নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদী হাসান

।।..জানে না তো কেউ পৃথিবী উঠছে কেঁপে,ধরেছে মিথ্যা সত্যের টুঁটি চেপে.।।

মেহেদীহাসানসুমন

হারানোর বেদনায়, পিছে ফেলে সমসাময়িক সুখ… অনেক একায়; অনেক ভিতরকে খুজে ফিরি…

মেহেদীহাসানসুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায়.........মুলঃ হারুন ইয়াহিয়া (পর্বঃ৫)

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

হযরত আবু হুরায়রাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন “মহান আল্লাহ্‌ এই উম্মতের জন্য প্রতি শতাব্দীর শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন যিনি ঐ সময়ে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে সঞ্চারিত করবেন” (সুনান আবু দাউদ ৫/১০০)

ইমাম মেহেদী যে শেষ সময়ের মুজাদ্দিদ এই বিষয়ে সুস্পষ্ট হাদিস বর্ণিত আছে ।

হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল (সঃ) বলেছেন,

“এই পৃথিবীর যদি মাত্র একদিন বাকি থাকে আল্লাহ্‌ সেই দিনটিকে প্রলম্বিত করে দিবেন যতক্ষন না আমার বংশধরের থেকে একজন প্রেরিত হয়।”

(সুনান আবু দাউদ, ৫/৯২)

ইমাম মেহেদীর আগমন সংক্রান্ত যেসব আলামত হাদিসে বর্ণিত আছে তা এই হিজরি শতাব্দীতে (১৪০০) এমনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে যেমনভাবে একটি পুঁথির মালা ছিড়ে গেলে পুঁথিগুলো পরপর পড়তে থাকে। সেই হিসাবে এটা বলাই যায় যে ইমাম মেহেদী এই এই হিজরি শতকে আত্মপ্রকাশ করবেন। বর্তমান সময়ে তুরুস্কের লেখক হারুন ইয়াহিয়া এই বিষয়টিকে পবিত্র কোরআন এবং সহীহ হাদিসের আলোকে তুলে ধরেছেন। তার লেখার বাংলা অনুবাদ সেভাবে করা হয়নি। সম্মানিত পাঠকদেরকে এই বিষয়ে জানাবার প্রয়াস থেকে এই উদ্যোগ। আমরা ইতিপূর্বে আমাদের আগের পোস্টগুলোতে ইমাম মেহেদী আসার ব্যাপারে ধর্মীয় আলামতগুলো প্রকাশ করেছি যা নিচের লিংকে পাওয়া যাবে। এই পোস্টে ইমাম মেহেদী আসা বিষয়ক মহাজাগতিক আলামতগুলোর মধ্যে দুটি তুলে ধরেছি প্রয়োজনীয় রেফারেন্সসহ। পরবর্তীতে বাকিগুলো দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ্‌।

আগের পোস্টসমূহ





মহাজাগতিক আলামত

রমজানমাসেচন্দ্রএবংসূর্যগ্রহনহওয়া।

ধূমকেতুরউদ্ভব।

পূর্বদিগন্তেআলোকঝলকানি।

দুইলেজবিশিষ্টধূমকেতুরআগমন।

মহাকাশেহাতেরআকৃতিরউদ্ভব।

সূর্যেআলামতেরপ্রকাশ।



ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায়ঃ রমজান মাসে চন্দ্র এবং সূর্য গ্রহন হওয়া।

“ইমাম মেহেদী আসার দুইটা নিদর্শন...... রমজানের প্রথম রাতে চন্দ্রগ্রহন এবং দ্বিতীয়টা হোলো এই মাসের মধ্যবর্তী সময়ে সূর্যগ্রহন।”

(ইবনে হাযার আল হাইতামী, আল- কাওয়াল আল মুখতাসার ফি আলামাত আল মেহদী আল মুন্তাধার, পৃঃ ৪৯)

(মুহাম্মাদ ইবনে আবদ আল – রাসুল বারযানজি, আল – ইশাআহ লি আসরাত আস সা’আহ, পৃঃ ১৯৯)

