নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাছে ভাতে বাঙালি

মোঃ সাইফুল ইসলাম

যেটাতে ভালো কনসেপ্ট পাবো সেটাই লিখবো । ।

মোঃ সাইফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনযুদ্ধে অমসৃণ পথ পাড়ি দেয়া এক অপরাজিত বীরের গল্প

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৯

দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির বিস্ময় বালক ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন । স্কুল ও কলেজ জীবন সফলতার সাথে শেষ করে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করেন ব্যারিস্টার সুমন । দেশের সেরা মেধাবীদের মিলনমেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকেই মূলত ব্যারিস্টার সুমনের এগিয়ে যাওয়ার পথচলা শুরু হয় ।

ছাত্রজীবনে মেধার ছাপ রেখেই সকলের গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন তিনি । বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তাঁর অমায়িক ব্যবহার এবং সৃজনশীলতার বলেই তাঁর সান্নিধ্য পেতে সবসময়ই তাঁর বন্ধুমহলের সবাই আগ্রহ নিয়ে বসে থাকতেন।প্রচণ্ড সৃজনশীল মানসিকতার ফলেই ব্যারিস্টার সুমন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে সবসময়ই নিজের প্রতি নিজেই দায়বদ্ধ থাকতেন। ছোটবেলা থেকেই ব্যারিস্টার সুমনের মধ্যে দক্ষ নেতৃত্বের পরশ পাওয়া যেতো ।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি লেখাপড়া ও ছাত্ররাজনীতিকে একসূত্রে বেঁধেছেন অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ।সুনিপুণ কর্মদক্ষতার বলেই মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুষ্ট সমাজ গড়ার এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তাঁর সুনাম অক্ষুন্ন ।

ব্যারিস্টার সুমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ‘কবি জসীমউদ্দিন হল’ এর আবাসিক ছাত্র ছিলেন । হলে থাকাকালীন সময়ে প্রিয় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন । বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সংগ্রাম করে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । দল ক্ষমতাকালীন সময়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সুমন । যখনই সাধারণ শিক্ষার্থী কিংবা ছাত্রলীগের কোন কর্মী চক্রান্তের শিকার হয়েছে ঠিক তখনই অকুতোভয় বীরের মতো তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ছাত্রলীগের বিভিন্ন সময়ে ভয়ঙ্কর সঙ্কটের সময় তিনি অকুতোভয় বীরের ভূমিকা পালন করেছেন।

২০০১ সালে যখন বিএনপি জামাত জোট সরকার গঠন করে তখন থেকেই ছাত্রলীগের ওপর তাণ্ডবলীলা শুরু করে ছাত্রদল । এতে অসংখ্য ছাত্রলীগ নেতা হল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় । অনেকেই আবার ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে যোগদান করে । তবে ঐ সময় নীতির প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন । বিএনপির ছাত্রদলের নির্যাতনের মুখে অনেক হেভিওয়েট ছাত্রলীগ নেতা দল পরিবর্তন করলেও অবিচল ছিলেন তিনি । তখন শেখ হাসিনার সকল মিছিল মিটিং এ অকুতোভয় বীরের মতো নেতৃত্ব দিতেন ব্যারিস্টার সুমন । বিএনপি জামাতের দুঃশাসনের বিপক্ষে লড়াই সংগ্রাম করার ফলশ্রুতিতে ব্যারিস্টার সুমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ‘কবি জসীমউদ্দিন হল’ শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করতেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করার সে সময় আইন বিষয়ের উপর বেশ ঝোঁক ছিলো ব্যারিস্টার সুমনের । তাছাড়া ব্যারিস্টার সুমনের বাবা অনেক ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন যে তাঁর ছেলে বড় হয়ে ব্যারিস্টার হবে । তাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ব্যারিস্টার সুমন সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁর পথচলা পরিবর্তন করার ।

পরবর্তীতে তিনি ‘ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন’ থেকে আইন বিষয়ের উপর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন । এ সময় তিনি লন্ডনের ‘দি সিটি ল স্কুল’ থেকে ‘বার ভেকেশন কোর্স’ সম্পন্ন করে স্বপ্নের ব্যারিস্টার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন । সুদূর লন্ডনে পড়াশোনাকালীন সময়ে ব্যারিস্টার সুমনের জীবনে ট্র্যাজেডি নেমে আসে । তখন তাঁর বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন । সেই মুহূর্তে লন্ডনে পড়াশোনা চালিয়ে যাবার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে অর্থ পাঠাতে অপারগতা জানান তাঁর বাবা । এমন সময় ব্যারিস্টার সুমন হতাশ না হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন । পড়াশোনার খরচ মেটানোর জন্য সুমন তখন পার্টটাইম ড্রাইভিং করতে বাধ্য হন । পার্টটাইম ড্রাইভিং করে পড়াশোনার খরচ মেটানো অনেকটা কষ্টসাধ্য হলেও দমে যাননি ব্যারিস্টার সুমন । নিজের বাবার স্বপ্ন পূরণ করার নিমিত্তে দিনরাত পরিশ্রম করে পড়াশোনা চালিয়ে যান। সকল দৈন্যদশা কাটিয়ে তিনি তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণ করে ব্যারিস্টার হোন । তবে জীবিত থাকাকালীন তাঁর বাবা ব্যারিস্টার সুমনের এ অর্জন দেখে যেতে পারেননি ।

অনেক বছর লন্ডনে থাকলেও দেশের মাটি তাঁকে সবসময়ই আঁকড়ে ধরে রাখতো । তাই, তিনি পড়াশোনা শেষ করে তাঁর জন্মস্থানের বুকে ফিরে এসেছেন । দেশে এসে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‘প্রসিকিউটর’ হিসেবে যোগদান করেন । ‘প্রসিকিউটর’ হয়েই তিনি থেমে যাননি । তাঁর জন্মস্থানের প্রতি অগাধ ভালোবাসার টানে বারবার ফিরে এসেছেন তাঁর জন্মভূমিতে । দিনের পর দিন নিজ অর্থায়নে এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন । একটি অবহেলিত এলাকাকে তিনি পরিবর্তন করার নেশায় নেমে পড়েন । এ পর্যন্ত তিনি ১৯টি ব্রিজ নির্মাণ করেন । তাছাড়া চুনারুঘাট এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে তিনি ভাঙ্গা রাস্তাঘাট মেরামত করেন । এ সময় স্থানীয় মানুষজন তাঁকে অনেক সহযোগিতা করেন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.