাদিস পড়তে হবে।//

তাই নাকি?

১.
আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। [সুরা আরাফ - ৭:৫২]

অর্থাৎ আল্লাহ নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন "স্বীয় জ্ঞানে"

২.
আলিফ, লা-ম, রা; এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াত সমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে। [সুরা হুদ - ১১:১]

অর্থাৎ আয়াতসমূহ সবিস্তারে বর্ণিত, বিস্তারে মানে ব্যাখ্যাকৃত। কার থেকে ব্যাখাটা আসছে ? এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে।

৩.
আমি রাত আর দিনকে দু’টো নিদর্শন বানিয়েছি। আমি রাতের নিদর্শনটিকে জ্যোতিহীন করেছি, আর দিনের নিদর্শনটিকে করেছি আলোয় উজ্জ্বল যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পার আর যাতে বছরের সংখ্যা আর হিসাব জানতে পার; আমি সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছি। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:১২]

অর্থাৎ কোরআনে আল্লাহর ব্যাখ্যাটা গুটি কয়েক বিষয়ের নয়, বরং সকল বিষয়ের জন্যই আল্লাহর থেকে এসেছে।

৪.
আর তারা আপনার কাছে যে বিষয়ই উপস্থিত করে না কেন, আমি সেটার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা (আহসানা তাফসির) আপনার কাছে নিয়ে আসি। [সুরা ফুরকান - ২৫:৩৩]
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। [সুরা মায়েদা - ৫:১০১]

অর্থাৎ মানুষ কি কি জিজ্ঞেস করবে তার উত্তর কোরআনেই আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন। এর বাইরে কিছু আমাদের দরকার নাই এবং সে বিষয়ে জানাটা জটিলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যা আল্লাহর নির্দেশ নয়।

৫.
যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা দৃঢ়বিশ্বাস রাখে। [সুরা বাকারা - ২:১১৮]

সুতরাং কোরআনে আল্লাহ যা যতোটুকু দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। এর বাইরে কিছু অনুসন্ধান ও দাবী করা হলো পূর্ববর্তীদের মতোই পথভ্রষ্টতা।
কোরআনকে একমাত্র জীবনবিধান হিসেবে মানতে হলে অবশ্যই আল্লাহর কিতাবে দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে, অন্যথায় কোরআনকে অসম্পূর্ণ লাগবে।

এরপরে কি বলেছেন দেখি,

//আল্লাহর সুন্নাহ বা রাস্তা নবী রসূলগণই দেখিয়েছেন। তাই নবীদের সুন্নত মানেই আল্লাহর দেখানো রাস্তা। সকল নবী রসূলের আকিদা আল্লাহর তরফ থেকে। তাই আল্লাহর সুন্নাহ আর রসুলদের সুন্নাহ একই জিনিস। রাস্তা তো নবীরাই দেখিয়েছেন আল্লাহর নির্দেশে। তবে কোরআনের ব্যাখ্যার দায়িত্ব আল্লাহ আমাদের রসূলকে (সা) দিয়েছেন যেটা উপরে বলেছি। কোরআনের ব্যাখ্যা তো কোরআনে পাবেন না। কোরআনের ব্যাখ্যা রসূল করেছেন এবং সেটা আমরা হাদিসের মাধ্যমে জানি।//

রাসূলের সুন্নাত নামের এই শব্দটা অস্তিত্বই কোরআনে নাই! এমনকি কথিত আক্বীদা শব্দটাও কোরআনে তো নাই, আপনাদের লাহোয়াল হাদীসেও নাই! যেসব জিনিসের অস্তিত্বই কোরআনে নাই, সেগুলো আল্লাহর নামে চালান কেমনে ভাইয়া?

//আপনি বলতে পারেন যে রসূলের দাড়ি ছিল, টুপি পড়তেন, খেজুর খেতেন তাই তিনি বিখ্যাত ছিলেন। এই কথা কোন বুদ্ধিমান মুসলমান বলবে না। এই ধরণের কথা কোন বোকা লোকের কাছেও শুনিনি। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম।//

ইসলামের চিহ্ন বানানো হইসে এসবকে! দেখা হইলেই মানুষের প্রথম প্রশ্ন দাঁড়ি টুপি নিয়ে! ইসলাম আজকে তো এগুলোতেই আবদ্ধ তা আপনি স্বীকার না করলেও সত্য!

তারপরে বলেছেন,
//কবরের আজাবের ব্যাপারে কোরআনে আয়াতে ইঙ্গিত আছে।
And if you could but see when the angels take the souls of those who disbelieved… They are striking their faces and their backs and [saying], “Taste the punishment of the Burning Fire. (সুরা আল আনফাল, আয়াত ৫০)//

এবার ঐ আয়াতটা দেখা যাক,

আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর। [সুরা আনফাল - ৮:৫০]

এটা হলো মৃত্যু কীভাবে হবে তার বর্ণনা! বাহ, এজন্যই শুরুর অংশটা বাদ দিয়ে এটা পোস্ট করছেন! পারেনও আপনারা!

এবার সর্বশেষ কথাটা,

//আর হাদিসে তো আপনার পোস্টের জবাবে অনেক কিছুই আছে। আপনি কোন হাদিসই মানেন না। হাদিস না মানলে সে মুসলমান না।//

তো প্রচলিত লাহোয়াল হাদিসের ক্ষেত্রে এরকম কয়টা হাদীস অস্বীকার করলে তাদের ভাষায় হাদীস অস্বীকারকারী, বা মুনকিরিনে হাদীস কিংবা কাফের, বা খ্রিস্টান এজেন্ট হতে হবে ?

হাদীস অস্বীকার করার লিমিট কয়টা ?

