![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্রিকেট কি নারীর মতই রহস্যময়?
প্রশ্নটা আসলে খুব অন্যরকম,কথাটা আসলে একটু অন্যরকমই। ক্রিকেটকে অনেকে বলে রহসময়ী নারীর চেয়েও বেশী সুন্দর। তুলনাটা নারীর সৌন্দর্য এর সাথে করার যথেষ্ট কারনও আছে,আজ অবধি দুনিয়ার অসংখ্য রহস্য,মিথ উদঘাটন হয়েছে। কিন্তু কখনো কোন নারীর মনের রহস্য উতঘাটন হয় নাই।
যাই হোক,ক্রিকেটে অসংখ্য সুন্দর কিছু জিনিস আছে,সেই একই জিনিস আপনার সামনে বারবার আসবে তাও মনে হবে নতুন। মাস্টারব্লাস্টার শচীনের স্ট্রেট ড্রাইভ থেকে শুরু করে হালের ভিরাট কোহলির কাভার ড্রাইভ। রিকি পন্টিং এর পুল শট থেকে শুরু করে এবির সুইপ। আর যদি বোলিং এর কথা বলা হয় তাহলে তো আমরা একগাদা শিল্পিকে দেখেছি। দা গ্রেট ওয়ার্ন,মুরালি,ওয়াকার-ওয়াশিপ,এমব্রোস-ওয়েলস,লী-ম্যাকগ্রা। হালের স্টেইন,ব্রড,এন্ডারসন।
ক্রিকেটের ধরন চেঞ্জ হয়েছে,এসেছে অনেক পরিবর্তন,এসেছে বিভিন্ন লীগ,এক টিমের মেম্বার,কালকে তারা রাইভাল। তারা একে অপরের দুর্বলতা জানে। কঠিন হচ্ছে না কি ক্রিকেট,অন্তুতপক্ষে বোলারদের জন্য যে কঠিন হচ্ছে তা তো বলাই যায়।
আমাদের অনেক ভালো বোলার এসেছে,ফিট মাশরাফি যেভাবে শুরু করেছিলো তা ইঞ্জুরির কারনে ধরে রাখতে পারলো না,সেই কথা বলে তো লাভ নাই,রফিক ভাই,রাজ্জাক ভাই,সৈয়দ রাসেল,তাসকিন অনেক ভালো বোলার।
সাকিব এদের চেয়ে আরো দুইধাপ এগিয়ে,কিন্তু সে গ্রেট বোলার না,সে গ্রেট হবে অলরাউন্ডারীয় দিক দিয়ে,একক দিক দিয়ে না।
প্রশ্নটা আসে একটা ২০ বছরের ছেলেকে নিয়ে,হ্যাংলা পাতলা,কিন্তু তার বল খেলতে ব্যাটসম্যানদের হিমশিম খেতে হয়,আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসে এরকম বোলার কখনো এসেছে কি,যে এক বছরে নিজের দুনিয়া চেঞ্জ লরে ফেলে।
গত বছর মার্চের দিকে যখন ট্রেন্ট বোল্ট বিশ্বকাপ এ উইকেট এর ফুলঝুড়ি ছড়াচ্ছিলেন তখন সেই ছেলেটিকে কেউই চিনতো না,মাশরাফি আর হাতুড়ে তাকে নেট থেকে নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে না নামালো এই ছেলের তো নেট বোলারই হয়ে থাকতে হতো। কারন কয়জন প্রতিভার খবর ঠিকমতো রাখা হয়। সেই ম্যাচ থেকে শুরু হলো তার উড়ার গল্প।
আর এখন তিনি নিজেকে এতটা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই অল্প কিছু সময়ে যে তার জন্য আজ এক বিশ্বকাপ এর টপ উইকেট শিকারীকেও বয়াএ থাকতে হয়,তার জন্য পুরা টিমের অলটাইম গুগল ট্রান্সলেট নিয়ে বসে থাকতে হয়।
আর এতকিছুর পরও সেই ছেলেটার মুখে আন্তরিকতার একটা হাসি ।
ছেলেটা আমাদের মোস্তাফিজ। তার এক কাটারেই যতটুকু ভ্যারিয়েশন,মানুষের তো পুরা বোলিং এও এতটা ভ্যারিয়েশন থাকে না।
আর মোস্তাফিজের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় কোনটা জানেন,যা তার সকল বিষাক্ত ডেলিভারীর চেয়েও ভয়ংকর। তার ক্রিকেট ব্রেইন,তার সেন্স।
এটা সকল দিক দিয়েই তাকে ভয়ংকর বানায়।সে ম্যাচটা এতটা দ্রুত রিড করতে পারে,যার কারনে এবি,ম্যাককলামের মত ব্যাটার তার বলে নাচে।
আপনি জানেন না,মোস্তা তার হাত দিয়ে কি ছুরবে। আসলে একজন পিউর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞও তার বোলিং বিশ্লেষন করতে পারবে কিনা সন্দেহ।
এই কারনেই হয়তো বলা হয়,ক্রিকেট রহস্যময়ো নারীর চেয়েও রহস্যময়।আর অসাধারন কোন সুন্দরীর চেয়েও সুন্দর।
তার কাছে আশা শুধু একটাই,যে উড়া সে শুরু করেছে সেভাবেই যেনো সে উড়তে পারে।
©somewhere in net ltd.