“ইমাম মেহেদীর আমলে রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে সূর্যগ্রহন হবে এবং মাসের শুরুতে চন্দ্র অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে।”

(ইমাম রাব্বানী, লেটারস অব রাব্বানী, ২:১১৬৩)।

“রমজান মাসের মধ্যে হবে সূর্যগ্রহন এবং শেষে হবে চন্দ্রগ্রহন।”

(আল-মুত্তাকী আল হিন্দি, আল বুরহান ফি আলামাত আল মেহদী আখির আল জামানা, পৃঃ৩৮)।

“হযরত মেহেদী আসার পূর্বে রমজান মাসে দুইটি চন্দ্রগ্রহন হবে।”

(মুহাম্মাদ ইবনে আবদ আল – রাসুল বারযানজি, আল – ইশাআহ লি আসরাত আস সা’আহ, পৃঃ ২০০)

“ইমাম মেহেদীর আগমনের আগে রমজান মাসে দুইটি সূর্যগ্রহন হবে।”

(আস-সারানী, মুখতাসার তাযকিরাহ আল-কুরতুবি, পৃঃ ৪৪০)

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল রমজান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে সূর্যগ্রহন এবং একই মাসে দুইবারকরেচন্দ্রগ্রহন ও সূর্যগ্রহন; যা স্বাভাবিক অবস্থায় হয় না।যাইহোক অন্যান্য আলামতগুলো কিছু নির্দিষ্ট কারণে হয় এবং সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব।



একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে দেখা যায় উপরোক্ত ঘটনার ব্যাপারে হাদিসগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা আছে। প্রথম দুইটি হাদিসের বর্ণনা অনুসারে রমজান মাসের প্রথম দিনে চন্দ্রগ্রহন হবে এবং তৃতীয়টি অনুসারে মাসের শেষে চন্দ্রগ্রহন হবে। এক্ষেত্রে ব্যাখ্যার সঠিক পথটি হোলো এই হাদিসগুলো থেকে সাদৃশ্যগুলো অনুধাবন করা।

উপরে বর্ণিত হাদিসগুলো থেকে যে বিষয়গুলো পরিস্কার হয় সেগুলো হচ্ছে

 রমজান মাসে চন্দ্র এবং সূর্য গ্রহন হবে।

 এই গ্রহনগুলোর মধ্যবর্তী সময় সমান হবে (১৪-১৫ দিনের ব্যবধান)।

 এই গ্রহনগুলো দুইবার পুনরাবৃত্তি হবে।



এই হিসাবের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করলে দেখা যায়.........

 ১৫ রমজান শুক্রবার ১৪০১ হিজরি ইংরেজি ১৭ জুলাই ১৯৮১ সালে চন্দ্রগ্রহন হয়েছিল।

রেফারেন্স ১

রেফারেন্সে ২

 ২৯ রমজান শুক্রবার ১৪০১ হিজরি ইংরেজি ৩১ জুলাই ১৯৮১ সালে সূর্যগ্রহন হয়েছিল।

রেফারেন্স ১

রেফারেন্স ২

 ১৫ রমজান মঙ্গলবার ১৪০২ হিজরি ইংরেজি ৬ জুলাই ১৯৮২ সালে আবার চন্দ্রগ্রহন হয়েছিল।

রেফারেন্স ১

রেফারেন্স ২

 ২৯ রমজান মঙ্গলবার ১৪০২ হিজরি ইংরেজি ২০ জুলাই ১৯৮২ সালে পুনরায় সূর্যগ্রহন হয়েছিল।

রেফারেন্স ১

রেফারেন্স ২

হাদিসে বর্ণিত অন্যান্য আলামতের মত উপরোক্ত ঘটনাগুলোও অলৌকিকভাবে হিজরি ১৪০০ সালের শুরুর দিকে পরপর ২ বৎসর (১৪০১, ১৪০২) সংগঠিত হয় যা ইমাম মেহেদীর আগমনের ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ।



ইমাম মেহেদীর অপেক্ষায়ঃ ধূমকেতুর উদ্ভব

“উজ্জ্বল লেজ সমৃদ্ধ এক তারকার উদ্ভব ঘটবে ইমাম মেহেদীর আগমনের পূর্বে।”

(মুহাম্মাদ ইবনে আবদ আল – রাসুল বারযানজি, আল – ইশাআহ লি আসরাত আস সা’আহ, পৃঃ ২০০)

“তার আগমনের ক্ষণ আসন্ন হলে পূর্বাকাশে একটি আলোকবর্তিকা সদৃশ্য ধুমকেতুর আবির্ভাব হবে।”

(ইবনে হাযার আল হাইতামী, আল- কাওয়াল আল মুখতাসার ফি আলামাত আল মেহদী আল মুন্তাধার, পৃঃ ৫৩।)

“চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ শেষে ঐ তারাসদৃশ্য বস্তুর উদ্ভব হবে।”

(আল-মুত্তাকী আল হিন্দি, আল বুরহান ফি আলামাত আল মেহদী আখির আল জামানা, পৃঃ৩২)।



হাদিসের বর্ণনামত হ্যালীর ধুমকেতু হিজরি ১৪০০ সালের শুরুর দশক অর্থাৎ ১৪০৬ হিজরি ইংরেজি ১৯৮৬ সালে পৃথিবীর কাছ দিয়ে যায় এবং ঐ সালেই অন্তরীক্ষ থেকে ধুমকেতুটির খুঁটিনাটি প্রথমবারের মত পর্যবেক্ষণ করা হয়। রেফারেন্স

হাদিসের বর্ণনানুসারে ধূমকেতুটি হবে............

 উজ্জ্বল তারকাসদৃশ্য।

 গমনপথ ছিল পূর্ব থেকে পশ্চিম।

 চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ সংক্রান্ত আলামতটি(১৯৮১-১৯৮২) প্রকাশিতহবার পর হ্যালীর ধুমকেতুর আগমন।



ইমাম মেহেদীর আগমনের অন্যান্য আলামতের মত ১৪০০ হিজরির শুরুতে হ্যালীর ধুমকেতুর আগমন তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু হাদিসের বর্ণনা অনুসারে আলামতসমূহ ১৪০০ হিজরির থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে একের পর এক যা অন্যকোন শতাব্দীতে এভাবে সংঘটিত হয়নি সেহেতু বলা যায় হাদিসে উল্লেখিত মহাজাগতিক বস্তুটি বস্তুতুই হ্যালীর ধুমকেতু এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।



এখন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে হ্যালীর ধুমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পর পর আসে এতে অসাধারণত্বের কি আছে?

এই সিরিজের শুরুতেই বলা হয়েছিল আল্লাহর আসলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে নিদর্শন প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই, আমাদের নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনাবলীর মধ্যেই নিদর্শন আছে শুধু প্রয়োজন মনোযোগ দিয়ে খোঁজ করা। যারা বিশ্বাস নিয়ে নিদর্শনসমুহের খোঁজ করে তাদের সামনে নিদর্শনসমূহ প্রতীয়মান হয় কিন্তু যারা সন্দেহবাদী তারা সব সময়ই গোমরাহির মধ্যে থাকে। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে

“নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।”

সুরাঃ আশ-শুয়াআরা, আয়াতঃ ১০৩

“বিশ্বাসকারীদের জন্যে পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে,”

সুরাঃ আদ-দারিয়াত, আয়াতঃ ২০





হ্যালীর ধুমকেতু সম্পর্কিত কিছু চমক জাগানিয়া তথ্য

• আশ্চর্যজনকভাবে হ্যালীর ধুমকেতুর সাথে সম্পর্কিত কিছু সংখ্যা ১৯ এর গুনিতক। যেমন হ্যালীর ধুমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পর পর আসে, (১৯x ৪=৭৬)।

• এটা শেষবার দেখা গিয়েছে ১৪০৬ হিজরিতে, (১৯ x ৭৪=১৪০৬)।

• নবী (সঃ) নবুয়াত লাভের পর এটা হ্যালীর ধুমকেতুর ১৯ তম বার আগমন।

১৯ সংখ্যার বিশেষত্বের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের সুরা মুদাসসের (সুরা নং-৭৪) ৩০ নং আয়াতে বর্ণিত আছে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

নতুন বলেছেন: আপনার মতে ইমাম মাহাদী কোন সালে আসবে?