কুরআনের মতো যদি একটাও এসব প্রচলিত হাদীস অস্বীকার করলে কাফের হতে হয় তাহলে এরা নির্বিচারে তাদের প্যারামিটার অনুযায়ী কাফের, খ্রিস্টান ইত্যাদি।

কেননা এরা নিজেদের সিলেকশন এর বাইরে কারো হাদীস মানে না, সেগুলো অস্বীকার করে।

উদাহরণস্বরূপ, এরা শিয়াদের হাদীস মানে না। যে সুন্নি ইসলামের হাদীসের ভিত্তি জনাব আবু হোরায়রা সেই ব্যক্তিকে চরম নিন্দা করেছে শিয়াদের হাদিসে, তাও হজরত আয়েশার বর্ণিত হাদীসে।

এছাড়া এদের একগ্রুপ পাগড়ি পড়ার হাদিস সহীহ(তারেক জামিল, তাবলীগ গ্রুপ), আরেকগ্রুপ সেটা জাল বলে(আহলে হাদীস) !

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার তো রীতিমতো বই লিখে অনেক ইসলামের নামে লিমিটেড কোম্পানির ভিত্তির হাদীস অস্বীকার ও জাল ঘোষণা দিয়ে বসে আছেন। তার মিলিয়ন মিলিয়ন ফলোয়ার্সরাও তাই।

তো এরা হাদীস মানে কোথায় !!

এছাড়া বুখারী মুসলিম থেকে এমন অজস্র হাদীস দেখানো যাবে যারা সেটা মানে না, অস্বীকার করে।







১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৪

রিদওয়ান খান বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর আপনার মন্তব্য একদম ঝড়ঝড়ে। পড়ে আরাম পাওয়া যায় এমন। মহাময় আপনাকে দীর্ঘজীবী করুক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

রসায়ন বলেছেন: কারণ সেটা আপনার মস্তিস্কে সেট করা মতবাদের পক্ষে যাচ্ছে! ঠিক এইভাবে নবীর সমসাময়িক কোরআন অস্বীকারকারী লোকেরাও বলতো! বাপ দাদারা কি কম জানতো, মোহাম্মদ তুমি এডি কি কও!

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: কোরান বার বার পড়ার জন্য বলা হয়েছে - অনুধাবন,অনুসরন , সৎ জীবন চর্চা ও আত্মার শুদ্ধতার জন্য । আবোল-তাবোল ব্যাখা, তাফসির করে উদরপুর্তি, ফেৎনাবাজী, গ্রুপ তৈরী করার জন্য নয়। ভন্ড,প্রতারক ওয়াজিরা নিজেরাই তো কোরানের নির্দেশ মানে না। কোটী কোটী ঈমানদারকে তারা তাদের স্বার্থে পথভ্রস্ট করেছে। কোরান ও ইসলামকে তারা জীবিকা হিসাবে গ্রহন করে খোদাদ্রোহীতা ও মোনাফেকীর চুড়ান্ত স্তরে আছে।
সুরা বাকারা -আয়াত: 174
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡتُمُونَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَشۡتَرُونَ بِهِۦ ثَمَنٗا قَلِيلًا أُوْلَٰٓئِكَ مَا يَأۡكُلُونَ فِي بُطُونِهِمۡ إِلَّا ٱلنَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ ٱللَّهُ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمۡ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ
নিশ্চয় যারা গোপন করে আল্লাহ্ কিতাব হতে যা নাযিল করেছেন তা এবং এর বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, তারা তাদের নিজেদের পেটে আগুন ছাড়া [১] আর কিছুই খায় না। আর কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের সাথে কথা বলবেন না এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সুরা বাকারা-আয়াত: 175
أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشۡتَرَوُاْ ٱلضَّلَٰلَةَ بِٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡعَذَابَ بِٱلۡمَغۡفِرَةِۚ فَمَآ أَصۡبَرَهُمۡ عَلَى ٱلنَّارِ
তারাই হিদায়াতের বিনিময়ে ভ্রষ্টতা এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে; সুতরাং আগুন সহ্য করতে তারা কতই না ধৈর্যশীল !
সুরা বাকারা-আয়াত: 176
ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ نَزَّلَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّۗ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ ٱخۡتَلَفُواْ فِي ٱلۡكِتَٰبِ لَفِي شِقَاقِۭ بَعِيدٖ
সেটা এ জন্যই যে, আল্লাহ্ সত্যসহ কিতাব নাযিল করেছেন আর যারা কিতাব সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করেছে অবশ্যই তারা সুদূর বিবাদে লিপ্ত।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার রেফারেন্সভিত্তিক কমেন্টটি আমার পোস্টকে আরো সমৃদ্ধ করলো।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: নবী মুহাম্মদ দুর্দান্ত একজন কুটনীতিক ছিলেন, নেতা ছিলেন, শাসক ছিলেন, রাজনীতিবিদ ছিলেন, সমর নায়ক, সাহসী যোদ্ধা, আমানতকারী, সত্যবাদী, সৎ উদার মানবীয় গুনাবলী সম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন এমন বললে ভাল হত মিয়া সাব ( যিনি মুল লেখাটা লিখেছেন)।
খুব বেশী এলোমেলো লেখা। পড়তে গিয়ে বার বার হোঁচট খেয়েছি।
হাদিসকে একেবারে উড়িয়ে দেয়ার কোন যুক্তি নেই। আবার কোরান ছেড়ে শুধু হাদিস নিয়ে থাকা ও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
ইমাম বুখারী যেভাবে হাদিস সংগ্রহ লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর পুরো ঘটনার যদি এক দশমাংশও সত্য হয় তবে এটা এত হেলেফেলা করার কিছু নয়।
তবে আমার খোদাকে আমি কিভাবে ডাকব এটা পুরোপুরি আমার স্বাধীনতা বলে মনে করি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

রসায়ন বলেছেন: কথায় কথায় শুনি হাদিস মানে না, হাদিস অস্বীকার এই সেই

এবার একটু হিসাবটা মিলিয়ে দিয়ে যান।


সুন্নিদের হাদিসের সবচাইতে বড় বিখ্যাত সংগ্রহের নাম বুখারী শরীফ। এই বুখারী শরীফের সংগ্রাহক ইমাম বুখারীরও আগের হাদিস সংগ্রাহক হলো মুয়াত্তা ইবনে মালেক। মুয়াত্তা মালেকের অনেক হাদিস ইমাম বুখারী তার বুখারী শরিফে স্থান দেননি। তাহলে ইমাম বুখারী কোন কারণে হাদিস অস্বীকারকারী হলো না??


