![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হরতাল শব্দটি মূলত একটা গুজরাটি শব্দ, গুজরাটিতে હડતાળ বা હડતાલ হাড়্তাল ।
যার অর্থ হয় "দরজায় তালা" অর্থাৎ দোকান, বেচাকেনা, অফিস আদালত বন্ধ রেখে দাবি আদায়ের জন্য প্রতিবাদ করা , সাথে সাথে রাস্তায় মিছিল মিটিং করা যেতে পারে । কিন্তু এটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে ।
হরতাল বিশ্ব অন্যান্য দেশে তেমন একটা নেই তবে আমাদের উপমহাদেশে এর সৃষ্টি বলে এখানেই ব্যবহারটা বেশি । তার মধ্যে বাংলাদেশে এটি সস্তা বিষয় । পান থেকে চুন খসলেই হরতালে হরতালে বেতাল দেশ !
বাংলাদেশে বর্তামানে যে হরতাল চলছে এটি কোন হরতাল বলা ঠিক না । আমি ত নাম দিয়েছি ককটাল । হরতাল ডেকে ককটেল বিষ্ফোরণের মহোৎসব পালন করা হচ্ছে । কিন্তু এই চিত্র বেশিদিন আগের নয় । ২০০৭ পূর্ব সময়ে দেখা যেত বাংলাদেশে হরতাল হলে দোনাবপাট বন্ধ থাকত , যানবাহন চলাচল করা বন্ধ থাকত , এবং হরতালের সমর্থকদের মিছিলে মিছিলে মুখরিত হত দেশ । আমার সে সময়ে দেখা হরতালে দেখেছি , সে সময় পুলিশের সামনে হরতাল সমর্থক মিছিল করার চেষ্টা করত । হাজার হাজার লোক মিলে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেত আর এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে মাঠেই ধস্তাধস্তি পর্যন্ত গড়াত ! আর এখন সেই মিছিলের রীতি নেই । এখন সময় খুবই দ্রুত হয়েছে । হরতালকারী ঘরে বসে হরতাল পালনের চেষ্টা করে আর তাদের ভাড়া করা প্রশিক্ষিত লোকজন গ্রেনেড বোমা পেট্রোল বোম , পাথর ইত্যাদি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন লক্ষ্যকরে আক্রমণ করছে । তার মধ্যে এবার যা দেখছি তা চড়ম সীমালঙ্ঘন বলা যায় । জীবিত মানুষকে পুড়িয়ে মারা ঘটনা, বাসে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, হরতালের আগের দিনে বাস পোড়ানো শুরু !! অথচ পূর্বে দেখা যেত হরতাল পূর্ব প্রস্তুতি সরূপ মিছিল শোডাউন দেয়া হত , এখন তা হয়না । হরতালের আগের দিনে মানুষ নিরাপদে গন্তব্যে পৌছাবে তার কোন সুযোগ নেই, যে কোন স্থানেই লাশ হতে পারে । গাড়ি ভাংচুর ত দৈনিক রুটিন , সাথে যোগ হয়েছেন ট্রেনে আক্রমণ করে ডাকাতি, ছিনতাই । শুনলাম হরতালকারিদের মঝে চোরের সংখ্যা রেকর্ড হারে বেড়েছে । ট্রেনে আক্রমণ করে সেদিন কয়েকজন গৃহবধু যাত্রীদের হাতে লাঠি রোড দিয়ে আঘাত করে স্বর্ণের গহনা ছিনতাই করেছে । রেল লাই উপরিয়ে লোহার ছিনতাই চলে হরতালের দিন ।
অফিসে লুটপাট করে আগুন দেয়া হয় , এমনকি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগে লুটপাট চালিয়ে পরে আগুন দিয়ে কয়েক হাজার ক্ষতি সাধনও হয়েছে । অফিসের ফাই লুট , দোকানের মাল লুট , বাড়ির জিনিস লুট । প্রতিপক্ষের বাসায় হামলা করে বৃদ্ধ মানষদের উপরও আঘাত করছে , সাথে সেই বাড়িতে লুটপাট করা হচ্ছে একাত্তরের রাজাকারের মত । সেদিন একজন সাধারণ মানুষ বলছে , বাবা এরা হরতাল করতে যায়না , এরা যায় লুটপাট করতে ।
এবার হরতালে আরও অবাক হলাম দেশে হাজার হাজার বোমা আর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে । রাস্তা থেকে এই ককটেল হামলা উঠে এসেছে বাসাবাড়ি আর অফিস পর্যন্ত । প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী , এমপি, ব্যরিস্টার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ্যশক্তির বাসাবাড়িতে প্রভৃতি যায়গায় চলছে ককটেল হামলা । হামলাকারীরা ব্যবহার করছে টোকায়দের যাদের বয়স ৯ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে । প্রয়োগ করছে যুবক শ্রেনীর ছেলেরা । দেশে বহু স্থানে এই বিস্ফোরকের সাথে জামাত শিবির ক্যাডার গ্রেফতার হয়েছে , সাথে বিএনপিও । তবে এত বোমার আর ককটেলের ব্যবহার দেশে দেশের মানুষ হচকিত !! চোখ স্থির হয়েগেছে যে দেশে এত বোমাবাজ হলে দেশ দাঁড়াবে কোথায় !!
আমি এই ককটেল আর বোমা ব্যবাহার দেখে এর নাম দিলা এটা হরতাল নয় এটা ককটাল । বিএনপির চলেগেল সরকার বিরোধী ৬০ ঘন্টার ককটাল ।
©somewhere in net ltd.