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: কিছু বিষয় আছে যার সূক্ষ্ম জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্‌র কাছে আছে যেটা তিনি প্রকাশ করেন না। যেমন আমরা সবাই জানি আমরা মারা যাবো কিন্তু কবে সেটা একমাত্র আল্লাহ্‌ই জানেন। এই বিষয় টাও সেরকম একটা ব্যাপার। এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতগণের ব্যাখ্যা হল আমাদের নবী যেমন ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত প্রাপ্তির পর খুব অল্প সংখ্যক মানুষ সে ব্যাপারে জানতেন সেরকমভাবে ইমাম মেহেদী ৪০ বছর বয়সে আত্মপ্রকাশ করবেন কিন্তু পৃথিবীব্যাপী তাঁর পরিচিতির জন্য সময় লাগবে। হাদিসে বর্ণিত আলামত অনুসারে এই ১৪০০ হিজরি শতকে উনি আসবেন এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কোন সাল উল্লেখ করা সম্ভবপর হবে না। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীর অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উনি খুব শীঘ্রই জানান দিবেন।

কষ্ট করে পোস্টটা পরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

আল্লামা ইকবাল বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন - ধন্যবাদ । পরে সব পর্ব পড়ব । হারুণ ইয়াহিয়ার লেখাগুলো আমার ভালো লাগে ।

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

এলিয়ান বলেছেন: হা করে বসে থাকেন

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

খাটাস বলেছেন: নতুন অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ কষ্ট করে শেয়ারের জন্য।

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১১

সুলাইমান হাসান বলেছেন: হারুন ইয়াহইয়ার লেখাগুলো আমিও পড়েছি। আমারও মনে হয় যে ইমাম মাহদী এই শতাব্দীতে আসবেন (আল্লাহই ভালো জানেন)।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

নতুন বলেছেন: এই জামানায় একজন মক্কা তে গিয়ে হজ্জের সময়ে বলবে যে আমি মেহেদী আর সবাই তা মেনে নেবে... এটা বেশ আজব বিষয় হবে...

মক্কাতে এর আগেও এক জন মেহেদী দাবী করে কাবা শরিফ দখল করেছিলো.... অনেক রক্ত ঝড়েছিলো তখন... :(

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: আপনার জানার মধ্যে একটু ভুল আছে। প্রকৃত ইমাম মেহেদী কখনও নিজেকে মেহেদী বলে দাবী করবেননা বরং আল্লাহ্‌র কিছু মুমিন বান্দা তাঁকে চিনতে পারবেন হাদিসে বর্ণিত তাঁর বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে এবং তারা তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবেন। হারুন ইয়াহিয়ার বইয়ে এই সম্পর্কিত রেফারেন্স দেওয়া আছে। আর আপনি যে কাবা শরীফে রক্তপাতের কথা বললেন সে সম্বন্ধে এই সিরিজের ৪র্থ পর্বে বলা হয়েছে যে এই রক্তপাত ইমাম মেহেদীর আগমনের অন্যতম আলামত যা আপনি নিচের লিঙ্কে পাবেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
লিঙ্ক দেখুন

৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫২

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশের কিছু পীরের মুরিদরাও কিন্তু তাদের পীরকে মেহেদী মনে করে..