কাহিনি আরো আছে, ইমাম বুখারীর সমসাময়িক ও উনার ছাত্র ইমাম মুসলিম যিনি সুন্নিদের দ্বিতীয় বিখ্যাত সহিহ হাদিসের গ্রন্থ মুসলিম শরীফের প্রণেতা উনাদের দুইজনের হাদিস সংগ্রহেও অনেক বৈপরীত্য বিদ্যমান। ইমাম মুসলিম এমন অন্তত ৬০০ জন রাবীর(হাদিস বর্ণনাকারী) হাদিস নিয়েছেন যাদেরকে ইমাম বুখারী রিলায়েবল মনে করেননি। এই ছয়শ রাবীর যদি অন্তত একটি করেও হাদিস থাকে তাহলে ইমাম বুখারী ইমাম মুসলিমের অন্তত ৬০০ হাদিস অস্বীকারকারী! এমন না যে ইমাম বুখারী এই হাদিসগুলো শুনেন নাই, শুনেছেন অবশ্যই কিন্তু সহিহ মনে না হওয়ায় নেননি। উদাহরণ স্বরূপ, বিদায় হজ্জের ভাষণের এই যে জিনিস আঁকড়ে ধরে রাখার কথা বর্ণনা মুসলিম শরিফে সহিহ সনদে বর্ণিত হলেও বুখারী শরিফে নাই!


এবার আসুন এর পরের হিসাবে, ইমাম বুখারী ও মুসলিমের পরবর্তীকালে উনাদের শাগরেদ নাসাঈ, ইবনে মাজা প্রমুখ যে হাদিস সংগ্রহ করেন তাতে বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক রিজেক্টেড অনেক হাদিস আছে। তাহলে ইমাম বুখারী মুসলিমের মতে অগ্রহণযোগ্য অনেক হাদিস তাদেরই ছাত্র নাসাঈ, ইবনে মাজার প্রমুখের কাছে সহিহ!


তাহলে ইমাম বুখারী ও মুসলিম কেন হাদিস অস্বীকারকারী হবে না?


হিসাব কি শেষ মনে করেছেন? না, আরো আছে কাহিনি!


এইসব হাদিস গ্রন্থের আবার পুনরায় তাহকীক বা যাচাই করেছেন অনেক মুহাদ্দিস, সেই কাজ করতে গিয়ে আবার অনেক কোম্পানির হাদিস বাতিলের লিস্টে চলে গেছে। যেমন আহলে হাদিসের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল ম্যানেজার নাসিরউদ্দিন আলবানি অনেক কোম্পানির সহিহ হাদিসকে জাল (মাউযু), দুর্বল (যঈফ) বলেছেন আবার অনেক মাউযু হাদিসকে আল হাদিস বলেছেন। উনার কথা বাদ দিলাম, সমসাময়িক কালের বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মৃত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির স্যারও হাদিসের নামে জালিয়াতি বইয়ে দেখিয়েছেন অনেক কোম্পানির প্রচলিত অনেক হাদিস আসলে জাল হাদিস! এজন্য উনিও অবশ্য হাদিস অস্বীকারকারী ফতোয়া খেয়েছেন, খাওয়ার কথাই কারণ যেই জিনিসের কোন সীমা নাই, মাত্রা নাই তা আপনি জানবেন কবে আর মানবেন কবে?


কোরআনের আয়াত মোট ৬২৩৬টি ফিক্সড। কিন্তু হাদিসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ঠিক কত? মোট সহিহ হাদিসের সংখ্যা কোনটি? উত্তর হচ্ছে জানা নাই কারণ হাদিস সহিহ না জাল এই নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির আলেমরা দ্বিধাবিভক্ত। যেমন পাকিস্তানের বিখ্যাত হুজুর মাওলানা তারিক জামিলের কোম্পানির মেইন উপজীব্য হচ্ছে পাগড়ি(এছাড়া তাবলীগ পন্থীদের নিকটেও পাগড়ির হাদিস সহিহ); উনি ছাড়াও বাংলাদেশের সুন্নিদের (যেমন এনয়েতুল্লা আব্বাসী, গিয়াসউদ্দিন তাহেরী) উনাদের কাছে পাগড়ি পরা সহিহ হাদিস সাব্যস্ত কাজ এইবার আসুন অন্য কোম্পানির বক্তব্য কি পাগড়ি নিয়ে...


ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির সহ আহলে হাদিস মতাদর্শীদের কাছে পাগরির সকল হাদিস জাল বা একদম দুর্বল!


এইবার আপনি কারটা শুনবেন? ওই হাদিস মানলে বিপরীত দলের কাছ থেকে বেদাতি ক্যাটাগরিতে জাহান্নামি ট্যাগ খাবেন আবার অস্বীকার করলে পক্ষের দলের কাছ থেকে হাদিস অস্বীকারকারী কাফের ট্যাগ খাবেন!


এই জাল সহিহের খেলা কি এই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ?? মোটেও না

নবীর বাবা মা জান্নাতি না জাহান্নামি এটা নিয়েও চরম লেভেলের মতভেদ। সিহাহ সিত্তাহর সহিহ হাদিস অনুযায়ী নবীর বাবা মা জাহান্নামি অন্যদিকে সুন্নিদের স্বপ্নে পাওয়া "গায়েবে সিত্তাহ" হাদিস মতে তারা উভয়েই জান্নাতি! যাবেন কোন দলে এখন?


