নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদী হাসান

হঠাৎ করে ইচ্ছে গুলো বোধয় দুটি ডানা পেলো আকাশ পানে উরে যেতে চায় তোমার মনের বারান্দাতে ভালোবাসায় আসকারাতে তোমায় শুধু ছোয়ে যেতে চাই

মেহেদী হাসান_আকাশ

লিখতে ভালবাসি,, যাস্ট ... ওয়েব ডেভলপার, অ্যান্ড গ্রাফিক্স ডিজাইনার

মেহেদী হাসান_আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌন স্বীকৃতির মুতা বিয়ে, আমাদের দেশে যে এইডা কবে হয় বলা যায়না

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

ইরানী কতৃপক্ষ স্বল্পস্থায়ী বিয়ের ছদ্মবেশে সরকারীভাবে বেশ্যালয়ের জন্য ফান্ড বরাদ্দ করছে। এই ব্যবস্থায় নির্দিস্ট লোকালয়ে একদিনের জন্য বিয়ের অনুমতি দিয়েছে ইরান সরকার। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী যেকোন ইরানী কিংবা বিদেশী নির্দিষ্ট বেশ্যালয়ে যেয়ে ঐ মেয়ের সম্মতিতে একদিনের জন্য বিয়ে করে তার সাথে সেক্স করতে পারবে। বিয়ের ছাড়া সেক্স করলে ইরানে ১০০ বেত্রাঘাত থেকে শুরু করে মৃত্যুদন্ড দেয়া পর্যন্ত বিধান আছে। শিয়া ইসলাম অনুযায়ী এই ধরণের বিয়েকে মুতা বিয়ে বলে। সরকার কতৃক এই স্বীকৃতির পর এখন যে কেউ হালাল উপায়ে নারী-সম্ভোগ করতে পারবে মাত্র ২০ থেকে ৫০ ডলার এর বিনিময়ে। কুমারী, সুন্দরী এ সব ভেদে উক্ত যৌন-সম্ভোগ এর মূল্যমান বিভিন্ন হতে পারে। যৌন-সম্ভোগ শেষে আবার আরো একটি কাগজে তালাক সই করে বাড়ি চলে যেতে কোন অসুবিধা নাই। ইরানে এমনটা অনেকদিন ধরেই চলে আসছিল, এই প্রথম পেল রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। সূত্র :: অলশেয়ার নিউজ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০

মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: একদিনের জন্য বিয়ে করে সেক্স করলো ঠিক আছে, বৈধ ঠিক আচে কিন্তু তালাক দেওয়ার পর ঐ মেয়ে কি ইদ্দত পালন( ৩মাস ১৩দিন বিবাহ বা স্বামি ছারা থাকা) করে, ইসলাম তো এক স্বামী ছেরে অন্য সামির ঘর করতে হলে এই সময় ইদ্দত পালন শেষে অন্য কে বিয়ে করতে পারে, এবং এটাই কোরআনের বিধান।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

হেডস্যার বলেছেন:
ইদ্দতের কি হবে?
যাই হোক...কালকেই তেহরানের ফ্লাইট ধরতেছি B-))

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২২

শিপু ভাই বলেছেন:
মুতা বিবাহে মনে হয় ইদ্দতের শর্ত প্রযোজ্য না।


আমি জানি মুতা বিবাহ নবীজি (সঃ ) এর সময়েই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তয় সিস্টেমটা আমার পছন্দ হইছে!!! :প

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আসতাগফিরুল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের ঈমান ও আ'মাল হেফাজত করার তৌফিক দান করুন, আমাদের সবাইকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

একিউমেন০৮ বলেছেন: হায়রে দুনিয়া!!!!
শিয়া ইসলাম কি ইসলাম, নাকি
ভাওতাবাজি।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসতাগফিরুল্লাহ বলব না আমিন বলব বুঝতে পারতেছি না।! তবে যেহেতু রোজা রাখছি, তাই আপাতত আসতাগফিরুল্লাহই বলি। B-)) :#)

