নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদী হাসান

হঠাৎ করে ইচ্ছে গুলো বোধয় দুটি ডানা পেলো আকাশ পানে উরে যেতে চায় তোমার মনের বারান্দাতে ভালোবাসায় আসকারাতে তোমায় শুধু ছোয়ে যেতে চাই

মেহেদী হাসান_আকাশ

লিখতে ভালবাসি,, যাস্ট ... ওয়েব ডেভলপার, অ্যান্ড গ্রাফিক্স ডিজাইনার

মেহেদী হাসান_আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার অলি-গলির অদ্ভুতুড়ে নামগুলোর মজার কাহিনী

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

ঢাকা শুধু বাংলাদেশের রাজধানী শহরই নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন দিক থেকে ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। এর রয়েছে প্রায় চারশ’ বছরের পুরনো ইতিহাস! প্রাচীন ঢাকার রয়েছে হরেক রকম এলাকা-মহল্লা, অলি-গলি-তস্য গলি। সাথে রয়েছে তাদের বাহারি সব নাম।



আচ্ছা, জায়গাটার নাম ফার্মগেট কেন? এখানে কি এককালে মুরগীর ফার্ম ছিল? কাকরাইল, পিলখানা, তোপখানা, টিকাটুলি, সুক্কাটুলি- এসব অদ্ভুত নামেরই বা কি অর্থ! ধানমন্ডিতে কি এককালে প্রচুর ধানক্ষেত ছিল? পানিটোলায় কি ছিল? এলিফ্যানট রোডে কি এককালে এলিফ্যানট মানে হাতিরা ঘুরে বেড়াত? আর স্বামীবাগে বুঝি স্ত্রী হারা স্বামীরা বাস করতেন?



এখন আমাদের কাছে মজার মনে হলেও, আসলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নাম সুপ্রাচীন ঢাকারই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সযত্নে বহন করে চলছে। আসুন, আজ জেনে নেই ঢাকার তেমন কিছু এলাকার নামকরনের ইতিহাস-



ইন্দিরা রোডঃ

বেশীর ভাগ মানুষের ধারণা ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে নামকরণ করা হয়েছে রাস্তাটির। আসলে তা নয়। এককালে এ এলাকায় দ্বিজদাস বাবু নামে এক বিত্তশালী ব্যক্তি বসবাস করতেন। তার ছিল বিশাল বাড়ি। বাড়ির কাছের এই রাস্তাটি তার বড় মেয়ে ইন্দিরার নামে নামকরণ করা হয় ইন্দিরা রোড।



পিলখানাঃ

ইংরেজ শাসনামলে যাতায়াত, মালামাল পরিবহন ও যুদ্ধের কাজে প্রচুর হাতি ব্যবহার করা হত। বন্য হাতিকে পোষ মানানো হত যেসব জায়গায় তাকে বলা হত পিলখানা। সে সময় ঢাকায় একটি বড় সরকারি পিলখানা ছিল। সরকারি কাজের বাইরেও ধনাঢ্য ঢাকাবাসীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে তাদের হাতিগুলোকে এখানে পোষ মানানোর জন্য পাঠাতে পারতেন।



এলিফ্যানট রোডঃ

সে সময়ে রমনা এলাকায় মানুষজন তেমন বাস করত না। ছিল বিস্তৃর্ণ ফাঁকা এলাকা। এখানে পিলখানার হাতিগুলোকে চড়ানো হত। আর আশেপাশের খালে হাতিগুলোকে গোসল করানো হত। যে রাস্তা দিয়ে পিলখানার হাতিগুলোকে রমনার মাঠে আনানেয়া করা হত সে রাস্তাটাই আজকের এলিফ্যানট রোড।



কাকরাইলঃ

ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মিঃ ককরেল। সম্ভবত তার নামে সে এলাকায় কোন রাস্তা ছিল। সে সময় ইংরেজ কমিশনারদের নামে রাস্তার নামকরণ করার রেওয়াজ ছিলো। সেই ককরেল রোড থেকে কালক্রমে এলাকার নাম হয়ে যায় কাকরাইল।



কাগজীটোলাঃ

ইংরেজ শাসনামলে ঢাকায় কাগজ তৈরি করা হত। যারা কাগজ তৈরি করতেন তাদের বলা হত ‘কাগজী’। কাগজীরা যে এলাকায় বাস করতেন আর যেখানে কাগজ উৎপাদন ও বিক্রি করতেন সে এলাকাই কাগজীটোলা নামে পরিচিতি লাভ করে।



গোপীবাগঃ

গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী এই এলাকার মালিক ছিলেন। তিনি স্থাপন করেছিলেন ‘গোপীনাথ জিউর মন্দির’। তখন থেকেই এই এলাকার নাম গোপীবাগ।



