না পাঠানো চিঠি

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

আমি চিঠি লিখতে জানি না।এ যুগে কেও চিঠি লিখে নাকি! স্কুলে থাকতে বাংলা বইয়ে চিঠি লেখার নিয়ম ছিল।ভুলে গেছি।তবুওলিখছি।কারণ সামনে থেকে বলতে পারতাম না।

খুব ইচ্ছে ছিল তোমাকে জানাবো যে কতটা ভালোবাসি!

কিভাবে তুমি আমার কল্পনায় রাজত্ব করো

খুব ইচ্ছে ছিল যে তোমাকে জানাই যে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবলে তোমায় দেখি

কিন্তু পারি না।

তোমার সামনে এলে আমি বোবা হয়ে যাই।কি বলব বুঝতে পারিনা।অথচ বিশ্ব বাচালের খেতাব সেই কবেই পেয়ে গেছি।

চঞ্চল অশান্ত বাউন্ডুলে মেয়ে বলে ডাকে সবাই

কিন্তু তুমি কাছে থাকলে আমার শান্ত লক্ষী আর গোছালো হতে ইচ্ছে করে।

আমার এক জায়গায় স্থির থাকতে ভাল লাগে না

কিন্তু তুমি থাকলে অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছে হয় না।

আমি বড়ই স্বার্থপর, নিজেকে নিয়ে ভাবি

কিন্তু কেন যেন আজকাল তোমায় নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হয়।

হয়তো বা তোমায় ভালোবাসি। তোমার এক ঝলক পাওয়ার আশায় আমি বসে থাকি।

কিন্তু এসব যে শুধুই আমার একান্ত অনুভুতি! তুমি আমায় ভালোবাসো না আমি জানি। তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসবে না। এটাও জানি তুমি আমার চেয়ে হাজার গুণ ভালো জীবনসঙ্গিনী ডিজার্ভ কর।জানি তোমায় ঘিরে যে স্বপ্নের ভবিষ্যত আমি কল্পনা করি তার কোন অস্তিত্বই নেই কখনো থাকবেও না।জানি তোমার বন্ধু হতে পারাটাও আমার পক্ষে অনেক বড় কিছু।জানি তোমায় না ভুলতে পারলে খুব কষ্ট পাবো কিন্তু তারপরও তোমাকে ভালোবাসি! তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি।অনেক বেশি ভালোবাসি। তোমার সাথে থাকলে আমি সুখে থাকি।তোমার অবহেলায় আমি কষ্ট পাই।



জানো আমি প্রায়ই ভাবি তোমার মনে কেও আছে কি না। খুব ভয় লাগে। যদি তোমার অন্য কাউকে পছন্দ হয়ে যায়। আচ্ছা তুমি কি কখনো আমায় নিয়ে ভাব? আমার না খুব জানতে ইচ্ছে করে।

আচ্ছা তোমার প্রিয় লিস্ট দিও তো আমায়।তোমার প্রিয় বই কোনটা,প্রিয় লেখক,প্রিয় খাবার,প্রিয় রং,প্রিয় শখ,প্রিয় কাজ,প্রিয়মানুষ সব কিছু জানিয়ে দিও।এরপর দেখো তোমার প্রিয় সবকিছুতে কিভাবে নিজের ছাপ ফেলে দেই।

উফ!! দেখো না কি হাস্যকর ব্যাপার। এই না মেনে নিয়েছিলাম তোমাকে পাব না,কিন্তু তারপরো তোমার মন জয়ের কথা ভেবে যাচ্ছি। নিজের সাথে এ কেমন লড়াইয়ে আমাকে লাগিয়ে দিয়েছ তুমি। নিজের উপর আর কাবু থাকে না।

নিজেকে বুঝাতে চেষ্টা করি যে তোমাকে ভালোবাসিনা। বলি নিজেকে বারবার যে তুমি আমার ক্ষণিকের ভালোলাগা, এ ভালোলাগা চলে যাবে। কিন্তু বড়ই পীড়াদায়ক ব্যাপার।যাচ্ছেই না। তোমার খুত ধরার চেষ্টায় আছি যেন তোমায় কম ভালো লাগে কিন্তু একটা পচা ব্যাপার জানো.. যাকে একবার ভালোলেগে যায় তার সবই ভালোলাগে

তুমি আর কি কি করাবে আমাকে দিয়ে!! এই ফেসবুক ইন্টারনেটের যুগে কেও চিঠি লিখে? লিখে না! কিন্তু তুমি আমাকে বাধ্য করেছ চিঠি লিখতে। কারন তোমায় যে সামনাসামনি কিছু বলতে পারি না।

আমি ভীতু নই।কিন্তু পারছিনা কিছু বলতে! তাই এই চিঠি লিখা। অনেক কষ্ট হয়েছে নিজের মনের কথাগুলো লিখতে।গুছিয়ে কিছুই লিখতে পারছি না। কিন্তু এই চিঠি যে কখনো তোমাকে পাঠাতে পারবো না। আমার মনের কথা কখনোই তোমার মনে যাবে না। আর ভুলক্রমে এ চিঠি পেয়ে গেলেও তা বেনামী চিঠি হয়েই থাকবে তোমার কাছে।হয়তো তুমি ভুল ঠিকানায় আসা চিঠি ভেবে ফেলে দিবে।

কিন্তু তারপরো লিখেছি আমার অশ্রু ভেজা অনুভুতিগুলো মন থেকে মুছে নিতে! নিজেকে বুঝাতে যে ভালোবাসি না তোমাকে!! ভালোবাসিনা।

লিখেই যাচ্ছি চিঠিটা! যে চিঠি কখনো পাঠানো হবে না। বেনামী চিঠি কে লিখলো কখনো জানবে না তুমি!! জানবে না!



এখন নিজের কথা বলতে থাকলে হয়ত লেখা শেষ হবে না।তবুও বলছি।ভালো থেকো,সুখে থেকো! পৃথিবীর সব ভালোবাসা তোমার দুয়ারে আসুক! তোমার মুখে ছড়িয়ে থাকা পাগল করা হাসি কখনো বিলীন না হোক। তুমি ভালো থেকো! তোমার স্বপ্ন ভালো থাকুক!

ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।



আর আমি.। দূরে থেকে ভুলতে চেষ্টা করে যাব এই ভালোবাসা! সাময়িক ভালোলাগার মোড়কে নিজের অনুভুতিকে আবদ্ধ করে নিব। তোমার জানতে হবে না। তুমি জানবেও না..



ভালো থেকো স্বপ্নের রাজপুত্র :-)





ইতি

তোমার.....থাক!! বেনামী চিঠিতে নাম লিখতে হয় না :-) নাই বা জানলে কে আমি! কে লিখেছে না পাঠানো এ বেনামী চিঠি!!

৩ টি +১/-০