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

নূর আদনান বলেছেন: @হেডস্যার, স্যার তাহলে ভাল সময়েই যাচ্ছেন :P :P :P

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

আল ইফরান বলেছেন: আমি যতদুর জানি, শিয়াদের প্রধান ৩টা স্কুলের দুইটাই (জায়েদি এবং ইসমাইলিরা) মুতা বিবাহকে সমর্থন করে না।
তবে এই তিনের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ, অর্থাৎ ইতনা-আশ-শারায়িদের মতে এই ধরনের বিবাহ সহি। /:)
তবে এই বিষয়ে আমার স্বল্প পড়াশুনার উপর ভিত্তি করে বলতে পারি যে, এই ধরনের বিবাহ প্রথা মুলধারার ইসলামিক লিগ্যাল ফিলোসফির সাথে যথেস্ট সাংঘর্ষিক। (ব্যাক্তিগত অভিমত)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসূল(সঃ ) এর নির্দেশিত পথে চলার তাউফিক দান করুন, আমীন :)

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: কস কী মমিন !!

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: মুনাফেকি কাজ কারবার...

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

সাখাওয়াত০২ বলেছেন: আমার দেশের জামাত শিবির ইরানকে ত মনে হয় ইসলামের গুরু মানে। ইরনের প্রেসিডেন্ট হেন করে তেন করে বলে তাদের পেজ এ শোভা পায়। এই হল ওদের ইসলাম নিজের মন যা চায় তাই ইসলাম বানায় নেয়। ইসলামিক উপায়ে মদ পান করান হয় এই বিজ্ঞাপন হয়ত সামনে পাব।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

ফুরব বলেছেন: হেডস্যার বলেছেন:
ইদ্দতের কি হবে?
যাই হোক...কালকেই তেহরানের ফ্লাইট ধরতেছি B-))

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: হায় আল্লাহ এইডা কি শুনলাম?
এইটা কে আবার বিবাহ বলে?
এইটারে বিবাহ বইলা বিবাহ নামক এক সম্মানজনক বিধিকে অপমান করা হচ্ছে।
বাতাসে উড়ে, আগের বার জামাতে ইসলাম নাকি বাংলাদেশে এই বিবাহ চালু করার জন্য লবিং করেছিল, সামনে আসলে পুরাই বৈধ কইরা ফেলবে....

হেফাজতে ইসলাম সাবধান!!

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

অন্য কথা বলেছেন: ইরান সরকার কতৃক এই স্বীকৃতির পর এখন যে কেউ হালাল উপায়ে নারী-সম্ভোগ করতে পারবে মাত্র ২০ থেকে ৫০ ডলার এর বিনিময়ে।

- হালাল উপায় ??? !!!!! তাইলে বিয়া করার দরকার কি ? সারা জীবন ইরানী পুরুষেরা মুতার উপর থাকুক ....

------------------------------------------------------------------------------

(আসতাগফিরুল্লাহ। আল্লাহ্‌ আমাদের ঈমান ও আ'মল হেফাজত কর)



১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

অন্য কথা বলেছেন: ‘শিয়া’ মতবাদের ব্যবচ্ছেদ
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী


Click This Link


শিয়া মতবাদ’ উৎপত্তির মূলে ঃ

শিয়ানে আলী বা আলী (রাঃ)এর প্রতি নিবেদিত প্রাণদের দলটি ছিল শুরুতে একটি রাজনৈতিক মতভেদ মাত্র। হযরত রাসূলে কারীম (সাঃ)এর ওফাতের পর মুসলমানদের খলিফা কে হবেন , তা নিয়ে সৃষ্ট মতভেদ থেকে ক্ষুদ্র একটি দল হযরত আলী (রাঃ)কে খেলাফতের বৈধ উত্তরাধীকারী এবং তাঁর পূরববর্তী তিন খলিফাকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন বলে মনে করতো। এ ভিন্নমতটিই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের সীমা অতিক্রম করে ধর্মীয় আঁকার ধারণ করে*৭।
‘শিয়া মতবাদ’ হযরত(সাঃ)এর ওফাত দিবস থেকেই নবীর সহিত উম্মতের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটাতে এবং দ্বীনের মূলোৎপাঠনে স্বচেষ্ঠ। ফলে ইসলামের মোকাবেলায় ইহুদী কর্তৃক শিয়া ধর্মের উৎপত্তি ঘটে*৮। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল ইহুদী ষড়যন্ত্র। এরপর হযরত আলী(রাঃ)এর ওফাত। এরপর শিয়া ধর্মের উৎপত্তি। ইহুদী পণ্ডীত আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীর চিন্তা-চেতনার আলোকেই এই ‘শিয়া মতবাদ’এর উৎপত্তি*৯।
ইসলামের চিরশত্রু এ ফিৎনা সৃষ্টিকারী ইহুদীদের মূলনায়ক মুনাফিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদী এবং তার মদদপুষ্টরা ইসলামের প্রবাহমান স্রোতধারাকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে এবং মুসলীম ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে দেয়ার নিমিত্তে হযরত আলী(রাঃ)এর প্রেমে মুগ্ধ হবার রূপ দিয়ে শিয়া ফেরকার ভিত্তি স্থাপিত হয়*১০।