চাঁদনী ঘাটঃ

সুবাদার ইসলাম খাঁর একটা বিলাশবহুল প্রমোদতরী ছিল। প্রমোদতরীর নাম ছিল – চাঁদনী। ‘চাঁদনী’ ঘাটে বাধা থাকত। অন্য কোন নৌকা এই ঘাটে আসতে পারত না। সেখান থেকে এলাকার নাম চাঁদনী ঘাট।



টিকাটুলিঃ

এক সময় হুক্কা টানার বেশ চল ছিল বাংলা মুল্লুকে। আর ঢাকার এই এলাকা ছিল হুক্কার ‘টিকা’ তৈরির জন্য বিখ্যাত। ‘টিকা’ তৈরিকারকরা এই এলাকায় বাস করতেন ও ব্যবসা করতেন।



তোপখানাঃ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গোলন্দাজ বাহিনীর অবস্থান ছিল এখানে।



পুরানা পল্টন, নয়া পল্টনঃ

এ এলাকা ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঢাকাস্থ সেনানিবাস।



ধানমন্ডিঃ

এখানে এককালে বড় একটি হাট বসত। হাটটি ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল।



পরীবাগঃ

পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর এক মেয়ে ছিল। সম্ভবত পরীবানুর নামে এখানে একটি বড় বাগান করেছিলেন আহসানউল্লাহ।



পাগলাপুলঃ ১৭

শতকে এখানে একটি নদী ছিল, নাম – পাগলা। মীর জুমলা নদীর উপর সুন্দর একটি পুল তৈরি করেছিলেন। অনেকেই সেই দৃষ্টিনন্দন পুল দেখতে আসত। সেখান থেকেই জায়গার নাম পাগলাপুল।



পানিটোলাঃ

যারা টিন-ফয়েল তৈরি করতেন তাদের বলা হত পান্নিঅলা। পান্নিঅলারা যেখানে বাস করতেন সে এলাকাকে বলা হত পান্নিটোলা। পান্নিটোলা থেকে পানিটোলা।



ফার্মগেটঃ

কৃষি উন্নয়ন, কৃষি ও পশুপালন গবেষণার জন্য বৃটিশ সরকার এখানে একটি ফার্ম বা খামার তৈরি করেছিল। সেই ফার্মের প্রধান ফটক বা গেট থেকে এলাকার নাম ফার্মগেট।



শ্যামলীঃ

১৯৫৭ সালে সমাজকর্মী আব্দুল গণি হায়দারসহ বেশ কিছু ব্যক্তি এ এলাকায় বাড়ি করেন। এখানে যেহেতু প্রচুর গাছপালা ছিল তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এলাকার নাম দেন শ্যামলী।



সূত্রাপুরঃ

কাঠের কাজ যারা করতেন তাদের বলা হত সূত্রধর। এ এলাকায় এককালে অনেক শূত্রধর পরিবারের বসবাস ছিলো।



সুক্কাটুলিঃ

১৮৭৮ সালে ঢাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়। এর আগে কিছু লোক টাকার বিনিময়ে চামড়ার ব্যাগে করে শহরের বাসায় বাসায় বিশুদ্ধ খাবার পানি পৌঁছে দিতেন। এ পেশাজীবিদেরকে বলা হত ‘ভিস্তি’ বা ‘সুক্কা’।

ভিস্তি বা সুক্কারা যে এলাকায় বাস করতেন সেটাই কালক্রমে সিক্কাটুলি নামে পরিচিত হয়।



স্বামীবাগঃ

ত্রিপুরালিংগ স্বামী নামে এক ধনী এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি এ এলাকায় বাস করতেন। তিনি সবার কাছে স্বামীজি নামে পরিচিত ছিলেন। তার নামেই এলাকার নাম হয় স্বামীবাগ।



মালিবাগঃ

ঢাকা একসময় ছিল বাগানের শহর। বাগানের মালিদের ছিল দারুণ কদর। বাড়িতে বাড়িতে তো বাগান ছিলই, বিত্তশালীরা এমনিতেও সৌন্দর্য্য পিপাসু হয়ে বিশাল বিশাল সব ফুলের বাগান করতেন। ঢাকার বিভিন্ন জায়গার নামের শেষে ‘বাগ’ শব্দ সেই চিহ্ন বহন করে। সে সময় মালিরা তাদের পরিবার নিয়ে যে এলাকায় বাস করতেন সেটাই আজকের মালিবাগ।



লেখাটি ভালো লাগলে এই পেইটা একটু ঘুরে আসবেন দয়া করে



ফেসবুক পেইজ

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

নীল ভোমরা বলেছেন: জানা হলো ইতিহাস...ভাল লাগলো্!

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: ভুতের গলির ইতিহাস কি

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগলো্।নতুন কিছু জানা হল।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভালো

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: ভালো হইছে দাদা!

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

সদানন্দ বলেছেন: আমি তো কাকরাইল নামকরণের ভিন্ন ইতিহাস জানাতাম-
Click This Link

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

নীল ভোমরা বলেছেন: পাতলা খান লেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.