নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

foooysaaal\'s blog

ফখরুল আমান ফয়সাল

সব ব্লগাররাই আমার চেয়ে জ্ঞানী, তাই নিজেকে জাহির করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছি না। ফেসবুক: www.facebook.com/foooysaaal.own

ফখরুল আমান ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীর বাঙালি, জবাব চাই।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

"বীর বাঙালি, জবাব চাই"
- - - ফখরুল আমান ফয়সাল

তিস্তার পানি নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে, চলবে। সরকার/কূটনীতিবীদদের কাজ সেটা, তাদেরকে তাদের কাজ করতে দেই, শুধু মনে করিয়ে দিলে হবে যে আমরা এ ইস্যুতে সজাগ, সচেতন। এবার আসি আমাদের দায়িত্বের কথায় -

আমাদের যে নদী আছে, সেগুলার কি অবস্থা করে রেখেছি?
পঞ্চাশ/ষাটোর্ধ্ব কোনো দাদা-নানাকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন একটি নদীরও ১০ ভাগের ১ ভাগ বেঁচে নেই। কারন আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা দু'পাড় দখল করতে করতে নদীর ভেতরে পর্যন্ত চলে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালিতো খুব করি তিস্তা চুক্তি করিয়ে আনতে পারছে না বলে, আর আমরা নিজেরাই নদী দখলের চুক্তি করে রেখেছি!

যেখানে অথই পানি ছিল, যে নদী ছিল শত প্রজাতীর মাছের আবাসস্থল সে নদীর বুকে ট্রাক চলে, সেখানে দখলদাররা বর্গা দেয়, চাষাবাদ হয়। এলাকার উন্নতির নামে, ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য স্থানীয় সরকার/প্রসাসনকে অনুরোধ করে/চাপে ফেলে ড্রেজিং করে নদীমুখ অবৈজ্ঞানিকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলস্বরূপ নদী হয়ে গিয়েছে সরু খাল, নাম আছে শুধু ম্যাপে আর আছে ইতিহাসে। মজার ব্যাপার হচ্ছে কিছু কিছু নদীর উপর ব্রীজ আছে, কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করার দরকার হয় না। কারন ব্রীজের নীচে পানি নাই, আছে বালু, একদিন সে বালুতে হবে মাছ চাষ।

বাকি নদীগুলোতে যে পরিমান পানি আছে তার প্রতিই বা কতটুকু যত্নবান আমরা? প্রতিটি জেলার/গ্রামের ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলি? এইতো চোখের সামনে রয়েছে বুড়িগঙ্গা, পঁচে পঁচে মরছে, তাই না? নদীপথে মুন্সীগঞ্জ পাড় হবেন, কিন্তু ঢাকার সুঘ্রাণ আপনার পিছু ছাড়বে না। বুড়িগঙ্গার নাম হওয়া উচিৎ দুধগঙ্গা, কারন পানিতে যে ধবধবে সাদা ফেনা হয়, তা দুধের চেয়ে কম কিসে?

তাহলে কোন মুখে নদীর জন্য মায়াকান্না করি আমরা??

আমাদের নদী কে রক্ষা করবে? এক তিস্তার জন্য ভারতের দিকে হাঁ করে আছি, মমতা ব্যানার্জীকে দোষারোপ করছি, আরে উনিতো নিজ দেশের কথা ভাবছেন, আমরা কবে নিজেরটা ভাবতে শুরু করবো?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক কথা বলেছেন।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সঠিক কথাই বলেছেন, ঢাকা বাসীকে বুড়িগঙ্গার কথা মনে করিয়ে দিতে হয়!
আমাদের সকলেরই সচেতন হতে হবে। তবুও তিস্তা চুক্তির কথা ভুলে যাওয়া যাবে না। সব দিকেই খেয়াল রাখতে হবে।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

করুণাধারা বলেছেন:


আমাদের নদী কে রক্ষা করবে? এক তিস্তার জন্য ভারতের দিকে হাঁ করে আছি, মমতা ব্যানার্জীকে দোষারোপ করছি, আরে উনিতো নিজ দেশের কথা ভাবছেন, আমরা কবে নিজেরটা ভাবতে শুরু করবো?

এদেশের নদীগুলো সব আমরাই মেরে ফেলছি - তাই এক তিস্তার জলের জন্য হাহাকার করা আমাদের সাজে না, এটাই আপনার বক্তব্য। অর্থাৎ এই নদীগুলো বেঁচে থাকলে আমাদের আর তিস্তা তিস্তার জল করে কারো কাছে জল চাইতে হবে না, তাই বলতে চাচ্ছেন? আপনি ভুল করেছেন- দেশের প্রধান নদী আর শাখানদী, উপনদীর তফাৎ আপনি জানেন না। যা দখল হচ্ছে তা এইসব ছোট নদী। কিন্তু যদি দেশের প্রধান নদী মেঘনা, পদ্মা, যমুনা,সুরমা বা তিস্তাকে মেরে ফেলা হয় তবে এই নদীগুলোর সাথে।সংযুক্ত সকল নদী মরে যাবে, যেমন এখন তিস্তায় মরছে। তিস্তা নিয়ে এত কথার কারন দেশের উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবন এক বিশাল এলাকায় সেচ দেবার জন্য তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প নামে আশির দশকে এক বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এটা কার্যকর হলে উত্তরাঞ্চল সুফলা হয়ে উঠত। কিন্তু পুরো প্রকল্প ব্যর্থ করে ভারত তিস্তার পানি আটকে দিয়ে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোন দেশ অভিন্ন নদীর পানি এভাবে আটকে দিতে পারে না। পরবর্তীতে তারা কিছু পানি ছাড়বে বলে চুক্তি করলেও তা মানে নি।

এই একটা নদী মেরে ভারত যা ক্ষতি করেছে বাকি সমস্ত নদী মৃত্যুর ক্ষতিও এর তুলনায় অনেক কম।

তবু চলুন আমরা এজন্য মমতাকে দোষারোপ না করি। জয় দিদি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.