নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াজেদ বিপ্লব

আমরা মৃত্যুর আগে কি বুঝিতে চাই আর!

ওয়াজেদ বিপ্লব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিসি আর মার্ভেল

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫২

ডিসি আর মার্ভেল কমিকসের চরিত্রগুলোর ওপর ভিত্তি করে বানানো সবগুলো হলিউড মুভিই ব্যবসাসফল। ওদের সাম্প্রতিক ছবিগুলোতে এক অদ্ভূত ব্যপার লক্ষ্যণীয়- শৈশবের যে অতীন্দ্রিয় জগৎ, ফ্যান্টাসি কিংবা কল্পকাহিনীর চরিত্রগুলোর সমাবেশ; তাকে যখন মানুষের বাস্তব জগতে নিয়ে আসা হয়, তখন কি ঘটে- তারই বহি:প্রকাশ এই মুভিগুলো। সুপারম্যানের কথাই ধরা যাক। ক্লার্ক কেন্টের (সুপারম্যান) কাজ ছিলো প্রতিদিনকার চিত্তাকর্ষক ঘটনাগুলো সাংবাদিক হিসেবে ডেইলি প্ল্যানেটে রিপোর্ট করা; নিজের সাংবাদিক পরিচয়ের বাইরে মেট্রোপলিসে সে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী, জাজমেন্ট তার হাতের মুঠোয়- সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের পরোয়া সে করে না। বলা ভালো- এতদিন করতো না।

এই ব্যাপারটি পরিবর্তন ঘটেছে সাম্প্রতিক কালে। সময়ের সাথে সাথে মুভিতে আমরা রাষ্ট্রের আবির্ভাব দেখছি; প্রশ্ন উঠানো হচ্ছে যে সমাজের অপরাধী চরিত্রগুলোর নেতিবাচক কর্মকান্ডের রায় কি রাষ্ট্র দেবে, নাকি জাজমেন্ট সুপারম্যানের হাতেই থাকবে...সিনেটররা মিটিং করছেন এ নিয়ে...রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা দার্শনিক সঙ্কটের দিক থেকে প্রশ্ন তুলছেন- সুপারম্যান পৃথিবীর কেউ নয়! তার পরিচয় সে ক্রিপ্টনের অধিবাসী। একজন ভীনগ্রহ থেকে আগত অতিমানব কেন জাজমেন্টের প্রতীকরূপে খাড়া হবে?

ব্যাটম্যান সুপারম্যান থেকে যৌক্তিক এবং সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। সুপারম্যান থেকে তার চরিত্র অনেক পরিণত। ইতিমধ্যেই সে বুঝেছে, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে তার অবস্থানের খটকাটা। এ কারণে সে এখন দেশের গুপ্ত ক্রাইম ইউনিটের সাথে কাজ করে। গোথাম নগরী থেকে বেরিয়ে এসে এখন ইউনাইটেড স্টেটসের হর্তা-কর্তাদের সাথে তার যোগসাজশ বেশ ভালো। প্রযুক্তির সুযোগ সে নিচ্ছে, এবং বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেই সে ইনডিরেক্টলি বলতে চাচ্ছে- আমি তোমাদের মতনই সাধারণ মানুষ। আগের মতন তার শারীরিক মুভমেন্ট অতিমানবীয় ধরনের নয়। প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে যতটুকু শারীরিক কসরত্ সম্ভব ততটুকুই সে করে দেখায়। এমনি আরেক অতিমানবীয় চরিত্র ওয়ান্ডার ওমেনকে শৈশবে আমরা দেখি অদ্ভূত এক স্বর্গরাজ্যে। তারতো ব্যাটম্যান কিংবা সুপারম্যানের সাথে জায়গায়ই পাবার কথা নয়। কিন্তু মুভিতে অসাধারণ দক্ষতার সাথে দেখানো হয় যে এই স্বর্গরাজ্য (সম্ভবত আটলান্টিক) মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত একটি অনাবিষ্কৃত দ্বীপ। বাবাকে কখনো দেখেনি সে, মা সবসময় বলে এসেছে সে জিউসকন্যা। অথচ বড় হবার পরে সে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন লন্ডনে আসে তখন দর্শকমনের প্রশ্ন জাগে কঠোর বাস্তব পৃথিবীতে কোথায় থাকেন দেবতারাজ জিউস? মা তখন উত্তর দেন- ছোটবেলায় তুমি অবুঝ ছিলে, তাই যা যা বলেছি সবকিছুই সত্য এমন কিন্তু নয়!

মার্ভেলও একই রকম পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্পাইডারম্যানের চরিত্র ছিল, মাকড়সার কামড় খেয়ে অতিমানবে রূপান্তরিত হওয়া। কিন্তু হালের স্পাইডারম্যান সম্পূর্ণ সাধারণ একজন মানুষ। তার হাতের জাল সে ছোড়ে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির সাহায্যে সদ্য-আবিষ্কৃত কোন একধরনের তরল থেকে। অ্যাভেঞ্জার্সের চরিত্রগুলোও একই নিয়তি বরণ করেছে। তাদের সকল ক্ষমতা এখন আর অলৌকিক কোন ক্ষমতার নিদর্শন নয়- সবই টেকনোলজিক্যাল গ্যাজেট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.