১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: কোন মিথ্যাকে সত্য মনে করলেই মিথ্যা সত্য হয়ে যায় না। হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে যে তাঁকে চেনা যাবে মক্কাতে, অন্য কোথাও কেউ কাউকে মেহেদী হিসেবে চেনার ও মানার দাবী করলে তাকে ভ্রান্ত ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য পাঠকদের ধন্যবাদ। ভবিষ্যতের পোস্টগুলও পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইল।

৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

আল-মুনতাজার বলেছেন: ইমাম মাহদী(আঃ) সম্পর্কে আরো জানুনঃ
Click This Link

১০| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

আল-মুনতাজার বলেছেন: ইমাম মাহদী(আঃ) সম্পর্কে আরো জানুনঃ
Click This Link

২০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: ভাই আপনার লেখাটি পড়তে শুরু করছিলাম, হঠাৎ করে আপনার profile এ চোখ পড়ল যেখানে আপনি নিজেকে হযরত মুয়াবিয়ার(রাঃ) দলত্যাগী শিয়া বলে উল্লেখ করেছেন কিন্তু আপনার লেখার শুরুর দিকে আবার তাঁর উদ্দৃতি দিয়ে একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন। কি আশ্চর্য বৈপরীত্য! শিয়ারা এটাও দাবী করে থাকে হযরত মুয়াবিয়া(রাঃ) যেহেতু নবী(সঃ) থেকে শুনে কুরআন লিপিবদ্ধ করতেন সেই সুযোগে তিনি নাকি কুরআনে পরিবর্তন সাধন করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। আপনার লেখাতে আবার পবিত্র কুরআনের সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আমার জানামতে শিয়ারা দাবী করে থাকে যে আসল কুরআন নাকি অন্তর্বর্তীকালীন মেহেদীর কাছে রক্ষিত আছে যিনি তাঁর ১১৯০ বছরের(!) দীর্ঘ ধ্যান শেষে যখন আবার আসবেন তখন প্রকাশ করবেন। তাহলে তো বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে যে আপনাদের দাবী অনুযায়ী বর্তমানে যে কুরআন আমরা দেখি তা সঠিক নয় (নাউজুবিল্লাহ) যার স্বপক্ষে ইরানের এক পত্রিকাতে একটি সুরাও ছাপানো হয়েছিল যা নাকি কুরআন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে,সেই কুরআন থেকে উদ্দৃতি দেওয়াটা কেমন স্ববিরোধী হয়ে গেল না। আর ইমাম চেনার বিষয়ে দেওয়া হাদিসগুলো অনেকটা আমাদের দেশের ব্যবসায়ী পীরদের মত হয়ে গেছে।

সহিহ হাদিস মতে নবী(সঃ) এর উম্মত দীর্ঘজীবনের অধিকারী হবে না কিন্তু আপনাদের দাবী ইমাম মেহেদী ১১৯০ বছর ধ্যানে লিপ্ত আছেন, ঠিক মিলল না।

১১| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৩

আল-মুনতাজার বলেছেন: যেখানে আপনি নিজেকে হযরত মুয়াবিয়ার(রাঃ) দলত্যাগী শিয়া বলে উল্লেখ করেছেন কিন্তু আপনার লেখার শুরুর দিকে আবার তাঁর উদ্দৃতি দিয়ে একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন। কি আশ্চর্য বৈপরীত্য! >>

>>ভাই মেহেদী হাসান,মুয়াবিয়া সম্পর্কে আপনি হয়তো জানেন যে, তার মা হেন্দা(লা' না তুল্লাহি আলাইহিম) রাসুলের(সাঃ) চাচার কলিজাভক্ষনকারিনী মহিলা,মুয়াবিয়ার বাপ আবু সুফিয়ান ছিলেন রাসুলের(সাঃ) সাথে ২২ বছর যুদ্বকারী,মুয়াবিয়া নিজে ছিলেন হযরত আয়েশার হত্যাক্রী এবং সিফফিনের যুদ্বের হাজার হাজার মুমিন মুসলমানের হত্যার জন্য দায়ী,নুয়াবিয়ার কুপুত্র এজিদ(লা' না তুল্লাহি আলাইহিম) বেহস্তের নেতা ইমাম হোসাইনের(আঃ) হত্যার নির্দেশদাতা


অনেক হাদিসের বর্ননা আছে,শুধু মুয়াবিয়ার হাদিস আপনার চোখে পড়লো?