এবার আসেন আরো বড় পরিসরে, মুসলমানদের দুইটা মেজর ভাগ: সুন্নি ও শিয়া। সুন্নিদের মেইন হাদিসের কালেকশনগুলো সিহাহ সিত্তাহ (বিশুদ্ধ ছয়) নামে পরিচিত তেমনি শিয়াদেরও তাদের হাদিসের কালেকশন আছে, যেগুলো কুতুবে আরবা(চারটা বই) বা সিহাহ খামছা (বিশুদ্ধ পাঁচ) বলে পরিচিত। শিয়াদের হাদিসের বইয়ে কি কি হাদিস আছে সেসব জানা তো দূরের কথা এই বইগুলোর নামগুলো পর্যন্ত সুন্নিরা জানে না। শিয়ারা যেমন সুন্নিদের হাদিসগুলো অধিকাংশই মানে না তেমনি সুন্নিরাও শিয়াদের হাদিসগুলো মানে না।


তাহলে মোটাদাগে উপরের আলোচনার উপজীব্যগুলো হলো:


১. প্রচলিত হাদিসের মধ্যে নির্দিষ্ট সীমানাই। ঠিক কয়টি সহিহ হাদিস বিদ্যমান এমন কোন সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নাই।

২. এক ইমামের হাদিসের গ্রেডিং পদ্ধতি অন্য ইমাম পুরোপুরি মানেন নাই। এজন্য তাদের হাদিস কালেকশনও ভিন্ন।

৩. এক ইমামের অনেক সহিহ হাদিস অন্য ইমামের কাছে জাল, দুর্বল হিসেবে সাব্যস্ত।

৪. সুন্নিদের মধ্যেই বিভিন্ন উপদলের মধ্যে হাদিসের গ্রেডিং নিয়ে ভয়াবহ দ্বিমত বিদ্যমান।

৫. শিয়া সুন্নিরা ভাইস ভার্সা একে অন্যের হাদিস সম্পূর্ণ বা বা প্রায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।


এবারে কতগুলো/ প্রশ্ন রেখে যাবো


১. ঠিক কয়টি প্রচলিত হাদিস অস্বীকার করলে কুফর হবে? কোরআনের ক্ষেত্রে তো একটি শব্দ অস্বীকার করলেও সে কাফির, প্রচলিত হাদিসের ক্ষেত্রে এর মাত্রাটা কি?

২. উপরের মাত্রাটি কে নির্ধারণ করে দিলো?

৩. কোন-কোন কোম্পানির হাদিস অস্বীকার করা যাবে?

৪. মাযহাবীদের ক্ষেত্রে মাযহাবের ইমামদের তাকলীদ(অন্ধ অনুসরণ করা) করা দূষণীয় হলে হাদিস সংগ্রাহক ইমাম ও বিভিন্ন মুহাদ্দিসদের তাহকীক অন্ধভাবে মেনে নেয়া কেন সেই মাযহাব হবে না? যেমন, আলবানি মাযহাব! বুখারী মাযহাব।

৫. হাদিস সংগ্রাহক ইমামরা একে অন্যের অনেক হাদিস ও উসুল(মূলনীতি) অস্বীকার করেছেন। তারা কি? তারা কেন হাদিস অস্বীকারকারী হবেন না?

৬. শিয়া সুন্নিরা যে একে অপরের হাদিস মানে না সে জন্য কেন তাদেরকে হাদিস অস্বীকারকারী বলা যাবে না?

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০

আরোগ্য বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর। অল্প বিদ্যা নিয়ে জ্ঞানী হওয়া যায় না। জ্ঞান অর্জনের জন্য বিজ্ঞ জ্ঞানীদের অনুসরণ করতে হয়। পোস্টে লাস্ট লাইনটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

রসায়ন বলেছেন: আপনি তাহলে মহাবিদ্যা দিয়ে পোস্টের ভুল ধরায়ে দেন ভাইয়া!

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

রসায়ন বলেছেন: আচ্ছা।

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

আরোগ্য বলেছেন: আমি কেবলই একজন তালেবে ইলম, এবং সারাজীবন এই পরিচয়েই থাকতে চাই।
পোস্টে বলা হয়েছে মানুষ মারা গেলে তার আমল চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। সুরা ইয়াসিন ১২ নং আয়াতে আছে,

36:12
إِنَّا نَحْنُ نُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا۟ وَءَاثَـٰرَهُمْ ۚ وَكُلَّ شَىْءٍ أَحْصَيْنَـٰهُ فِىٓ إِمَامٍۢ مُّبِينٍۢ ١٢

Indeed, it is We who bring the dead to life and record what they have put forth and what they left behind, and all things We have enumerated in a clear register.
— Saheeh International


আমিই তো মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি।
— Rawai Al-bayan
অর্থাৎ মানুষের কৃতকর্মের ধারাবাহিক ফলাফল মৃত্যুর পরও লিপিবদ্ধ হতে থাকে।


কোরআন আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং সুর করে পড়তে বলেছেন সুরা মুজান্মিলের ৪নং আয়াতে।





নবীজীর সুন্নত অস্বীকার করা যায় না। স্কুলের প্রথম দিন বই দিয়ে বছর শেষে একবারে পরীক্ষা নিলেই হয়, ক্লাস করার কী দরকার। বই নিজে নিজে পড়ে নিলেই হয়, টিচারের কী দরকার?

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২০

রসায়ন বলেছেন: সূরা ইয়াসীনের ঐ আয়াতে বলা মানুষের আমল নামা তার জীবনের শেষ ও শুরু পর্যন্ত লিপিবদ্ধ থাকে। এখানে মরার পরের কোন প্রসঙ্গই নাই!

