![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আখেনাতেনের আমলে বহির্বিশ্বে (মিশরসহ) একেশ্বরবাদের প্রবর্তন ছিল না, ফলে আখেনাতেনের উদ্যোগ অবশ্যই উগ্র ছিল। এটা ঠিক, মায়ের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আখেনাতেনকে অনেক সহনশীল দেখা গেলেও তিয়ের মৃত্যুর পর পরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন ফারাও। এমনও হতে পারে থেবিয়ান পুরোহিতরা হয়তো বিদ্রোহ করেছিল এ সময় বা ভিন্ন কোন উপায়ে রাজাকে বাধ্য করেছিলো সরাসরি ময়দানে নামার । অবশ্য ভেইগেল (Weigall) পড়ে বুঝলাম- তিনি ঘোর আখেনাতেন-পন্থী; তাঁর বইয়ের ছত্রে ছত্রে সেটা স্পষ্ট এবং সেটা লুকোছাপার কোন চেষ্টাও তিনি করেননি, ফলে তাঁর এই অনুমানভিত্তিক মতামত আমার কাছে অসৎ পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয়। চীন, ভারত, গ্রীসের ধর্মতত্ত্ব নিয়ে মিশরের ফারাও চিন্তিত ছিলেন না।
কেন আখেনাতেন "সহসা আতেনের প্রতি গভীর আবেগ" অনুভব করলেন তা বের করতে হলে আগে বুঝা দরকার আখেনাতেন-পূর্ব আমলের মিশরের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আধিপত্যের হিসাব-নিকাশ। তিয়ে ইসরায়েলী হিসেবে সিংহাসনের বৈধ উত্তরাধিকারিণী ছিলেন না। তাই তিনি রাষ্ট্রদেবতা আমনের সহধর্মীণিরূপে গৃহীত হতে পারেন না। তিয়ের সন্তান সিংহাসনের বসার অর্থই হল মিশরে অ-আমেনীয় শাসনের প্রতিষ্ঠা যা থেবিয়ান পুরোহিতের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবে পর্যবসিত হয়। আবার মিশরের দুই হাজার বছরের ইতিহাসে অজস্র দেব-দেবীভিত্তিক ধর্মতত্ত্বের শেকল ভেঙ্গে বেরোনোর জন্য আখেনাতেন কালের চাহিদারূপে মানুষের চিন্তার বিকাশের পথে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছিলেন- এভাবেও চিন্তা করা যায়। তখন আমরাও আখেনাতেনের "মৌলবাদিতা"-তে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ পাবো।
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২
ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: আখেনাতেন মিশরীয়দের প্রচলিত সকল দেব-দেবতার বাতিল করে, এক ঈশ্বরের উপাসনা চালু করেছিলো, এক্ষেত্রে বলা চলে আখেনাতেন ইজিপ্টে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছিলো। ওদিকে খৎনা করার প্রথা আখেনাতেন-প্রবর্তিত নয়, এইটা মিশরীয়দের নিজস্ব রীতি। এইটাও ইহুদিরা গ্রহণ করেছিলো। সুতরাং সব মিলিয়ে বলাই যায়- ইহুদি ধর্মের রুট মিশর থেকে আমদানি হওয়া বিচিত্র নয়। এক্সোডাসের বর্ণনা আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সাথে খাপ খায় না, এজন্য প্রফেসর রেডফোর্ড মোজেসকে উড়িয়ে দিয়েছেন, উনার মতে ইজিপ্ট থেকে হিক্সসদের বিতাড়নের ঘটনাই এক্সোডাসে উঠে এসেছে। তারপরও ওল্ড টেস্টামেন্ট ইহুদি জাতির বিকাশের ইতিহাস, সেই ইতিহাসের ওপর ভরসা রেখে ইহুদি ধর্মের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ, পরিণতি- এসব নিয়ে আলোচনা সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়। ফ্রয়েড তাই টেক্সট-বেইজড্ ইতিহাসের ওপর ভরসা রেখে এক দু:সাহসী বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর মতে, আখেনাতেনের নিযুক্ত কোন এক উচ্চপদস্ত সেনাপতি হওয়া বিচিত্র নয় মুসার পক্ষে..আখেনাতেন তার সংস্কারধর্মী লড়াইয়ে মিশরীয় প্রাচীন পুরোহিতদের কাছে হেরে গিয়েছেন, কিন্তু মোজেস আখেনাতেনের লড়াইকে এগিয়ে নিয়েছেন দেশত্যাগ করে নিজের কিছু অনুসারী যোগাড় করে। সাম্প্রতিক কালের ইজিপটোলজিস্ট আহমেদ ওসমান সমস্ত ধাঁধাঁর সমাধান করেছেন এই বলে যে, আখেনাতেন আর মুসা একই ব্যক্তি। মেইনস্ট্রিম ইজিপটোলজি কিংবা ইতিহাসে ফ্রয়েড এবং ওসমান- কেউই পুরোপুরি গ্রহণযোগ্যতা পাননি; তবে চিন্তার ইতিহাসে নতুন খোরাক যুগিয়েছেন তাঁরা। দেখা যাক- সামনে কি হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফারাওদের মাঝে আখেনাটেন ছিলেন সংস্কারক, সে সময় পায়নি, কম বয়সে তার মৃত্যু হয়।