>>শিয়ারা এটাও দাবী করে থাকে হযরত মুয়াবিয়া(রাঃ) যেহেতু নবী(সঃ) থেকে শুনে কুরআন লিপিবদ্ধ করতেন সেই সুযোগে তিনি নাকি কুরআনে পরিবর্তন সাধন করেছেন (নাউজুবিল্লাহ) >>

>>আপনার লেখার সমর্থনে দলীল উপুস্থাপন করুন,নচেত প্রমানিত হবে আপনি একজন মিথ্যাবাদী।
রাসুলের(সাঃ) মক্কা বিজয়ের পর আবু সুফিয়ানের গোষ্টি লোক দেখানো ইসলাম গ্রহন করে।তা-ও আবার রাসুলের(সাঃ) ইন্তেকালের মাত্র ২ বা ৩ বছর আগে।আর এই ২ বা ৩ বছরে কোরানের খুব বেশী অংশ নাজিল হয়নি বলেই আমরা জেনেছি।যাই হোক,কাতেবে ওহি মুয়াবিয়ার নাম খুব পেশ করলেন,কিন্তু ২৩ বছরের কোরান লেখক,হাফিজ-ই- কোরান,শেরে খোদা আমিরুল মু;মিনিন হযরত আলীর(আঃ) নাম একবারও তো উচ্চারন করলেন না।
>>আমার জানামতে শিয়ারা দাবী করে থাকে যে আসল কুরআন নাকি অন্তর্বর্তীকালীন মেহেদীর কাছে রক্ষিত আছে যিনি তাঁর ১১৯০ বছরের(!) দীর্ঘ ধ্যান শেষে যখন আবার আসবেন তখন প্রকাশ করবেন। তাহলে তো বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে যে আপনাদের দাবী অনুযায়ী বর্তমানে যে কুরআন আমরা দেখি তা সঠিক নয় (নাউজুবিল্লাহ) যার স্বপক্ষে ইরানের এক পত্রিকাতে একটি সুরাও ছাপানো হয়েছিল যা নাকি কুরআন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে,সেই কুরআন থেকে উদ্দৃতি দেওয়াটা কেমন স্ববিরোধী হয়ে গেল না। আর ইমাম চেনার বিষয়ে দেওয়া হাদিসগুলো অনেকটা আমাদের দেশের ব্যবসায়ী পীরদের মত হয়ে গেছে। >>
>> আপনার এই লেখার সমর্থনে দলীল পেশ করুন,নচেত প্রমানিত হবে আপনি একজন ডাহা মিথ্যাবাদী ।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: ভাই এইসব লেখতে গেলেতো আরেকটি পোস্ট হয়ে যাবে। আপনি একটু কষ্ট করে মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দিন লিখিত ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ বইয়ের ২৪৭ পৃষ্ঠা থেকে পড়া শুরু করলে আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি। ওখানে শিয়া পণ্ডিতদের লিখিত বই থেকে রেফারেন্স ধরে তার জবাব দেওয়া আছে।

আর শিয়াদের উদ্ভব রাসুলের জমানার পরে। সুতরাং তাদের আকিদা সম্বন্ধে নতুন করে কিছু বলার নাই।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৯

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: আরেকটি ব্যাপার মুয়াবিয়া (রাঃ) আয়শা (রাঃ) হত্যাকারী এই আজগুবি কথা পাইলেন কই?

আর তাঁর মা, বাবা সন্তান সম্পর্কে যা বললেন তাঁর জবাবে নিম্নের আয়াতে বলা আছে

যে কেউ সৎপথে চলে, তারা নিজের মঙ্গলের জন্যেই সৎ পথে চলে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়, তারা নিজের অমঙ্গলের জন্যেই পথ ভ্রষ্ট হয়। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কোন রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দান করি না। ( সুরা আল ঈশরা আয়াতঃ ১৫)

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

নাজিব হোসেন আকাশ বলেছেন: ইমাম মাহদী আগমন করেও ফেলেছেন ইতিমধ্যে।
বিস্তারিত জানুন- চন্দ্র-সূর্যে ইমাম মাহদীর সত্যতার নিদর্শন
আরো জানুন- এখানে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.