‘শিয়া মতবাদ’এর ভিত্তি রচনাকারী মূল নায়কের পরিচয় ঃ

‘শিয়া মতবাদ’এর মূল উদগাতা ছিল ইহুদী তাত্বিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদী। ইয়েমেনের অধিবাসী এ ধূর্ত লোকটি তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর শাসনামলে মদীনায় আগমন করে নিজেকে একজন নিষ্টাবান মুসলমান রূপে প্রকাশ করে খলিফার নৈকট্য প্রাপ্তদের মধ্যে স্থান করে নিতে স্বচেষ্ঠ হয়। কিন্তু, উসমান(রাঃ) তার গতিবিধি দেখে সন্দিহান হয়ে তাকে দূরে সরিয়ে দেন। এ ব্যক্তিই পরে এমন একটি বক্তব্য দাঁড় করায় যে , হযরত নবী করীম(সাঃ)এর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধীকারী ছিলেন হযরত আলী(রাঃ)। কিন্তু, চক্রান্ত করে তাঁকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যক্তি হযরত উসমান(রাঃ)এর বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে থাকে*১১। ফলশ্রতিতে হযরত উসমান(রাঃ) দুষ্কৃতকারীর হাতে শাহাদত বরণ করেন।
আর এ আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীই প্রথম ব্যক্তি যে প্রচার করেছিল যে , হযরত আলী(রাঃ) মৃত্যুবরণ করেননি, তিনি আবার ফিরে আসবেন। শুধু ক’দিনের জন্য একটি পর্বতের অপর প্রান্তে লুকানো অবস্থায় থাকবেন। তার এ চিন্তা-চেতনায় নির্ভর করে মুসলমানদের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির স্থায়ী রূপ দেয়া হলো তাও ইহুদীদের হাতে*১২।


