নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যমে-ব-জয়তে

মেহেদী হাসান+

সত্যের জয় হোক ।

মেহেদী হাসান+ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালটাকা, পেশিশক্তির প্রভাব, ভোটারদের বাধ্যকরা ও রাজাকার মুক্ত একটা নির্বাচন । সর্বগ্রহণযোগ্য ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২২

আমার কাছে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন , কারণএই নির্বাচন হল সংবিধান রক্ষার নির্বাচন , তৃতীয় পক্ষ্যকে সুযোগ না করেদেয়ার নির্বাচন , রাজাকার মুক্ত নির্বাচন , এই নির্বাচন হল জঙ্গিদের মুখে জবাব দিয়ে ভোটাদের ম্যান্ডেট !

আমরা এই নির্বাচনে যে সকল ভোটারদের ভোট দিতেদেখেছি তারা শত বাঁথা উপেক্ষা করে ভোট দিয়েছে । বগুড়ার কাহালুর মত সাতখিরার মত নিলফমারীর মত এলাকার রিপোর্ট পড়লেই বুঝতে পারা যায় কি হয়েছিল ৫ তারিখ ভোটের দিন । ভোটারদের ইচ্ছা থাকলেও তারা আসতে পারছিলনা হুমকির ভয়ে ! ভোট দিতে গেলেই আগুন দেয়া হবে ঘরে , এই হুমকি শুধু হিন্দুদেরই নয় , মুসলিমদেরও !

হরতাল জুঙ্গিকার্যক্রম বোমা বিস্ফোরণ বাঁধাদান প্রভৃতি সত্বেও কোথাও ১৫ % কোথাও ৪০% কোথাও ৬০% কোথাও ৮০থেকে৯৫% পর্যন্ত অর্থাৎ সর্বশেষ গড়ে ৪২% ভোট পড়েছে । এই ভোট মহামূল্যবান কারণ তারা এত বাঁধা অতিক্রম করে এসেছে । ভোটারদে যখন প্রশ্নকরা হয় আপনি এত বাঁধা মধ্যে কেন আসলেন তাদে জবাব আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শেষ ফয়সালাটা দেখার জন্য ম্যন্ডেট দিতে এসেছি । এই ম্যান্ডেট কখনই শুধু আরেকটা নির্বাচন করার জন্য কিছুদিনের সংসদ হতে পারেনা !!!

টিভি মিডিয়া সাধারণত ঐসকল একায় নিউজ কভারেজ করে যেসব এলাকায় মারামারি ধাওয়াপাল্টাধাওয়া হয়েছে , আর প্রসংগত সেসব এলাকায় ভোটার উপস্থিতি কোম হয় । টিভিতে যারা বগুড়া সাতখিরা বা নিলফামারি ও রংপূরের ভোটার উপস্থিতি দেখেছেন মানে ৩০%এর নিচে তারা মনে করেছেন সমস্থ দেশ এমন হয়েছে ! আসলে তা নয় । .. আওয়ামী লীগ অধ্যূসিত এলাকায় যেমন মৌলভিবাজার শেরপুর ময়মনসিং জামালপুর নওগাঁ গোপালগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ কিশরগঞ্জ ভোলা এসব এলাকায় ৮০% থেকে ৯০% ভোটার উপস্থিতি ছিল ।

এসব এলাকায় টিভি মিডিয়া না গেলেও কিন্তু পর্যবেক্ষক ছিল প্রিন্টমিডিয়া ছিল যারা নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট আছে । তাই আমাদের এই ভোট নিয়ে কোন সন্দেহ নেই ।