আর এই বিষয়ে আরেকটা প্রমাণ দেখাই কুরআন থেকে,

আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। [সুরা মুনাফিক্বুন - ৬৩:১০]

এর থেকে স্পষ্ট মরার পরে কোন সওয়াব নাই, তাহলে সাদকায়ে জারিয়ার কনসেপ্ট টোটালি কুরআন বিরুদ্ধ!

তারতীল মানে সূর করে পড়া নাকি?

তারতীল মানে থেমে থেমে বুঝে পড়া! কুরআন থেকে দয়া করে এর ব্যবহার দেখে আসেন।

শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের অনুগামী হয় تَلَاهَا, [সুরা শামস - ৯১:২]

অনুগামী تَلَاهَا তালাহা এর রুট ওয়ার্ড হলো تلو তা লাম ওয়াও, যার অর্থ অনুগামী হওয়া বা পিছনে পিছনে চলা, অনুসরণ করা

তা লা হা থেকেই এই থেকে তিলাওয়াত এর উৎপত্তি যেমন تَتْلُونَ يَتْلُونَ , যাকে আমরা আবৃত্তি বা সুর করে বা এমনি না বুইঝা পড়া মনে করি, কিন্তু [সুরা শামস - ৯১:২] থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এর অর্থ পাঠের অনুগামী হওয়া বা অনুসারী হওয়া।

কিন্তু এর প্রকৃত অন্তর্নিহিত অর্থ হলো অনুসরণ করা। কোরআন পাঠ করে সেটা মেনে চলার নামই তিলাওয়াত, আর আল্লাহ কোরআনে আদেশ দিয়েছেন হাক্কা তেলাওয়াতের حَقَّ تِلاَوَتِهِ

আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ [অনুসরণ করে] حَقَّ تِلاَوَتِهِ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। [সুরা বাকারা - ২:১২১]

তাহলে কোরআনরে যথাযথভাবে মানতে হবে, তাইলেই হাক্কা তেলাওয়াত হবে।

তেলাওয়াতের অন্তর্নিহিত অর্থটা কতো ব্যাপক ভাবেন আর সেইটাকে এখন সুরেলা গলায় গান গেয়ে প্রতিযোগীতার সামগ্রী কিংবা ৫জি স্পিডে আউড়িয়ে টাকা ইনকামের সিস্টেম বানানো হয়েছে।

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমার মন্তব্যের কিছু অংশ এড়িয়ে গেছেন। আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে মৃত মানুষের জন্য দোয়া কাজে না লাগলে জানাজার নামাজ কেন পড়া হয়? আপনি এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেন নি। কারণ আপনার এই ব্যাপারে ভুল ধারণা আছে। মানুষ মারা গেলে তার জন্য দোয়া করা যায় এবং এই দোয়ার দ্বারা মৃত ব্যক্তি উপকৃত হয়। কিন্তু আপনি বলতে চাচ্ছেন যে মানুষ মারা যাওয়ার পরে কোন দোয়া কাজে লাগে না।

মানুষ কবর জেয়ারত কেন করে? সেখানে গিয়ে মৃতদের জন্য দোয়া করার জন্য। কবরের কাছে গেলে কবরবাসীর উদ্দেশ্যে সালাম দেয়া হয়। সালামও একটা দোয়া। অর্থাৎ তার উপর শান্তি বর্ষিত হউক। তাই মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা যাবে না আপনার এই ধারণা ভুল।

সুরা হাশরের ১০ নাম্বার আয়াতে ‘মিমবাদি’ শব্দের দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে সাহাবায়ে কিরাম মুহাজির ও আনসারগণের পরে কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সকল মুসলিম শামিল আছে এবং এ আয়াত দ্বারা তাদের সবাইকে “ফায়” এর মালে হকদার সাব্যস্ত করা হয়েছে। [ইবন কাসীর, ফাতহুল কাদীর] তবে ইমাম মালেক বলেন, যারা সাহাবায়ে কিরামের জন্য কোন প্রকার বিদ্বেষ পোষণ করবে বা তাদেরকে গালি দেবে তারা ‘ফায়’ এর সম্পদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। [বাগভী]।

এই আয়াতের ভিত্তিতেই হজরত ওমর (রা) ইরাক, সিরিয়া এবং মিশর জয় করার পরেও যোদ্ধাদের মধ্যে ‘ফায়’ বণ্টন করেন নি। বাইতুল মালে রেখে দিয়েছেন যেন পরবর্তী প্রজন্মের মুসলমানরাও এটা থেকে উপকৃত হয়। এই আয়াতেই পূর্ববর্তী মুসলমানদের ক্ষমা করার জন্য দোয়া করা হয়েছে। এই কারণেই এই আয়াত থেকেও বোঝা যায় যে আমাদের উচিত সাহাবা এবং তার পরের ইমানদার মুসলমানদের জন্য দোয়া করা। তারা মৃত বলে দোয়া করা যাবে না এই ধারণা ভুল।

সুরা মুজাম্মিলের ৪ নাম্বার আয়াতের শেষাংশে এ تَرْتِيلًا (তারতিলা) বলা হয়েছে। تَرْتِيلًا শব্দের অর্থ হল Hymn। Hymn এর অর্থ হল a song of praise। এছাড়া ওয়া রাত্তিল শব্দটা আছে। আর وَرَتِّلِ ( ওয়ারাত্তিল) শব্দের অর্থ হলও chant। chant মানে হল to make melodic sounds with the voice; especially : to sing a chant.( Merriam-Webster dictionary)। আরবি তিলাওয়াত শব্দের অর্থ হল recitation। recitation আর বই পড়া এক জিনিস না। আপনি এই শব্দগুলি আরবি টু ইংলিশ অভিধান থেকে দেখে নিবেন। আরবীতে শুধু পড়ার আরবি শব্দ হল ইকরা। সুরা আলাকের প্রথম আয়াতেই আছে ‘পড় তোমার প্রভুর নামে’। তাই কোরআন যেমন বইয়ের মত পড়তে হবে একই সাথে تَرْتِيلًا (তারতিলা) করতে হবে যার অর্থ measured rhythmic recitation.

