নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াজেদ বিপ্লব

আমরা মৃত্যুর আগে কি বুঝিতে চাই আর!

ওয়াজেদ বিপ্লব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিগ ব্যাং

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪১

হাবল নামক একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী অতীতের পুরনো স্থির মহাবিশ্বের ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে আবিষ্কার করেন যে, মহাবিশ্ব ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এখান থেকেই সিদ্বান্তে আসেন যে, অতীতে হয়তো সবকিছু একবিন্দুতে সন্নিহিত ছিলো, যেটাকে সিঙ্গুলারিটি বলা হয়।

সময়, বস্তু, প্রাণ, স্থান, কাল- এসবকে সাধারন মানুষ যেভাবে বোঝে পদার্থবিজ্ঞানীরা তার থেকে একটু ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেন আমাদের কাছে। যেমন : আমাদের সাধারণ সেন্সে- সময় চলমান, সময়ের সামনে-পেছনে যাওয়া যায় না; কিন্তু আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি অনুযায়ী এসব সরল সূত্র, অভেদ বাক্যগুলো খাটে না। নিউটনের সময় ঘটনাটা ছিল, মহাকর্ষ বল সমস্ত গ্রহ-উপগ্রহের ঘূর্ণনের কারণ; যখন আইনস্টাইন এসে সেটাকে ব্যাখ্যা করলেন চতুর্মাত্রিক স্পেস-টাইমের বক্রতার থিওরি দিয়ে। সমস্যা হল, আইনস্টাইন বলি, পদার্থবিদ্যা বলি- কোনটা বোঝার মুরোদ না থাকলে এ নিয়ে কথা না বাড়ানোই আমাদের জন্য ভালো।

আমি বিগ ব্যাং সমর্থন করি না; বিগ ব্যাং আসলে বর্তমান শতকের মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার জনপ্রিয় একটা থিওরি বৈ ভিন্ন কিছু নয়। আমরা কালের সন্তান, মহাকালের আবর্তনে মহাবিশ্বের বর্তমান চেহারা ব্যাখ্যার কারণ/থিওরি-ও পাল্টাতেই পারে। তারপরেও ঘটনাটা হল- মহাবিশ্ব, মানুষ আর প্রাণের বিকাশকে ব্যাখ্যা এতদিন দার্শনিক আর ধর্মের তল্পিবাহকরা করে এসেছে। আপনি/আমি/আমরা চাই বা না চাই- তাদের হাতে বর্তমানে আর মহাবিশ্ব ব্যাখ্যার দায় নেই। এখন দায়িত্বটা বিজ্ঞানীরাই পালন করতে পারছেন বেশ যৌক্তিক এবং আকর্ষণীয়ভাবে। এ কারণে ধর্মের ঝান্ডাধারীরা এখন শুধু পারেন বিজ্ঞানীরা যাই আবিষ্কার করেন না কেন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, না হলে সেটা মেনে নিয়ে ধর্মগ্রন্থগুলোর টেক্স্ট্ (Text) -কে সে অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে। ইসলাম এ কাজটি করতে গিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং এখন উপায় হল- প্রকৃতিবিজ্ঞানকে, প্রকৃতিবিজ্ঞানের আবিষ্কৃত থিওরিগুলোকে উপেক্ষা করা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি পদার্থ বিদ্যা কতটুকু জানেন যে, বিগ-ব্যাংগ আপনি বুঝতে পারার কথা?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আহত হলাম! পদার্থবিজ্ঞান কতটুকু জানি এ নিয়ে কথা বলতে গেলে সময় লাগবে। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞাএর কাঠামো সবক্ষেত্রেই প্রায় একই; পদার্থের গঠন, আণবিক, পারমাণবিক স্তরে এর আচরণ, কেন সে এই ধরনের আচরণ করে, মৌলকণাসমূহ, আলো, আলোর দ্বৈতরূপ, থার্মোডায়নামিক্স, শব্দ, শব্দের গতি, তড়িৎ প্রকৌশল, কণাবাদী বলবিদ্যা, সেমিকন্ডাক্টর, বস্তু, ভর, শক্তি, মহাবিশ্ব, এর গঠণ, মহাবিশ্বের উৎপত্তি- এসব নিয়েই আমার বেসিক পড়াশোনা। সমস্যা হল, পদার্থবিজ্ঞান এমন একটি বিষয় যেটা যতই উচ্চস্তরে যায় ততই বিমূর্ত হতে থাকে এবং এ বিষয়টির তত্ত্বগুলো বা আবিষ্কারগুলো ইনটুয়িটিভলি বোঝা বেশ মুশকিলে ফেলে। বিশেষ করে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং জেনারাল থিওরি অব রিলেটিভিটির বহু অনুসিদ্বান্ত আমার কাছে কল্পকথা বলে মনে হয়। এ সমস্যার কথা হকিং-ও স্বীকার করেছেন। নিউটন আমার কাছে খুবই সহজ-সরল একটা বিষয়, কিন্তু বিজ্ঞানের ইতিহাস পাড়ি দিয়ে আমি যখন আইনস্টাইন-হকিং- এ আসি তখন একটু ঝামেলায় পড়ি। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির Special কেইজ আমি বুঝি, কিন্তু জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি এখনও আমাকে বেশ পীড়া দিচ্ছে। আইস্টাইন ১৯০৫ সালে তার প্রকাশিত পেপারে প্রস্তাব রাখেন যে, ত্রিমাত্রিক কার্তেসিয়ান স্থানাংক ব্যবস্থায় সময়কেও একটি মাত্রা ধরে 4-D নামক Space-Time কল্পনা করতে , এইটাও কল্পনা করতে আমার বেশ কষ্ট হয়, তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি আইনস্টাইনকে বোঝার। কারণ আইনস্টাইনকে না বুঝতে পারলে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কথা বলার মুরোদ অর্জন হবে না।