কিছু মিডিয়া আর সুশিলরা একটু ত হতাশা থেকে ক্ষোভ ঝাড়ছেই , তাদের ইচ্ছা ছিল তত্বাবধায়ক আসলে অনেক সুবিধা হয় । তাদের কদর বাড়ে , ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ করে । সেইসব পত্রিকা উঠেপরে লেগেছে এই নির্বাচনকে একটু যদি কলংকিত করা যায় , তার নমূণা সরূপ , প্রথম আলো । ভোটের পরের দিন কোথা থেকে এটা ছবি নিয়ে আসল যে ব্যলটে একজন ছিল মারছে টেবিলে দাড়িয়ে । এই প্রথম পাতা যেন সর্বএলাকার চিত্র এটি ! কিন্তু ভোটারদে লম্বালইনের ছবি ভিতরের পাতায় । .. আমি বলতে চাই গতবার আমি আমার একটা ভোট প্রয়োগ করেছিলাম ২০০৮ সালে প্রথম ভোটার হয়ে । তখন ভোট দিতে বুথে ঢুকতেই সবাই বলছে এবার আ'লীগ আসছে বাবা .. দাও ভোট দাও , আমি বললাম পর্দার আড়ালে গিয়ে কি হবে ভোট ত নৌকাতে দিব সবাই জানেনই :D সেখানে বিএনপির আ'লীগের পোলিং এজেন্টরা বলছে বাবা তোমার ভোট তুমি টেবিলেই মেরে বাক্সে ঢুকাও , আমি তাই করলাম । তখন যদি প্রথম আলো আসত আর ছবি তুলত তবে ত প্রথম পাতায় আমার ছবি দিলে সেটাও (২০০৮ সালে) কারচূপির নির্বাচন হত !!! আসলে দেখতে না পারলে পা বেঁকা !!

আর দুপুর বেলা কেউ ঘরে একা থাকলে খাবারের সময়ে সব জায়গাতেই এমন দু একজন সুযোগে দু চারটা সীল মারে সর্ব সময়েই হয়ে এসেছে । এসব ঘটনা কোন বিষয় নয় । গতবার শুনণাম অর্থাৎ ২০০৮ সালে আমাদের পার্শবর্তীগ্রামের কিছু মাদ্রাসার হুজুর ভোটের এজেন্ট থাকা কালে গণনার সময়ে যখন ভোটপেপারগুলো পৃথক পৃথক করা হয় তখন ধানের শীষের মধ্যে নৌকার অনেক ব্যালট ঢুকিয়ে দিয়ে ধানের শীষের ব্যালটের সংখ্যা বেশি দেখিয়েছে । তারা বলছে আমরা দেখেছি এমন সময় কেউ এত নজর দেয়না । তাহলে কি সেখানে ২০০৮ সালে দুইনম্বর কাজ হলনা ?? এমন ত একটু একটু চলেই । এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা তা নিয়ে কোন লীড নিজউ করা ঠিক না ।

আমাদের প্রত্যাসা সরকার কঠোর হবে , কারও কাছেই মাথা নত না করে ৫ বছর টিকে থেকে জঙ্গিদমন করতে সচেষ্ট হবে । জামাত নিষিদ্ধ হবে এটাই প্রত্যাশা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৪৯

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সঠিক

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২৭

ইসটুপিড বলেছেন: ভাল লেখেছেন, দলে ভাল পোস্ট কনফার্ম।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

কলাবাগান১ বলেছেন: সরকারে না এসেই যেভাবে সংক্যালঘুদের উপর দমন নিপিড়ীন আরম্বহ করেছে জামাতি রাজাকাররা, ভাবতেও শিউড়ে উঠে, এরা ১৯৭১ কি করেছিল পাওয়ার হাতে নিয়ে আর আবার পাওয়ারে আসলে এদের এই জংগীপনা থেকে কারোই নিস্তার নাই

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ৩০০ আসনের ১৫৩টিতে বিনা ভোটে প্রতিনিধি করা হয়েছে। এটা একেবারে অবৈধ। কারণ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ সদস্যগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু ১৫৩ জন কোনো ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন।৫ জানুয়ারির নির্বাচন জাল ভোট থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা নির্বাচনকে কলঙ্কিত করার জন্য করা হয়নি। এর একটি ছোট্ট উদাহরণ হলো স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলের জাল ভোট দেয়ার ঘটনা। কাজেই এই নির্বাচন অকার্যকর ও অবৈধ এবং এটাকে কোনো অর্থেই বৈধ বলা যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.