রসূলের (সা) আদেশ নিষেধ মানার ব্যাপারে কোরআনে বহু জায়গায় বলা আছে। যেমন;
১। সুরা নূর আয়াত ৫৪ - বল, ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।’ তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে সে শুধু তার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। আর যদি তোমরা তার আনুগত্য কর তবে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর রাসূলের দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া। আল-বায়ান

২। সুরা হাশরের আয়াত ৬ নাম্বার আয়াতে আছে যে আল্লাহ ইয়াহুদীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে ফায় হিসেবে যা দিয়েছেন তোমরা তার জন্য কোন ঘোড়া বা উটে আরোহণ করে অভিযান পরিচালনা করনি। বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলগণকে যাদের ওপর ইচ্ছা কতৃত্ব প্রদান করেন। আল্লাহ সকল কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।

অর্থাৎ আল্লাহ রসূলকে যাদের উপর ইচ্ছা কর্তৃত্ব প্রদান করেছেন। এই কারণেই পরের আয়াতে বলা হয়েছে রসূল (সা) যা দেন সেটা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেছে তা থেকে বিরত থাকো। ফায় বণ্টন সংক্রান্ত আয়াত হলেও এই আয়াত দুটির অর্থ ব্যাপক কারণ রসূলকে একই সাথে কর্তৃত্ব দিয়েছেন আল্লাহ এবং বলেছেন তিনি যা দেন তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো। রসূলের আদেশ মান্য করার আরও অনেক আয়াত আছে। যেমন
৩। সুরা আন নিসার ৬৪ নাম্বার আয়াতের আপনি অর্থ বদলে দিয়েছেন। সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে যে And We did not send any messenger except to be obeyed by permission of Allah.

অর্থঃ আমি রসূল এ উদ্দেশেই প্রেরণ করেছি, যেন আল্লাহর নির্দেশে তাঁর আনুগত্য করা হয়।

উপরে তাঁর অর্থ রসূল। অর্থাৎ আল্লাহর অনুমতিতে রসূলের (সা) আনুগত্য করতে বলা হয়েছে। আপনি পুরো অর্থ উল্টা করে ফেলেছেন। কোরআনে পরিষ্কারভাবে রসূলের আনুগত্য করতে বলা হয়েছে। রসূলের আদেশ, নিষেধ, উপদেশ কোরআনে পাবেন না। তার জন্য হাদিস প্রয়োজন।

৪। সুরা আন নিসা আয়াত ৮০ - যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।

তার মানে রসূলের আনুগত্য করতে হবে। রসূলের আনুগত্য করতে হলে জানতে হবে রসূল কি আদেশ, নিষেধ বা উপদেশ দিয়েছেন। এগুলি কোরআনে পাবেন না। এগুলি জন্য হাদিসের কাছে যেতে হবে।

৫। সুরা আনফাল আয়াত ১ - আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মুমিন হও।

অর্থাৎ আল্লাহ এবং রসূল (সা) উভয়েরই আনুগত্য করতে হবে।

৬। সুরা আনফাল আয়াত ২০ - হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, অথচ তোমরা শুনছ।

৭। সুরা আনফাল আয়াত ৪৬ - আর তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর
৮। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হতে পার। ( সুরা আন নূর, আয়াত ৫৬)
৯। তোমাদের সঙ্গী(১) বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়, আর সে মনগড়া কথা বলে না। তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরণ করা হয়। অর্থাৎ ইসলামের বিধান সংক্রান্ত রসুলের (সা) সমস্ত কথাও অহি। উনি কোন মনগড়া কথা বলেন নি। সবই আল্লাহর তরফ থেকে ছিল। এগুলি জানতে হবে হাদিস পড়তে হবে। কোরআনে রসূলের আদেশ, নিষেধ পাবেন না।
১০। যারা অনুসরণ করে রাসূলের, যে উম্মী নবী; যার গুণাবলী তারা নিজদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ দেয় ও বারণ করে অসৎ কাজ থেকে এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে। আর তাদের থেকে বোঝা ও শৃংখল- যা তাদের উপরে ছিল- অপসারণ করে। সুতরাং যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং তার সাথে যে নূর নাযিল করা হয়েছে তা অনুসরণ করে তারাই সফলকাম। ( সুরা আল আরাফ আয়াত ১৫৭)

এই ধরণের আরও কিছু আয়াত আছে যার দ্বারা পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে রসূলের আদেশ, নিষেধ, উপদেশ মান্য করার জন্য। কোরআনে এগুলি পাওয়া যাবে না। এগুলির জন্য হাদিসের সাহায্য নিতে হবে।

সুরা নাহালের আয়াত নাম্বার ৪৪ এ রসূলকে কোরআনের ব্যাখ্যার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনি সেটা নিয়ে সংশয় প্রদর্শন করছেন।
সুরা আন নাহলের ৬৪ নাম্বার আয়াতে আছে;

আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি, শুধু এ জন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তা তাদের জন্য তুমি স্পষ্ট করে দেবে এবং (এটি) হিদায়াত ও রহমত সেই কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।

শুধু কোরআন থেকে নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত পালন করতে পারবেন না। ঈদ পালন করেন। ঈদের নামাজ পড়েন। কোরআনে কি ঈদের নামাজ এবং ঈদের উল্লেখ আছে?