শিয়াদের আকিদা-বিশ্বাস ঃ

• শিয়াদের মূল দল তথা ইহুদী পণ্ডীত আবদুল্লাহ ইবনে সাবার মতাদর্শীরা দাবী করে যে, খলিফা হবার অধিকারী ছিলেন হযরত আলী(রাঃ)। এটা তাঁর রাজনৈতিক অধিকার নয় , ধর্মীয় অধিকার। সাহাবায়ে কেরামের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট অংশ হযরত আলী(রাঃ)কে খলিফা রূপে মনোনীত না করে ধর্মচ্যুত হয়েছিলেন*১৮।
• শিয়াদের আরেক দল আরও একটু অগ্রসর হয়ে হযরত আলী(রাঃ) সম্পর্কে এরূপ ধারণা প্রচার করতে থাকে যে , প্রকৃত প্রস্তাবে হযরত আলী(রাঃ)ই নবী ছিলেন। ফিরিস্তা জীবরাঈল(আঃ) ভুলক্রমে ওহী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) র নিকট নাযিল করে ফেলেছিলেন*১৯।
• শিয়াদের আরেক দলের বিশ্বাস যে, কারবালার ঘটনার পর বিদ্রোহ ঘোষনাকারী নিখোঁজ হওয়া মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যাকে ইরাকের একটি পাহাড়ী অঞ্চলে সুরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। কেয়ামতের আগে দাজ্জালের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদীর সহযোগী রূপে তাঁর আবির্ভাব হবে*২০।
• শিয়াদের উপদল সমুহের একটি বিরাট অংশের ধারণা – ইবলিশ শয়তান পৃথিবীর প্রতি ইঞ্চি জমিনে সিজদা করে সমগ্র ভূ-ভাগই নাপাক করে ফেলেছে। একমাত্র কারবালার ঐ অংশটুকুই এ অভিশাপ থেকে মুক্ত আছে, যে অংশে হযরত ইমাম হোসাইন(রাঃ) এবং আহলে বাঈতের সদস্যগণ তাবু স্থাপন করেছিলেন*২১।
• শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামত’ হলো- ইসলামী আকিদা মতে একজন স্বতন্ত্র শরীয়াতধারী নবীর যে অর্থ , অবস্থান ও মর্যাদা; তাদের নিষ্পাপ ইমামেরও ঠিক একই অর্থ, মর্যাদা ও মহত্ত্ব*২২।
• শিয়াদের মতে, নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর সমগ্র সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে যাঁরা হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক(রাঃ)কে খলিফা পদে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর হাতে বাইয়াত নিয়েছিলেন , তাঁরা সকলেই কাফেরে পরিণত(নাউযুবিল্লাহ)। কেননা, তাঁরা নিষ্পাপ ইমাম হযরত আলী(রাঃ)এর হাতে বাইয়াত হন নাই। এটাই হলো শিয়াদের সাহাবায়ে কিরামের প্রতি বিদ্বেষ*২৩।
• শিয়াদের মতে, কিয়ামত পর্যন্তের জন্য নবী করীম(সাঃ) মানুষের হিদায়াতের উদ্দেশ্যে প্ররীত হয়েছিলেন- এটা সত্য নয়। নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর একদিনের জন্যও ইসলাম টিকে থাকেনি। কারণ, দীর্ঘ ২৩(তেইশ) বছরে ইসলামের যে সেনাদল তিনি নিজের ও উম্মতের মধ্যে সেতুবন্ধন রূপে তৈরী করেছিলেন, সে সেনাদলের গোটা জামাতই নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে (নাউযুবিল্লাহ)। শিয়াদের সাহাবায়ে কিরামের প্রতি বিদ্বেষের এটা আর একটা নমুনা*২৪।
• শিয়াদের মতে, কোরআন মজিদ অবিকৃত থাকেনি। বর্তমান আকারে যে কোরআন মজিদ মুসলমানদের হাতে আছে , তা নির্ভেজাল কোরান নয় বরং তা হযরত উসমান(রাঃ) কর্তৃক সংকলিত কোরআন*২৫।
• শিয়াদের প্রসিদ্ধ আলেম ও মুহাদ্দিস ‘নূরী তাবরছি’ কোরআনে কারীমের মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধনের প্রমাণের লক্ষ্যে একটি বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার নাম ‘ফছলুল খিত্বাব ফি এছবাতি তাহরীফে কিতাবে রাব্বিল আরবাব’। এ গ্রন্থে লেখা হয়েছে যে, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরআনে কারীম তাওরাত ও যবুর , ইঞ্জিলের মতই (নাউযুবিল্লাহ)*২৬। এ কিতাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মূল কোরআনে কারীম যা নিয়ে হযরত জীবরাঈল(আঃ) রাসূলে কারীম(সাঃ)এর নিকট অবতীর্ণ হয়েছিলেন তার মধ্যে ১৭০০০(সতেরো হাজার) আয়াত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে মুসলমানদের নিকট যে কোরআন শরীফ বিদ্যমান আছে , সে কোরআনের মধ্যে হযরত আয়শা(রাঃ) এর গণনানুযায়ী মাত্র ৬৬৬৬ (ছয় হাজার ছয়শত ছেষট্টি)টি আয়াত রয়েছে*২৭।
• শিয়ারা ইসলামের কলেমায় সন্তুষ্ট নয় বরং তারা কালেমার সহিত ‘আলী ওয়ালিউল্লাহ্ অছি রাসূলুল্লাহ ( আলী(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর একমাত্র ওয়ারিশ ও তাঁর সরাসরি খলিফা )’ প্রভৃতি বাক্য যোগ করে*২৮।
• শিয়ারা কারবালার ঘটনার পর থেকে মুহররম মাসের প্রথম দশ দিন শোকদিবস পালন করে*২৯।
• শিয়াদের উপদল – দরুজী, হুমাইরী, গোরাবী মতাদর্শীরা প্রচার করে যে, পবিত্র কোরানের একটি উল্লেখযগ্য অংশ হযরত ফাতেমা(রাঃ) এবং হযরত আলী(রাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল- সেই অংশটুকুই হচ্ছে আসল কোরআন*৩০।
• শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়্যার মতাদর্শীদের আকিদা-বিশ্বাস হলো- তারা হযরত আলী(রাঃ)কে খোদা বলে দাবী করে। সে জন্য তারা ‘ইয়া আলী মদদ’ বলে তাঁকে সম্বোধন করে এবং বলে যে – আল্লাহ তাআলা হযরত জীবরাঈল(আঃ)কে পাঠিয়েছিলেন হযরত আলী(রাঃ)কে নবী বানাতে। কিন্তু, জীবরাঈল(আঃ) ভুল করে মুহাম্মদ(সাঃ)কে নুবুওয়াত দিয়ে দেন*৩১।


