নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।
অভিষেকের পর পার হলো মাত্র এক বছর।
মুস্তাফিজুর রহমান এই অল্প সময়েই একের
পর এক সিঁড়ি ভেঙে উঠে গেছেন তরতর করে।
এখনো শীর্ষে ওঠার অনেকটা পথ বাকি,
তবে গত এক বছরের হিসেব করলে মুস্তাফিজ
অনেক জায়গাতেই বিশ্বের যেকোনো
বোলারের চেয়েই ঢের এগিয়ে।
শুরুটা ছিল টি-টোয়েন্টি দিয়ে।
পাকিস্তানের সঙ্গে অভিষেক টি-
টোয়েন্টিতেই পেয়েছিলেন ২০ রান দিয়ে ২
উইকেট। গত এক বছরের মধ্যে টি-
টোয়েন্টিতে শুধু গড় বা ইকোনমি
বিবেচনায় মুস্তাফিজ আছেন শীর্ষ তিনে।
গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৭৫
ওভার বল করেছেন এ রকম ৪৮ জন বোলার
আছে। এর মধ্যে ওভারপ্রতি ছয়ের নিচে রান
দিয়েছেন শুধু তিনজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের
সুনীল নারাইন ও ভারতের রবিচন্দ্রন
অশ্বিনের সঙ্গে আছেন মুস্তাফিজও।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সালের পর থেকে মুস্তাফিজ
করেছেন ১১০.৫ ওভার। এই সময়ে ১৫.২৭ গড়ে
নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। এই সময়ে
মুস্তাফিজের গড়ই সবচেয়ে কম। ১৫.৪৮ গড়
নিয়ে কাছাকাছি আছেন জিম্বাবুয়ের
গ্রায়েম ক্রেমার। ইংলিশ অলরাউন্ডার
রবি বোপারার গড় ১৫.৫৮। এই সময়ে
মুস্তাফিজ ওভারপ্রতি ৫.৯২ রান দিয়েছেন।
অশ্বিনের ওভারপ্রতি রানও তা-ই,
নারাইনের ওভার-প্রতি রান ৫.৭১।
আর মুস্তাফিজ যাঁদের আউট করেছেন সেই
তালিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নিন—এবি
ডি ভিলিয়ার্স, কেন উইলিয়ামসন, ক্রিস
গেইল, রোহিত শর্মা, স্টিভেন স্মিথ, শেন
ওয়াটসন। এই তালিকায় শিগগিরই আরও
অনেক বড় বড় নাম হয়তো লেখা হবে।
মুস্তাফিজ যে বড় বড় শিকার তুলতেই
ভালোবাসেন!
আরেকটা দিক দিয়েও মুস্তাফিজ নিজেকে
বাকিদের চেয়ে ছাড়িয়ে গেছেন। এই
আইপিএলেই যেমন বাংলাদেশের তরুণ
পেসারকে শেষের দিকের ওভারগুলোর জন্যই
রেখে দিয়েছেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক
ডেভিড ওয়ার্নার।
পরিসংখ্যানও বলছে, ওয়ার্নার যোগ্য
সৈনিকের হাতে তুলে দিয়েছেন অস্ত্র। গত
এক বছরে শেষ ৫ ওভারে মুস্তাফিজই
সবচেয়ে কম রান দিয়েছেন। গত এক বছরে
শেষ ৫ ওভারে মুস্তাফিজ ওভারপ্রতি রান
দিয়েছেন ৬.৮২। এই সময়ে শেষ ৫ ওভারে
অন্তত ২৫ ওভার বল করেছেন, এমন
বোলারদের মধ্যে আর কেউ সাতের নিচে
রানই দেননি।
চার-ছয় দেওয়ার ব্যাপারে মুস্তাফিজও
কৃপণ। এই সময়ে প্রতি ৯ বলে এক বার চার বা
ছয় খেয়েছেন। অথচ কাছাকাছি থাকা
জসপ্রিত বুমরা প্রতি ৬.০৯ বলে এক বার চার
বা ছয় দিয়েছেন। ডোয়াইন ব্রাভোর
ক্ষেত্রে সেটি ৫.৮৫ বল, ভুবনেশ্বর কুমারের
ক্ষেত্রে ৫.৬৩। তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো।
©somewhere in net ltd.