নামাজের রাকাত কত হবে, রুকু সেজদা কিভাবে করতে হবে এগুলি কি কোরআনে আছে?
হজ্জের নিয়মাবলী কি কোরআনে আছে?
জাকাতের নিয়মাবলী কি কোরআনে আছে?
ক্রয়, বিক্রয়, পারশপরিক আদান প্রদান, বিবাহ ইত্যাদির নিয়ম কোরআনে বিস্তারিত আছে কি?
উত্তরাধিকারের অনেক বিধান হাদিসে আছে কিন্তু কোরআনে নেই।
মৃত মাছ, পঙ্গপাল, কলিজা, প্লিহা ইত্যাদি হাদিসের মাধ্যমে হালাল করা হয়েছে। এই হাদিসগুলি মুলত আয়াতের ব্যাখ্যা। ফলে আয়াতে নিষিদ্ধ করা থাকলেও হাদিসের দ্বারা কিছু জিনিসকে ব্যতিক্রম হিসাবে হালাল করা হয়েছে।

আজানের কথা কোরআনে নাই। তাই আপনি বলতে পারেন যে আজান একটা বিদায়াত। কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে আজানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে ইসলামের বিধানের জন্য কোরআন এবং হাদিস দুইটাই লাগবে। কোরআনেই বলা আছে রসূলের আদেশ, নিষেধ মানো। তাই ঢালাওভাবে হাদিস অস্বীকার করা যাবে না। কিছু হাদিস নিয়ে মতবিরোধ আছে এটা ঠিক। কিন্তু ইসলামে একই বিষয়ের উপরে অনেক ক্ষেত্রে একাধিক বিধান হতে পারে। দুইটা বিধানই সঠিক।

হিংস্র জীব জন্তুর মাংস হারাম করা হয়নি কোরআনে। বরং হাদিসের মাধ্যমে এগুলিকে হারাম করা হয়েছে। আপনি যেহেতু হাদিস মানেন না তাহলে আপনি অবলিলায় কুকুরের মাংস হালাল হিসাবে খেতে পারেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৬

রসায়ন বলেছেন: জানাজার নামাজ মানুষের বানানো। আল্লাহ এসব করতে বলেনি। আর সূরা হাশরের ১০ নাম্বার আয়াতের এসব ব্যাখ্যা ঐসব মোল্লাদের মত মাত্র, আল্লাহ এসবের সত্যতা নাজিল করেননি।

এরপরে আসেন রাসূলের আনুগত্য করা প্রসঙ্গে,

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। [সুরা নিসা - ৪:১১]

আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাং শ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাং শ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। [সুরা নিসা - ৪:১২]


এই দুইটা আয়াতের পরে আল্লাহ কি বলছেন। সম্পত্তি বণ্টনের আয়াত দেওয়ার পরে আল্লাহর ভাষাটা খেয়াল করেন,

এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য। [সুরা নিসা - ৪:১৩]

যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। [সুরা নিসা - ৪:১৪]

অর্থাৎ দেখা যাইতেছে সম্পত্তি বণ্টনের আয়াতগুলো বলার পরে আল্লাহ বলতেছে যে আল্লাহর ও রাসূলের আদেশমতো চলে সে জান্নাতে যাবে, পরের আয়াতে বলতেছে যদি আল্লাহর ও রাসূলের অবাধ্যতা করে সে জাহান্নামে যাবে। এখানে তো রাসূলের কোন আলাদা নির্দেশনা বা বিধান ছিলো না, পুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুরো সবই আল্লাহর। তাহলে আল্লাহর এই ভাষা দেখেই বুঝা যাচ্ছে যেহেতু রাসূলের মুখ দিয়ে এসব মানুষের কাছে যাবে, কাজেই তারা যদি তাদের এতোদিনকার প্র্যাকটিসের বিপরীতে দেখে এটাকে অস্বীকার করে তাহলে তো আল্লহার কমান্ড মানা হলো না। অর্থাৎ আল্লাহর বিধানটাই যেহেতু রাসূলের মুখ থেকে বের হয় কাজেই রাসূল অস্বীকার মানে আল্লাহর কিতাব বা বিধানকে অস্বীকার।

আল্লাহর ও রাসূলের নির্দেশ মানার বিষয়টা কতো সুন্দর ক্লিয়ার।

আল্লাহর কিতাব বের হইছে রাসূলের মুখ দিয়ে, সেটার আনুগত্য করার নির্দেশ

অথচ এসব আয়াত দিয়ে তারা রাসূল মানার নামে তার আলাদা বিধিবিধান কিতাব তৈরি করে নিছে

নিঃসন্দেহে এরা মুশরিক

এবার আসুন বায়ান সম্পর্কে। বায়ান মানে বর্ণনা করা, ব্যাখ্যা করা না। আর রাসূল বর্ণনা করেন যা আল্লাহর থেকে নাজিল হয়েছে সেই কুরআন

রাসূল নাকি কোরআন ব্যাখ্যা করেন, আপনার তথ্যটা যাচাই করা যাক কুরআন দিয়ে

১.
আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। [সুরা আরাফ - ৭:৫২]

অর্থাৎ আল্লাহ নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন "স্বীয় জ্ঞানে"

২.
আলিফ, লা-ম, রা; এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াত সমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে। [সুরা হুদ - ১১:১]

অর্থাৎ আয়াতসমূহ সবিস্তারে বর্ণিত, বিস্তারে মানে ব্যাখ্যাকৃত। কার থেকে ব্যাখাটা আসছে ? এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে।

৩.
আমি রাত আর দিনকে দু’টো নিদর্শন বানিয়েছি। আমি রাতের নিদর্শনটিকে জ্যোতিহীন করেছি, আর দিনের নিদর্শনটিকে করেছি আলোয় উজ্জ্বল যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পার আর যাতে বছরের সংখ্যা আর হিসাব জানতে পার; আমি সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছি। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:১২]

অর্থাৎ কোরআনে আল্লাহর ব্যাখ্যাটা গুটি কয়েক বিষয়ের নয়, বরং সকল বিষয়ের জন্যই আল্লাহর থেকে এসেছে।