এদের আরো আকিদাগুলো হলো-

১। দু’একজন ছাড়া সব সাহাবীরাই কাফির (নাউযুবিল্লাহ)*৩২।
২। হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ) কাফির (নাউযুবিল্লাহ)*৩৩।
৩। হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ)কোরানের মুখালেফাত, বিরোধীতাকারী (নাউযুবিল্লাহ)*৩৪।
৪। শিয়াদের ইমামদের উপর ঈমান আনা নবীদের উপর ঈমান আনার সমান*৩৫।
৫। শিয়াদের ইমামদের হাতে জান্নাত-জাহান্নাম, তাদের ইমামরা যাকে ইচ্ছা জান্নাত ও জাহান্নামে পাঠাতে পারবে*৩৬।
৬। মুতা (কিছুক্ষণের জন্য) বিবাহ করা অনেক সওয়াবের কাজ, এটা কোন জেনা নয়*৩৭।
৭। হযরত আয়শা(রাঃ) জেনাকারিনী (নাউযুবিল্লাহ)*৩৮।
৮। বর্তমান কোরআন আসল কোরআন নয়, আসল কোরআন ৪০ পারা এবং ৬০ হাত লম্বা*৩৯।
৯। হযরত উমর(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর ঘরে আগুন লাগিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)*৪০।
১০। শিয়াদের প্রসিদ্ধ আলেম ও লেখক ‘বাকর মজলিসি’ তাঁর স্বীয় গ্রন্থ ‘হায়াতুল ক্বুলুব’এর মধ্যে উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়শা(রাঃ) ও হযরত হাফসা(রাঃ)কে বারবার মুনাফিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি তিনি একথাও লখেছেন যে, হযরত আয়শা(রাঃ) ও হযরত হাফসা(রাঃ) রাসূল(সাঃ)কে বিষপান করিয়ে শহীদ করে দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)*৪১।
১১। শিয়াদের প্রামাণ্য গ্রন্থ ’উসূলে কাফী’ তে কোরআনের আয়াত - ‘ওয়ালাকিন্নাল্লাহা হাব্বাবা ইলাইকুমুল ঈ’মানা ওয়াযাইয়্যানাহু ফি ক্বুলুবিকুম ওয়াকাররাহা ইলাইকুমুল কুফরা ওয়ালফুসুকা ওয়াল ইসইয়ান’- এর ব্যাখা প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে যে, আয়াতটির মধ্যে ‘ঈমান’ দ্বারা হযরত আলী(রাঃ)কে ও ‘কুফর’ দ্বারা ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর(রাঃ)কে এবং ‘ফুসক’ দ্বারা দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর(রাঃ)কে বুঝানো হয়েছে*৪২।
১২। ইসনা আশারিয়্যার বিংশ খ্রীষ্টাব্দের ইমাম খোমেনী তাঁর লিখিত ফার্সীগ্রন্থ ‘কাশফুল আসরার’ এর ধারাবাহিক আলোচনার মধ্যে প্রথম শিরোনাম স্থাপন করেন- ‘মুখালাফাতে আবু বক্কর বা নচ্ছে কোরআন’(কোরআনের সাথে আবু বক্করের বিরোধতা)। আর দ্বিতীয় শিরোনামে লিখেন - ‘মুখালাফাতে উমর বা কোরআনে খোদা (আল্লাহর কোরআনের সাথে উমরের বিরোধীতা)*৪৩।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.