নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবেশের জন্য অর্থ প্রদান করুন,আর বের হওয়ার জন্য প্রার্থনা করুন
শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, যে বছর আমি আমার পাঠ্যবইয়ে তার লেখা পড়লাম, সেই বছরই তিনি প্রধান অতিথী হয়ে আমাদের স্কুলে ধানমন্ডি গভঃ হাই স্কুল এ আসেন, চোখেই বিশ্বাস হচ্ছিল না, এই মনে হয় প্রথম আমি কোনো সেলেব্রেটি কে সামনা সামনি দেখলাম, এর আগে জাহিদ হাসান কে দেখেছিলাম চোখের সামনে।
আলী ইমাম ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয়শোরও বেশি বইয়ের লেখক। কর্মজীবনের শেষপ্রান্তে একাধিক স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের আগে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন (২০০৪-২০০৬) ও অধুনালুপ্ত চ্যানেল ওয়ানের (২০০৭-২০০৮) মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনিসেফের ‘মা ও শিশুর উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্প’ পরিচালক ছিলেন। ওই দায়িত্ব পালনকালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, জার্মানির মিউনিখ, ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত ‘চিলড্রেন মিডিয়া সামিটে’ যোগ দেন। মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘প্রি জুঁনেসি চিলড্রেনস টিভি প্রোডাকশন প্রতিযোগিতা’র (২০০০) জুরির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছিলেন ‘সার্ক অডিও ভিজুয়াল বিনিময় অনুষ্ঠানে’র প্রধান সমন্বয়কারী (২০০০-২০০১)। টেলিভিশন ও বেতারে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের নির্মাতা ও উপস্থাপক হিসেবে তিনি বিশেষ প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘হ্যালো, আপনাকে বলছি’ (১৯৯৯-২০০৪) নামে তার উপস্থাপিত সরাসরি অনুষ্ঠানটি জনপ্রিয় হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিখ্যাত প্রামাণ্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’র (১৯৮০-১৯৮৭) প্রযোজনা করেন তিনি।
বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য আলী ইমাম ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১২ সালে শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান। এছাড়াও অনেক পুরস্কার পান তিনি। শিশুসাহিত্যিক হিসেবে জাপান ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ২০০৪ সালে তিনি জাপান পরিভ্রমণ করেন।
আলী ইমামের শিশুসাহিত্য চর্চার শুরু শৈশব থেকে। ১৯৬৮ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান শিক্ষা সপ্তাহে বিতর্ক এবং উপস্থিত বক্তৃতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৮৬ সালে ইউনেসকো আয়োজিত শিশুসাহিত্য বিষয়ক প্রকাশনা কর্মশালায় অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রকাশনা বিভাগের ন্যাশনাল কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সোনালী তোরণ (১৯৮৬) যখন পড়েছিলাম, এখনো মনে বিধে আছে সেই কথা গুলো। ওপারে ভালো থাকবেন কিংবদন্তি। ঠিক সন্ধ্যাবেলা আর ভোরবেলা উঠবেন কোনো এক তারা হয়ে।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া, যায়যায়দিন পত্রিকা।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন:
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যু আমাকে কষ্ট দেয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: একমাত্র মৃত্যু হল চিরন্তন সত্য।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৪
অর্ক বলেছেন: আপনার লেখা থেকেই জানলাম যে তিনি আর নেই। শিশু কিশোরদের জন্যে প্রচুর সাহিত্য রেখে গেছেন। দু'চারটা বই পড়েছিলাম কৈশোরে। সেখানে প্রকাশিত বইয়ের বিরাট তালিকা থাকতো। পাহাড়ে জঙ্গলে রহস্য রোমাঞ্চে ভরা গল্প। প্রচুর আনন্দ দিয়েছিলো তখন। পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর আত্মার পারলৌকিক সুখ কামনা করি।
আপনাকে অবশ্যই বড়ো করে ধন্যবাদ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: তাঁর আত্মার পারলৌকিক সুখ কামনা করি।আর আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিশু কিশোরের জন্য ভালো লিখতেন। দুঃখ পেলাম উনার চলে যাওয়ায়।
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩১
শার্দূল ২২ বলেছেন: কেয়ামতের ময়দান ওনার জন্য সহজ এবং সুন্দর হয়ে উঠুক।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: জ্বি।
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভীষণ পরিচিত নাম। উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ছোটবেলার পাঠ্যপুস্তকে উনার প্রবন্ধ ছিলো
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪
পেঁংকু বঁগ বলেছেন: