![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রী কৃষ্ণা গবিন্দা হরে মুরারে , হে নাথে নারায়ণ .. হে বাসুদেবা ।
শ্রী কৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন এই তিথিতে । আজকের দিনে । মাতা দৈবক্ষি গর্ভে ও পিতা বসুদেবের ঔরসে । তিনি এসেছিলেন দাপরের যুগে, দাপরের শেষে তার মৃত্যু । তিনি মহামানব, তিনি সংহারকারী , তিনি সৃষ্টিশীল , তিনি শান্তিকামী , ধর্মের স্থাপনা, অধর্মের ধ্বংসই ছিল তার নিমিত্ব । শ্রী কৃষ্ণ জীবণে বহু যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন শান্তি প্রতিষ্ঠাতেই । যুদ্ধ মাত্র ধ্বংস হলেও তার কাছে সেই ধ্বংস ছিল অসূরের, মন্দের, অধর্মের । হিন্দু ধর্ম মতে নিতি নারায়ণ অবতার । শ্রী ভগবান নারায়ণ হলেন একজন ত্রিদেবের এক দেব । যিনি যুগে যুগে জন্মনেন মাতৃ গর্ভে , সমাজ থেকে অধর্ম নাশ করতে । শ্রী গীতায় কৃষ্ণের বানী হল ‘পরিত্রানায়ে সাধুনাং বিনাশয়েচ্ দৃশকৃতাম, সম্ভবামি যুগে যুগে ..’ অর্থাৎ, জগতে যখন দুষ্টের সংখ্যা বেড়ে যায় , আর ধার্মিকরা হয়ে পড়ে অসহায় , তখনই আমি নিজেকে মানব রূপে সৃষ্টি করি দুষ্টদের পরাস্থ করতে আর সাধুজনকে রক্ষা করতে ।
পাপাচার বৃদ্ধি পেলে আমরা এমন ত্রাণকর্তাকে বার বার জগতে পেয়েথাকি । কৃষ্ণ হলেন তাদের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ।
কৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন মথুরায়, বেড়েছেন গকুলে , রাজ্য স্থাপন করেছিলেন দ্বাড়কায় । তিনি গকুলকে করেছেন মধুময়, তিনি মথুরাকে করেছেন অধর্মমুক্ত আর দ্বাড়কা রাজ্যকে করেছেন সুখময় গণতান্ত্রিক রাজ্য । আমরা মহাভারতেই পাই গণতন্ত্রের প্রথম ছবক । শ্রীকৃষ্ণের রাজ্য দ্বারকায় কোন রাজা ছিলনা , ছিল জনগণের পূর্ণ অধিকার । সকল জনগণই ছিল সেখানকার সমান অধিকারে নাগরীক । কৃষ্ণের রাজ্যে তার বড় ভাই বলরাম শাসকের ভূমিকায় ছিল বটে কিন্তু কোন রাজা হিসেবে নয় , তিনি যাদবদের নেতা হিসেবে রাজ্য শাসন করতেন । অপরদিকে কৃষ্ণ যাবদ শ্রেষ্ট, তিনি প্রজাদের ভালমন্দের দিকে নজর দিয়ে ও রাজ্যে শত্রুদের নজর পরলে তা পরাস্থ করতেন ।
কৃষ্ণের বাণী হল শ্রীমত ভগবদ গীতা , আমি যতবার পড়ি মুগ্ধ হয়ে যাই । ছোটবেলা থেকেই আমার বিভিন্ন ধর্ম জানার আগ্রহ থেকেই আমি গ্রন্থসমূহ পড়ে থাকি । গীতার ৭০০ শ্লক, প্রতিটি শ্লকই উপদেশ বাণী । ভাল মন্দের নির্ণয়কারী ।
সেখানে যেমন আছে ধার্মীক বা দৈবগুন সমৃদ্ধ মানুষের বর্ণনা , তেমনি আছে অসূরীক গুণের মানুষের বর্ণনা ।
কি সুন্দর সেই বর্ণনা সমূহ । তার মতে শাত্র পাঠ করলেই জ্ঞানী হওয়া যায়না, জ্ঞানী হতে হলে তার সৎগুনও থাকতে হবে ।
দৈবগুনের অধীকারীদের ২৬টি গুণ থাকে তার মধ্যে শাত্রপাঠ একটি ।
গীতার ১৬ অধ্যায়ে বর্ণনা আছে , “নির্ভীকতা, চিত্তগুদ্ধি( আত্মশুদ্ধি), আত্মজ্ঞাননিষ্ঠা ও কর্মযোগে তৎপরতা , দান , বাহ্যেন্দ্রিয় সংযম (চোখ , কান, নাক, লিংগ , জিহ্বার মুখের.. ইত্যাদির সংযোম করা ) , যজ্ঞ, শাস্ত্র-অধ্যায়ণ, তপ:, সরলতা, অহিংসা , সত্য, অক্রোধ (হিংসা না করা) , ত্যাগ, শান্তি, পরনিন্দা-বর্জন, জীবে দয়, লোভহীনতা , মৃদুতা, কু কর্মে লজ্জ্বা , অচাঞ্চলতা, তেজস্বিতা, ক্ষমা, ধৃতি, শৌচ (পাকপবিত্রতা অর্জণ), দ্রোহ বা হিংসা না করা , অনভিমান ... এসকল গুণ হল দৈবী গুণ ।“
তাহলে শ্রীকৃষ্ণ শিক্ষা দিচ্ছে তাতে ২৬ টি গুণ থাকলে তাকে ধার্মিক বলা যায় । আমরা যদি কৃষ্ণের এই ২৬ গুণ ধারণ করতে পারি তবে আমাদের সমাজ থেকে অবশ্যই হিংসা হানাহানি দুর হবে । কোন ধর্মের কোন মানুষের সাথে বৈরিতা থাকবেনা , অহিংসা একটি গুণ ।
অপরদিকে একই অধ্যায়ে অসূরগুণের মানুষের পরিচিতি দেয়া আছে , যা বর্জনীয় । .. “কাম ক্রোধ আর লোভ” এই তিনটি হল অসূরের গুণ , এদের জন্য রয়েছে নরকের দ্বার উন্মুক্ত ।
তাই, আজ শুভ জন্মাষ্টমির দিনে সকলের কাছে একটাই কামনা , জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠাতে নিজেদের চরিত্র পরিবর্তন করি । তার বর্ণনা করা ২৬টি গুণ ধারণ করতে ও ৩টি অসুর গুণ ত্যাগে সম্পৃক্ত হই । জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক ...
সর্বে ভবন্তু সুখিনাহ... সর্বে সন্তু নিরামায়াহ.... সর্বে ভদ্রানিপাস্তান্তু... মা কস্যদুখভাগবেদা ......
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
ইলি বিডি বলেছেন: কোন ধর্মের কোন মানুষের সাথে বৈরিতা থাকবেনা , অহিংসা একটি গুণ ।
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শুভ জন্মাষ্টমী
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: শুভ জন্মাস্টমী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সর্বে ভবন্তু সুখিনাহ... সর্বে সন্তু নিরামায়াহ.... সর্বে ভদ্রানিপাস্তান্তু... মা কস্যদুখভাগবেদা .....


কৃষ্ণদর্শনের ভাগ্য ক'জনের হয়