৪.
আর তারা আপনার কাছে যে বিষয়ই উপস্থিত করে না কেন, আমি সেটার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা (আহসানা তাফসির) আপনার কাছে নিয়ে আসি। [সুরা ফুরকান - ২৫:৩৩]
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। [সুরা মায়েদা - ৫:১০১]

অর্থাৎ মানুষ কি কি জিজ্ঞেস করবে তার উত্তর কোরআনেই আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন। এর বাইরে কিছু আমাদের দরকার নাই এবং সে বিষয়ে জানাটা জটিলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যা আল্লাহর নির্দেশ নয়।

৫.
যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা দৃঢ়বিশ্বাস রাখে। [সুরা বাকারা - ২:১১৮]

সুতরাং কোরআনে আল্লাহ যা যতোটুকু দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। এর বাইরে কিছু অনুসন্ধান ও দাবী করা হলো পূর্ববর্তীদের মতোই পথভ্রষ্টতা।
কোরআনকে একমাত্র জীবনবিধান হিসেবে মানতে হলে অবশ্যই আল্লাহর কিতাবে দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে, অন্যথায় কোরআনকে অসম্পূর্ণ লাগবে।


সুতরাং কোরআনের আলোকে আপনার পোস্টটি মিথ্যা ও অপপ্রচার হিসেবে প্রমাণিত হলো !


০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

রসায়ন বলেছেন: শুধু কোরআন থেকে নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত পালন করতে পারবেন না। ঈদ পালন করেন। ঈদের নামাজ পড়েন। কোরআনে কি ঈদের নামাজ এবং ঈদের উল্লেখ আছে

আল্লাহ যেসব করতে বলেন নাই সেসব কোন দুঃখে করতে যাবো? এখন কি কুরআন দিয়ে আপনার কথিত ইবাদাত যাচাই করবেন নাকি কথিত এসব ইবাদতকে কুরআন দিয়ে যাচাই করবেন?

নামাজের রাকাত কত হবে, রুকু সেজদা কিভাবে করতে হবে এগুলি কি কোরআনে আছে?


হজ্জের নিয়মাবলী কি কোরআনে আছে?

আছে তবে কুরআন হজ্জ মানে পাথর পূজা না।

জাকাতের নিয়মাবলী কি কোরআনে আছে?

যাকাত মানে পরিশুদ্ধি। কথিত বাৎসরিক আড়াই পার্সেন্ট টাকা দেওয়া না। পরিশুদ্ধি হওয়ার নানা প্রক্রিয়া কুরআনে বর্ণিত।

ক্রয়, বিক্রয়, পারশপরিক আদান প্রদান, বিবাহ ইত্যাদির নিয়ম কোরআনে বিস্তারিত আছে কি?

আছে।

উত্তরাধিকারের অনেক বিধান হাদিসে আছে কিন্তু কোরআনে নেই।

তাই নাকি, কি বলেন তো! আর যা কুরআনে নাই তা শয়তানের ফর্মুলা


মৃত মাছ, পঙ্গপাল, কলিজা, প্লিহা ইত্যাদি হাদিসের মাধ্যমে হালাল করা হয়েছে। এই হাদিসগুলি মুলত আয়াতের ব্যাখ্যা। ফলে আয়াতে নিষিদ্ধ করা থাকলেও হাদিসের দ্বারা কিছু জিনিসকে ব্যতিক্রম হিসাবে হালাল করা হয়েছে।

কলিজা প্লীহা এসব কি রক্তপিন্ড? এমন বর্ণনা অবাস্তব হাস্যকর বিজ্ঞান বিরোধী। মৃত মাছ খাওয়া যাবে না এটা কুরআনের কোথায় নিষেধ? আর আল্লাহর আয়াতে নিষিদ্ধ কিছু হালাল করার এখতিয়ার নবীর নাই, নবী এই কাজ করতে যেয়ে আল্লাহর ঝাড়ি পর্যন্ত খেয়েছে,

হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। [সুরা তাহরীম - ৬৬:১]

আজানের কথা কোরআনে নাই। তাই আপনি বলতে পারেন যে আজান একটা বিদায়াত। কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে আজানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে ইসলামের বিধানের জন্য কোরআন এবং হাদিস দুইটাই লাগবে। কোরআনেই বলা আছে রসূলের আদেশ, নিষেধ মানো। তাই ঢালাওভাবে হাদিস অস্বীকার করা যাবে না। কিছু হাদিস নিয়ে মতবিরোধ আছে এটা ঠিক। কিন্তু ইসলামে একই বিষয়ের উপরে অনেক ক্ষেত্রে একাধিক বিধান হতে পারে। দুইটা বিধানই সঠিক।

আজান দিয়ে আল্লাহর বা মানুষের কাজ কি? আল্লাহ কি আজান দিতে বলেছে না নামাজ পড়তে বলেছে?

হিংস্র জীব জন্তুর মাংস হারাম করা হয়নি কোরআনে। বরং হাদিসের মাধ্যমে এগুলিকে হারাম করা হয়েছে। আপনি যেহেতু হাদিস মানেন না তাহলে আপনি অবলিলায় কুকুরের মাংস হালাল হিসাবে খেতে পারেন।

কুকুরের আরবি কালবুন, দেন দেখি কোন হাদীসে কালবুন নাম ধরে এটা হারাম সেটা বলা? উল্টা হাদীসে হায়েনা খাওয়া হালাল। হায়েনা বরং কুত্তার নিকটাত্মীয়। তো হায়না খাবেন এখন?

৮৫১। ইবনু আবূ আম্মার (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে আমি বললাম, হায়েনা কি শিকার (করার মত প্রাণী) তিনি বলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, সেটা কি খেতে পারবো? তিনি বলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি এ কথা বলেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ।

সুনানে তিরমিযী
হাদীস নং ৮৫১

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.