এসবের তুলনায় বিগ ব্যাং অনেক সরল থিওরি। ইন্টারে থাকতে আমার বিষয় ছিলো সায়েন্স, তখনই সম্ভবত প্রথম সাউন্ডের চ্যাপ্টারে ডপলার ইফেক্ট সম্বন্ধে জানি, এর সাথে আলোর ওয়েব থিওরিকে এক করে হাবল তার জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় পর্যবেক্ষন থেকে বুঝে যান যে, মহাবিশ্ব আসলে ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। পরে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা হাবলের এই আবিষ্কারকে আরো দূর টেনে নিয়ে যান, তারা বলেন- তাহলে এও সম্ভব যে সময়ের পেছনে গেলে সবকিছু একসময় সঙ্কুচিত হতে হতে সিঙ্গুলারিটিতে পৌঁছাবে, যেখানে পদার্থবিজ্ঞানের সব সূত্র ভেঙ্গে পড়বে। টাইম বলে আর কিছু থাকবে না, টাইমের শুরু হবে সিঙ্গুলারিটি থেকে। সিঙ্গুলারিটি থেকে বর্তমান মহাবিশ্বের উৎপত্তিকেই তারা তখন নাম দিলেন বিগ ব্যাং

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: আমি পদার্থবিজ্ঞান যতটুকু পড়েছি প্রাতিষ্ঠানিক এবং নিজের গরজে তাতে বিগ ব্যাং আমার বুঝতে পারার কথা। আপনার এ বিষয়ে সন্দেহ দেখে বিস্মিত হচ্ছি। আমাদের অনেকের ধারণা, পৃথিবী ঘোরে গোলাকার কক্ষপথে- এইটা হল নিউটনিয়ান ধারণা। আইনস্টাইন এটাকে পাল্টে দিয়ে বলেন যে- চতুর্মাত্রিক স্পেস-টাইমের কার্ভেচারের কারণে পৃথিবী সূর্য-এর চারপাশে জিওডেসিক বরাবর সরলরেখা ধরে চলে- যদি এই ঘটনা আমি বুঝি তবে বিগ ব্যাং না বুঝার কি আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.